
এক হুজুর শহরের মসজিদে ইমামতি করতেন। আর
থাকতেন খাইতেন সভাপতির বাড়িতে।
তো একদিন ইমাম সাহেব জুম্মার খুৎবায় পর্দার
পক্ষে আর বেপর্দার বিপক্ষে আলোচনা করলেন।
এতে সভাপতির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সে
ইমাম কে বলল আমার বউ মেয়ে পর্দা করেনা
বাজারে যায় এগুলো তুমি লুকাই লুকাই দেখো
আর মসজিদে আসি মানুষদের বলে বেড়াও। তুমি
কাল ই এখান থেকে চলে যাও।
,
পরে ঐ জায়গা থেকে এসে চাকরি নিলো
উপশহরে।
সেখানে থাকা খাওয়া সেক্রেটারিরর
বাড়িতে।
পরের জুম্মায় সে ভাবলো আমি পর্দা নিয়ে
ওয়াজ করে চাকরি হারাইছি।এখানে আবার
পর্দা নিয়ে ওয়াজ করে এ চাকরিও হারাতে
চাইনা। আমি আজকে সুদের বিপক্ষে ওয়াজ করব।
যা আছে কপালে,
সে সুদের বিরুদ্ধে কড়া ওয়াজ করলেন। মসজিদ
থেকে বের হয়ে দেখেন যে, সেক্রেটারির
মুখে যেনো বর্ষা কালের মেঘ জমেছে। ইমাম
সাহেব সেক্রেটারি কে জিজ্ঞেস করলেন,
ভাইজানের কি মন খারাপ?
সেক্রেটারি তেলে বেগুনে ক্ষেপে গেছে।,
আরে মিয়া আমি করি সুদের কারবার সে কথা
লোকদের বলা কি দরকার?
আগামী কাল থেকে তুমি আর নাই। গাঁট্টি
বেঁধে রাখো, সকালে চলে যাবে।
,
বেচারা ইমামের মন খারাপ।
ধুর আর শহর কেন্দ্রীক ইমামতি ই করবনা।
চলে গেলেন পাড়া গাঁয়ে।
সেখানে এক মসজিদে ইমামতি নিলেন।
থাকতেন খাইতেন ক্যাশিয়ারের বাড়িতে।
জুম্মা দিন সে চিন্তায় পড়ে গেলো। কি ওয়াজ
করব? যেটাই বলি সেটাই সভাপতি
সেক্রেটারির বিরুদ্ধে যায়।
না আমি আজ কোন ওয়াজ ই করবনা। সবাই সুন্নত
পড়ুক। সময় হলে ফরজ নামাজে দাড়াই যাবো
যা ভাবা তা কাজ।
খুৎবা ছাড়াই নামাজে দাড়াই গেলেন। সুরা
ফাতিহা শেষ করে টান ধরলেন" ইয়াসিন, ওয়াল
কুরআনিল হাকিম" বলে। পিছনে ক্যাশিয়ারের
মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।
নামাজ শেষ হতেই সে ইমাম কে ধরলো,
এই মিয়া! থাকো আমার বাড়ি খাও আমার
বাড়ি। আর নামাজে সুরা পড়ো সাবেক
ক্যাশিয়ার ইয়াসিন মিয়ার নামে। লগে তার
বাপ হাকিমের নাম সহ পড়ে দিলা।
শুনে রাখো, আগামী জুম্মায় আমার নামে সুরা
পড়বা। না পড়লে ঐ দিন ই চাকরি শেষ।
ইমাম পরলেন বিপদে। ক্যাশিয়ারের নাম হলো
বাবর। এ নামে কোন সুরা কুরআন শরিফে নাই।
এখন কি করবে!
চিন্তায় চিন্তায় চলে এলো পরের জুম্মা। আজ
ক্যাশিয়ার সাহেব বিয়ের দিনের দুলার
পাঞ্জাবী পরে আতর গোলাপ মেখে
মসজিদের প্রথম কাতারে হাজির। ইমামের
বুকে কামড় ধরে গেছে। সময় মত নামাজে
দাড়ালো।সুরা ফাতিহা শেষ হতেই, পেছন
থেকে হু হু হু।
ইমাম সাহেব উপস্থিত একটা সুরা বানিয়ে
ফেললেন।
ইয়া বাবর ইন্তা ক্বলবুন,
ইন্তা আবুকা খিনজির,
ইন্তা জাদ্দুকা হিমার।
ওয়া ইন্নাকুম জাহিলিন।
( অর্থাৎঃ- হে বাবর তুমি কুকুর, তোমার বাপ শুকুর,
তোমার দাদা গাঁধা, আর তোমরা সবাই মুর্খের
জাত)
ইমাম সাহেব কেরাত শেষ না হতেই, মি. বাবর
আমিন বলে চিৎকার করে উঠলো।
বন্ধুগন যখন মসজিদ পরিচালনার দায়িত্ব অযোগ্য
ব্যক্তিদের হাতে যাবে তখন এমন পরিস্তিতি দাঁড়াবে।
টিক তেমন অযোগ্য ব্যক্তি
পরিচালক হলে সর্ব ক্ষেত্রে ইমামের মত বেহাল দশা
হবে।
তাই আসুন আমরা জাগ্রত হই আর নিজের কাছে নিজে
শপত নেই মসজিদ মাদ্রাসা থেকে শুরু করে
যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করব। আর কোন
ইমামকে হেনস্তা হতে দেবনা, মুক্তাদিকেও এমন সুরার
নামাজে এক্তেদা করতে হবেনা।
No comments:
Post a Comment