Buy IP

********** Welcome to Buy ip **********

শিক্ষণীয়



জাল টাকার নোট চেনার ৯টি সহজ উপায়

Screenshot_43

জীবনে চলার পথে অনেক সময় অনেকের পকেটে জাল টাকা চলে আসে। মূলত কিছু অসাধু ব্যক্তির জাল নোট তৈরির কারণে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই জাল টাকার নোট চেনা সবার জন্য খুব প্রয়োজন।  এমটি নিউজের পাঠকদের জন্য নিচে জাল টাকার নোট চেনার ৯টি সহজ পদ্ধতি তুলে ধরা হলো।
১. জাল টাকার প্রথম শর্ত হচ্ছে এই টাকার নোটগুলো নতুন হবে। কারণ জাল টাকার নোটগুলো সাধরণ কাগজের তৈরি তাই পুরাতন হয়ে গেলে সেই নোট নাজেহাল হয়ে যায়।
২. জাল নোট ঝাপসা দেখায়। আসল নোটের মত ঝকঝকে থাকে না। সেটা নতুন হোক আর পুরাতন হোক।
৩. জাল নোট হাতের মধ্যে নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করে কিছুক্ষণ পর ছেরে দিলে এই নোট সাধারণ কাগজের মতো ভাঁজ হয়ে যাবে। আর আসল নোট ভাঁজ হবে না। যদিও সামান্য ভাঁজ হবে তবুও তা জাল নোটের ক্ষেত্রে তুলনামূলক বেশি।
৪. এবার আসুন আসল কথায় আপনি এই মূহুর্তে নতুন (একটি ১০০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও একটি ১০০ টাকা)`র নোট এবং পুরাতন পাঁচশত টাকার নোট হাতে নিন। আর এই বর্ণনার সাথে মিলিয়ে নিন।
৫. উপরে বর্ণিত প্রথম তিনটি নোট সোজা করে ধরুন এবার লক্ষ্য করুণ নোটের বাম পাশে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত একটি সরল রেখা আছে। একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ওটা কোন রেখা নয়। সেখানে স্পষ্টভাবে ইংরেজিতে বাংলাদেশ ব্যাংক “Bangladesh Bank” কথাটা লেখা আছে।
৬. পুরাতন ৫০০ টাকার নোটে বাম পার্শের নিচে সুন্দর নকশা করে লেখা আছে “৫০০” মূলত সেখানে “Bangladesh Bank” কথাটা লেখা আছে হালকা ও ভারি রং দিয়ে।
৭. টাকা সবসময় দুটি অংশ দিয়ে তৈরি হয়। টাকার দুই পার্শে দু`টো নোট জোড়া লাগানো থাকে এবং এটা হরিনের চামড়া দিয়ে তৈরি বলে পানিতে ভেজালেও খুব তারাতারি ভেঙ্গে যাবে না। আর জাল নোট পানিতে ভেজানোর সাথে সাথেই তা ভেঙ্গে যাবে।
৮. আসল নোট সবসময় খসখসে হবে।
৯. উপরের সবগুলো উপায়ে যদি আসল ও জাল/নকল নোট সনাক্ত করতে কেউ ব্যর্থ হয় তবে তার জন্য সর্বশেষ উপায় “আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট”। এই লাইটের মাথ্যমে সনাক্ত করা খুবই সহজ। আসল নোটে এই লাইটের আলো ধরলে নোটের উপর রেডিয়ামের প্রলেপ জ্বল জ্বল করে উঠবে। জাল নোটে তা হয় না।




১) ভদ্র মেয়েরা সর্বপ্রথম তাদের পোশাক নিয়ে খুব সচেতন থাকে। এমন কিছু পরে না যাতে করে বাহিরের কেউ চোখ তুলে তাকাতে সাহস করে। অনেকে বোরখা পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
২) ভদ্র মেয়েরা প্রেমের ব্যাপার নিয়ে খুব সিরিয়াস থাকে। তারা সচারচর প্রেমে জড়াতে চায় না, কিন্তু যদি কারো সাথে প্রেমে জড়িয়ে যায়, তাহলে মন প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করে তা টিকিয়ে রাখতে।
৩) ভদ্র মেয়েরা সবসময় বন্ধু, পরিবার এবং বয়ফ্রেন্ডকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়। একটির জন্য অপরটির উপর প্রভাব পড়ুক তা তারা চায় না। যার জন্য তাদের ঝামেলা পোহাতে হয় বেশি।
৪) ভদ্র মেয়েদের রাগ একটু বেশি। যার উপর রেগে যায় তাকে মুখের উপর সব বলে দেয়। মনে কোনও রকম রাগ, হিংসে লুকিয়ে রাখে না। এতে অনেকের কাছে ঝগড়াটে উপাধিও পেয়ে বসে।
৫) ভদ্র মেয়েদের রাগের ঝামেলা পোহাতে হয় বিশেষ করে তাদের বয়ফ্রেন্ডকে। এরা রেগে থাকলে অযথা বয়ফ্রেন্ডকে ঝাড়ে। পরবর্তীতে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সরি বলে। যে মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডকে সরি বলে তাহলে বুঝতে হবে সে তার বয়ফ্রেন্ডকে খুব বেশি ভালোবাসে।
৬) ভদ্র মেয়েরা সাধারণত ফেসবুকে ছবি আপলোড দেয় না। যদি দেয় তাহলে প্রাইভেসি দিয়ে রাখে। ফেসবুকে কতিপয় লুলু পুরুষ থেকে তারা ১০০ হাত দূরে থাকে।
৭) ভদ্র মেয়েদের বন্ধু/বান্ধবের সংখ্যা খুব সীমিত থাকে ও এরা সাধারণ ঘরকুনো স্বভাবের বেশি হয়।
৮) ভদ্র মেয়েরা আড্ডা বাজিতে খুব একটা যেতে চায় না। যার জন্য তাদের বন্ধু/বান্ধব থেকে ভাব্বায়ালি/আনকালচার খেতাব পেতে হয়।
৯) ভদ্র মেয়েদের কবিতা লেখার প্রতি আগ্রহ বেশি। তারা তাদের লেখা কবিতা সচরাচর কাছের মানুষ ছাড়া কাউকে দেখাতে চায় না।
১০) ভদ্র মেয়েদের কাছে পরিবারের সম্মানটুকু সবার আগে। তারা পরিবারের সম্মানের বিরুদ্ধে কোনও কাজ কখনও করে না।

প্রেম- প্রীতি- ভালবাসা, স্নেহ- মায়া- মমতা কোনদিন জাতি বা স্থান- কুল বিচার করে না। তুমি কালো না সাদা, সুন্দর না কুৎসিত, বেটে না লম্বা সেটা বিচারণীয় নয়। 





Create Free Account Payoneer & Get Free MasterCard 





ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে ইনকাম করবেন?


 প্রস্তাবনা: ফেসবুক শত্রু নাকি ফেসবুক বন্ধু?

একথা বললে বেশি বলা হবে না যে, আমাদের দিনের বেশিরভাগ সময়ই কাটে ফেসবুকে কানেক্ট থাকা অবস্থায়। ফেসবুকের অপব্যবহারের ফলে শুধুমাত্র বাংলাদেশেই ঘটছে কত কত ঘটনা। ধর্ষণ, ইভটিজিং, হয়রানি ইত্যাদি নানারকম সমস্যায় পড়ছে অনেকেই প্রতিনিয়ত, প্রতিদিনই।
কিন্তু ফেসবুক তো এই জন্য তৈরি হয়নি। ইস্পাতের ছুরি যখন একজন ডাক্তারের হাতে থাকে তখন সেটা হয়ে উঠে জীবনদানকারী আবার এই ছুরি-ই যখন একটা চোর-বাটপার-ছিনতাইকারীর হাতে পড়ে তখন সেটা হয়ে যায় জীবন ধ্বংসকারী।
আমার মতে ফেসবুক আসলে সেরকমই। আপনি যদি এটাকে ভালো কাজে লাগান তাহলে এটা আপনার আশির্বাদ বয়ে আনবে। আবার অপব্যবহারে এটা হতে পারে আপনার ক্ষতির কারণ। এখন কীভাবে ফেসবুক ব্যবহার করবেন সেটা আপনারই বিবেচনা।
আজকের আমাদের এই লেখায় ফেসবুকের কিছু পজিটিভ দিক তুলে ধরবো। ফলে আশা করবো, এখন থেকে ফেসবুক আপনার কাছে শুধু আড্ডাবাজীর জায়গাই হবে না, ফেসবুক টাকা ইনকামেরও একটা ব্যবস্থা করে দেবে আপনার জন্য। চলুন সেসব কিছু গাইডলাইন-ই জানবো আজকে।

বিদেশী বন্ধু আছে আপনার লিস্টে?

ফেসবুকে কিছু বিদেশী বন্ধু তৈরি করে নিন। যারা হচ্ছে আপনার এসেট। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বিভিন্নরকম সহযোগিতা পাবেন। যা এক কথায় এখানে বলে শেষ করা যাবে না। সময়ে সময়ে এই সহযোগিতা টের পাবেন। যা আপনার অনেক কাজে লাগবে। সুতরাং বিভিন্ন বিদেশী ফ্যানপেজে যান, সেগুলোর সাথে যুক্ত থাকুন, পড়ুন। বিভিন্ন জনের দেয়া বিভিন্ন স্ট্যাটাসে কমেন্ট করুন, কমেন্টের গঠনমূলক রিপ্লাই দিন। দেখবেন তাদের সাথে আপনার একটা সখ্যতা গড়ে উঠবে। যা ভবিষ্যতের সাঁকো হিসেবে বিরাট ভূমিকা পালন করবে।

গ্রুপ বা ফ্যানপেজ আছে আপনার?

ফেসবুকের দু’টো বড় বিষয় হচ্ছে- ১. ফেসবুক গ্রুপ এবং ২. ফেসবুক ফ্যান পেজ। এগুলো সম্পর্কে যদি আপনার ধারণা না থাকে তাহলে গুগলে সার্চ দিন। খুব সহজেই জেনে যাবেন, বুঝে ফেলবেন।
তো যা বলছিলাম- আপনি যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জানেন সেই বিষয়ে এক বা একাধিক গ্রুপ এবং ফ্যানপেজ ওপেন করুন ফেসবুকে। এবং ঐ গ্রুপগুলোতে নিয়মিত তথ্য প্রদান করুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার কমিউনিটি বড় হচ্ছে।
কী লাভ কমিউনিটি বড় হলে?
একটা বিষয় সবসময় মনে রাখবেন- এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় শক্তি হলো- “মানুষ শক্তি”- Manpower. লোকবল যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি অনেক কিছুই করতে পারবেন। কীভাবে?
এভাবে- ধরুণ আপনার কলমের উপর একটা ফেসবুক ফ্যানপেজ আছে। যেখানে গত এক বছর আপনি কলম নিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করেছেন। ফলে গত এক বছরে; ধরে নিই কমপক্ষে আপনার ফেসবুক ফ্যানপেজে এক লাখ লাইক আছে। মানে আপনার কমিউনিটি হচ্ছে এক লাখ মানুষের। তো এতোদিন ওরা আপনার দেয়া বিভিন্ন তথ্য পড়েছে, মজা পেয়েছে, ভালো লেগেছে বলেই তো ওরা আপনার সাথে এতোদিন আছে। ভেবে দেখুন সবাই কিন্তু কলম পছন্দ করে। এখন এই গ্রুপে যদি আপনি একটা পোস্ট দেন আপনি কলম বিক্রি করবেন, দেখবেন অনেকেই আগ্রহী কেনার জন্য। এবং মোটামুটি সবাই আপনাকে চেনে, বিশ্বাস করে। আপনার কথায় তাদের আস্থা আছে। তো দেখুন, যদি তাদের মাঝে মাত্র ১% লোকও আপনার কলম কিনে তাহলে আপনি মাত্র একটা পোস্ট/স্ট্যাটাস দিয়ে কতগুলো কলম বিক্রি করতে পারছেন?
আর আপনি যদি একটু বুদ্ধিমান হন, তাহলে বিক্রি করার জন্য আপনি আমাজন/ইবে বা ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানী থেকে আনকমন টাইপের কিছু কলম মার্কেটিং করবেন। এতে কলম কেনা আগ্রহী মানুষের সংখ্যা অনেক অনেক বেড়ে যাবে… এবার বুঝতে পারছেন তো কীভাবে একটা ফেসবুক গ্রুপ বা ফেসবুক ফ্যানপেজ থেকে আয় করা যায়? আপনি জেনে অবাক হবেন এভাবে ফেসবুক ব্যবহার করে অনেকেই লাখ টাকা ইনকাম করছে অনায়াসে।

আপনি কি গ্রাফিক ডিজাইন জানেন?

হ্যাঁ, এটা আরেকটা বড় মাধ্যম ফেসবুকে টাকা ইনকাম করার। একটা ফ্যানপেজ বানান- “গ্রাফিক ডিজাইন শপ” বা “ফেসবুক কভার ফটো ডিজাইন” অথবা এই টাইপের কিছু নাম দিয়ে। এবার এখানে আপনার নিজের ডিজাইন কিছু ছবি/ডিজাইন আপলোড করুন ফেসবুকের কভার ফটো মাপের। আশা করি কভার ফটো কি সেটা আপনি জানেন।
এবার ফেসবুকে বিভিন্ন বিদেশী ফ্যানপেজ বা গ্রুপের মডারেটর বরাবর ম্যাসেজ দিন যে আপনি কভার ফটো ডিজাইন করেন। তাদের ফেসবুক গ্রুপ বা ফ্যানপেজের কভার ফটোটা আপনি সুন্দর করে ডিজাইন করে দেবেন খুবই স্বল্পমূল্যে। সাথে আপনার নিজের ফেসবুক ফ্যানপেজে যেসব ডিজাইন আছে সেই লিংক দেন তাকে স্যাম্পল হিসেবে দেখার জন্য। দেখবেন এভাবে কিছুদিন মার্কেটিং করলে ঠিকই কাজ পাওয়া শুরু করেছেন। মার্কেটপ্লেসে বিড করতে হচ্ছে না, কোনো ঝামেলা নেই। শুরুতে কাজ পেতে হয়তো একটু ঝামেলা হবে। কিন্তু দেখবেন ধীরে ধীরে আপনি ঠিকই কাজ পাচ্ছেন। এবং একটা সময়ে গিয়ে আপনাকে আর মার্কেটিং করতে হবে না। দেখবেন অটো কাজ পাচ্ছেন বিভিন্ন রেফারেন্সে।
আমার জানামতে অনেকেই এভাবে কাজ করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করছেন। এরকম একজন হচ্ছেন- সাদমিন। এই আপুটি প্রতিটি কভার ফটো ডিজাইন করে দেন ৩০-৩৫ ডলার করে। সাথে প্রোফাইল ফটো ডিজাইন ফ্রি করে দেন তিনি। এবং মাসে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি অর্ডার পান তিনি অনায়াসে।
দেখুন, এসব কভার ফটো ডিজাইন করতে গ্রাফিকসে তেমন দক্ষতার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। অনেক সময় ক্লায়েন্ট ফটো দিয়ে বলেন ফটোটা এডজাস্ট করে হালকা কিছু কাজ করে দেয়ার জন্য। যা আরও সহজ কাজ।
একজন নতুন ব্যক্তিও ইউটিউব ঘেটে হালকা কিছু ফটোশপ টিউটোরিয়াল দেখে কাজ শুরু করতে পারেন অনায়াসে। আশা করি আপনিও পারবেন। শুরুতে কাজ পেতে দেরি হলে হতাশ হবেন না। ইনশাল্লাহ সাকসেস হবেনই।
আজকে এই পর্যন্তই থাক। আগামীতে ফেসবুক দিয়ে ইনকাম করার আরও কিছু অভিনব পদ্ধতির কথা জানাবো আপনাদের। সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।


ফ্রী তে অসংখ্য পুরস্কার নিন

prizebox থেকে ফ্রী তে নিয়ে নিন power bank, mobile,macbook সহ অসংখ্য পুরস্কার।
আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম নতুন একটি ওয়েভ সাইট। এই সাইট থেকে আপনি point earn করতে পারবেন এবং সেই point দিয়ে কিনতে পারবেন power bank, mobile,macbook সহ অসংখ্য পণ্য।
এই মাস registration করলে পাবেন ফ্রি ৩০point
প্রথমে এই http://prize-box.com/index.php/user-profile?view=registration&referrer=5625A812AD16A গিয়ে sign up করুন।
point earn
করার নিয়ম :
১। প্রতিদিন লগিন করলে পাবেন ৯ point
২। প্রতি invitation থেকে ১৫ point
৩। জন্মদিন এ পাবেন ১৫ point
আরও অনেক ভাবে point earn করতে পাড়েন।
এভাবে ৩০০ point হলে আপনি কিনতে পারবেন ফ্রি power bank
এই সাইট থেকে আপনি মাস এ একবার product কিনতে পারবেন।
legally
কাজ করলে আপনি sure প্রাইজ পাবেন।
সাইট সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর
1. Prizebox
কি?
Prizebox
যতটা এটা করতে পারেন হিসাবে তার ব্যবহারকারীদের উপকার করার জন্য গঠিত একটি ওয়েব পোর্টাল, হয়. সদস্য ওয়েবসাইট কার্যক্রম অনেকটা একটি অংশ হতে পারে এবং তারা পয়েন্ট না প্রায় সব কিছুর জন্য পুরস্কৃত করা হয়. তারা পরে আমাদের দোকান থেকে একটি পণ্য ক্রয় করতে ঐ পয়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন, যে মাসে একবার আপ প্রর্দশিত হবে এবং এটা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পেতে.
2.
আমি কিভাবে পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন?
আপনি লগ-ইন যোগদানের জন্য বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, পণ্য ক্রয়, কুপন কোড পেয়ে, আমাদের স্পনসর পরিদর্শন করার জন্য পয়েন্ট পেতে পারেন, ... আমরা তাড়াতাড়ি পয়েন্ট উপার্জন করার নতুন উপায় যোগ করা হয়. টাকা খরচ করে পয়েন্ট অর্জন করার উপায় আছে, যদিও, আপনার কাছে একটা কয়েন খরচ ছাড়া একটি পুরস্কারের জন্য যথেষ্ট পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন.
Prizebox
একটি কেলেঙ্কারীতে 3.?
নং Prizebox 100% জেনুইন. ওয়েবসাইট আমাদের পরিবর্তে প্রকৃত অর্থ পয়েন্ট জন্য পুরস্কার প্রদান করতে পারবেন যা বিজ্ঞাপন ও স্পনসর মাধ্যমে তার আয়, অধিকাংশ তৈরি করে.
4.
যখন আমি দোকান থেকে একটি পুরস্কার আদেশ দিতে পারেন?
আপনার পয়েন্ট নিয়ে কেনাকাটা সাধারণত মাসের শেষে, মাসে একবার পাওয়া যায়. আমরা আপনাকে সঠিক তারিখ এবং সময় বলতে হবে না, কিন্তু আমরা ইঙ্গিত দিতে হবে, যাতে আপনি দিনের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে থাকতে বাধ্য করা হবে না.
5.
কি Prizebox আন্তর্জাতিকভাবে কাজ?
হ্যা ইহা করে. আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে সরাইয়া হতে চান, আপনি শুধু একটি কম্পিউটার বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব অ্যাক্সেস আছে যে অন্য কোনো ডিভাইসের প্রয়োজন. এবং অবশ্যই, একটি কাজ ইন্টারনেট সংযোগ.
6.
যখন আমি আমার পুরস্কার বক্স পাবেন?
এটি সাধারণত ইউরোপের ভিতরে মানুষের জন্য দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগে এবং বাকি বিশ্বের জন্য এক মাস পর্যন্ত.

মধ্যবয়সী মহিলাদের প্রতি যুবকদের ঝোঁক থাকে কেন?


নিউজ ডেস্ক : কেন ছেলেরা তাদের চেয়ে মধ্যবয়স্ক নারীদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়? অনেকেই এ প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু কেন? বিশেষজ্ঞরা খুঁজে বের করেছেন এর বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ। সেরকমই কয়েকটি কারণ সাজিয়ে দেওয়া হল এই প্রতিবেদনে-
যৌনতা: শয্যায় একজন মধ্যবয়স্ক নারী যথেষ্ট অভিজ্ঞ, তিনি চরম মুহূর্তের চাওয়া-পাওয়ার কথা পুরুষসঙ্গীটিকে বলতে দ্বিধা করে না। এই খোলামেলা সততাই দুজনকে সুখের চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। আমরা যদি কাউকে ‘সেক্সুয়ালি স্যাটিসফাইড’ বলি সেটা অবিশ্বাস্যভাবে সেই ব্যক্তিকে আত্মবিশ্বাসী ও ভেতর থেকে সতেজ করে তোলে। মধ্যবয়স্ক নারীর এই ধরনের গুণাবলী একজন পুরুষকে সহজেই সন্তুষ্ট করে। অন্যান্য বড় কারণ ছাড়াও এই কারণে মধ্যবয়স্ক নারীর প্রতি পুরুষেরা বেশি আকৃষ্ট হয়। এ নারীরা বিছানায় অত্যাধিক প্লেফুল, রোমাঞ্চকর হন। পুরুষটির মধ্যে নিজেকে সম্পূর্ণ উজাড় করে দিতে পারেন।
স্বাধীনতা: সাধারণত অধিকাংশ মধ্যবয়স্ক নারী কোন ভনিতা ছাড়াই খুশি হন। একজন পুরুষকে তাঁর গড়েপিঠে নেওয়ার দরকার পড়ে না। তিনি কখনওই তার ওপর নির্ভর করেন না, এমনকি তার নিজের ডিনার অথবা কফির বিল নিজেই দেওয়ার মানসিকতা রাখেন। মানসিক এবং আর্থিক স্বাধীনতা একটি মানুষের জীবনের গুরুত্বপুর্ণ অর্জন।
অভিজ্ঞতা: একজন মধ্যবয়স্ক নারী জীবনে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাই তাঁর অভিজ্ঞতাও অনেক। জীবনের ছোটখাট সবধরনের সম্পর্কের অভিনয় তিনি নিখুঁতভাবে বিবেচনা করতে পারেন। এটা কিভাবে সমাধান করা যায় যায় সেটাও তিনি ভালো জানেন। মধ্যবয়স্ক নারী যথাসময়ে আবেগতাড়িত হয়ে ওঠেন এবং পুরুষটির সঙ্গে সত্যিকার গাঢ় সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেন। তিনি প্রিয় মানুষটির কাছে নিজেকে এমন ভাবে মেলে ধরেন যাতে সেই মানুষটি তাকে সহজভাবে পড়তে পারে। ফলে তিনি একজন ভালো মানুষ, একজন ভালো বন্ধু, এমনকি দীর্ঘ চলার পথে ভালো একজন সঙ্গী হতে পারেন।
আত্মবিশ্বাস: একজন মধ্যবয়স্কা নারী এটা ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারেন যে তারা অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিনি নিজের সম্পর্কে ভালোভাবেই জানেন। আর তাই তার ভেতরটা আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ থাকে। এই ভারসাম্য ও আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাবই তাকে ভেতর থেকে তীব্র আবেদনময়ী ও আকর্ষণীয় করে তোলে। আত্মবিশ্বাসী নারীরাই পুরুষের কাছে কাম্য। আত্মবিশ্বাসী নারীরা ছকবাঁধা নিয়মে চলতে পছন্দ করে, তারা নিজের জগতে কখনওই সন্ত্রস্ত হন না। নারীর এই দৃঢ় রূপ ও আবেদনময়ী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে ছেলেরা মুগ্ধ হয়।
দায়ীত্বশীলতা: একজন মধ্যবয়স্ক নারী নিজেকে গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেন। তারা কী চান সেটা তারা ভালো করেই জানেন তাই তাদের লক্ষ্য স্থির ও স্বচ্ছ থাকে। মধ্যবয়স্ক নারীই পারে একজন মানুষকে জীবনের আঁকাবাঁকা পথ চেনাতে, আস্থা তৈরি করতে, ওপরে উঠার প্রবল ইচ্ছাশক্তি তৈরি করতে এমনকি প্রবল আত্মসম্মানবোধ তৈরি করতে। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি একটি মানুষকে কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াতে নয়, জীবনের অমোঘ বাস্তবতা শেখাতে পারেন।
সততা: একজন মধ্যবয়স্ক নারী পুরুষকে বিশ্বাস এবং সততার স্তরগুলো ভালোভাবে শিখিয়ে নিতে পারেন। প্রেম, ভালোবাসা, বিয়ে যে কোনও ধরনের সম্পর্কেই শ্রদ্ধা একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ব্যাপার। মধ্যবয়স্ক নারী তাঁর দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন। তার মধ্যে সততা, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধাবোধ প্রবল থাকে। একজন মধ্যবয়স্ক নারী কখনোই একাধিক পুরুষের প্রতি কামনা রাখেন না। যে পুরুষটি অন্য একাধিক নারীদের সাথে ডেট করছে তাঁর প্রতি এ নারীরা কখনোই আগ্রহ প্রকাশ করেন না।
পারস্পরিক বোঝাপড়া: একে অপরের মধ্যে যদি বোঝাপড়া ভালো না হয় তাহলে সম্পর্কের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়। তীব্র আগ্রহ মুখ থুবড়ে পড়ে। সম্পর্কের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অর্থময় বোঝপড়া সম্পর্ককে আনন্দময় করে তোলে। আর এটা গড়ে ওঠে মধ্যবয়স্ক নারীর জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে। পারস্পরিক কথোপকথন জীবনের গল্পকে থামিয়ে দিবে না, বরং জীবনের গতিকে বাড়িয়ে দেবে। পরস্পরকে ভালো করে বুঝে ওঠার পথ তৈরি করে দেবে। যে পুরুষটি শুধু সেক্স এবং একটু মুগ্ধতার চোখে তাকানোর জন্য অপেক্ষা করতো সেই পুরুষটির মধ্যেও এই নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জেগে ওঠে

মেয়ে

অপরিচিত একটি মেয়ে। প্রতিদিন সকালে এই বাসায় এসে বোরকা পরিধান করে, তারপর দুপুরে এসে বোরকা খুলে রেখে যায়। ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ রহস্যজনক মনে হলো! এক আত্নীয়ের বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে ৩ দিন অবস্থান কালে প্রতিদিনই ব্যাপারটা আমার চোখে পড়ে। কৌতূহল বশতঃ আমার ঐ
আত্নীয়টিকে মেয়েটির কথা জিজ্ঞেস করলাম। আমার আত্নীয় জানালেন মেয়েটি একজন হিন্দু! প্রতিদিন কলেজে যাওয়ার পথে কয়েকটা হিন্দু ছেলে তাকে বিরক্ত করে। তাদের কাছ রক্ষা পেতেই সে প্রতিদিন এখানে এসে বোরকা পরিধান করে। আর কলেজ থেকে ফেরার পথে এখানে বোরকা খুলে যায়। হাতে পায়ে মোজা সহকারে বোরকা পরিধান করার ফলে ঐ ছেলেগুলো মেয়েটিকে চিনতে পারে না। ফলে মেয়েটিও বিরক্তির হাত থেকে বেঁচে যায়। আমি জিজ্ঞেস করলাম মেয়েটি তার বাসা থেকে বোরকা পরিধান করে বেরুলেই তো পারে। এখানে এসে পরার কি দরকার? এর জবাবে আমার আত্নীয়টি জানালেন বোরকা পরার কথা শুনলে মেয়েটির ফ্যামিলি থেকে সমস্যা হতে পারে। তাই এখানে এসে বোরকা পরিধান করে। আজ শুনলাম,পর্দা রক্ষা করে বাজে  ছেলেদের কাছ থেকে রক্ষা পাওয়ায় মেয়েটি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছে! I just say,
আলহামদুলিল্লাহ!
পর্দা করে যদি হিন্দু মেয়ে নিজেকে রক্ষা করতে পারে । তাহলে আমাদের মুসলিম মেয়েরা যদি পর্দা করতো তাহলে কত রকম অত্যাচার থেকে রক্ষা পেত ।


বিবাহের কতিপয় সুন্নাত সমূহ
রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-
যে সকল ভাইয়েরা/বোনেরা বিবাহ উপযুক্ত বা যাহারা বিবাহ নিয়ে ভাবছেন তাদের অথবা যারা অভিবাবক আছেন তারা জেনে নিন:
বিবাহের কতিপয় সুন্নত সমূহঃ
() মাসনূন বিবাহ সাদা সিধে ও অনাড়ম্বর হবে, যা অপচয়, অপব্যয়, বেপর্দা ও বিজাতীয় সংস্কৃতি মুক্ত হবে এবং তাতে যৌতুকের শর্ত বা সামর্থের অধিক মহরানার শর্ত থাকবেনা। (তাবারানী আউসাত, হাদিস নং- ৩৬১২)
() সৎ ও খোদাভীরু পাত্র-পাত্রীর সন্ধান করে বিবাহের পূর্বে পয়গাম পাঠানো। কোন বাহানা বা সুযোগে পাত্রী দেখা সম্ভব হলে, দেখে নেয়া মুস্তাহাব। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটা করে পাত্রী দেখানোর যে প্রথা আমাদের সমাজে প্রচলিত তা সুন্নতের পরিপন্থী ও পরিত্যাজ্য। (বুখারী হাদিস নং-৫০৯০, ইমদাদুল ফাতাওয়া-: ২০০)
() শাউয়াল মাসে এবং জুমুয়ার দিনে মসজিদে বিবাহ সম্পাদন করা। উল্লেখ্য, সকল মাসের যে কোন দিন বিবাহ করা যায়িজ আছে। (মুসলিম ১৪২৩/ বায়হাকী ১৪৬৯৯)
() বিবাহের খবর ব্যাপকভাবে প্রচার করে বিবাহ করা এবং বিবাহের পরে আকদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকদের মাঝে খেজুর বন্টন করা। (বুখারী/৫১৪৭)
() সামর্থানুযায়ী মোহর ধার্য করা। (আবু দাউদ/২১০৬)
() বাসর রাতে স্ত্রীর কপালের উপরের চুল হাতে নিয়ে এই দোয়া পড়াঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা খয়রাহা ওয়া খয়রা মা জাবালতুহা আলাইহি ওয়াওযুবিকা মিন শার্রিহা মিন শার্রিমা জাবালতাহা আলাইহি (আবু দাউদ/২১৬০)
() স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে অন্তরঙ্গতা সৃষ্টি করবে, তার পর যখনই সহবাস এর ইচ্ছা হয়, তখন প্রথমে নিম্নোক্ত দুআ পড়ে নিবেঃ “বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনা শাইতনা ওয়া জান্নিবিশশাইতনা মা রকাজকতনা” (মুসলিম/১৪৩৪)
(উপরোক্ত দোয়া না পড়লে শয়তানের তাছীরে বাচ্চার উপর কু-প্রভাব পড়ে। অতঃপর সন্তান বড় হলে, তার মধ্যে ধীরে ধীরে তা প্রকাশ পেতে থাকে এবং বাচ্চা নাফরমান ও অবাধ্য হয়। সুতরাং পিতা মাতাকে খুবই শতর্ক থাকা জরুরী)
() বাসর রাতের পর স্বীয় আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাংখী এবং গরীব মিসকীনদের তাউফীক অনুযায়ী ওলীমা খাওয়ানোর আয়োজন করা (মুসলিম/১৪২৭)
() কোন পক্ষ যেওরের শর্ত করা নিষেধ এবং ছেলের পক্ষ থেকে যৌতুক চাওয়া হারাম (আহসানুল ফাতাওয়া ৫/১৩)
(১০) কনের ইযন এর জন্য স্বাক্ষীর কোন প্রয়োজন নাই। সুতরাং ছেলের পক্ষের লোক ইযন শুনতে যাওয়া অনর্থক এবং বেপর্দা। সুতরাং তা নিষেধ। মেয়ের কোন মাহরুম বিবাহের এবং উকীল হওয়ার অনুমতি নিবে। (মুসলিম/১৪২১)
(১১) শর্ত আরোপ করে বর যাত্রীর নামে বরের সাথে অধিক সংখ্যাক লোকজন নিয়ে যাওয়া এবং কনের বাড়ীতে মেহমান হয়ে কনের পিতার উপর বোঝা সৃষ্টি করা আজকের সমাজের একটি জঘন্য কু-প্রথা, যা সম্পূর্ন রুপে পরিত্যাগ করা আবশ্যক। (মুসনাদে আহমাদ/২০৭২২, বুখারী/২৬৯৭)
(১২) ওলীমায় অতিরিক্ত ব্যয় করা কিংবা খুব উচু মানের খানার ব্যবস্থা করা জরুরী নয়। বরং সামর্থানুযায়ী খরচ করাই সুন্নত আদায়ের জন্য যথেষ্ট। যে ওলীমায় শুধু ধনী ও দুনিয়াদার লোকদের দাওয়াত দেওয়া হয়, দ্বীনদার ও গরীব গরীব-মিসকিনদের দাওয়াত দেওয়া হয়না, সে ওলীমাকে হাদিসে নিকৃষ্টতম ওলীমা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সুতরাং এ ধরনের ওলীমা আয়োজন থেকে বিরত থাকা উচিত (আবু দাউদ /৩৭৫৪)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুন্নত মোতাবেক বিবাহ করার তৌফিক দান করুন। আমীন




আমি জানতাম তুমি আসবে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছে।হঠাৎ একপশলা গুলি ছুটে এল শত্রুপক্ষের দিক থেকে।এক সৈন্য কোন ভাবে লুকিয়ে পড়তে পারলেও কিছুটা দূরে থাকা তার বন্ধুর লুকিয়ে পড়া সম্ভব ছিল না, তাকে পড়ে যেতে দেখে ভয়ের শীতল স্রোত বয়ে গেল তার ভেতর। সে তার লেফটেন্যান্টের কাছে অনুমতি চাইলো তার বন্ধু সৈন্যেটির কাছে ফিরে যাওয়ার এবং তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য। লেফটেন্যান্ট বললো,'তুমি যেতে পারো,কিন্তু আমি মনে করি না এটা উচিত হবে কারন তোমার বন্ধু খুব সম্ভবত গুলি খেয়ে মারা গেছে এবং ওখানে গিয়ে তুমি নিজের জীবনকেও ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে।' সৈ্ন্যটি এই উপদেশ শুনেও তার বন্ধুর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত্ নিল।অনেকটা অলৌকিকভাবে সে শত্রুপক্ষের গুলি এড়িয়ে তার বন্ধুর কাছে পৌছে গেল এবং তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে ফিরে আসতে সক্ষম হলো।যখন সে ফিরে এল তখন অফিসার তার বন্ধুকে পরীক্ষা করলো এবং দুঃখ ভারাক্রান্ত কন্ঠে বললো, ''আমি বলেছিলাম তোমার ওখানে যাওয়া উচিত হবে না,তোমার বন্ধুটি মারা গেছে এবং তুমি নিজেও কিছুটা আহত হয়েছো।'' সৈনিকটি বললো,''আমার যাওয়া অর্থহীন ছিল না স্যার!'' ''কিন্তু তোমার বন্ধুটি মারা গেছে,তুমি কিভাবে এটা বলো যে তোমার যাওয়াটা অর্থহীন ছিল না?'' ''জী স্যার, কিন্তু আমি যখন তার কাছে পৌছালাম তখনও সে জীবিত ছিলো এবং আমি তার শেষ কথা শোনার পরিতৃপ্তি পেয়েছি, সে আমাকে বলেছিল,''জিম...আমি জানতাম তুমি আসবে।'' প্রকৃ্ত বন্ধু তারাই,গোটা পৃথিবী আমাদের হাত ছেড়ে দিলেও যারা আমাদের হাত কখনো ছাড়ে না জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যেগুলো অর্থহীন নাকি গভীর অর্থবহ তা নির্ভর করে আমরা কিভাবে সেগুলোকে দেখি তার উপর।নিজের সবটুকু সাহসকে একত্রিত করে তাই করা উচিত যা আমাদের মন আমাদের করতে বলে। তা নাহলে হয়তো পরবর্তীতে সারাটা জীবন তা না করার আফসোস বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে।


কাজলা দিদি

বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মাগো আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে লেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না একলা জেগে রই-
মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?

সেদিন হতে কেন মা আর দিদিরে না ডাকো;-
দিদির কথায় আচঁল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
খাবার খেতে আসি যখন, দিদি বলে ডাকি তখন,
ওঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো?
আমি ডাকি তুমি কেন চুপটি করে থাকো?

বল মা দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!
দিদির মত ফাঁকি দিয়ে, আমিও যদি লুকাই গিয়ে
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে,
আমিও নাই-দিদিও নাই- কেমন মজা হবে।

ভুঁই চাপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,
মাড়াস্ নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল।
ডালিম গাছের ফাঁকে ফাঁকে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,
উড়িয়ে তুমি দিও না মা, ছিঁড়তে গিয়ে ফল,-
দিদি এসে শুনবে যখন, বলবি কি মা বল!

বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-
এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
লেবুর ধারে পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে’
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতে জেগে রই
রাত্রি হলো মাগো আমার কাজলা দিদি কই?


প্রতিটা মানুষের জীবনে এমন একজন দরকার

যে তাকে শাসন করবে।
সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত না খেলে জোর করে খেতে পাঠাবে।
সামনে থাকলে মুখে তুলে খাইয়ে দিবে। বৃষ্টিতে বেশি ভিজলে কপট চোখ দেখাবে।
পর মুহূর্তে বলবেআচ্ছা যাও ভেজো। জ্বর আসলে বলবেওষুধ না খেলে কিন্তু নেক্সট এক উইক কথা বলবো না।
রাতে সময় মত ঘুমাতে না গেলে নিজের ফোন বন্ধ রেখে বলবেচোখ বন্ধ। ঘুম চলে আসবে। আমি বলে দিচ্ছি ঘুমকে চলে যেতে তোমার কাছে। 
ব্যস্ত রাস্তা পার হওয়ার আগে অন্তত একবার বলবে,সাবধানে পার হয়ো ?
প্রশ্ন না করে প্রতিটা কথা মন দিয়ে শুনে বলবেপ্যাচাল অনেক হল। 
এবার মাথা থেকে ভুত নামাও সব। ফাইনালের আগে একটা কড়া ধমকফেসবুকে দেখলে আমার আইডী থেকে ব্লক করে দিব বলে দিলাম। পরে হাজার বললেও অ্যাড করব না।
শাসন শুধু ভালবাসার মানুষ করবে এমনও না। একজন বন্ধুও হতে পারে।
"
সে" হতে পারে। "তুমি" হতে পারে।
একটা জীবন পার করতে সব সময় সাথে থাকা মানুষটা হতে পারে। সবার জীবনে এমন একজন থাকুক। না আসলে আসুক। 
যে তাকে তার প্রতিটা ভুলের জন্যে বাকি সবার মত ভুল না বুঝে বলবেতুমি আমারতাই তোমার ভাল মন্দ ও আমার

পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার

পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল -একটি মেয়ে ঘরের বাহিরে কত লাজুক কিন্তু মায়ের সাথে কত নিষ্ঠুর!

মায়ের সাথে আমরা মেয়েদের সম্পর্ক একটু বেশী। কিন্তু আফসোসের বিষয় হল -মা তার মেয়েকে প্রকাশ্যে বা গোপনে কত কিছু যে শিক্ষা দেয় তা কারো অজানা বা অস্বীকার না করলেও কিন্তু এই আমরা মেয়েরাই কথায় কথায় মা 'কে কষ্ট দিয়ে থাকি!

বাসার পাশেই দেখি সংসারের নানা কাজ নিয়ে একটু সমস্যা হলেই 'মা 'কে এক হাত নিয়ে কষ্ট দিতে ছাড়েনা!অনেক সময় মেয়ের আচরণে একজন মা কে কাদতেঁও হয়। ভাবুনতো মা তার মেয়ের জন্য কত টেনশন বা কত কষ্ট করে। মা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে সবচেয়ে বেশী কান্না করে এবং বিয়ে দিয়ে সন্তান হওয়া পর্যন্ত মা কিনা করে?

হাদীছ শরীফে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার সদাচারের বেশী হকদার কে? তিনি বললেন, তোমার মা। ছাহাবী বললেন, এর পর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। ছাহাবী বললেন, এর পর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। ছাহাবী বললেন, এর পর কে? তখন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এর পর তোমার বাবা। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫৯৭১)

আমি বলি এত এবাদত করে তুমি যে জান্নাত হাসিল করবে সেটাও কিন্তু তোমার মায়ের সন্তুষ্টির মধ্যে নিহিত।



খাবারের কতক্ষণ পর চা পান করা উচিত?

চা এর নেশা বড় নেশা। এমন একজন মানুষ খুঁজে পাবেন না যে চা পান করেন না। বা চা পছন্দ করেন না। দুধ চা হোক বা লিকার চা দুই বেস্ট। সকাল বিকেল প্রায় সবাই চা পান করেন।
কিন্তু, এমন বহু মানুষ আছে ডিনার বা মধ্যাহ্ন ভোজনের পরেও চা পান করেন। যারা ভারি কিছু খাবার পরে চা পান করেন, তা আপনার শরীরের ক্ষতি বইকি ভাল কিছু করবে না। কারণ, মধ্যাহ্ন ভোজন কিংবা ডিনারে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার থাকে। এ খাবারের পর অনেক সময় চায়ের ব্যবস্থা থাকে। কেউ কেউ আবার অভ্যাসগতভাবেই লাঞ্চ কিংবা ডিনারের পর চা পান করে থাকেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণের ঠিক পর পরই চা পান করা ঠিক নয়। এতে হজমে সমস্যা হতে পারে। চায়ের মধ্যের ট্যানিন খাবারের প্রোটিনের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে এক ধরনের জটিল রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে। এ যৌগ হজমে সমস্যার সৃষ্টি করে এবং আয়রন শোষণে বাধা দেয়। হজমে সমস্যা মানেই শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে শরীর অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকে।
ইঁদুরের ওপর এক গবেষণায় আমেরিকার একদল গবেষক দেখেছেন, প্রোটিন জাতীয় খাবারের সঙ্গে চা গ্রহণ করলে খাদ্য হজমের প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। দীর্ঘদিন ধরে যারা হজমের সমস্যায় (সাধারণের কাছে যা পুরনো আমাশয় বলে পরিচিত) ভুগছেন, তাদের মধ্যে কারও দুপুরের কিংবা রাতের খাবার গ্রহণের পর পরই চা পানের অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করার মাধ্যমে তারা হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
মাংসের কাবাব কিংবা মাংস দিয়ে তৈরি খবার খাওয়ার ঠিক আগে বা ঠিক পরই চা পান করলে একই ধরনের বিপত্তি হবে। চায়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ট্যানিনের উপস্থিতির কারণে শুধু লিকার চায়ের ক্ষেত্রে এ সমস্যা আরও বেশি হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে প্রোটিন বা আমিষযুক্ত খবারের সঙ্গে চা পানের ফলে তেমন কোনো সমস্যা দেখা না দিলেও নীরব অপুষ্টি তাদের ক্রমান্বয়ে গ্রাস করতে থাকে। ফলে তাদের শরীর প্রয়োজনীয় মিনারেল থেকে বঞ্চিত হয়। একপর্যায়ে মিনারেল ঘাটতি (ক্যালসিয়াম) এবং অপুষ্টিজনিত কারণে বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে। খাবারের পর চা পান যদি করতেই হয় তাহলে অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিরতি নিন।



আহলে হাদিসদের প্রতারণামূলক ৪১টি প্রশ্নের 

দাঁতভাঙা জবাব


দ্বিমুখী মাযহাবী তথা আহলে  হাদিসদের প্রতারণামূলক ৪১টি প্রশ্নের দাঁতভাঙা জবাব পড়ুন!
বর্তমানকালের সব চেয়ে জঘন্যতম ফেতনা ও চরম প্রতারক কথিত আহলে হাদিস তথা লামাযহাবী ফেতনা।
এরা খুব কৌশলে মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে দিতে পারে। এদের সব চেয়ে কৌশলী অস্ত্র হল, মিথ্যাচার আর অহর্নিশি সহীহ
হাদিসের ফুলঝুরি। বড্ড অবাক হই, এরা কোনো ইমামের তাকলীদ করা তথা ফতুয়া মানাকে অন্ধ বিশ্বাস বলে কটাক্ষ্য করে, অপর দিকে নিজেরাই শায়খ আলবানীর নাম জপতে জপতে মুখে ফেনা তুলে পেলে। এটা কি তাদের দ্বিমুখী চরিত্র নয়?
আমি সেজন্য তাদের নাম রেখেছি দ্বিমুখী মাযহাবী গত কতেক দিন আগের কথা। ভ্রষ্ট প্রতারক দ্বিমুখী মাযহাবীদের 
(আহলে হাদিস) এক অনুসারী আমাকে এবং আমার আরো একজন দ্বীনি ভাইকে চ্যালেঞ্জ করে মাযহাবের প্রতি গ্ণমানুষের 
মনে সন্দেহ সৃষ্টি করা যেতে পারে এমন অতি অন্তঃসারশূন্য কিছু প্রশ্ন (আনুমানিক ৪১টি) ছুড়ে দিয়েছে। আমরা এখানে সংক্ষেপে তাদের উক্ত প্রতারণামূলক প্রশ্নগুলোর উত্তর দেব, ইনশাআল্লাহ। লক্ষ্য রাখবেন, প্রশ্নগুলো তাদের এবং উত্তরগুলো আমাদের।
১। মাযহাব কাকে বলে? উত্তর: ইসলামী শরীয়তে, মুজতাহিদ ফীশ শরীয়তের রায় বা মতকে মাযহাব বলে। যেমন- ইমাম আবূ হানীফা, মালিক, শাফেয়ী, আহমাদ, লাইছ, সুফিয়ান সওরী, আওযায়ী প্রমুখ (রাদ্বিআল্লাহুতালা আনহুম)। মুজতাহিদ ফীশ শরীয়ত হচ্ছে, যেসব মুজতাহিদ ইজতিহাদের নীতিমালা নির্ধারণ করেছেন।
২। মাযহাবের শাব্দিক অর্থ কি? উঃ মত, পথ, রায়, স্কুল ইত্যাদি। 
৩। প্রচলিত চার মাযহাব মান্য করা কি ফরয? উঃ না। তবে, ওয়াজিব।
৪। যদি ফরয হয়ে থাকে তা হলে এই ফরযটি উদ্ভাবন করল কে? উঃ আগেই বলেছি, ফরজ নয়। ইমামগণের নামেই মাযহাবগুলো প্রচলিত হয়েছে। কেননা, তাঁরা, তাঁদের অনুসারী ফকীহগণ ইসলামী আইনশাস্ত্রে যে অবদান রেখেছেন তাঁদের পরে তা আর কেউ পারেন নি। ফলে, সিংহভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠী এ চার মাযহাব গ্রহণ করেছেন। আর বাকিগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
৫। ইহা কি সকলের জন্যই? উঃ মুজতাহিদ ছাড়া বাকি মুসলমানের জন্যেই। 
৬। না কিছু লোকের জন্য?   উঃ ৫নং উত্তর দেখুন। 
৭। যারা  চার মাযহাব মানে না, তারা কি মুসলমান নয়? উঃ কোনো গায়ের মুজতাহিদ মুসলমান চার মাযহাবের কোনোটি না মানলে, সে নামমাত্র মুসলমান। 
৮। হানাফী, শাফেয়ী,  মালেকী হাম্বলী এই চার মাযহাব কখন সৃষ্টি হয়েছে? উঃ এ চার মাযহাবের জন্ম হয়েছে, খাইরুল কুরুন
বা প্রসিদ্ধ ৩ যুগে।
৯। কে সৃষ্টি করেছে?      উঃ আল্লাহুতালা সৃষ্টি করেছেন। 
১০। কেন করেছে? উঃ তিনি মানুষের প্রয়োজনেই সব সৃষ্টি করে থাকেন। বিস্তারিতভাবে জানতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
১১। ইহা করা এবং মানার জন্য  কি আল্লাহ এবং রসুলের নির্দেশ আছে? উঃ হাঁ। ৪ মাযহাবের ইমামগণ আল- কুরআনে বর্ণিত উলুল আমরের (৪:৫৯ ও ৮৩) অন্তর্গত। 
১২। যাদের নামে মাযহাব    সৃষ্টি করা হয়েছে তারা কি এই মাযহাবগুলি বানিয়ে নিতে বলেছেন (কিংবা দাবি করেছেন? উত্তরতাঁদের কেউ কেউ বলেছেন। যেমন- ইমামে আযম (রাদ্বিআল্লাহুতালা আনহু) বলেছেন: যখন হাদিস সহীহ হয়, (তাহলে বুঝতে হবে) সেটাই আমার মাযহাব। এখানে তিনি স্পষ্টভাবে আমার মাযহাবদাবি করেছেন। ইমামে আযম আবু হানিফা (আলাইহির
রাহমাহ)-এর এ উক্তি দ্বারা আরো একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে, উনার সমুদয় গবেষণালব্ধ রায়গুলো সহীহ হাদিস নির্ভর  ছিল, তা নয় কি? অন্যথা এরকম কথা বলার কী অর্থ! ইবনে আবেদীনের হাশিয়া (১/৩৬)- এর উদ্ধৃতি দিয়ে কথিত আহলে হাদিসরাও প্রচার করে বলে যে, ইমাম আবু হানিফা (রহ) বলেছেন- যখন সহীহ হাদিস পাওয়া যাবে, জেনে রেখো সেটাই আমার
মাযহাব। আসলে ওরা নিজেদেরই অজান্তে স্বীকার করে নিয়েছে যে, ইমাম আবু হানিফা (রহ) স্বীয় গবেষণালব্ধ মত ও রায়কে 
নিজেরই মাযহাব বলে স্বীদ্ধান্ত দিয়ে গেছেন। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, কথিত আহলে হাদিসের এ রকম গদবাধা প্রচারণা আখের
নিজেদেরই গলার কাঁটায় পরিণত হল। →→ প্রকাশ থাকে যে, ইমাম আবু হানিফা (রহ) -এর উক্ত কথাটি  ওরা যে রূপ শব্দ
চয়নে প্রচারণা চালাচ্ছে, তা হুবহু কিন্তু সে রকম নয়। বরং উনার বক্তব্য ছিল ঠিক নিম্নরূপ  ﺍﺫﺍ ﺻﺢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻓﻬﻮ ﻣﺬﻫﺒﻲযখন হাদিস সহীহ হয়, (তাহলে বুঝতে হবে) সেটাই আমার মাযহাব।এখন আমার প্রশ্ন হল, লামাযহাবীদের উক্ত প্রচারণার ভেতর পাবেশব্দের আরবী কী? জবাব আছে কি? তাছাড়া উনার উপরিউক্ত বক্তব্যের মুখাতিব কোনো স্বাধারণ ব্যক্তি নন, বরং  জতাহীদ ফিল মাযহাব ইমামগ্ণই উনার একমাত্র মুখাতিব (সম্ভোধিত ব্যক্তি বর্গ)। আর তারা হলেন, ইমাম মুহাম্মদ, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম যুফার প্রমুখ (আলাইহিমুর রাহমাহ) । কাজেই আবারো প্রমাণিত হল আহলে হাদিস নামধারী দ্বিমুখী ভ্রষ্টরা গ্ণমানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করার জন্য ইমামদের কথার বিকৃতি সাধনে বড্ড পারঙ্গম !! সুতরাং হানাফী মুজতাহিদ ও ফকীহগণ
যেসব হাদীছ সহীহ মনে করেন  সেসব আমাদের কাছেও সহীহ। অন্যান্য মাযহাবীও যার যার মাযহাবের ক্ষেত্রে প্রায় একই নীতি মেনে চলেন। তাছাড়া, তাঁরা পবিত্র কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা, কিয়াস ইত্যাদির আলোকে লাখ লাখ ফতোয়া ও মাসয়ালার যেসব যৌক্তিক সমাধান দিয়েছেন  তা আর কারো থেকে পাওয়া যায় না। আর তাই, সিংহভাগ মুসলিম উম্মাহ এ চার মাযহাব বরণ  করেছেন। 
১৩। রাসূল সঃ এবং তার  সাহাবীগনের মাযহাব কি ছিল? উঃ তাঁর যুগে মাযহাব বা হাদীছের কিতাবের তেমন দরকার ছিলো না। ননা, তিনি নিজেই সব সমস্যার সমাধান দিতেন। তবে, তাঁর ওফাতের পর, মুজতাহিদ সাহাবীগণের মাযহাব ছিলো যা গায়ের মুজতাহিদ সাহাবীগণ অনুসরণ করতেন। 
১৪। উহা কি এখনও প্রচলিত আছে? নাকি বন্ধ হয়ে গেছে? উঃ সেগুলো চার মাযহাবে এসে মিশে গেছে। 
১৫। বন্ধ হলে কে বন্ধ করল? উঃ ১৪নং উত্তর দেখুন।
১৬। কেন করল? উঃ ১৪নং উত্তর দেখুন।
১৭। বন্ধ করার অধিকার কে দিল?  উঃ ১৪নং উত্তর দেখুন। আপনারা পারলে, চালু করুন।
১৮। আর যদি বন্ধ না হয়ে থাকে,   তবে অন্যের নামে মাযহাব সৃষ্টি করার প্রয়োজন কি? উঃ কোনো সাহাবীর নামে এখন হাদীছের  কিতাব নেই বললেই চলে। অথচ চার মাযহাবের ইমাম ও সিহাহ সিত্তাহর সংকলক এবং অন্যান্যের নামে হাদীছের কিতাব রয়েছে। কেন? আর ১২নং উত্তর দেখুন।
১৯। চার মাযহাব মান্য করা ফরয   হলে যারা চার মাযহাব মানেন না অথবা চার মাযহাব সৃষ্টি হওয়ার আগে যারা মৃত্যুবরণ  করেছেন তাদের উপায় কি? উঃ ৩নং উত্তর দেখুন। সত্যিই যারা (মুজতাহিদ নন) মাযহাব না মেনে মারা গেছেন তাদের নিয়ে  আমরাও চিন্তিত! কিন্তু কেউ অপরাধ করলে, আমাদের আফসোস করা ছাড়া আর কীবা করার আছে বলুন? আর মাযহাব সৃষ্টি হওয়ার আগে মানে হচ্ছে, নবীজীর যুগে। এ ব্যাপারে ১৩নং উত্তর দেখুন। 
২০। (নাউযুবিল্লাহ) তারা কি দোযখী হবেন? উঃ মুসলিম উম্মাহর মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টি বা ফেতনাবাজির অপরাধে মাযহাব অমান্যকারীদের দীর্ঘদিন ধরে দোযখে থাকার কথা। এ ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে জানতে আল্লাহুতালার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
২১। ইমাম চার জন কোন মাযহাব মানতেন? উঃ চার ইমামতো মুজতাহিদ। আর আগেই বলেছি যে, মুজতাহিদদের জন্যে  মাযহাব মানা ওয়াজিব নয়। তবে যখন তাঁরা মুজতাহিদ হন নি  তখন তাঁরা তাদের উস্তাদগণের মতামত অনুসরণ করতেন।
২২। তাদের পিতা-মাতা, ওস্তাদ  মণ্ডলি ও পূর্বপুরুষগণ কার মাযহাব মেনে চলতেন? উঃ তাঁদের মা- বাবার বিস্তারিত জীবনী জানা যায় না। তবে, তাঁদের অধিকাংশ উস্তাদই মুজতাহিদ ছিলেন। 
২৩। সেই মাযহাব কি এখন মানা যায় না? উঃ চার মাযহাব ছাড়া বাকিগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে, উদ্ধার করতে পারলে, মানতে পারবেন বৈকি। 
২৪। ঈমানদারীতে ও কুরআন  হাদীসের বিদ্যার চার ইমাম শ্রেষ্ঠ ছিলের না চার খলীফা? উঃ অবশ্যই চার খলীফা। 
২৫। যদি খলীফাগণ শ্রেষ্ঠ       হয়ে থাকেন তবে তাদের নামে মাযহাব হল না কেন? উঃ প্রথমত, আমারও প্রশ্ন খলীফাগণ শ্রেষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নামে হাদীছের কিতাব না হয়ে বুখারী- মুসলিমদের নামে হলো কেন? আর আপনারাও সেগুলোর তাকলীদ বা অন্ধ অনুসরণ করেন কেন? অর্থাৎ বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ইত্যাদি আছে। কিন্তু আবূ বকর শরীফ, ওমর শরীফ, উছমান
শরীফ প্রভৃতি কৈ? দ্বিতীয়ত, তাঁদের সকল ফতোয়া সংরক্ষিত হয় নি  যেভাবে তাঁদের বর্ণিত সকল হাদীছও সংরক্ষিত হয় নি। 
২৬। তারা কি ঈমামগণ অপেক্ষা   কম জ্ঞানী বা যোগ্য ছিলেন? উঃ না।
২৭। নবীর নামে কালেমা পড়বে,  ইমামদের নামে মাযহাব মানবে আর পীর-ফকিরদের তরিকা মত চলবে এই নির্দেশ কুরআন  হাদীসের কোথায় আছে? উঃ প্রথমত, সিহাহ সিত্তাহ মানার কথা পবিত্র কুরআন ও হাদীছ শরীফের কোথায় আছে? দ্বিতীয়ত,  নবীজী সাহেবে কুরআন হতে পারলে  সাহেবে কালেমা হতে পারবেন না কেন? যে তাঁর নামে কালেমা পড়তে অস্বীকার করবে সে কাফের! কেননা, ঈমানের মূল হচ্ছে, তাওহীদ ও রিসালাত। তাঁর নামে কলেমা পড়তে অস্বীকার করা মানে, রিসালাতকেই অস্বীকার করা। তৃতীয়ত, ইমামগণের মাযহাব ও কামেল পীরদের তরীকা মানার কথা আল- কুরআনে অনেক রয়েছে। যেমন- (ক) 
আমাদেরকে সোজা পথে পরিচালিত করো তথা যাদেরকে তুমি নিয়ামত দান করেছো তাদের পথে। (১:৫ ও ৬)। (খ) যেদিন আমি প্রত্যেক গোষ্ঠীকে তাদের ইমামসহ ডাকবো। (১৭:৭১) । (গ) আর যে আমার পানে দিক- নির্দেশনা দেয় তার পদাঙ্ক অনুসরণ  করো। (৩১:১৫) । (ঘ) সুতরাং তোমাদের জানা না থাকলে  যারা জানে তাদেরকে জিজ্ঞেস করো (১৬:৪৩)। (ঙ) যারা ঈমান  এনেছো  তাদেরকে বলছি! তোমরা আল্লাহর তাবেদারী করো এবং রাসূল ও তোমাদের হুকুমদাতাদের তাবেদারী করো। তবে কোন 
ব্যাপারে তোমাদের মাঝে মতবিরোধ হলে তোমরা যদি আল্লাহ্ ও আখেরাতে বিশ্বাসী হও  তাহলে তা (মতবিরোধের বিষয়টি) আল্লাহ ও রাসূলের সমীপে পেশ করো। ওটাই কল্যাণকর এবং এর ফলাফল খুবই ফলপ্রসূ। (৪:৫৯)। (চ) আর তাদের কাছে শান্তি বা ভয়ের কোন খবর এলেই  তারা তা বলে বেড়াতো; বরং তারা তা রাসূল কিংবা তাদের হুকুমদাতাদের গোচরে আনলে  তারা তাদের গবেষকদের কাছ থেকে তার আসল ব্যাপারটা জানতে পারতো। তদুপরি, তোমাদের উপরে আল্লাহ্র ফযল  রহমত না থাকলে অল্প কয়েকজন ছাড়া তোমরা (সবাই) শয়তানের পদাঙ্কই অনুসরণ করতে (৪:৮৩)। (ছ) যারা তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চায় না এবং যারা হেদায়েত পেয়েছে তোমরা তাদেরকে অনুসরণ করো। (৩৬:২১)।
২৮। আল্লাহর নবীর কি মাযহাব    বা তরীকা নাই? উঃ মাযহাব ও তরীকা এমন জিনিস যার বিকল্প রয়েছে। যেমন- হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী ও হাম্বলী  এগুলো একটি আরেকটির বিকল্প। তেমনি, কাদিরিয়া, চিশতিয়া, সোহরাওয়ার্দিয়া, নকশবন্দিয়া  ইত্যাদিও। তাই, নবীজীর নামে মাযহাব ও তরীকা হতে পারে না, বরং তাঁর নামে দ্বীন, শরীয়ত, উম্মত ইত্যাদি হতে পারে  যেগুলোর কোনো বিকল্প নেই। যেমন- দ্বীনে মুহাম্মাদী, শরীয়তে মুহাম্মাদী, উম্মতে মুহাম্মাদী। 
২৯। সেই মাযহাব বা তরীকা কি  যথেষ্ট নয়? উঃ ২৮নং উত্তর দেখুন।
৩০। নবীর প্রতি ইসলাম কি   পরিপূর্ণ করা হয় নাই? উঃ অবশ্যই করা হয়েছে। তারপরেও আপনারা সিহাহ সিত্তাহর এবং আমরা  মাযহাবের অনুসরণ করি। 
৩১। রাসুলুল্লা (সঃ) কি কামেল         নবী নন? উঃ নিঃসন্দেহে।
৩২। ইসলাম কি মুকাম্মাল ধর্ম      নয়? উঃ নিঃসন্দেহে। কিন্তু তাই বলে, ইসলাম মাযহাব বা সিহাহ সিত্তাহবর্জিত নয়। 
৩৩। ইসলাম পূর্ন পরিনত    এবং নবী মুহাম্মাদ (সঃ) কামেল হয়ে থাকলে অন্যের মত ও পথ মান্য করার অবকাশ কোথায়? উঃ ল- কুরআনই তা বলেছে। ২৭নং উত্তর দেখুন। তাছাড়া, আপনারা হাদীছ শরীফ মানার ব্যাপারে কেন ইমাম বুখারী, মুসলিম মুখের  কথা বা দাবির তাকলীদ করেন? তাঁরাতো কেউই তাবে তাবেঈনও ছিলেন না? 
৩৪। যারা পূর্ণ পরিনত ইসলাম     এবং কামেল নবীকে অসুম্পূর্ণ প্রমান করে অন্যের দ্বারা তা পূর্ণ করার স্বপ্ন দেখেছে, তারা কি কুরআন  হাদীসের বিরোধিতা করছে না? উঃ প্রথমত, নবীজী কামেল নবী এবং তিনি কামেল ধর্ম ইসলাম রেখে যাওয়ার পরেও আপনারা অনেক পরে সৃষ্ট সিহাহ সিত্তাহর অনুসরণ করে কি নবীজী ও ইসলামের কামালিয়তকে চ্যালেঞ্জ করছেন না? দ্বিতীয়ত, যেহেতু ইসলাম ৩টি আনুগত্যের (আল্লাহুতালা, নবীজী ও উলুল আমর) কথা বলেছে  সেহেতু মাযহাব ও তরীকা অনুসরণ করা মানে, পরিপূর্ণ ইসলামেরই অনুসরণ করা। নইলে, আপনারা সিহাহ সিত্তাহ মানেন কেন? এর গ্রহণযোগ্যতার দলিল কী? 
৩৫। যে দলটি মুক্তি পাবে বলে নবী (সঃ) সুস্পষ্টভাবে ঘোষনা করেছেন  সেই নাযাত প্রাপ্ত দল চার মাযহাবের কোনটি? উত্তর:  ৪টি মাযহাবের পথই নাজাতের পথ। কেননা, মাযহাবের ফকীহগণ একে-অপরের ঈমানকে চ্যালেঞ্জ করেন নি। এ চার মাযহাবের অনুসারীরাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত। মোট কথা, নদী যেমন সাগরে গিয়ে মিশেছে  চার মাযহাবও তেমনি সিরাতুল মুস্তাকীমে গিয়ে মিশেছে। 
৩৬। বেহেস্তের পথ বা সিরাতুল
মুস্তাকীম বুঝাবার জন্য নবী (সঃ) একটি সরল রেখা অঙ্কন করে বললেন, ইহা আল্লাহর পথ। তোমরা ইহার অনুসরণ কর। তৎপর ঐ সরল রেখাটির ডানে ও বামে কতকগুলি রেখা আঁকলেন এবং বললেন, এই পথ গুলির প্রত্যেকটির একটি করে শয়তান আছে।  তারা নিজ নিজ পথের দিকে ডাকছে। তোমরা ঐ পথ গুলির অনুসরণ করিও না। যদি কর, তা হলে তারা তোমাদিগকে সরল পথ
হতে বিভ্রান্ত করে ফেলবে- (মিসকাত)। এই হাদিস অনুযায়ী রসুলের (সঃ) পথ সিরাতুল মুস্তাকীম ব্যতীত অন্য পথগুলি কি  শয়তানের পথ নয়? উঃ প্রথমত, ৩৫নং উত্তর দেখুন। দ্বিতীয়ত, চার মাযহাবের ইমাম  সত্যিকারের অনুসারীগণ ঐ সরল পথে রয়েছেন  যেভাবে মাওলা আলী ও মুয়াবিয়া (রাদ্বিআল্লাহুতাইয়ালা আনহুমা) উভয়ই সরল পথে রয়েছেন। দেখুন, তাঁরা একে  অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করে ৭০,০০০ মুসলিম মেরেছেন। অথচ এক মাযহাবীদের সঙ্গে অন্য মাযহাবীদের কখনো কি এমন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছে? তারপরেও তাঁরা দুজনই কিন্তু সিরাতুল মুস্তাকীমে ছিলেন ও আছেন। সিহাহ সিত্তাহে তাঁদের দুজন থেকেই বর্ণিত 
অনেক হাদীছ শরীফ গ্রহণ করা হয়েছে, তাই না? তৃতীয়ত, আসলে, ঐ দ্বিমুখী মাযহাবীগুলোই হচ্ছে, নাজির হোসেন, সিদ্দীক সান
খান ভূপালী, স্যার সৈয়দ আহমদ, আব্দুল্লাহ চকড়লভী, গোলাম আহমেদ পারভেজ, নাসিরুদ্দীন আল- আলবানী, ইবনে বাজ, জাকির নায়েক প্রমুখ । 
৩৭। কালেমা পড়া হয় নবী (সঃ)এর নামে, কবরে রাখা হয় নবীর (সঃ) তরীকায়, কবরে জিজ্ঞাসা করা হবে নবীর (সঃ) কথা, হাশর ময়দানেও নবীর (সঃ) শাফায়াত করবেন- সেই মহা নবী (সঃ) এর তরীকা বাদ দিয়ে অন্যের তরিকা মানলে নাজাত পাওয়া যাবে কি? উত্তর: প্রথমত, আগেই বলেছি যে, নবীজীর নামে তরীকা হতে পারে না; বরং মাযহাব অবলম্বনকারীরা যেসব তরীকা মানে সেসবই তাঁর তরীকা। কারো নাম ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু সে নবীজীর উম্মত। তেমনি, কাদিরিয়া, চিশতিয়া, সোহরাওর্দীয়া, নকশবন্দিয়া ইত্যাদির নাম ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু এসবই তাঁর তরীকা তথা সিরাতুল মুস্তাকীম নামক নাজাতের সাগরের এক একটি দরিয়া। আর ঐ পীর সাবরা উলুল আমরের অন্তর্গত। দ্বিতীয়ত, আপনারাও সেই নবীজী হাদীছ শরীফ বাদ দিয়ে সিহাহ সিত্তাহর হাদীছ মানেন কেন? এসবতো কোনো তাবেতাবেঈনও সত্যায়ন করেন নি? 
৩৮। বাংলাদেশে মাযহাব ও   পীরের অন্ত নাই; যত পীর তত তরীকা। পীর সাহেবরা আজকাল কেবলা বানিয়ে নিয়েছে। মানুষ কি মানুষের কেবলা হতে পারে? উঃ অবশ্যই হতে পারে। এ ব্যাপারে ৪১নং উত্তরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 
৩৯। তারা তাদের   আস্তানাগুলিকে দায়রা শরীফ, খানকা শরীফ, মাযার শরীফ, ওরশ শরীফ, উরসেকুল প্রভৃতি নাম  দিয়ে মুসলমানদের তীর্থস্থান মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের অবমাননার অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে। উঃ মিথ্যে কথা। কোনো হাক্কানী পীর বা মুরীদ কখনো মক্কা ও মদীনা শরীফাঈন অবমাননা করতে পারেন না। তবে, প্রত্যেক ধর্মে বা মতাদর্শে ৩ কিসিমের লোক থাকে। যথা- ক) নিষ্ঠাবান, খ) উদার ও গ) ভন্ড। কিন্ত খ ও গ কিসিমের লোকদের দিয়ে তাদের ধর্ম বা মতাদর্শের মূল্যায়ন করাটা  আহাম্মকি ছাড়া আর কিছুই নয়। কেননা, কেউ কোনো ধর্ম বা মতাদর্শ না মানলে সেটা তার ধর্ম বা মতাদর্শের দোষ নয়। 
৪০। এগুলি কি দ্বীন ও শরিয়তের     নামে ভণ্ডামি নয়? উঃ ৩৯নং প্রশ্নের উত্তর দেখুন। 
৪১। মুসলমানদের আল্লাহ এক,  নবী এক, কুরআন এক, কেবলা এক এবং একই তাদের ধর্মকর্ম রীতি- নীতি। সুতরাং তাদের মুক্তি ও কল্যাণের পথ হচ্ছে মাত্র একটিই। যা ইসলাম, সিরাতে মুস্তাকীম বা তরিকায়ে মুহাম্মাদী। উত্তর: প্রথমত, আল্লাহুতালা নিঃসন্দেহে এক  অদ্বিতীয়। কিন্তু নবী কি এক? (নাঊজুবিল্লাহি মিন জালিক) যারা বলবে নবী এক তারা কাফের। কেননা, নবীগণের (আলাইহিমুস সলাতু ওয়াস সালাম) সংখ্যা এক লাখ চব্বিশ হাজার বা দুলাখ চব্বিশ হাজার। আপনারা যে কাফের এ কথায়ই তার প্রমাণ। কেননা, আপনারা মাত্র একজন নবী ছাড়া বাকিদের নবুয়ত অস্বীকার করেছেন! দ্বিতীয়ত, আল-কুরআন এক বটে। কিন্তু হাদীছের কিতাবতো শত শত! অথচ এ পরম সত্যটি আপনারা হঠকারিতা করে চেপে গেছেন। কাজেই, হাদীছের কিতাব শত শত হতে পারলে, মাযহাব ৪টি হলে দোষ কী? তৃতীয়ত, কেবলা মানে, অভিমুখ। সকল ইবাদতের কেবলা একটি বা কাবা শরীফ নয়। নবীজী ফরজ নামাজ আদায় করে মুক্তাদিদের দিকে ফিরে দোয়া করতেন। সুতরাং এখানে ইমামের দোয়ার কিবলা হচ্ছে, মুক্তাদি। তেমনি, কবর জিয়ারতে কবরের দিকে ফিরে দোয়া করা সুন্নত (মিশকাত:১৬৩১ ও তিরমিযী)। সুতরাং এখানে জিয়ারতকারীর কেবলা হলো, কবর। তেমনি, খতীব মুসল্লীদের দিকে ফিরে খুতবা দেন এবং বক্তা বা ওয়ায়েজ শ্রোতাদের
দিকে ফিরে বক্তব্য রাখেন। সুতরাং এখানে তাঁদের কেবলা মুসল্লীগণ এবং শ্রোতামন্ডলী। ক্লাশে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি থাকেন। এখানে একে অপরের কেবলা। তেমনি, মুরীদানের কেবলা তাঁদের পীর সাব।সুতরাং কেবলা একটি নয়, বরং ক্ষেত্র 
বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন হয়। চতুর্থত, আল-কুরআনের ব্যাখ্যা ও হাদীছ শরীফের ভিন্নতার কারণেই ফিকাহের শাখা-প্রশাখায় ভিন্নতা এসেছে। এ সহজ কথাটা যারা বোঝে না তারা প্রথম স্তরের গাধা। পঞ্চমত, মাযহাব সম্পর্কে উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তরেরই খোলাখুলি আলোচনা করেছি। তাই, এখানে আর চর্বিত চর্বণ করছি না। ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম প্রমুখ তাঁদের কিতাবে কিছু
কথা লিখে দাবি করেছেন যে, এগুলো নবীজীর (আলাইহিস সলাতু ওয়াস সালাম) বাণী! কিন্তু এর প্রমাণ কী? তথাকথিত আহলে হাদীছ সম্প্রদায় বা লা মাযহাবীরা কোনো প্রমাণ ছাড়াই ইমাম বুখারী-মুসলিমদের অন্ধ অনুসরণ করে। অথচ তাঁদের ব্যাপারে আল্লাহুতালা, নবীজী, কোনো সাহাবী, তাবেঈ, এমনকি তাবে তাবেঈন পর্যন্ত কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করেন নি! তাছাড়া, মারাত্মক কথা হচ্ছে, সিহাহ সিত্তাহ ফেতনার যুগে সংকলিত হয়েছে। অথচ ৪ মাযহাবের জন্ম হয়েছে প্রসিদ্ধ ৩ যুগে। আর তাই, মাযহাবের মুজতাহিদগণ যেসব হাদীছ গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করেছেন  সেসব যাঁর যাঁর মাযহাবীদের কাছেও গ্রহণযোগ্য বা প্রত্যাখ্যাত; সিহাহ
সিত্তাহর সংকলকগণ যাই বলে থাকুন না কেন। সাফ কথা, মাযহাবের ইমামগণের কাছে সিহাহ সিত্তাহর সংকলকগণ জাহাজের মোকাবেলায় ডিঙির মতো। আর মাযহাব ৪০০ হিজরী হয়েছে  এটা ডাহা মিথ্যে কথা। আমি উপরে দেখিয়েছি যে, ইমামে আযম নিজে নিজের মাযহাব দাবি করেছেন। ষষ্ঠত, সিহাহ সিত্তাহ ফেতনা যুগে সংকলিত হয়েছে। আর তাই, মাযহাব বাদ দিয়ে  সিহাহ সিত্তাহর অনুসরণ করা মানে, ফেতনারই অনুসরণ করা। আপনি (প্রশ্নকারী) চার মাযহাবের ইমামগণের জন্ম ও ওফাতের সন বলেছেন। অথচ সিহাহ সিত্তাহর সংকলকদেরটা বলেছেননি! কেন? থলের বিড়াল বের হয়ে পড়বে বলে? তাছাড়া, আপনি  ইমাম মালিকের জন্ম তারিখ ভুল দিয়েছেন। সঠিক হচ্ছে, ৯৩ হিজরী। সিহাহ সিত্তাহর সংকলকদের জন্ম চার মাযহাবের ইমামগণের অনেক পরে।  তাঁদের জীবনকাল হচ্ছে, ইমাম বুখারী (১৯৪-২৫৬ হিজরী), ইমাম মুসলিম (২০৪-২৪২ হিঃ), ইমাম
নাসায়ী (২১৫-৩০৩ হিজরী), ইমাম তিরমিযী (২০৯-২৭১ হিঃ), ইমাম আবূ দাউদ (২০২-২৭৫ হিঃ) ও ইমাম ইবনে মাজা (২০৯-২৭৩ হিঃ)। সুতরাং যদি বলা হয়: চার ইমামের আগে ইসলাম ও মুসলমান ছিলো। তখন তাদের করো মত ও পথের 
দরকার হয় নি। এখনো দরকার নাই। তখনো মুসলমানদের কাছে কুরআন- হাদীস ছিলো। এখনো আছে। কাজেই, কুরআন ও সহীহ হাদীসই যথেষ্ট। তাহলে, আমরাও বলতে পারি যে, সিহাহ সিত্তাহ সংকলনের আগেও কুরআন-হাদীছ, ইসলাম ও মুসলমান
ছিলো। তখন সিহাহ সিত্তাহর দরকার হয় নি; এখনো দরকার নেই। কাজেই, তখনকার হাদীছের কিতাবগুলো খুঁজে বের করেন।
নইলে, মাযহাব ছাড়া উপায় নেই। কেননা, আবারো বলছি, সিহাহ সিত্তাহ বা আলাদা হাদীছগুলো মাযহাবের পরে ফেতনার যুগে সৃষ্ট হয়েছে। আশা করি, আপনি আপনার উস্তাদসহ আপনার জ্ঞাতি ভাইদের নিয়ে আমাদের যুক্তিগুলো খন্ডন করবেন। ধন্যবাদ ।


মেয়েদের মনের কথা

মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে আছে নারী হৃদয়ের রহস্য বিধাতারও অজানা ! তাই কিভাবে যে নারীকে খুশি করা যাবে তা ভাবতে ভাবতে অনেক পুরুষই হয়রান হয়ে যান।অনেক পুরুষের আবার অভিযোগ, নারীদের কোনো কিছুতেই খুশি করা যায় না। নারীরা যত পায় তত চায়।

কাজেই নারীকে মুগ্ধ করতে তাই বলুন, যা তারা জানে ! কি অবাক হলেন? হয়তো ভাবছেন, আরে যা জানে তা বলেই মুগ্ধ করতে পারলাম না। যা জানে না তা শুনে  মুগ্ধ হবে?

নারীরা আসলে কী শুনতে চায় বা তারা কী শুনলে মুগ্ধ হয় এ নিয়ে ''আমার কল্পনাতে মিশে্ আছ শুধু তুমি -'' পেজ এর পক্ষ থেকে আমরা এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেলাম ।

তোমাকে দারুণ দেখাচ্ছে: কি চমকে উঠলেন? হয়তো ভাবছেন এটা আবার বলার কি হলো? কিন্তু তাকে কেমন দেখাচ্ছে এটা জানার জন্য নারীরা সত্যিই আগ্রহী। কারণ প্রশংসায় কে না খুশি হয়।

তুমিই আমার জীবনের প্রথম নারী: নিজেকে প্রেমিকার কাছে ওয়ান ওম্যান ম্যানপ্রমাণ করার চেষ্টা করুন। তুমিই আমার জীবনের প্রথম নারীএই কথাটা শুনতে নারীরা সত্যিই খুশি হয়।

তুমি সত্যিই ভালো মা হতে পারবে: সন্তান লাভের আকাঙ্খা সব নারীই থাকে। তবে, তারা ভালো মা হতে পারবে কি না এ নিয়ে তাদের সন্দেহ থাকতেই পারে। এই সন্দেহ দূর করার দায়িত্বটা কিন্তু আপনি নিতে পারেন। আপনি যদি তাকে বলেন, তুমি সত্যিই ভালো মা হতে পারবে, সে এটা শুনলে খুশি হবেই।

তুমি কি সবসময় তারা পাশে থাকবে: আপনার সঙ্গিনীকে বলুন তাকে ছাড়া আপনার জীবন অপূর্ণ।  আপনি শুধু শুধু তার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন না। তাকে সারা জীবনের জন্যই পেতে না। নারীরা এই কথা শুনে নিরাপদ বোধ করে।

তুমি এ ব্যাপারে কী ভাবছো: আপনার সঙ্গিনীর মতামত নিন। ছোটখাট ব্যাপারেও মতামত চাইলে নারীরা খুশি হয়।

তুমিই আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু: আপনার সঙ্গিনীকে বলুন, শুধু তার চেহারা দেখে তার প্রেমে পড়েননি। বরং সে আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। প্রেমের সম্পর্কের বাইরেও যে সে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ- এই বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করুন।

তোমাকে পেয়ে আমি ভাগ্যবান: তাকে বলুন, আপনি শুধুই তার। সে আপনার জীবনে না আসলে আপনি হয়তো এখনো একাই থাকতেন। আর তাকে পেয়ে যে আপনি কতটা ভাগ্যবান এটা বলতেও ভুলবেন না।

আমি কি ভাবছি তুমি তা জানো: প্রেমিকাকে সর্বজ্ঞ প্রমাণ করতে চান? শুধু তাকে গিয়ে বলুন, আমি কি ভাবছি তুমি তো জানো। ব্যস, আর কিছু লাগবে না। আপনার প্রেমিকা এ কথা শুনে এমনিতেই হাওয়ায় ভাসবে।

আই লাভ ইউ: আই লাভ ইউ। থ্রি ম্যাজিকাল ওয়ার্ডস। রোমান্টিক মুহূর্ত থেকে শুরু করে সম্পর্কের টানাপড়েন- সব সময়ই কাজে দেয়। তাই কানে কানে একবার বলেই দেখুন নাআই লাভ ইউ।

ইনোসেন্ট ডেভিল

মায়ের কোন তুলনা নাই 

গল্পটা তুচ্ছ এক জুন্তুর। আমাদের অতি চেনা মাকড়শার। এটাকে গল্প বলাও ঠিক নয়, বলতে পারো একেবারে সত্যি ঘটনা। প্রতিমুহূর্তে আমাদের অজান্তেই কোথাও না কোথাও ঘটছেই ঘটনাটা। অনেকের কাছেই মাকড়শা মানেই ভয়ের বা ঘৃণার কিছু একটা। কিন্তু এই তুচ্ছ ভয়ংকর (!) মাকড়শা মায়ের কাহিনী যে কাউকে অবাক করে দেবে। তোমরা হয়তো অনেকেই জানো, মাকড়শার ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। মা মাকড়শা সেই ডিম নিজের দেহে বহন করে বাচ্চা বের না হওয়া পর্যন্ত। প্রকৃতির নিয়মে একসময় ডিম ফুটতে শুরু করে। নতুন প্রাণের স্পন্দন দেখা যায় ডিমের ভেতর। এসেছে নতুন শিশু তাকে ছেড়ে দিতে হবে সন্তান... কিন্তু খাদ্য কোথায়? ক্ষুধার জ্বালায় ছোট ছোট মাকড়শা বাচ্চারা মায়ের দেহই খেতে শুরু করে ঠুকরে ঠুকরে। সন্তানদের মুখ চেয়ে মা নীরবে হজম করে সব কষ্ট, সব যন্ত্রনা। একসময় মায়ের পুরো দেহই চলে যায় সন্তানদের পেটে। মৃত মা পড়ে থাকে ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে, সন্তানেরা নতুন পৃথিবীর দিকে হাঁটতে থাকে। এই হলো মাকড়শা মায়ের আত্মত্যাগের কাহিনী।


আমাদের মায়েরা মাকড়শার মত নিজের দেহকে সন্তানের খাদ্য বানায় না সত্য, কিন্তু সন্তান জন্মের আগ থেকে পুরো জীবন সন্তানের জন্য যেভাবে উৎসর্গ করেন তা মাকড়শার চেয়ে কোন অংশে কম নয়। কিন্তু এসব কিছুর জন্য তিনি কখনো কোন প্রতিদানের আশা করেন না। তিনি নিঃশর্ত ভাবেই নিজের সন্তানকে ভালোবেসে যান। তুমিই বলো, মায়ের মতো এমন মমতাময়ী আর কে আছে এই পৃথিবীতে? মাকে এক্ষুণি জানিয়ে দাও, “মা আমরা তোমাকে খুব ভালোবাসি। তুমি আরও অনেকদিন বেঁচে থেকো, তুমি ভালো থেকো মা।



ইমাম আবু হানিফা


নোমান ইবনে সাবিত, ইমাম আবু হানিফা (র:) জিবনী ইমাম আবু হানিফা ইরাকের কুফায় ৫ সেপ্টেম্বর ৬৯৯ ইংরেজী মোতাবেক ৮০
হিজরীতে জন্ম গ্রহণ করেন। এবং ১৪ জুন ৭৬৭ ইংরেজী ১৫০ হিজরী ইন্তেকাল করেন। সাহাবী আনাস ইবনে মালিক (রা) এর সাথে সাক্ষাত হওয়ার কারনে তিনি একজন তাবেঈ।ইমাম আবু হানীফা রহ. অন্যুন আটজন সাহাবীর সাক্ষাত লাভ করেছেন। এঁরা হচ্ছেন-
১) হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. (ওফাত ৯৩ হিজরী)
২) আব্দুল্লাহ ইবনে আবী আওফা রা. (ওফাত ৮৭ হিজরী)
৩) সহল ইবনে সাআদ রা. (ওফাত
৮৮ হিজরী)
৪) আবু তোফায়ল রা. (ওফাত ১১০ হিজরী)
৫) আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়দী রা. (ওফাত ৯৯ হিজরী)
৬) জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. (ওফাত ৯৪ হিজরী)
৭) ওয়াসেনা ইবনুল আসকা রা. (ওফাত ৮৫ হিজরী)
ইমাম সাহেবের শিক্ষা জীবনঃ সে সময়কার রাজনৈতিক পরিস্হিতি ইমাম আবু হানীফা রহ. যখন জন্ম গ্রহণ করেন তখন আলমে আসলামের খেলাফতের মনসদে অধিষ্ঠিত ছিলেন আবদুল মালেক ইবনে মারওয়ান। ইরাকের শাসন কর্তৃত্ব ছিল হাজ্জান ইবনে ইউসুফের হাতে।
সাহাবী এবং যুগশ্রষ্ঠ জ্ঞানীগুনিগণের শহর কুফা ছিল তার রাজধানী।
হাজ্জাজকে ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে জালেম প্রশাসকরূপে আখ্যায়িত করা হয়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে কয়েকজন বিশিষ্ট সাহাবীসহ অগণিত সংখ্যক জ্ঞানী গুনীকে তার জুলুম অত্যাচরের কবলে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছিল। খলীফা ওমর ইবনে আবদুল আযীয বলতেন, পূর্ববর্তী উম্মতগণের সকল জালেমকে এক পাল্লায়
এবং আমাদের হাজ্জাজকে যদি আর এক পাল্লায় তোলা হয়
তবে নিঃসন্দেহে হাজ্জাজের জুলুমের পাল্লা অনেক ভারি হবে। ইবরাহীম নখয়ীর রহ. ন্যায় সাধক ব্যক্তি হাজ্জাজের মৃত্যুসংবাদ শুনে সেজদায়
পড়ে অশ্রুভারাক্রান্ ত চোখে আল্লাহর শুকুর আদায় করেছিলেন। জুলুম-অত্যাচরের বিভীষিকাময়
পরিস্হিতিতে আলেম-সাধক
এবং দীনদার শ্রেণীর
লোকেরা অনেকটা নিষ্ক্রীয়তা এবং নির্জনবাস বেছে নিয়েছিলেন। যারাই একটু সাহসের সাথে অগ্রসর হয়েছেন, তাদের কেউ এই জালেমের কবল
থেকে নিষ্কৃতি পাননি। খলীফা আবদুল মালেকের ইন্তেকাল হয় হিজরী ৮৬ সনে। দুর্দন্তপ্রতাপ এই খলিফার
শাসনামলে ইসলামী খেলাফতের সীমান্ত পূর্বে কাবুল-কান্দাহার এবং সিন্ধু-পান্জাব পর্যন্ত এবং পশ্চিমে স্পেন পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছিল। কিন্তু এলমে-দীনের বড় বড় কেন্দ্রগুলি ছিল স্তব্ধ। আলেমগণ নিজেদের নির্জন হুজরায় বরে দীনি এলেমের
চর্চা নামেমাত্র
বাঁচিয়ে রেখেছিলেন সত্য, কিন্তু বৃহত্তর জনগণের মধ্যে এলেমের চর্চা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। হিজরী ৯৫ সনে হাজ্জাজ মৃত্যু মুখে পতিত হয়। পরবর্তী বছর আব্দুল মালেকের পুত্র ওলীদেরও মৃত্যু হয়। ওলীদের মৃত্যুর পর সুলায়মান ইবনে আবদুল মালেক খেলাফতের দায়িত্ব লাভ করেন। ইতিহাসবিদগণের বিবেচনায় সুলায়মান ছিলেন উমাইয়া বংশীয় খলীফাদণের মধ্যে অন্যতম সেরা সৎ শাসক। হিজরী প্রথম শতাব্দির মুজাদ্দেদ রূপে পরিচিত ওমর ইবনে আব্দুল আজীজ রহ. নিযুক্ত হন তার প্রধান উপদেস্টারূপে। মত্র পৌনে তিন বৎসর খেলাফতের দায়িত্ব পালন করার পর যখন তার ইন্তেকাল হয়, তখন খলিফার অসিয়্যত অনুযায়ী ওমর ইবনে আবদুল আজীজ পরবর্তী খলিফা নির্বাচিত হন। (হিজরী ৯৯ সন)
ওমর ইবনে আবদুল আজীজ রহ. স্বয়ং একজন সাধক প্রকৃতির আলেম ছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত আগ্রহ ও যত্নে সে যুগের বিশিষ্ট আলেমগণ হাদিস, তফসীর ও ফেকাহশাস্ত্রের চর্চায় ব্যাপকভাবে আত্মনিয়োগ করেন। ইমাম বুখারী লিখেছেন, ওমর ইবনে আবদুল আজীজ রহ. আবু বকর ইবনে হাদম এর
বরাবরে লিখিত এক পত্রে এ মর্মে আদেশ প্রদান করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিস সুমূহ যত্নের সাথে সংগ্রহ ও তা লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্হা কর। আমার আশঙ্কা হয় (বিরাজমান অবস্হায়) এলেম
চর্চা এবং আলেমগণের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে না যায়! (সহীহ আল বুখারী)
আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী বহ. বলেন ওমর ইবনে আবদুল আজীজ উপরোক্ত মর্মের আদেশনামাটি সে যুগের সব বিশিষ্ট আলেমের নিকট প্রেরণ করেছিলেন। যার
ফলশ্রুতিতে হিজরী ১০০ সন থেকে হাদিস সংকলনের কাজ ব্যাপকভাবে শুরু হয়ে যায়। তা না হলে আজ আমাদের নিকট হাদিসের যে বিরাট ভান্ডার মজুদ আছে, তা হয়ত থাকতো না। (ওমদাতুল-ক্বারী , ১ম খন্ড) ওলীদের যখন মৃত্যু হয় (হিজরী ৯৬) তখন আবু হানীফা রহ. ষোল বছরের তরুণ। এ পর্যন্ত তাঁর লেখাপড়া পারিবারিক পরিবেশেই সীমিত ছিল। সে বছরই পিতার সাথে হজ্বে গমন করে মসজিদুল- হারামের দরছের হালকায়
বসে আল্লাহর নবীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন সাহাবীর জবানী হাদিস শ্রবণ করার মাধ্যমে এলমে-হাদিসের সাথে তাঁর
সরাসরি পরিচিতি ঘটে। প্রথম যৌবনের সীমিত কিছুদিন ছাড়া ইমাম আবু হানীফার জীবনের শেষ মুহূর্তটি পর্যন্তটি ছিল ভয়াবহ রাজনৈতিক
সংকটে কন্টকিত। তাঁর কর্মজীবনের শুরুতেই উমাইয়া শাসনের পতন
এবং আব্বাসীয়দের খেলাফতের উত্থান ঘটে। আব্বাসীয়দের দাবী ছিল খোলাফায়ে- রাশেদীনের শাসন
ব্যবস্হা পূনঃপ্রতিষ্ঠা এবং শাসন ক্ষমতায় আহলে-বাইতের প্রাধান্য স্হাপন। যে কারণে সমসাময়িক বিশিষ্ট আলেম ওলামাগণের পাশাপাশি ইমাম আবু হানীফাও রাষ্ট্রবিপ্লব ঘটানোর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় শরীক হয়েছিলেন। সেই বিস্ফোরণমূথী রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পরিবেশের মধ্যেই ইমাম আবু হনীফা কুরআন-সুন্নাহ এবং সাহাবীগণের জীবনপদ্ধতি মন্হন করে এলমে- ফেকাহ বা বিধান শাস্ত্র রচনা করে গেছেন। সর্বকালের মুসলমানদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য বিজ্ঞান সম্মত বিধিবিধান সম্বলিত
এগরো লক্ষাধীক মাসআলা সংকলিত করে গেছেন তিনি। তাঁর সংকলিত মৌলিক মাসআলা-মাসায়েল ের সুত্রগুলির মধ্যে এমন একটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার সমর্থনে কুরআন, হাদিস
বা সাহাবীগণের আছার এর সমর্থন নাই। এর দ্বারাই অনুমিত হয় যে, তাঁর জ্ঞানের পরিধি কতটুকু বিস্তৃত ছিল।
ইমাম আবু হানীফার পৈত্রিক পেশা ছিল কাপড়ের ব্যবসা। ইরান থেকে শুরু করে ইরাক, সিরিয়া ও হেজায পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলব্যপী বিপুল পরিমণ মুল্যবান রেশমী কাপড়ের আমদানী ও রফতানী হতো। পৈত্রিক এই ব্যবসার সুবাদেই তিনি প্রচুর বিত্তের মালিক ছিলেন। বিশিষ্ট ওলামাগণের মধ্যে সম্ভবত তিনিই ছিলেন প্রথম
ব্যক্তি যিনি রাস্ট্রীয় প্রষ্ঠপোষকতা বা বিত্তবানদের হাদীয়-তোহফা প্রাপ্তির পরোয়া না করে নিজ উপার্জনের দ্বারা জীবিকা নির্বাহ, এলেমের সেবা এবং তাঁর নিকট সমবেত গরীব শিক্ষার্থীদের যাবতীয় ব্যয়ভার নির্বাহ করার ব্যবস্হা করতেন। তাঁর অন্যতম বিশিষ্ট সাগরেদ ইমাম মুহম্মদকে তিনি বাল্যকাল থেকেই লালন-পালন করে প্রতিষ্ঠার চুড়ান্ত
শিখরে পৌছে দিয়েছিলেন। তাঁর অর্থ সাহায্যে লালিত এবং জ্ঞান চর্চার বিভিন্ন শাখায় সুপ্রতিষ্ঠিত মনীষীবর্গের তালিকা অনেক দীর্ঘ।
কিশোর বয়স থেকেই ইমাম সাহেব পিতার ব্যবসার কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ব্যবসায়ীক কাজেই তাঁকে বিভিন্ন বাজার
ওবাং বাণিজ্য কেন্দ্রে যাতায়াত করতে হতো। ঘটনাচক্রে একদিন ইমাম শাবীর সাথে তাঁর সাক্ষাত হয়ে যায়। প্রথম দর্শনেই ইমাম শাবী আবু হনীফার নিষ্পাপ চেহারার মধ্যে প্রতিভার স্ফুরণ লক্ষ করেছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, বৎস! তুমি কি কর?
পথে তোমাকে সব সময় যাতায়াত করতে দেখি! তুমি কোথায় যাওয়া- আসা কর?
ইমাম সাহেব জবাব দিলেন,
আমি ব্যবসা করি। ব্যবসার দায়িত্ব পালনার্থেই ব্যবাসায়ীদের
দোকানে দোকানে আমাকে যাওয়া- আসা করতে হয়। ইমাম
শাবী পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, এটা তো তোমার লেখাপড়ার বয়স। কোন আলেমের শিক্ষায়তনেও কি তোমার যাতায়াত আছে?
আবু হানীফা রহ. সরলভাবেই জবাব দিলেন, সেরূপ সুযোগ আমার খুব কমই হয়।
কিছুক্ষন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই ইমাম শাবী আবু হানীফাকে জ্ঞানার্জনে মনোযোগী হওয়ার প্রতি আগ্রহী করে তুললেন। ইমাম সাহেব বলেন, ইমাম শাবীর সেই আন্তরিকতাপূর্ণ উপদেশবাণী গুলো আমার অন্তরে গভীরভাবে রেখাপাত করল এবং এরপর থেকেই
আমি বিপনীকেন্দ্রগুল োতে আসা- যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা কেন্দ্রেও যাতায়াত শুরু করলাম। (মুয়াফেক, আবু জোহরা) এ সময় আবু হানীফার রহ. বয়স ছিল উনিশ বা বিশ বছর। তিনি দীর্ঘ আঠারো বছর কাল ইমাম হাম্মাদের একান্ত
সান্নিধ্যে জ্ঞানার্জনে নিমগ্ন থাকেন। ইমাম হাম্মাদের যখন ইন্তেকাল হয়, তখন আবু হানীফার বয়স ছিল চল্লিশ বছর। এ সময় তিনি উস্তাদের স্হলাভিষিক্ত হয়ে তাঁর শিক্ষাকেন্দ্রের পূর্ণদায়িত্ব গ্রহণ করেন। ফাতাওয়ার ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানীফার রঃ অনুসৃত নীতিঃ
যে কোন সমস্যার সমাধান অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানীফার রঃ অনুসৃত নীতি ছিল, প্রথমে কুরআনের শরণাপন্ন হওয়া। কুরআনের পর হাদিস শরীফের আশ্রয় গ্রহণ করা। হাদিসের পর সাহাবায়ে কেরাম গৃহীত নীতির উপর গুরুত্ব দেওয়া। উপরোক্ত তিনটি উৎসের
মধ্যে সরাসরি সামাধান পাওয়া না গেলে তিনটি উৎসের আলোকে বিচার-বুদ্ধির (কেয়াসের) প্রয়োগ করা। তাঁর সুস্পস্ট বক্তব্য ছিল, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে কোন ধরনের হাদিস বা সাহাবীগণের অভিমতের সাথে যদি আমার কোন বক্তব্যকে সাংঘর্ষিক মনে হয়, তবে আমার বক্তব্য অবশ্য পরিত্যাজ্য হবে। হাদিস
এবং আছারে সাহাবা দ্বারা যা প্রমাণিত সেটাই আমার মাযহাব। (তাফসীরে মাযহারী, খায়রাতুল- হেসান)
ইমাম ইবনে হাযম রঃ বলেন, আবু হানীফার রঃ সকল ছাত্রই এ ব্যাপারে একমত যে, নিতান্ত দূর্বল সনদযুক্ত একখানা হাদিসও তাঁর নিকট কেয়াসের তুলনায় অনেক বেশী মুল্যবান
দলিলরূপে বিবেচিত হবে। (খায়রাতুল-হেসা ন) সম্ভবতঃ এ কারণেই পরবর্তী যুগে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে যে সব কালজয়ী প্রতিভার জন্ম হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশ ইমাম আবু হানীফার রঃ মাযহাব অনুসরণ করেছেন। হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী রঃ বক্তব্য হচ্ছে- এই ফকীরের উপর প্রকাশিত হয়েছে যে, এলমে-কালামের বিতর্কিত বিষয়গুলি মধ্যে হক হানাফী মাযহাবের
দিকে এবং ফেকাহর বিতর্কিত মাসআলাগুলির অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হক হানাফী মাযহাবের
দিকে এবং খুব কম সংখ্যক মাসআলাই সন্দেহযুক্ত। (মাবদা ও মাআদ)
শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দেস দেহলভী রঃ হারামাইন
শরীফে কাশফ যুগে যে সব তথ্য অবগত হয়েছেন, সে সবের আলোকে লিখেছেন- হযরত
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আমাকে অবগত করেছেনযে, হানাফী মাযহাব একটি সর্বোত্তম তরিকা। ইমাম বুখারীর
সময়ে যেসব হাদিস সংকলিত হয়েছে, সেগুলোর তুলনায় আবু হানীফার
রঃ সিদ্ধান্তগুলি সুন্নতে-নববীর সাথে অনেক বেশী সামন্জস্যপূর্ণ। (ফুযুলুল-হারামা ইন)
সুতরাং যারা এ কথা বলতে চায় যে, হানাফী মাযহাব সহীহ হাদীসের সাথে সামন্জস্যপূর্ণ নয় বা ইমাম আবু হানীফা রঃ বহু ক্ষেত্রে হাদিসের প্রতিকূলে অবস্হান গ্রহণ করেছেন, তাদের বক্তব্য যে নিতান্তই উদ্ভট তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। বরং হানাফী মাযহাব
হচ্ছে কুরআন-সুন্নাহর এমন এক যুক্তিগ্রাহ্য ও সুবিন্যস্ত ব্যাখ্যা-বিশ্লে ষণ যা সর্বযুগের মানুষের নিকটই
সমভাবে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে।
শিক্ষাদান পদ্ধতিঃ
সে জামানার দরসের
হালকা বা শিক্ষাঙ্গনের চিত্র ছিল, উস্তাদ কোন একটি উচ্চ আসনে বসে তকরীর করতেন। ছাত্রগণ চারদিকে হাঁটু গেড়ে বসে নিতান্ত নিবিষ্টতার সাথে তকরীর শ্রবণ করতেন। অনেকেই তকরীর শুনে তা আয়ত্ব করার পাশাপাশি লিপিবদ্ধ করে রাখতেন। এসব তকরীর উস্তাদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে যিনি তকরীর করতেন তাঁর নামেই
সেগুলো গ্রন্হাকারে প্রকাশিত হতো। হিজরী প্রথম ও দ্বিতীয় শতাব্দির সংকলিত হয়েছে। ইমাম আবু হানীফার রঃ শিক্ষাদান কার্যক্রমেও সে পদ্ধতিই অনুসরণ করা হতো। কোন কোন মাসআলায় তর্ক শুরু হয়ে যেত। সে তর্ক কয়েকদিন পর্যন্তও চলতো। শেষ পর্যন্ত কুরআন ও সুন্নাহর দৃষ্টিতে যা সাব্যস্ত হতো সেটাই লিপিবদ্ধ হতো। কোন কোন মাসআলায় উস্তাদ ও সাগরেতের মধ্যকার মতভেদ অমীমাংসিতই থেকে যেত। সেই মত পার্থক্যগুলিও স্ব স্ব যুক্তি সহকারেই কিতাব লিপিবদ্ধ করা হতো। এভাবেই হানাফী মাযহাবের মৌলিক গ্রন্হগুলি সংকলিত হয়েছে। ইমাম সাহেবের দরছগাহ সপ্তাহে দুইদিন ছুটি থাকতো। শুক্রবার ও শনিবার। শনিবার দিনটি তিনি ব্যবসায়িক কাজকর্ম এবং পারিবারিক ব্যস্ততার জন্য নির্দিষ্ট করে রাখতেন। শুক্রবার দিন জুমার প্রস্তুতি এবং জুমাবাদ তার বাসস্হানে বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের া সমবেত হতেন। এ দিন বিশেষ যত্নের
সাথে অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের খানা প্রস্তুত হতো। ইমাম সাহেব সমবেত
সবাইকে নিয়ে খানা খেতেন। কর্মদিবস গুলিতে তিনি এশরাক থেকে চাশতের সময় পর্যন্ত ব্যবসায়িক কাজকর্ম করতেন। জোহরের পর থেকে সন্ধা পর্যন্ত শিক্ষাদান কার্যে নিয়োজিত থাকতেন। ফতোয়া দানের জন্যও এ সময়টাই নির্ধারিত ছিল। তবে অবস্হা ভেদে এ সময়সূচীর মধ্যে পরিবর্তনও হতো। দরসের মজলিসে শিক্ষার্থীগণের সাথে অনেক সাধারণ লোকও শরীক হতেন।
তর্কচ্ছলে অনেকে আপত্তিকর মন্তব্যও করত। কিন্তু
কারো প্রতি বিরক্তি প্রকাশ না করে পরম ধৈর্যের সাথে জবাব দিতেন। চরম ধৃষ্ঠতা প্রদর্শনের মোকাবেলাতেও তাঁর ধৈর্যচ্যুতি ঘটত না। প্রায সময়ই তিনি একটা কবিতাংশ
আবৃত্তি করতেন। যা অর্থ ছিলো- ইয়া আল্লাহ ! যাদের অন্তর আমাদের দিক থেকে সংকুচিত হয়ে আছে, আমাদের অন্তর তাদের প্রতি প্রশস্ত করে দাও। (আবু যোহরা)
প্রতিটি তকরীরের
শেষে তিনি বলতেন, এটি আমার অভিমত। যতটুকু সম্ভব হয়েছে, তা আমি বললাম। কেউ যদি আমার চাইতেও মজবুত দলীল ও যুক্তির অবতারনা করতে পারেন, তবে তাই অধিকতর গ্রহণযোগ্য হবে। (আবু যোহরা)
কোন একটি বিষয় আলোচনার সময় একবার একজন ছাত্র বলেছিলেন, আপনার এই অভিমতটি খুবই চমৎকার।
জবাবে তিনি বলেছিলেন, এমনও তো হতে পারে যে, এক
পর্যায়ে এটি ভুল প্রমাণিত হবে। (আবু যোহরা)
ইমাম আবু ইউসুফ রঃ তাঁর সব আলোচনারই লিপিবদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করতেন। ইমাম সাহেব বলতেন, আমার তকরীর
শুনে তা অনুধাবন
করতে বেশি যত্নবান হও। এমনও হতে পারে যে, আজকের এই কথাগুলি পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হবে। (আবু যোহরা)
যারা বিরূপ মন্তব্য করতো, তাদের সম্পর্কে ইমাম সাহেবের মন্তব্য ছিল- যদি কেউ আমার
সম্পর্কে এমন কথা বলে, যা আমার মধ্যে নাই, তবে সে ভুল বলছে। আর আলেমদের কিছু না কিছু দোষ চর্চা তো তাদের মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকে।
ইমাম সাহেব প্রথম যখন শিক্ষা দান শুরু করেন, তখন শুধুমাত্র ইমাম হাম্মাদের সাগরেদগণই তাতে শরীক হতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তাতে কূফার সর্বস্তরের মানুষ, বিশিষ্ট জ্ঞানীগুনী, এমনকি ইমাম সাহেবের উস্তাদগণেরও কেউ কেউ এসে শরীক হতেন। বিখ্যাত তাবেয়ী মাসআব ইবনে কোদাম, ইমাম আমাশ প্রমুখ নিজে আসতেন এবং অন্যদেরকেও দরসে যোগ দিতে উৎসাহিত করতেন। একমাত্র স্পেন ব্যতীত তখনকার মুসলিম- বিশ্বের এমন কোন অঞ্চল ছিল না, যেখানকার শিক্ষার্থীগণ ইমাম আবু হানীফ রঃ এর দরসে সমবেত হননি। মক্কা-মদীনা, দামেস্ক, ওয়াসেত, মুসেল, জায়িরা, নসীবাইন, রামলা, মিসর, ফিলিস্তিন, ইয়ামান, ইয়ানামা, আহওয়ায, উস্তুর আবাদ, জুরজান, নিশাপুর, সমরকন্দ, বুখারা, কাবুল- হেমস প্রভৃতিসহ বিখ্যাত এমন কোন জনপদ ছিল না যেখান
থেকে শিক্ষার্থীগণ এসে ইমাম আবু হানীফা রঃ এর নিকট শিক্ষা লাভ করেননি।
মুসলিম-বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জ্ঞানতৃষ্ঞা মিটানোর লক্ষ্যে সমবেত শিক্ষার্থীগণের বিচারেও ইমাম আবু
হানীফা রঃ ছিলেন তাবেয়ীগণের মধ্যে কুরআন-হাদীস
এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে সর্বাধিক জ্ঞানী এবং তাকওয়া পরহেজগারীতে অনন্য ব্যক্তিত্ব। ইমাম সাহেবের অনুপম শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বদৌলতে সে যুগে এমন কিছু সংখ্যক উজ্জল ব্যক্তিত্বের সৃষ্টি হয়েছিল, যাঁরা মুসলিম উম্মাহর জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আকাশে এক একজন জ্যোতিষ্ক হয়ে রয়েছেন। ইমাম সাহেবের সরাসরি সাগরেদগণের মধ্যে ২৮ ব্যক্তি বিভিন্ন
সময়ে কাজী (বিচারক)
এবং শতাধীক ব্যক্তি মুফতীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসালামের ইতিহাসে এক ব্যক্তির প্রচেষ্টায় এত বিপুল সংখ্যক প্রাজ্ঞ ব্যক্তির আবির্ভাব আর কোথাও দেখা যায় না।
খলীফা মানসুরের সময় ইমাম আবু হানিফাকে প্রধান বিচারপতির পদ গ্রহনের জন্য আহবান জানানো হয়। তিনি উক্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
করে খলীফাকে সম্বোধন
করে বলেন, ’’ আল্লাহর শপথ , কোন ব্যাপারে আমার
ফয়সালা যদি আপনার বিরুদ্ধে যায় এবং আপনি আমাকে হুকুম দেন যে হয়ত সিদ্বান্ত পাল্টাও না হলে তোমাকে ফোরাত
নদীদে ডুবিয়ে মারা হবে। তখন আমি ডুবে মরতে প্রস্তুত থাকব তবু নিজের সিদ্বান্ত
পাল্টাতে পারবনা।
তা ছাড়া আপনার দরবারে এমন অনেক লোক রয়েছে যাদের মনতুষ্টি করার মত কাজীর প্রয়োজন।’’
ইমাম আবু হানিফা খলীফার প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করার পর তাকে ত্রিশটি বেত্রাঘাত করা হয় । যারফলে তাঁর সারা শরীর রক্কাক্ত হয়ে পড়ে। তখন খলীফা মানসুরের চাচা আব্দুস সামাদ ইবন আলী তাকে এজন্য খুবই তিরিষ্ড়্গার করে বলেন , ’’ ইনি শুধু ইরাকের ফকীহ নন। সমগ্র প্রাচ্যবাসীর ফকীহ।’’ এতে মনসুর লজ্জিত হয়ে প্রত্যেক চাবুঘাতের বদলে এক হাজার দিরহাম ইমাম আবু হানিফার কাছে পাঠান। কিন্তু ইমাম উক্ত দিরহাম
গ্রহনে অস্বীকৃতি জানান। তখন তাকে বলা হয় তিনি এ অর্থ গ্রহন করে নিজের জন্য না রাখলেও দুঃখী-গরীবদের
মাঝে বিলিয়ে দেন। এর
জবাবে ইমাম বলেণ ’’ তার কাছে কি কোন হালাল অর্থও রয়েছে’’?মানসুর এরপর আরও প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে। ইমামকে আরও চাবুকাঘাত করা হয়। কারারুদ্ধ
করে পানাহারে নানাভাবে কষ্ট দেয়া হয়। তারপর
একটা বাড়ীতে নজরবন্দী করে রাখা হয়। সেখানেই ইমাম আবু হানিফার মৃত্যূ হয়।
কারো কারো মতে তাঁকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়। নির্মম নির্যাতনের শিকার ইমাম আবু হানিফা মৃত্যুর আগে অসিয়ত করে যান যে খলীফা মানুসর জনগনের অর্থ অন্যায়ভাবে দখল করে বাগদাদের যেই এলাকায় শহর নির্মান করেছে সে এলাকায় যেন এন্তেকালের পর তাঁকে দাফন করা না হয়।



একজন বুদ্ধিমতি স্ত্রী কাহিনী


হযরত মুসা (আঃ) এর একজন উম্মত ছিলেন একাধারে অন্ধ, দরিদ্র ও নিঃসন্তান। একবার তিনি হযরত মুসা (আঃ) এর কাছে গিয়ে নিজের সকল দুরাবস্থার কথা খুলে বলে তার অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করতে অনুরোধ করলেন। হযরত মুসা (আঃ) তাকে জানালেন আল্লাহ তার যে কোন একটি দোয়া কবুল করবেন। লোকটি চিন্তা করতে লাগলো কোন দোয়া সে করাবে। চোখ ভালোর জন্য? সন্তান লাভের জন্য? নাকি অর্র্থ সম্পদের জন্য? অতপর লোকটি মুসা (আঃ) কে পরে জানাবে বলে বাড়িতে চলে এলো। বাড়িতে এসে লোকটি সব ঘটনা স্ত্রীর নিকট খুলে বলে পরামর্শ চাইলো। স্ত্রী ছিলেন খুবই বুদ্ধিমতি ও বিচক্ষণ। তিনি চিন্তা করে ও হেকমত খাটিয়ে হযরত মুসা (আঃ) এর নিকট একটি বাক্যের মাধ্যমে তিনটি অবস্থার পরিবর্তনের জন্য স্বামীকে দোয়া শিখিয়ে দিলেন। পরের দিন লোকটি হযরত মুসা (আঃ) এর কাছে হাযির। মুসা (আঃ) তাকে বললেন বলো তোমার কি দোয়া করার আছে, আমি আল্লাহর নিকট তা চাই। আর নবীদের দোয়া কখনো বিফল হয়না। লোকটি বলল, হে আল্লাহর নবী! আমি ছাদের নিচে বসে আমার মেঝো ছেলের বৌ এর হাতের রান্না করা খাবার স্ব- চোখে দেখে খেতে চাই।হযরত মুসা (আঃ) বুঝতে পারলেন যে, লোকটির মাথা থেকে এত সুন্দর বুদ্ধিদীপ্ত কথা বের হয়নি। তাই তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন কে তাকে এমন বাক্য শিক্ষা দিয়েছে? কারন একটি বাক্যের মাধ্যমে তার চোখ ভালো হওয়া, একটি দুটি নয় তিনটি ছেলে সন্তানের হওয়ার জন্য দোয়া করা এবং দারিদ্রতা দূর হওয়ার দোয়াও রয়েছে। লোকটি হযরত মুসা (আঃ) এর নিকট তার স্ত্রীর কথা খুলে বললেন এবং বললেন যে, আল্লাহর নবীর কথামত স্ত্রীর সাথে রাত্রে পরামর্শ করলে স্ত্রী তাকে এ বুদ্ধি দেন। অতপর হযরত মুসা (আঃ) লোকটির জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন। আল্লাহ পাক নবীর দোয়ার বরকতে লোকটির যাবতীয় চাওয়াগুলো পূর্ণ করে দিলেনশিক্ষাঃ যে কোন কাজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পরামর্শ করে নেওয়া উত্তম।


ছেলেকে যেমন আদর দিবে কন্যাকেও তেমনই আদর দিও

প্রাক-ইসলামী যুগে নারীদের পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো মর্যাদা স্বীকৃত ছিল না সে যুগে কন্যা সন্তান জন্মদান ছিল পিতা-মাতার জন্য অপমানজনক কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে পিতা-মাতার মুখ দুঃখে বিবর্ণ হয়ে যেতো এবং অনেকে তাদেরকে জীবন্ত কবর দিতো মহান আল্লাহ তাআলা এ প্রসঙ্গে বলেন- তাদের কাউকে যখন কন্যা জন্মের সুসংবাদ দেয়া হয়, তাদের চেহারা কালো ছায়ায় মলীন হয়ে যায় এবং তারা হয়ে যায় মর্মাহত তাকে যে সংবাদ দেয়া হল, তাতে লজ্জায় সে সমাজের লোকদের থেকে পালিয়ে বেড়ায়, সে ভাবে, সে কি এ অপমান সইয়ে চলবে, না কি তাকে মাটির নিচে লুকিয়ে ফেলবে বুঝে দেখ! কি মন্দ সিদ্ধান্ত সে নিচ্ছে [সূরা নাহল:৫৮-৫৯]
সূরা তাকভীরে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, কি অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে? [সূরা তাকভীর: ৮-৯]
আধুনিক সভ্যতার যুগে কন্যা সন্তানকে জাহেলী যুগের মত যদিও জীবন্ত কবর দেয়া হচ্ছে না ঠিক; কিন্তু জন্মের পূর্বেই ডিজিটাল কায়দায় ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে কন্যা ভ্রুণ হত্যা করা হচ্ছে, যা জীবন্ত হত্যারই শামিল  আল্লাহ তাআলা বলেন-       
তোমরা দারিদ্রের ভয়ে তোমাদের সন্তানদের হত্যা করো না, আমিই তাদেরকে রিযিক প্রদান করি এবং তোমাদেরও [সূরা বনী ইসরাইল-৩১ আয়াত]
এই আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, শুধু কন্যা সন্তান নয়, সকল ধরনের সন্তান হত্যা ইসলামে নিষিদ্ধ কেননা সকল জীবের রিযিক তিনিই দিয়ে থাকেন
আজও কোনো কোনো পিতা-মাতা কন্যা সন্তান লাভ করলে, তাদের মধ্যে এক ধরনের মনোকষ্ট দেখা যায় আর পুত্র সন্তান লাভ করলে  পিতামাতা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেএমনকি পুত্র সন্তান লাভের আশায় কিছু কিছু পিতা-মাতাকে পীর, মাজার ও কবিরাজের কাছে শরণাপন্ন হতে দেখা যায়, যা শিরকী এবং ভ্রান্ত ধারণা বৈ কিছুই নয়
আবার কোথাও কন্যা সন্তান জন্মদান করার কারণে স্ত্রীকে দোষারোপ করা হয়ে  থাকে এবং স্ত্রী কন্যা সন্তান জন্মদানের কারণে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের ঘটনাও লক্ষ্য করা যায়  অথচ পুত্র ও কন্যা সন্তানদান  আল্লাহ তাআলার একান্ত ইচ্ছা
তিনি বলেন, ‘আসমান জমিনের সার্বভৌম বাদশাহী একমাত্র আল্লাহ্ তাআলার তিনি যা ইচ্ছে তাই সৃষ্টি করেন যাকে ইচ্ছে তাকে তিনি কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছে তাকে পুত্র সন্তান দান করেন, আবার যাকে ইচ্ছে নিঃসন্তান করেন তিনি মহাজ্ঞানী ও সর্বশক্তিমান। [সূরা আশ-শূরা, ৪৯-৫০ আয়াত]   
ইসলামে কন্যা সন্তান লালন-পালনে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রথম সন্তান যাদের কন্যা, তারা হলো ভাগ্যবান পিতা-মাতা
রাসূূলুল্লাহ (সা.) এও ইরশাদ করেছেন- তোমরা কন্যাদের ঘৃণা করো না, কেননা আমি নিজেই কন্যাদের পিতা
ইসলামে কন্যা সন্তান জন্মদানকারী পিতা-মাতাকে ভাগ্যবান এবং জান্নাতের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে আমরা যদি অন্যান্য ধর্মের দিকে দৃষ্টি দেই, সেখানে  নারীদের বিভিন্ন ভাবে বিষোদগার করা হয়েছে যেমন- হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে থাকে, “হে ভগবান! কন্যা সন্তান অন্যত্র দান করো, আমাদের পুত্র সন্তান দাও
যে ধর্মে জীব হত্যা মহাপাপ, যাদেরকে মানবদরদী বলা হয়, সে ধর্মেও নারীদের প্রতি তেমন কৃপার দৃষ্টি দেয়া হয়নি বৌদ্ধ ধর্ম মতে, “নারীরাই সকল পাপের জন্য দায়ী
ইহুদী ধর্ম মতে, “নারীদের গুণের চেয়ে পুরুষের দোষও ভালো
আর খ্রীস্টান ধর্ম মতে, “নারীরাই নরকের দ্বার
অথচ ইসলামে বলা হয়েছে- যে ব্যক্তির একটি কন্যা বা বোন আছে এবং তাদের জীবন্ত কবর দেয়নি, অবজ্ঞা বা তাচ্ছিল্য করেনি, আর পুত্র সন্তানকে কন্যা সন্তানের উপর প্রাধান্য দেয়নি, সে জান্নাতী [সুনানে আবু দাউদ]
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি তার দুটি কন্যাকে প্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়া পর্যন্ত সুন্দরভাবে লালন-পালন করেছে, শিক্ষিত করেছে এবং সৎ পাত্রে পাত্রস্থ করেছে, কিয়ামতে সে আর আমি একত্রে থাকবো [সহীহ্ মুসলিম]
কন্যাদের সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ আরো বলেছেন- যখন কারো গৃহে কন্যা জন্মগ্রহণ করেআল্লাহ সেখানে ফেরেশতা প্রেরণ করেন তারা এসে বলে, হে গৃহের বাসিন্দারা, তোমাদের উপর সালাম ফেরেশতারা ভূমিষ্ট কন্যাকে নিজের পাখার ছায়াতলে নিয়ে নেন এবং তার মাথার উপর নিজেদের হাত রেখে বলতে থাকেন,   এটা একটি দুর্বল দেহ, যা একটি দুর্বল জীবন থেকে জন্ম নিয়েছে যে ব্যক্তি এ দুর্বল জীবনের প্রতিপালনের দায়িত্ব নেবে, কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর সাহায্য তার সাথে থাকবে। [মুজমাউস সাগীর]
কন্যা সন্তান লালন-পালন জাহান্নামের আগুনের প্রতিবন্ধক হবে হযরত আয়েশা (রাযি.) বলেন, আমার নিকট দুকন্যাসহ একজন মহিলা ভিক্ষার জন্য আসল সে সময় আমার নিকট কিছুই ছিল না, শুধুমাত্র একটি খেজুর ছিল খেজুরটি আমি তার হাতে দিলাম সে খেজুরটি দু ভাগে ভাগ করে দু কন্যাকে দিল এবং নিজে তা চেখেও দেখল না অতঃপর উঠে দাঁড়ালো এবং চলে গেল এরপর নবী কারীম (সা.) যখন ঘরে আসলেন, তখন আমি তাকে এ ঘটনা শুনালাম তিনি বললেন, যে ব্যক্তিকেই এমন কন্যার মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়েছে, এরপর সে তাদের সাথে সুন্দর আচরণ করেছে, তাহলে এ কন্যারাই তার জন্য জাহান্নামের আগুনের প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়াঁবে। [বুখারী ও মুসলিম]
রাসূলুল্লাহ (সা.) কন্যা প্রতিপালনের জন্য বেহেশতের সুসংবাদ দিয়েছেন তিনি বলেছেন-যে ব্যক্তির তিনটি মেয়ে এবং সে তিনটি মেয়েকেই নিজের অভিভাবকত্বে রেখেছে তাদের প্রতি রহম করেছে তাহলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে কোনো গোত্রের এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! যদি দু কন্যা হয়? রাসূলুল্লাহ (সা.) জবাব দিলেন, যদি দু কন্যা হয়, তাহলেও এ সওয়াব পাওয়া যাবে রাবী বলেন যে,মানুষ যদি এক কন্যার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেন, তাহলে তার ব্যাপারেও রাসূলুল্লাহ (সা.) এ সুসংবাদই দিতেন
হাদীসে এসেছে, “নবী কারীম (সা.)এর উপস্থিতে এক লোক তার ছেলেকে চুমু দিলো; কিন্তু মেয়ের সাথে তেমনটি করলো না রাসূলুল্লাহ (সা.) সাথে সাথে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলেন এবং বললেন, তুমি অন্যায়কারী, তোমার উচিত তোমার মেয়েকেও চুম্বন করা এবং তাকে অন্য ঊরুতে বসানো
নবী কারীম (সা.) শুধু ন্যায় বিচারের কথা মুখে বলতেন না, বাস্তবেও  নমুনা উপস্থাপন করতেন পারিবারক জীবন থেকে শুরু করে সামাজিক  ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলামের নির্ধারিত বিধানুযায়ী কন্যা সন্তানের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য তাই আসুন, আমাদের কন্যা সন্তানদেরকে সুন্দর আচরণের মাধ্যমে লালন-পালন করে দুনিয়াতে ও আখিরাতের কামিয়াবী অর্জন করি আমীন


আপনি আমাকে আনেক ভালবাসেন


একজন লোক মাত্র বিয়ে করে তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিল তারা যখন নৌকা দিয়ে সাগর পাড় হচ্ছিল, তখন হঠাৎ একটি বড় ঝড়ের কবলে পড়েছিল লোকটি ছিল একজন সাহসী যোদ্ধা, কিন্তু তার স্ত্রী খুব ভীত হয়ে ওঠে যেহেতু নৌকাটি ছিল ছোট এবং যে কোন মুহূর্তে তারা নিমজ্জিত হতে যাচ্ছে এতে সে খুব নিরাশ হয়ে পড়ল কিন্তু লোকটি তখনও নীরব এবং শান্ত ছিল যেন কিছুই ঘটেনি 

মহিলার আতঙ্কগ্রস্ত এবং কম্পিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল, “আপনি কি ভীত নন ?” এটাই আমাদের জীবনের শেষ মুহূর্ত হতে পারে! শুধুমাত্র কিছু অলৌকিক ঘটনা আমাদের রক্ষা করতে পারে; অন্যথায় মৃত্যু নিশ্চিত

লোকটি হাসতে হাসতে তার তলোয়ারটি খোলস থেকে বের করল মহিলাটি আরো আতঙ্কিত হয়ে পরল; সে আসলে কি করতে যাচ্ছে? তারপর সে তার খোলা তলোয়ারটি তার স্ত্রীর প্রায় গলাকে স্পর্শ করে ধরে রাখল...

সে বলল, “তুমি কি ভয় পাচ্ছ?”

তার স্ত্রী হাসতে শুরু করল আর বলল, “আমি কেন ভয় পাব? তলোয়ারটিতো আপনার হাতে, কেন আমি ভয় পাব? আমি জানি যে আপনি আমাকে আনেক ভালবাসেন

সে তলোয়ারটি খোলসের ভিতর রাখতে রাখতে বলল, “তুমি আমার উত্তর পেয়েগেছআমি জানি আল্লাহ আমাদের ভালবাসেন, এবং ঝড় তাঁরই হাতে

তাই যাহা-কিছুই হতে যাচ্ছে ভালই হবে যদি আমরা বেঁচে থাকি, ভালো; আর না বাচলেও, ভালো; কারণ সবকিছু তাঁর হাতে এবং তিনি কোন ভুল কিছু করতে পারেন না

সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধি করো এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাস রেখো যিনি তোমার জীবনকে পুরো বদলে দিতে সক্ষম সবকিছুই কোন একটি কারণেই ঘটে




এটাই হয়তো শেষ চিঠি,  এটাই শেষ গোলাপ



আমার পড়ার টেবিলে একটি চিঠি দেখতে পাই। তাতে লেখা তুমি কুঁজো হয়ে হাঁটো কেন।চিঠিতে কোনো নাম নেই। কে লিখেছে বুঝতে পারলাম না। তবে এটুকু বুঝতে পারলাম যে আমার পরিচিত কেউ লিখেছে। রাস্তায় হাঁটছি আর লক্ষ করছি, আমি কুঁজো হচ্ছি কি না। লক্ষ করলাম, সত্যি সত্যি আমি একটু কুঁজো হয়ে হয়ে যাচ্ছি। আমি সোজা হয়ে হাঁটার চেষ্টা করলাম। তবুও একটু কুঁজো কুঁজো ভাব থেকে যায়।
পরের দিন টেবিলে আরেকটা চিঠি। এভাবে প্র্যাকটিস করতে থাকো, কুঁজোভাব চলে যাবে।তার মানে, যে চিঠি দিচ্ছে সে আমাকে অনেক ফলো করে। আমার আগ্রহ এবার বেড়ে গেল।
প্রতিদিনই আমার কাছে এভাবে উড়ো চিঠি আসত। অনেকগুলো চিঠিতে কিছুই লেখা থাকত না।
আমি ছিলাম ক্লাসের সেকেন্ড বয়। টানা চার বছর সেকেন্ড হয়েছি। যখন নাইন থেকে টেনে উঠব, তখন একটি চিঠিতে লেখা, এবার তোমাকে প্রথম হতেই হবে। সেভাবে পড়ালেখা করো। আমার উৎসাহ বেড়ে গেল। নতুন উদ্যমে পড়ালেখা শুরু করলাম। এক বছরের কঠোর সাধনা। বাস্তব হলেও সত্য, আমি প্রথম হতে পারিনি সে বছরও। আবার একটা চিঠি এল, ‘তুমি যে চেষ্টা করেছ, সেটাই বা কজনে করতে পারে, জীবনে তুমি অনেক বড় হবে।আমার রেজাল্টের দিন অনেক কেঁদেছিলাম। চিঠিটা পাওয়ার পর দুঃখ কিছুটা কমতে লাগল।
স্কুলে গেলে আমার বান্ধবী সেতুর সঙ্গে দেখা হয়। সেতু আমাকে বলে, ‘কিরে, তুই তো এখন কুঁজো হয়ে হাঁটিস না।আমার বুঝতে বাকি রইল না যে, চিঠিটা কে পাঠাচ্ছে।
পরের দিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে একটি গোলাপ এনে সেতুর পড়ার টেবিলে রেখে দিলাম। কাজটা করেছিলাম জানালা দিয়ে।
গ্রীষ্মের বন্ধে সেতু মামার বাড়িতে বেড়াতে গেল। চিঠিও আসে না। আমি গোলাপ দিই না। মামাবাড়ি থেকে সেতু ফিরে আসার পরে জানতে পারি সেতুর বিয়ে ঠিক হয়েছে। সেতু আর আমার দেখা হলো। সেতুর হাতে একটা চিঠি আর আমার হাতে একটা গোলাপ। দুজনেই কাঁদছি। সেতু প্রথমে আমাকে চিঠি দিল। বলল, এটাই হয়তো শেষ চিঠি। আমি গোলাপটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম, এটাই শেষ গোলাপ। আর কোনো কথা হয়নি আমাদের মাঝে। তবে দুজনের চোখের ভাষা বলে দিচ্ছিল, গোলাপ আর চিঠির মধ্যে কোনো সমঝোতা হলো না।



রাগের মাথায় যা করা বারণ..

অধিকাংশ মনোবিজ্ঞানী মনে করেন, রাগ মনের দুর্বলতামাত্র। রাগের মাথায় আপনি অর্থহীন, এমনকি ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ভবিষ্যতের বিড়ম্বনা এড়ানোর জন্য রাগের মুহূর্তে আরো ধৈর্য ধরা খুবই জরুরি। রাগ আপনার মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। উপরন্তু, রাগ সামাজিক, ব্যক্তিগত ও পেশাগত সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে। রাগের সময় ভুল এড়ানোর জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় যতটা সম্ভব শান্ত থাকা। রাগের সময় কিছু কিছু বিষয় এড়িয়ে চলা জরুরি।
১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট না করা : রাগের সময় অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনোকিছু পোস্ট করা উচিত নয়। অনেকে রাগের অনুভূতি এবং কেনো রেগে গেলেন তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন।এতে পরিচিতমহলে একটি নেতিবাচক ইমেজ তৈরী হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আপনার মন্তব্য বন্ধুদের হতাশ করতে পারে।
২. সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন : সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখি। আর শান্ত মস্তিষ্কেই কেবল সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত নিলে আপনাকে পরে পস্তাতে হতে পারে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই জরুরি।
৩. অন্যের ওপর রাগ ঝাড়বেন না : রেগে গেলে তার প্রভাব চারপাশের মানুষের ওপরও পড়তে পারে। এর ফল সবসময় ভালো হয় না। অন্যের ওপর রাগ ঝাড়বেন না। মানসিক চাপ কমাতে এবং রাগ নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ শ্বাস নিতে পারেন।
৪. গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকুন: রাগের সময় গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকুন। গবেষণায় দেখা গেছে, রাগের সময় মানুষ অমনোযোগী এবং আক্রমণাত্মক থাকে। এর ফলে রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটানোর ঝুঁকি থেকেই যায়। গাড়ি চালানোর সময় হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়লে গাড়ি থামিয়ে শান্ত হওয়ার চেষ্টা করুন।রাগের সময় পথচারীর রাস্তা পারাপার আপনার চোখ এড়িয়ে যেতে পারে। ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
৫. অবিশ্বস্তদের সাথে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন : আপনার সমস্যা এবং ভেতরের সংঘাত নিয়ে বিশ্বস্তদের সাথে কথা বলুন। রাগ থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং জীবন উপভোগ করার জন্য মূল্যবান উপদেশ পেতে পারেন তাদের কাছ থেকে। রাগের সময় অবিশ্বস্তদের সঙ্গে কোনোকিছু শেয়ার করা উচিত নয়। তারা আপনাকে ভুল বুঝতে পারে এবং পরে এ নিয়ে গল্প ছড়াতে পারে।
৬. বদভ্যাস ত্যাগ : রাগ ইচ্ছা শক্তিকে ভেঙে ফেলে। ধূমপান এবং অ্যলকোহল অনেক সময় আপনার মনকে বিক্ষিপ্ত করতে পারে। এ বদভ্যাস ত্যাগ করুন। শারীরিক ব্যায়াম রাগ এবং অন্যান্য খারাপ অনুভূতি তাড়াতে দারুন কার্যকরী। ব্যায়াম সেরোটোনিন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। এই হরমোন আক্রমনাত্মক ব্যবহার কমিয়ে আপনাকে শান্ত করে তোলে।
৭. কম কথা বলুন : অ্যমব্রোস বিয়ারসি একবার মজা করে বলেছিলেন, ‘রাগের সময় বেশি কথা বলুন কেননা দুঃখ প্রকাশ করার জন্য সেটাই হবে আপনার সেরা বক্তব্য’। তবে কম কথা বলাই ভালো।
রাগ মানুষকে অসামাজিক করে তোলে এবং এর ফলে মানুষ অপরের সঙ্গ ঠিকমতো উপভোগ করতে পারেন না। রাগের সময় অন্যের সঙ্গে বেশি কথা না বলাই ভালো। এসময় স্বভাববহির্ভূত আচরণ করতে পারেন।




No comments:

Post a Comment