Buy IP

********** Welcome to Buy ip **********

Saturday, July 30, 2016

আক্রান্ত









সেলফি জ্বরে আক্রান্ত গোটা দুনিয়া
সেলফি জ্বরে আক্রান্ত গোটা দুনিয়া। আর এই সেলফি নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাও কম নয়। প্রায় রোজই জন্ম নিচ্ছে কোনো না কোনো ঘটনা। এমনকি সেলফি তুলতে গিয়ে মুত্যুও হচ্ছে। ভাই তার ছোট বোনকে কবরে রেখে তুলছে সেলফি, ছেলে তার জন্মদাতা বাবার লাশ কাঁধে নিয়েও ইদানিং তোলা হচ্ছে সেলফি। দাদার মৃত্যুর পর মন খারাপ হওয়ার পরিবর্তে একগাল হেসে লাশের সঙ্গে তোলা হচ্ছে সেলফি। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যে কত কি চোখে পড়ে!
কিছুদিন আগে এক ছেলে নিজের বাবার লাশ কাঁধে নিয়ে কবরের দিকে যাচ্ছেন। সেই ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়েছেন লাশ কাঁধে রেখেই। আর সেই ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন- ‘আমি এবং আমার কাঁধে বাবার লাশ, কবরের দিকে যাচ্ছি। সবাই দোয়া করবেন।’
নামাজ পড়া ও কবর জিয়ারত করার সময় সেলফি
গত রমজানেই দেখা গেল তারাবির নামাজে সেজদারত এক মেয়ের সেলফি। আপনিই ভাবুন কতটা সেলফি রোগে আক্রান্ত হলে বা অসুস্থ হলে এমন কাজ করা যায়!
কিছুদিন আগেই এক ছেলে তার মায়ের জন্য খোড়া কবরের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছে! হাসিমুখ। তার বন্ধুরা তখন কবর খুঁড়ছিলেন। তারাও তখন শোক ভুলে ক্যামেরার ফ্রেমে হাসি মুখে পোজ দিয়েছেন।
মৃত ব্যক্তির সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সেলফি
হজ্ব করতে গিয়ে কাবা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে আপলোড দিয়েছেন এক ব্যক্তি। আর ক্যাপশনে লিখেছেন- ‘it’s imagine, I’m LOL’
নাতি তার দাদার লাশের সাথে নিচ্ছে সেলফি এবং ক্যাপশনে লিখছেন আমার দাদা এই মাত্র পরকালে চলে গেলেন! লাশের পাশে বসে কি সুন্দর করে হাসি মুখে সেলফি নিচ্ছেন!
মৃত বোনের কবর দেয়ার সময় তোলা সেলফি
সম্প্রতি ফেসবুকে এক ব্যক্তি ফেসবুকে তার মৃত বোনের কবর দেয়ার সময় তোলা সেলফি পোস্ট করে অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কবর দেয়া অবস্থা সবার সাথে সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড দিয়ে আবার দোয়া চেয়েছেন নিজের বোনের জন্য।
মৃত নানার সঙ্গে নাতিদের এবং ইন্দোনেশিয়ায় কবর জিয়ারত করতে গিয়ে সেলফি
গেল বছরের শেষদিকে মৃত ব্যক্তির সাথে সেলফি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে তিন কিশোর। ছবিতে দেখা যায়, মৃত নানা শুয়ে আছেন হাসপাতালের ট্রলিতে, তাকে ঘিরেই তার তিন নাতি সেলফি তুলছেন। সেই ছবি তারা আপলোড করে ফেসবুকে। ছবির ক্যাপশনে তারা লিখেছে, ‘যাকে নিয়ে এত মজা করতাম, যাকে ঘিরে ছিল আমাদের হাসিখুশি, যার সাথে কথা না বলে থাকতাম না; সে হল আমার নানা। তিনি আর নেই। চলে গেছেন না ফেরার দেশে। আমরা তোমায় ভুলবো না। Miss u so much Nana bhai.’


Friday, July 29, 2016

গ্রাম


গ্রাম বাংলার অপরূপ দৃশ্য। মনটা ঠানডা হল ছবি টা দেখে। 


মুসলমানগণকে দাওয়াত


প্রশ্নঃ নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাফেরদেরকে দাওয়াত দিতেন আর তাবলীগী ভাইরা মুমিন-মুসলমানদের দাওয়াত দেয় কেন?
উত্তরঃ মুসলমানগণকে দাওয়াত দেওয়া শুধু বৈধই নয়, বরং আল্লাহ তা'আলার আদেশও। এ আদেশ কুরআনে রয়েছে, হাদীসে রয়েছে, ইতিহাসেও রয়েছে, রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাস্তব জীবনের সার্বিক আমলনামায়। নেই শুধু আমাদের জানা।
আরবীতে একটি মূলনীতি আছে, عدم الوجدان لا يدل علي عدم الوجود অর্থাৎ, অজানা কখনো অনস্তিত্বের প্রমাণ বহন করে না। তাই উক্ত প্রশ্নের উত্তরে প্রমাণস্বরূপ ৩টি আয়াত, ৫টি হাদীস ও ৪টি ইতিহাস পেশ করা হচ্ছেঃ
কুরআন ভিত্তিক দলীলঃ
১) و ذكر فإن الذكري تنفع المؤمنين
অর্থাৎ, (ঈমানী কথা) আলোচনা করতে থাকো (অর্থাৎ দাওয়াত দিতে থাকো), কেননা নিশ্চয় ঈমানী আলোচনা (দাওয়াত ইলাল্লাহ) মুমিনদের উপকারে আসবে। (সূরা যারিয়াত, আয়াতঃ ৫৫)
২) يايها الذين آمنوا آمنوا بالله و رسوله
অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের উপর ঈমান আনো। (সূরা নিসা, আয়াতঃ ৩৫)
এই আয়াতে আল্লাহ তা'আলা ঈমানদারগণকেই সম্বোধন করে ঈমানের দাওয়াত দিয়েছেন ঈমানকে আরো তাঁজা ও সুসংহত করার উদ্দেশ্যে। কারণ, তিনি চান নির্ভেজাল, খাঁটি ও তাঁজা ঈমান। (তাফসীরে রুহুল বায়ান ও রূহুল মা'আনীর মত)
৩) قل لم تؤمنوا و لكن قولوا أسلمنا و لما يدخل الإيمان في قلوبكم، و إن تطيعوا الله و رسوله لا يلتكم من أعمالكم شيئا
মর্মার্থ, তোমরা ঈমানদার নও; কিন্তু মুসলমান। যদি তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করো তবে তোমাদের বিন্দুমাত্র অমলও নষ্ট করা হবে না। (সূরা হুজুরাত, আয়াতঃ ১৪)
এখানেও আল্লাহ তা'আলা মসজিতে নববীতে নবীর পেছনে নামাজ সম্পাদনকারী গ্রাম্য মুসলমানগণকেই ঈমান ও আমলের দাওয়াত দিয়েছেন। দাওয়াত দেওয়ার আদেশও দিয়েছেন, আরো দিয়েছেন ক্ষমা। এ আয়াত থেকে জানা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানায় ঈমানহীন মুসলমানও ছিলো।
(2)
নবীর যুগে ৫ শ্রেণীর মানুষ ছিলো, যারা আজও আছেঃ
১. খাঁটি মুসলমান
২. খাঁটি কাফের
৩. পাপী মুসলমান (ফাসেক)
৪. মুনাফিক মুসলমান (যারা মুসলমানদের সাথেই থাকতো)
৫. ঈমানহীন মুসলামন (যারা কোনমতে শুধু কালিমার বিশ্বাস নিয়ে পড়ে আছে, কিন্তু বিশ্বাস ও আস্থার পরিপূর্ণতা ও অবিচলতা নেই অথবা ঈমানবিধ্বংসী কাজে লিপ্ত, কিন্তু বংশীয় পরিচয়ে সে মুসলমান)
কে কোন দলের অন্তর্ভুক্ত তা আল্লাহই জানেন। হায় আল্লাহ! আমাদের সবাইকে ১ম শ্রেণীর মুসলমান হওয়ার তাউফীক দান করুন। আমীন।
হাদীস ভিত্তিক দলীলঃ
১) আবদে কায়সের মুসলিম-প্রতিনিধি দলকে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাওয়াত দিয়ে তাদেরকেও দাওযাত দেওয়ার আদেশ দিয়ে বলেনঃ এ কথাগুলো মুখস্থ করে নাও এবং নিজের বংশধরদের কাছে পৌছে দেবে অর্থাৎ দাওয়াত দেবে। (ফাতহুল কাদীর, ইযালাতুল খাফা, সহীহ বুখারী, তাবলীগ জামাতের সমালোচনা ও তার সদুত্তরঃ শাইখুল হাদীস হযরত মাওলানা যাকারিয়া রাহ.)
উল্লেখ্য যে, হাদীসের উল্লেখিত "নিজের বংশধর"দের মধ্যে অনেকে মুসলমানও ছিলেন।
দেখুন বুখারী শরীফের হাদিসঃ
و عبد القيس علي أن يحفظوا الإيمان و العلم و يخبروا من وراءهم ـ رواه البخاري ـ
২) হযরত আযিম বিন উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হচ্ছেঃ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আযল ও ক্বাররা গোত্রের মুসলমানদের কাছে ৬ জনের একটা জামাত পাঠিয়েছেন।
সেই সৌভাগ্যবান ৬ জন হলেন,
১. হযরত মারছায রাদিয়াল্লাহু আনহু
২. আসিম রাদিয়াল্লাহু আনহু
৩. হাবীব রাদিয়াল্লাহু আনহু
৪. খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু
৫. যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু
৬. আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু।
الاستيعاب গ্রন্থের এবারত দেখুনঃ
قد بعث رسول الله صلي الله صلي الله عليه و سلم لـ"عضل و قارة مرثذ بن أبي مرثذ، عاصم بن ثابت، حبيب بن عدي، خالد بن الكبير، زيد بن دثنة، عبد الله بن طارق ليتفقهوا في الدين و يعلمهم القرآن و شرائع الإسلام - الاستيعاب ـ الجزء الثاني، رقم الصفحة :خمس و ثلاثمأة
৩) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত মুআয রাযিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত আবু মূসা রাযিয়াল্লাহু আনহুকে ইয়ামানের মুমিনদের কাছেই পাঠিয়েছিলেন। (মুসলিম শরীফ, অধ্যায়ঃ সাহাবায়ে কেরামের জীবনী)
(3)
৪) عن جرير ابن عبد الله قال: بايعت رسول الله صلي الله عليه و سلم علي إقام الصلاة و إيتاء الزكاة و النصح لكل مسلم ـ حياة الصحابةـ
মর্মার্থ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত জারীর ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ৩টি কাজ করার জন্য শপথ পড়িয়েছেন। ১.নামাজ কায়েম করা, ২.যাকাত আদায় করা, ৩.দুনিয়ার সমস্ত মুসলমিদের কাছে তাবলীগ করা। (মুসলিম শরীফ, অধ্যায়ঃ সাহাবায়ে কেরামের জীবনী। আলকাউসার অভিধানের ৫৭৩ পৃষ্ঠায় বলা আছে, النصح শব্দ যখন আল্লাহ তা'আলার ক্ষেত্রে পযোজ্য হয় তখন তার অর্থ দাড়ায় "খাঁটি হওয়া", আর বান্দার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে অর্থ হয় "উপকার করা, তাবলীগ করা, উপদেশ দেওয়া, ইত্যাদি)
৫) عن قيس سمعت جريرا يقول بايعت رسول الله صلي الله عليه و سلم علي شهادة أن لا إله إلا الله و أن محمدا رسول الله و إقام الصلاة و إيتاء الزكاة و السمع و الطاعة و النصح لكل مسلم ـ الصفحة التاسعة الثمانون و مأتين ـ
অর্থাৎ, হযরত কায়েস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি হযরত জারীর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট কয়েকটি বিষয়ে শপথ পড়েছি। ১. কালিমায়ে তাইয়িবার সাক্ষ্যপ্রদান
২. নামাজ কায়েম করা
৩. যাকাত আদায় করা
৪. (আল্লাহ ও তার রাসূলের আদেশসমূহ) মনযোগ সহকারে শোনা
৫. (আল্লাহ ও তার রাসূলের) নিঃসর্ত আনুগত্য করা
৬. সমস্ত মুসলমানের নিকট তাবলীগ করা। (হায়াতুস সাহাবাহ, বুখারী শরীফ, পৃষ্ঠাঃ ২৮৯)
উপরোক্ত ১নং আয়াতে "মুমিনগণ" ও উক্ত হাদীসদ্বয়ে "মুসলিমগণ" শব্দ ব্যবহার করে মুমিন-মুসলিমদেরকে বিশেষভাবে দ্বীন বুঝিয়ে দাওয়াত দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। (রূহুল বায়ান ও রূহুল মা'আনী ও বিভিন্ন তাফসীরের মত)
এছাড়াও আরো এতদসংক্রান্ত আরো হাদীস পাবেন নাসায়ী শরীফের ২য় খণ্ডের ১৬১-১৬৩ পৃষ্ঠায় ও মুসলিম শরীফের ২য় খণ্ডের ১৩০-১৩১ পৃষ্ঠায়। দেখে নেওয়ার জন্য অনুরোধ থাকলো।
(4)
ইতিহাস ভিত্তিক দলীলঃ
১) স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাররা, সিরিয়া ও ইয়েমেন প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় এবং আমল; আবদে কায়স ও বনু হারিস গোত্রের মুমিন-মুসলমানদের কাছেই তাবলীগ ও তালিমের জন্যেই অনেক জামাত পাঠিয়েছিলেন। (বুখারী শরীফ, অধ্যায়ঃ باب تحريض النبي صلي الله عليه و سلم অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উৎসাহদান, ইবনে খালদূন, পৃষ্ঠাঃ ৮১৮, ইবনে সা'দ রচিত "তাবাকাত", ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠাঃ ১৩৭, তাফসীরে তাবারী, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠাঃ ৯৪, উসদুল গাবাহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠাঃ ৩৭৬-৩৭৮)
২) ফাতহুল কাদীর ঘোষণা দিচ্ছেঃ সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম তাবলীগের উদ্দেশ্য একুফা ও কারকীসিয়া সফর করেছেন। হযরত উমর, হযরত সাকিল বিন ইয়াসার ও হযরত আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল রাদিয়াল্লাহু আনহুম প্রমুখের এক জামাত সিরিয়া প্রেরিত হয়েঠছিল। এসব জামাত মুসলমানদের উদ্দেশ্যেই প্রেরিত হয়েছিলো। (ফাতহুল কাদীর, ইযালাতুল খাফা, হায়াতুস সাহাবাহ, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠাঃ ১৪৩-১৪৫)
৩) কায়স ইবনে আসিম রা. এর আমীরত্বে তামীমের বিভিন্ন মুসলিম গোত্রেই তাবলীগের উদ্দেশ্য ৯ম হিজরী/৬৩১খৃষ্টাব্দ ১২ জনের এক জামাত বের হয়েছিলো। (আল ইস্তী'আব, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠাঃ ৩০৫)
৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আবদুল্লাহ বিন তারিকের নেতৃত্বে আযল ও ক্বাররা গোত্রের মুসলমানদের কাছেই ৬২৫ খৃষ্টাব্দে ৬ জনের এক জামাত পাঠান।
সেই সৌভাগ্যবান ৬ জন হলেন,
১. হযরত মারছায রাদিয়াল্লাহু আনহু
২. আসিম রাদিয়াল্লাহু আনহু
৩. হাবীব রাদিয়াল্লাহু আনহু
৪. খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু
৫. যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু
৬. আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু।
الاستيعاب গ্রন্থের এবারত দেখুনঃ
قد بعث رسول الله صلي الله صلي الله عليه و سلم لـ"عضل و قارة مرثذ بن أبي مرثذ، عاصم بن ثابت، حبيب بن عدي، خالد بن الكبير، زيد بن دثنة، عبد الله بن طارق ليتفقهوا في الدين و يعلمهم القرآن و شرائع الإسلام - الاستيعاب ـ الجزء الثاني، رقم الصفحة :خمس و ثلاثمأة
শেষ কথাঃ উক্ত আয়াত, হাদীস, ইতিহাস ও নবীর বাস্তব জীবনের কর্মপন্থা এবং মুসলমানদের ঈমানী অবস্থা তাদের দাওয়াতের দলীলভিত্তিক সুস্পষ্ট প্রমাণ বহন করছে। অতএব, এটি পরিস্কার যে, মুসলমানদেরকে দাওয়াত না দেওয়া সুস্পষ্ট কুরআন-সুন্নাহ বিরুধী জঘন্য অপরাধ ও ইসলামের অমোঘ বিধান রহিত করণের নামান্তর। নাউযু বিল্লাহ।
সারাংশঃ মুসলমানদের কাছে দাওয়াত দেওয়া বিদআত নয়, বরং আল্লাহ তা'আলার কঠোর নির্দেশ।
*****************************************************


Thursday, July 28, 2016

খুতবা ১

1 الحمد لله الاكرم 0 الذى خلق الانسان و كرم 0 و علمه من البيان ما لم يعلم 0 فسبحان الذى لا يحصى امتنانه باللسان ولا بالقَلَم 0 و نشهد ان لَّآ الّه الّا الله وحده لا شريك له 0 ونشهد انّ سيدَنا و مولانا محمدا عبده و رسوله الذى اوتى جوامِعَ الكِلم 0 وكَرآئِمَ الحِكم – و مكارِمَ الشِّيَم – صلًى الله عليه و سلًم و على اله و اصحابه نجومِ الطّريقِ الامم 5 امَّا بعد فانَّ علمَ الشّرآئِعِ والاحكام – هو اعظمُ فرأئضِ الاسلام 6 و مِن ثَمَّ اٌمِرَ به و حضُ عليه تعليماً وَّ تعلُّما 7 فقد قال رسول الله صلَى الله عليه و سلم بلِّغوا عنِّى و لَوْ اية 8 وقال عليه الصّلوة والسّلام من سَلَكَ طريقا يّلْتمِسُ فيه علما سهَّلَ الله له به طريقا الى الْجنة 9 و قال عليه الصلوة و السلام من يرد الله به خيرا يفقهْه فى الدّين 10 و قال عليه الصلوة و السلام انَّ الْعلمآءَ ورَثَةُ الانبيآء – و اِنَّ الامبيآءَ لم يُوَرِّثوا ديناراً وّ لا دِرْهَمًا – و اِنَّما وَرَّثوا الْعِلْمَ فمَنْ اَخَذَه اَخَذَ بحَظٍّ وافرٍ 11 وقال عليه الصلوة والسلام طلَبُ العلم فريضةٌ على كلِ مسلم 12 وقال عليه الصلوة والسلام من سُئِل عن علمٍ عَلِمَه ثم كتمه اُلجِمَ يومَ القيمة بلِجامٍ مِّنْ نَّار 13 وقال عليه الصلوة والسلام من تعلَّمَ علماً مِّمَّا يُبْتَغى به وجْهُ الله لا يتعلمه الاً ليُصِيْبَ به عرضًّا مِّنَ الدُّنيا لم يَجِدْ عرفَ الجنةِ يومَ القيمةِ يعنى ريحَهَا 14 وقال عليه الصلوة والسلام تَعَلَّموا الفرآئضَ و القرأن و علِّموا الناسَ فاِنِّى مقبوض 15 اعوذ بالله من الشيطان الرجيم 16 اَمْ مَّن هو قَانِتٌ أنآءَ اليلِ ساجِداً و قَآئِماً يحذَرُ الأخرةَ و يرجوا رحمةَ ربِه  ط  قل هل يستوِى الذين يعلمون و الذين لا يعلمون  ط  اِنَّما يتذكَّرُ اولوا الالباب*



Wednesday, July 27, 2016

কবর



পিএনএস, ইসলাম : কবর পাকা করাকে সাধারণত না জায়েজ বলা হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় পূর্ববর্তী বূযুর্গদের (পীর/ আওলিয়া) কবরগুলো প্রায় সবই পাকা করা। হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ(রহ.) এর আমলেও অনেক আলেমের কবর পাকা হয়েছে। এছাড়া হযরত শাহজালাল (রহ.), হযরত মইনুদ্দিন চিশতি (রহঃ) সহ অনেক পীর আওলিয়ার কবর পাকা। এ বিষয়ে ইসলামের প্রকৃত ব্যাখ্যা আসলে কি? খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি নিচের ব্যাখ্যাথেকে জেনে নিন-

بسم الله الرحمن الرحيم

রাসূল সাঃ কবর পাকা করতে নিষেধ করেছেন,

عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُجَصَّصَ الْقَبْرُ، وَأَنْ يُقْعَدَ عَلَيْهِ، وَأَنْ يُبْنَى عَلَيْهِ

হযরত জাবির রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূল সাঃ কবরে চুনকাম করতে, কবরের উপর গৃহ নির্মাণ করতে, এবং কবরের উপর বসতে নিষেধ করেছেন। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৯৭০}

عَنْ أَبِي الْهَيَّاجِ الْأَسَدِيِّ، قَالَ: قَالَ لِي عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ: أَلَا أَبْعَثُكَ عَلَى مَا بَعَثَنِي عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ «أَنْ لَا تَدَعَ تِمْثَالًا إِلَّا طَمَسْتَهُ وَلَا قَبْرًا مُشْرِفًا إِلَّا سَوَّيْتَهُ

হযরত আবুল হাইয়াজ আসাদী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার হযরত আলী রাঃ আমাকে বলেন, আমি কি তোমাকে সেই কাজে পাঠাবো না, যে কাজে রাসূল সাঃ আমাকে পাঠিয়েছিলেন? ঐ কাজ এই যে, কোন মূর্তি দেখলে তা নষ্ট করে ফেলবে, আর কোন উঁচু কবর দেখলে তা সমান করে দিবে। {মুসলিম, হাদীস নং-৯৬৯}

ইমাম আবু হানীফা রহঃ কবর পাকা করতে নিষেধ করেছেন!

ইমাম মুহাম্মদ রহঃ তার সংকলিত কিতাবুল আসারে উল্লেখ করেছেন-

وَنَكْرَهُ أَنْ يُجَصَّصَ أَوْ يُطَيَّنَ، أَوْ يُجْعَلَ عِنْدَهُ مَسْجِدٌ، أَوْ عَلَمٌ، أَوْ يُكْتَبُ عَلَيْهِ، وَنَكْرَهُ الْآجُرَ أَنْ يُبْنَى بِهِ أَوْ يَدْخُلَ الْقَبْرَ، وَلَا نَرَى بِرَشِّ الْمَاءِ عَلَيْهِ بَأْسًا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ

আমরা [কবরকে] চুনকাম করা, পাকা করা, অথবা তার নিকটে মসজিদ নির্মাণ করা, ঝান্ডা টানানো, কোন কিছু লেখা মাকরূহ মনে করি। এবং আমরা কবরকে ইট দ্বারা পাকা করা, কবরে প্রবেশ করাকে মাকরূহ মনে করি। তবে কবরে পানি ছিটিয়ে দেয়াতে কোন সমস্যা নেই। এটাই ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর বক্তব্য। {কিতাবুল আসার লিমুহাম্মদ-২/১৯১}

ইমাম আবু হানীফা রহঃ ইন্তেকাল করেছেন ১৫০ হিজরীতে। ইমাম মুহাম্মদ রহঃ ইন্তেকাল করেছেন ১৮৯ হিজরী। এই দুই ইমাম মহোদয়ই কবর পাকা করাকে মাকরূহ বলেছেন। তাছাড়া ইমাম হাসান বিন আম্মার বিন আলী বিন আলী আশশুরুনবুলালী আলমিসরী ইন্তেকাল করেছেন ১০৬৯ হিজরী।

এমনিভাবে আল্লামা তাহের মাজমাউল বিহারের ৩/২২৬ নং পৃষ্ঠায়, ফাতাওয়ায়ে শামী ২/২৩৬ নং পৃষ্ঠায়, ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ ফাতহুল বারীর ৩/৫৫৯ নং পৃষ্ঠায়ও কবরকে পাকা করাকে মাকরূহ উল্লেখ করা হয়েছে।

যেখানে পরিস্কার ভাষায় হাদীসে ইরশাদ রয়েছে, গ্রহণযোগ্য ফুক্বাহায়ে কেরামগণ যুগে যুগে মাকরূহ বলেছেন। সুতরাং কোন বড় ব্যক্তির কবর পাকা থাকলেই সে কাজ জায়েজ হয়ে যাবে না।

সেই সাথে সবচে’ বড় কথা হল, যেসব মনীষীদের কবরকে পাকা করা হয়েছে, তারা নিজেরা কি কখনো তাদের পূববর্তী কোন বুযুর্গের কবরকে পাকা করেছেন? কিংবা তারা কি তাদের কবরকে পাকা করতে নির্দেশ দিয়েছেন?

তাছাড়া অনেক বুযুর্গানে দ্বীনের কবর ঘিরে প্রচুর পাপকর্ম করা হয়, গাঁজার আসর, গানের আসর বসানো হয়, বুযুর্গদের কবরের পাশে এসব গোনাহের কাজ করতে কি সেসব বুযুর্গরা আদেশ করে গেছেন?

এখন কেউ যদি মুইনুদ্দীন চিশতী রহঃ এর কবর পাশে গাঁজা খাওয়া হয় বলে, গাঁজা খাওয়াকে জায়েজ ফাতওয়া প্রদান করেন, তাহলে একথাটি ঠিক হবে?

দেখতে হবে কুরআন ও হাদীস কী বলে? ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার ভক্ত মুরিদান বা পরবর্তী ব্যক্তিরা কোন কাজ করলেই সেটি উক্ত বুযুর্গের কাজ বলে সাব্যস্ত হয় না। এসব বিষয় শরয়ী দলীলও হয় না।

সুতরাং হাদীসের দ্বারা এবং ফুক্বাহায়ে কেরামের মতামত দ্বারা পরিস্কারভাবে প্রমাণিত যে, কবরকে পাকা করা নাজায়েজ। 
==============================================================

কবর পাকা করা ও গম্বুজ নির্মাণ করা নিষেধ 

১৭৬৯. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, কবর পাকা করা, কবরের উপর বাসা করা এবং এর উপর কোন রকম নিমার্ণ কাজ করতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম )
==============================================================

কবরের উপর কুরআন পড়া ও কবর পাকা করা নিষেধ


কবরের উপর বসে কুরআন বা অন্য কিছু পাঠ করা এবং মৃত ব্যক্তিকে কোন কিছুর তালকীন দেয়া (শিক্ষা দেয়া) তাঁর পবিত্র সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত ছিলনা। কবর উঁচু করা, তা পাকা করা, তার উপর গম্বুজ নির্মাণ করা এবং তাতে চুনকাম করাও তার সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত ছিলনা। বরং এ কাজগুলো সুন্নাতের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তিনি আলী বিন আবু তালেব (রাঃ) কে এই আদেশ দিয়ে পাঠালেন যে, কোন মূর্তি পেলে তিনি যেন তা মিটিয়ে ফেলেন এবং উঁচু কোন কবর পেলে তা যেন মাটির সমান করে দেন।[1] সুতরাং তাঁর পবিত্র সুন্নাত হচ্ছে সমস্ত উঁচু কবর মাটির সমান করে দেয়া। তিনি কবরকে পাকা করত তার উপর কিছু নির্মাণ করতে, তার উপর বসতে এবং তাতে কিছু লিখতে নিষেধ করেছেন। আর যে ব্যক্তি কোন কবরকে চিনে রাখতে চায় তাকে শিক্ষা দিতেন যে, সে যেন কবরের উপর নিশানা স্বরূপ একটি পাথর রেখে দেয়।[2] তিনি কবরকে মসজিদে রূপান্তরিত করতে এবং তার উপর বাতি জ্বালাতে নিষেধ করেছেন।[3] যারা এ কাজগুলো করে তাদের উপর তিনি লা’নত করেছেন। তিনি কবরের দিকে ফিরে সলাত পড়তে নিষেধ করেছেন এবং তাঁর কবরকে ঈদ ও মেলার (উরুছের) স্থানে পরিণত করতে নিষেধ করেছেন।
তিনি এক দিকে কবরকে অপদস্ত করতে, পদদলিত করতে, তার উপর বসতে এবং তাতে হেলান দিয়ে বসতে নিষেধ করেছেন এবং অন্য দিকে তাকে সম্মান করে মসজিদ, উৎসবের স্থান এবং পূজার স্থানে পরিণত করতে নিষেধ করেছেন।


দেওবন্দের ধারা


দেওবন্দের বিরোধিতা করেন?
এর আগে জেনে নিন দেওবন্দী কারা।
কী তাদের অবদান? কারা মুসলিমদের মৌলিক স্বাধিনতা দিয়েছে! কাদের তাজা রক্ত ও লাশ প্রতিটি
গাছে ঝুলানো হয়েছে? (ওপেন দ্যা রেসালাহ্!) 

১৮০৩ ইমাম শাহ আব্দুল আজিজ ঐতিহাসিক ফতোয়া দারুলহরব মুক্তি যোদ্দ্বের সুচনা
১৮৫৭ সালে আযাদী লড়াই হল । শামেলীর ময়দানে মুসলিম বনাম ইংরেজের লড়াই হল । সে যুদ্ধে মুসলিমদের পক্ষে আমীর ছিলেন হাজি শাহ ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রাহ. এবং সেনাপতি ছিলেন মাওলানা কাসিম নানুতবি রাহ. । কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সে যুদ্ধে মুসলমানদের বিপর্যয় ঘটে ।হাজি ইমদাদুল্লাহ রাহ. মক্কায় হিজরত করেন , মাওলানা কাসিম নানুতবি রাহ. তিনদিন আত্মগোপন করেন । ইংরেজরা হাজার হাজার মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয় । অসংখ্য কুরআন শরীফ জ্বালিয়ে দেয় । ৫১ হাজার আলেমকে ফাসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দেয় ।
যদিও আপাত দৃষ্টিতে উপনেবেশিক শক্তি এই আন্দোলন দমন করতে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু এই আন্দোলনের মাধ্যমে তারা এতটুকু উপলব্ধি করতে পেরেছিল যে, মুসলিম জাতি কোন অবস্থাতেই গোলামীর জিন্দেগী বরণ করে নিতে সম্মত হবে না।
তাই তারা কর্ম কৌশল পরিবর্তন করল। যে সাদা চামড়ার নরপিশাচ ভারতবর্ষের মাটিতে লক্ষ মুসলমানের বুকের তাজা রক্তে খুনের দরিয়া রচনা করেছে, তারাই আবার সর্বসাধারনের কল্যাণকামীর মুখোশ পরে তাদের সামনে হাজির হল। উদ্দেশ্য ছিল, ভয়-ভীতি দেখিয়ে কিংবা গায়ের জোরে যে কওমকে দমন করা যায় না, ধীরে ধীরে তাদের চিন্তা-চেতনা ও মানসিকতায় আমূল পরিবর্তন আনা। যেন তারা ধর্মীয় অনুশাসন, স্বকীয় সভ্যতা ও দীপ্তিমান অতীতকে ভুলে গিয়ে অদূর ভবিষ্যতে নিজেকে সতন্ত্র জাতি হিসেবে মূল্যায়ন করতে না পারে। এই হীন উদ্দেশ্য সফল করার সবচেয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ ছিল মুসলমানদের শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করা। এবং এর মাধ্যমে তাদের দিল-দেমাগে পাশ্চাতের চতুর্মূখী কুফরী প্রভাব বদ্ধমূলকরা। যেন এতে প্রভাবিত হয়ে তারা নিজ বিবেক দিয়ে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ‘লর্ড ম্যাকল‘ এদেশের মানুষেরজন্য এক নতুন শিক্ষানীতির সুপারিশ করে। তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সে একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ রচনা করেন। তাতে ভারতবর্ষের জাতীয় শিক্ষানীতি তথা মাদ্রাসাশিক্ষা ব্যবস্থাকে ন্যাক্কারজনক ভাবে উপহাস করা হয়। এবং ওলামায়ে কেরামের উপর ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করা হয় পরিশেষে সে স্পষ্ঠ ভাষায় লিখে যে, ” এখন আমাদের কর্তব্য হল , এমন একদল মানুষ তৈরি করা যারা আমাদের অধিকৃত অঞ্চলের অধিবাসী ও আমাদের মাঝে দোভাষীর দায়িত্ব পালন করবে। যারা রক্ত ও বর্ণে ভারতবর্ষের হলেও চিন্তা- চেতনা , মেধা - মনন ও চারিত্রিক দৃষ্টিকোন থেকে হবে ইংরেজ ”।
দূরদর্শী ওলামায়ে কেরাম এই সুদূর প্রসারী চক্রান্ত ও তার ভয়াবহতা সম্পর্কে বেখবর ছিলেন না। তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, এমন পরিস্থিতিতে মুসলমানদের দ্বীন-ঈমান রক্ষার্থে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে অদূর ভবিষ্যতে তারা সতন্ত্রজাতি হিসেবে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবেননা। কয়েক খান্দান পরে হয়তো ইসলাম ও তার মৌলিক বৈশিষ্ট্যাবলীসম্পর্কে সচেতন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই তাঁরাও সম্মুখ সমরে লড়াইয়ের পাশাপাশি নব উদ্ভুত শিক্ষানীতির ধ্বংসের হাত থেকে মুসলিম জাতিকে রক্ষার পথ বের করলেন। আর ‘দারুল উলূম দেওবন্দ‘ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাঁরা সে দিকেই অগ্রসর হয়েছিলেন।
হযরত মাওলানা কাসেম নানুতবী (রঃ), রশিদ আহম্মদ গাঙ্গুহী (রঃ), হাজী আবেদ হুসাইন (রঃ) ১৮৫৭সালের জিহাদে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। এমনকি তারা উত্তর প্রদেশের একটি ক্ষুদ্র ভূখণ্ডে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হন। ( সুবহানাল্লাহ ) এ কারনে অবশ্য দীর্ঘদিন যাবৎ তাঁদেরকে ইংরেজ প্রশাসনের কোপানলের শিকার হয়ে থাকতে হয়েছিল।
সশস্ত্র সংগ্রাম আপাত ব্যর্থ হলে তাঁরা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর জন্য পর্যাপ্ত মানুষ প্রস্তুতির জন্য একটি নীরব ও সফল আন্দোলনের বীজ দেওবন্দের মাটিতে বপন করেন। যা ধীরে ধীরে গোটা ভারতবর্ষে আপন শাখা-প্রশাখা, পত্র-পল্লব বিস্তার করে এক মহীরুহের রূপ ধারন করে।
তদানীন্তন ভারতবর্ষে কোন দ্বীনি মারকায প্রতিষ্ঠা করা ছিল নিজেকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দেবার নামান্তর। সুলতান মুহাম্মদ তুঘলকের শাসনামলে শুধুমাত্র দিল্লিতেই সহস্রাধিক মাদরাসা ছিল। কিন্তু ফিরিঙ্গি আগ্রাসনের পর পুরো ভারতবর্ষের কোথাও একটি মাদরাসা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছিল। ওলামায়ে কেরামকে আযাদী আন্দোলনে অংশ গ্রহণের অপরাধে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলানো হতো কিংবা আন্দামান দ্বীপে নির্বাসন দেয়া হতো। আর যারা মুক্ত ছিলেন, সংঘবদ্ধ হওয়া তাদের জন্য ছিল দুষ্কর। তাই আকাবিরগণ প্রতিষ্ঠানের জন্য গ্রামকেই বেছে নিয়ে প্রভুত কল্যাণের এই ধারা রচনা করেন।
অবশেষে মাওলানা কাসিম নানুতবি রাহ. এর নেতৃত্বে ও মুসলিম জনতার সহয়তায়, ১৫ মুহাররম ১২৮৩ হিজরী মোতাবেক ৩০ মে ১৮৬৭ খ্রীষ্টাব্দে নিতান্ত অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে এই নীরব আন্দোলনদারুল উলুম দেওবন্দ’ নামেপ্রতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৮টি মুলনীতির উপর।

*****দারুল উলূম দেওবন্দের ৮টি মূলনীতিঃ-********

১। অত্যাচারি শাসকের সাহায্য ব্যতীত শুধু জনসাধারণের সাহায্যে এই প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হবে। এভাবে জনসাধারণের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা এবং স্বাধীনতাকামী মুজাহিদগণের পক্ষে জনমত গঠন।
২। ব্যাপকহারে ছাত্র ভর্তি করে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে আধিপত্যবাদী ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ পরিচালনার জন্য সুশিক্ষিত এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনী গঠন।
৩। শুরাতাত্ত্বিক অর্থাৎ পরামর্শের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হবে।
৪। যে কোনো সংগ্রামকে সফলতায় নিয়ে যেতে হলে সমমনাদের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন, তাই এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং কর্মচারীবৃন্দ সমমনা হতে হবে।
৫। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষা কোর্স সম্পন্ন করে সঠিক দায়িত্ব পালনের উপযোগী হতে হবে।
৬। চাঁদা সংগ্রহের মাধ্যমে গরিবদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে এবং পুঁজিবাদী, ধনী এবং জমিদারদের সাথে সম্পর্ক বিছিন্ন করতে হবে।
৭। অত্যাচারি শাসকের কোনো সাহায্য গ্রহণ করা যাবে না।
৮। মুখলিস/নির্মোহ লোকদের চাঁদাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

‘এখলাসের সাথে দ্বীনের খেদমতই যেহেতু একমাত্র লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিল তাই কোন প্রচার মাধ্যমের আশ্রয় না নিয়ে দেওবন্দের ছোট্র পল্লিতে, ছাত্তা মসজিদের আঙ্গিনায়, একটি ডালিম গাছের ছায়ায়, আবেহায়াতের এই নহর তারা রচনা করেন। দুই বুযুর্গের মাধ্যমে কার্যত প্রতিষ্ঠানটির পদযাত্রা শুরু হয়।
প্রথমজন শিক্ষক;
হযরত মাওলানা মোল্লা মাহমুদ।
দ্বিতীয়জন ছাত্র;
দেওবন্দের নওজোয়ান মাহমুদ হাসান; পরবর্তীতে যিনি শায়খুল হিন্দ নামে খ্যাত হোন ।
তিনি বড় হবার পর জমিয়তুল আনসার নামে একটি সংস্থা গঠন করেন । এই সংস্থার অন্যতম সদস্য মাওলানা উবাইদুল্লাহ সিন্ধীকে কাবুল পাঠানো হয় । তিনি আফগান গিয়ে জুনদুল্লাহ নামে একটি সশস্ত্র বাহিনী গঠন করেন। ইস্তাম্বুল গিয়ে উসমানি খলিফা আব্দুল হামিদের কাছে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সামরিক সাহায্য চান আফগান অধিপতি আমীর আমানুল্লাহ খানের সাথে চুক্তি হয় যে উসমানি সৈন্যরা আফগান হয়ে হিন্দুস্থানে প্রবেশ করবে। তিনি এসব বর্ণনা একটি রেশমী রুমালে লিখে হিন্দুস্থানে স্বীয় শায়খ শায়খুল হিন্দের কাছে পাঠান। কিন্তু এটা ইংরেজ গুপ্তচরের হস্তগত হয় । ইতিহাসে এটা রেশমী রুমাল আন্দোলন নামে খ্যাত।
তখন শায়খুল হিন্দ হজ্বের উদ্দেশে হেজাযে রওয়ানা হন। সেখানে তিনি হেজাযের উসমানি গভর্ণর গালিব পাশার সাথে হিন্দুস্থানের আযাদীর বিষয় নিয়ে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হন। এবং উসমানি সালার আনোয়ার পাশা ও জামাল পাশার সাথে কুটনৈতিক সাক্ষাত করেন। কিন্তু তখন মক্কার গাদ্দার গভর্ণর শরীফ হোসাইন শায়খুল হিন্দকে ইংরেজদের হাতে তুলে দেয়। ইংরেজরা তাকে মাল্টার কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। তখন স্বীয় শায়খের খাদেম হিসেবে স্বেচ্ছায় কারাবন্দী হোন শায়খুল ইসলাম হোসাইন আহমদ মাদানি রাহ. ।
দীর্ঘদিন কারা নির্যাতনের পর ১৯১৯ সালে শায়খুল হিন্দকে মুক্তি দেয় ইংরেজরা । উনার ইন্তেকালের পর যারা তাকে গোসল দিয়েছেন তারা দেখতে পান যে তার কোমর থেকে হাটু পর্যন্ত কোনো গোশত নেই । ইংরেজদের নির্যাতনের ফলে তার অবস্থা হয়েছিল ।
শায়খুল হিন্দের ইন্তেকালের পর আযাদী আন্দোলনে আসেন কুতবে আলম হোসাইন আহমদ মাদানি রাহ.। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের জন্যে তাকে কয়েকবার কারাগারে যেতে হয় । যখন ১৯৪৭ সালে বৃটিশ বিতাড়নের সময় অখন্ড ভারত আর দ্বি-খন্ড ভারত নিয়ে উলামায়ে দেওবন্দের মাঝে ইজতেহাদি ইখতেলাফ দেখা দেয়। তখন শায়খুল ইসলাম শিব্বির আহমদ উসমানি, মাওলানা যফর আহমদ উসমানি পাকিস্তানে শরীয়াহ শাসন কায়েমের জন্য দাঁড়ান । মাদানী (রহঃ) এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন দিকনির্দেশনা দিতে থাকেন।
হযরত মাদানীর পাক-বাংলাতে অনেক শিষ্য ছিলেন , বাংলাতে যার মধ্যে অন্যতম শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী দা. বা. ,তিনি হযরত মাদানির ছাত্র এবং খলীফা , বর্তমানে যিনি আরেকটি ইসলামী সংগ্রামের পথিকৃৎ।
লর্ড ম্যাকল কর্তৃক ইসলামকে মিটিয়ে দেওয়ার হীন ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতঃ দ্বীনকে অক্ষুন্ন রাখা ছিল দারুল উলূম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার অন্যতম মৌলিক উদ্দেশ্য। এরই সাথে ওলামায়েকেরামের এক জানবাজ জামাত তৈরি করাও ছিল সময়ের দাবী, যারা যে কোন পরিস্থিতিতে দ্বীনকে আগলে রাখবেন, সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিবেন এবং এই উম্মাহকে জিহাদে নেতৃত্ব দিবেন।যদি বলা হয় ‘দারুল উলূম‘ নিজস্ব পরিমণ্ডলে সফল, তাহলে অতুক্তি হবে না।
প্রতিষ্ঠার সূচনা লগ্ন থেকে তালীম তরবিয়ত, তাযকীয়া-তাসাউফ, দাওয়াত-সিয়াসত, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহসহ প্রতিটি অঙ্গনের জন্য সে জন্ম দিয়ে আসছে যুগের খ্যাতনামা মনীষীবর্গ ও মুজাহিদ্গণকে। যারা দ্বীনকে আগলে রেখেছেন অক্ষুন্ন আদলে। তারা অমিয় বাণী পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছেন উম্মাহর প্রতিটি ব্যক্তির কানে। আহারে-অনাহারে, দুঃখে-সাচ্ছন্দ্যে যে কোন প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে, আপন স্বার্থকে পেছনে ফেলে উম্মতের মাঝে ধর্মীয় মূল্যবোধ টিকিয়ে রাখতে তারা নিবেদিত প্রাণ। বাতিলের শত ঝড়-ঝাপটার মুখে হিমালয়ের মত অবিচল, তাগুতি শক্তির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা সমুদ্র তরঙ্গের ন্যয় উত্তাল, নববী আদর্শের মূর্ত প্রতীক।

আর একথাতো সবার জানা যে, একবিংশ শতাব্দীর জিহাদের মূল সূতিকাগার হলোঃ খোরাসান । এই যুগে জিহাদের যতগুলি মাআরেকা রয়েছে তার সবগুলিই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে খোরাসানের উপর নির্ভরশীল। এমনকি শহীদ আব্দুল্লাহ আজ্জাম রঃ সহ আরব মুজাহিদীনরা খোরাসানের হানাফী-দেওবন্দী মুসলমানদের কাছে পেয়েছিলেন জিহাদের জন্য নুসরাত ও সহযোগিতা।
এজন্যই বোধ করি দরবারী আলেমদের জিহবা দেওবন্দ মাদ্রাসা ও আহনাফদের বিরুদ্ধে এতো ধারালো। কারণ এই আহনাফ ও দেওবন্দ ফারেগ আলেমরাই সেখানে জিহাদের ঝান্ডা বুলন্দ রেখেছেন। আর এখানে এসে সবাই তাওহীদ আল আমালি এর শিক্ষা পেয়ে শুধুমাত্র এসি রুমের ভিতরে বসে তাওহীদের বড় বড় কিতাবের আলোচনার অসারতা বুঝতে পেরেছে। পাকিস্থান, ইরাক, শিশান, ইয়েমেন, মালিসহ সাম্প্রতিক আল-শামে জিহাদের ময়দানে সর্বত্রই আফগান ফেরত মুজাহিদীনদের এক বিরাট অবদান রয়েছে। ইরাকের শাইখ আবু মুসাব আল যারকাওয়ী রাহ. খোরাসানে জিহাদের প্রশিক্ষণ লাভ করেন। চেচনিয়ার শাইখ খাত্তাব রাহ. খোরাসানে জিহাদের প্রশিক্ষণ লাভ করেন। এভাবেই ইয়েমেন, মালি ইত্যাদি জিহাদের ময়দানগুলোতে খোরাসানের রয়েছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা। সর্বোপরি তানজীম আল কায়িদা পুরোটাই প্রাথমিকভাবে খোরাসানের জিহাদে অংশগ্রহণকারীদের দ্বারা গঠিত হয়।
আর খোরাসানের স্থানীয় বেশীরভাগ আলেম ও সাধারণ মানুষ যারা এই জিহাদের অন্যতম অনুঘটক তারা হানাফী মাজহাবের অনুসারী ও দেওবন্দ মাদ্রাসা ফারেগ অথবা দেওবন্দ সিলসিলার মাদ্রাসা ফারেগ। যেমনঃ দারুল উলুম করাচী যার প্রতিষ্টাতা মুফতী শফি রাহ. যিনি নিজেও দেওবন্দ মাদ্রাসার সাথে যুক্ত ছিলেন। আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মোহাম্মদ ওমর ( দাঃ বাঃ) নিজেও পেশোয়ারে দেওবন্দী সিলসিলার মাদ্রাসা দারুল উলুম হাক্কানিয়াতে ইলম অর্জন করেছেন। এত বেশী তালিবান মুজাহিদীন কমান্ডার এই মাদ্রাসায় পড়েছেন যে, এই মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা সামসুল হক ( দাঃ বাঃ ) কে Father of Taliban ডাকা হয়।
কাফিররা দেওবন্দ সিলসিলার মাদ্রাসা নিয়ে কতটা চিন্তিত। এ কারণেই তারা বাংলাদেশেও কাওমী মাদ্রাসার সিলেবাস নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। বেনজীর ভুট্টো চেয়েছিল পাকিস্তানের মাদ্রাসা সিলেবাসের পরিবর্তন করতে।
তাই এই কথা নিসন্দেহে বলা যায়ঃ একবিংশ শতাব্দীর জিহাদে দেওবন্দ মাদ্রাসা ও হানাফী মাজহাবের অবদান আল্লাহর রহমতে অনেক। আল্লাহ যেন তাদেরকে এই নুসরত জারি রাখার তৌফিক দান করেন ও অন্যান্য সকলকে তাদের করণীয় কাজ সঠিকভাবে করার তৌফিক দান করেন। সবাই মিলে যেন সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে থাকে যতক্ষন না আল্লাহর দ্বীন এই জমীনে বিজয়ী হয় ও বাতিল দ্বীনসমূহ সমূলে উৎপাটিত হয়।.........আমীন

কুরআন কেহতাহে : তারা মুমিনদের প্রতি নম্র, কাফিরদের প্রতি কঠোর" – (সূরাঃ মায়িদা ৫৪)


দুবলহাটী রাজরাড়ি


আবশেষে কালেরগর্ভে হারিয়ে গেল নওগাঁর ঐতিহ্যবাহি দুবলহাটী রাজরাড়ি দেখার কেহ নাই। গত সোমবার রাতে ও দিনে দু’ দফায় ধ্বসে পড়ে রাজবাড়ির সামনের পশ্চিম দিকের একাংশ। দীর্ঘদিন অবহেলায় চাপা পড়ে গেল নওগাঁ জেলার একটি ইতিহাস আর ঐতিহ্য। প্রাসাদের ওই অংশে বসবাসকারী আলম জানান সোমবার বিকেলে একবার ও রাত ১টায় একবারসহ দু’ দফায় ধ্বসে পড়ে প্রাসাদের অংশটি। এসময় তাঁর পালিত প্রায় ৭৬ জোড়া পায়রা প্রসাদের ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়ে মারা গেছে। প্রাসাদটির যা কিছু ক্ষতি হয়েছে সব করছে মানুষ। এখন প্রাসাদটির দর্শনীয় আর কিছুই রইল না। দীর্ঘদিন রাজবাড়িটি ছিল পর্যটকদের আকর্ষনের কেন্দ্র। শুধু যথাযথ নজড়দারি ও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে প্রাচীন এই রাজবাড়িটি শেষ পরিনতির দিকে। বিশাল এই প্রাসাদের বিভিন্ন স্থাপনা অমানবিক ভাবে একটি একটি করে খুলে নিয়ে গেছে দুবৃত্তরা। যেনো দেখার কেউই ছিলনা। এখন পর্যটকরা দেখছেন আর দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন। প্রাসাদটি প্রায় ২’শ বছরের প্রাচিন। নওগাঁ শহর থেকে মাত্র ৬ কিঃ মিঃ দূরে নওগাঁর ঐতিহ্যবাহি দুবলহাটি রাজবাড়ি। রাজা হরনাথ রায় চৌধুরী ও তার পুত্র রাজা কৃঙ্করীনাথ রায় চৌধুরীর সময় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয় রাজ ষ্টেটের। রাজপ্রাসাদের সামনে রোমান স্টাইলের বড় বড় পিলারগুলো রাজাদের রুচির পরিচয় বহন করতো। ১৮৬৪ সালে রাজ পরিবারের উদ্যোগে একটি স্কুল স্থাপন করা হয়। পরবর্তিতে স্কুলটি নামকরন হয় রাজা হরনাথ উচ্চ বিদ্যালয়। বিভিন্ন সূত্র ও ইতিহাস থেকে জানা যায় রঘুনাথ নামের এক ব্যক্তি লবন ও গুড়ের ব্যবসা করতেন। তিনি দীঘলি বিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত খয়রা নদী দিয়ে নৌকাযোগে দুবলহাটিতে ব্যবসার জন্য আসেন। তিনি প্রায় প্রতিরাতে স্বপ্ন দেখতেন তাঁক কে যেনো বলছে “তুই যেখানে নৌকা বেঁধেছিস সেখানে জলের নীচে একটি প্রতিমা আছে। সেই রাজরাজেশ্বরী দেবীর প্রতিমাটি সেখান থেকে তুলে স্থাপন কর।” রঘুনাথ একদিন ভোর বেলা জলে নেমে দেখলেন সত্যিই সেখানে রাজরাজেশ্বরীর প্রতিমা আছে। তিনি প্রতিমাটি একটি মাটির বেদী তৈরী করে প্রতিষ্ঠা করলেন এবং নিয়মিত পূঁজা করতেন। এরপর তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করলো। রঘুনাথের বিত্ত-বৈভবের খবর জেনে যায় মোগল দরবার। মোগল দরবারের নির্দেশে তাঁকে ডেকে পাটান মুর্শিদাবাদের নবাব। নবাব তাঁকে রাজস্ব প্রদানের হুকুম জারি করেন। তিনি নবাবকে জানান তিনি যে এলাকায় থাকেন সেখানে শুধু জল আর জল। কোন ফসল হয়না। তবে বড় বড় কৈ মাছ পাওয়া যায়। বিষয় বুঝতে পেরে নবাব তঁকে প্রতি বছর রাজস্ব হিসাবে ২২ কাহন কৈ মাছ প্রদানের নির্দেশ দেন। এই প্রাসাদে সাড়ে ৩’শ ঘর ছিল। ছিল ৭ টি আঙ্গিনা। ছিল রাজরাজেশ্বরী মন্দির। রাজা কৃঙ্করীনাথ রায় চৌধুরীর নাতি ও কুমার অমরেন্দ্র নাথ রায় চৌধুরীর ছেলে দুবলহাটি রাজ পরিবারের ৫৪ তম পুরুষ রবীন্দ্রনাথ রায় চৌধূরী (৭৬) জানান তাঁদের জমিদারী ছিল সিলেট, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, রংপুর ও ভারতের কিছু অংশে। হরনাথ রায় চৌধুরী রাজা খেতাব পেয়েছিলেন। এর আগের পূর্বপুরুষরা মোগলদের দেয়া জমিদার খেতাবে ভূষিত ছিলেন। ২২কাহন কৈ মাছ দিয়ে রাজস্ব প্রদানের বিষয়টি গিনেস বুক অব ওয়াল্ডে অন্তর্ভুক্ত আছে। রাজা কৃঙ্করীনাথ রায় চৌধুরীর পিতা রাজা হরনাথ রায় চৌধুরী অবসাদ যাপনের জন্য “রনবাগ” নামে একটি বগানবাড়ি তৈরী করেছিলেন।


Tuesday, July 26, 2016

কোরআন


আমরা সকল মুসলিম যদি কোরআনের প্রত্যেকটা আয়াতের অর্থ বুঝতাম তাহলে আমাদের চোখ দিয়েও এভাবেই অঝরে পানি পড়ত! অর্থ বুঝলে, সৃষ্টি-রহস্যের বাস্তবতা প্রকাশ হতো, আর চোখের জল সেই বাস্তবতার স্বীকৃতি দিত!

শেয়ার করে সকল মুসলিমদের দেখার সুযোগ করে দিন




কারিগর


আসল মানুষ গড়ার কারিগর তারাই


বর কনের দোয়া



বারকাল্লাহু লাকা, ওয়া বারকা আলাইকা, ওয়া জামায়া বাইনাকুমা, ফি খোইর। 


Monday, July 25, 2016

শৈশব


যদি ফিরে যেতে পারতাম!!
শৈশবের সে দিনগুলি মনে পড়ে বারবার!!
অনেক মিস করি সেদিনগুলি :::::


Sunday, July 24, 2016

মমতা


ভাবতেও অবাক লাগে এই বানর টি রাস্তা পার হয়ে বাচ্ছার জন্য খাদ্যের জন্য যাচ্ছিল হঠাত রাস্তার মধ্যে গারি চাপা পরে মারা যাই,, সে জানেনা তখন তার বাচ্ছা এসে দেখে তার মা নেই,তবুও তার মাকে হাত বুলিয়ে দেখে মা নড়াচড়া করচে কিনা সেত যানে যে, সে ত আর ফিরবেনা,,, তবু মাকে রাস্তায় রেখে যাচ্ছেনা,, মায়ের ভালবাসা অপুরন্ত মায়ের। ভালবাসা কখনো কমেনা,,,
"সেই বুঝে যে হারিয়েছে তাকে "
হে আল্লাহ সকল কিছু তোমার সৃষ্ঠি তোমিই একমাএ হেফাজতকারী,,,তুমিই সকল জীব জন্তুুকে হেফাজত কর,,,


কুলুখ


একজন রিস্কা চালক বড় একটা দোকানের সামনে তার রিস্কা রেখে দোকান দারকে ২৫ টাকা দিয়ে বল্ল ভাই একটা টয়ালেট টিসু দেন পরনে ছেরা একটা গেন্জি রিস্কা ওয়ালার দিকে দোকানি তাকিয়ে বললেন টিসু পেপার দিয়া কি করবা রিস্কাওয়ালা বল্ল ভাই সারা দিন রিস্কা চালাই তাই মাটি দিয়া ডিলা কুলুব বানানের সময় পাইনা,, দোকানদার বল্ল ছিরা গেন্জি পর গেন্জি কিনতে পারনা আবার ২৫ টাকা দিয়া টয়ালেট টিসু ব্যাবহার কর,, রিক্সাওয়ালা বল্ল ভাই ছেরা গেন্জি পরলে আল্লাহ জবাব চাইবেননা কিন্তুু ডিলা কুলুব ব্যাবহার করা নবীর সুন্নত তার জন্য আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে,, নবীর সুন্নত মানার জন্য আল্লাহর ভয় নবীর মোহাব্বতই জতেষ্ট,, আল্লাহ আমল করার তৈফিক দান করুন,,


Setting





রিং টোন






মা বোনদের--


মা বোনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নসিহত।
....................................................
হযরত মাওলানা মুফতী মাহমুদ
হাসান গঙ্গোহী রহ. বলেন, প্রায়
পঁচিশ ত্রিশ বছর
আগে পাকিস্তানে এক মহিলার
মৃত্যু হয়। জানাযার পর তার লাশ
যখন কবরে রাখার জন্য
খাটিয়া থেকে নীচে নামানো হয়
তখন দেখা যায় কবরের
মধ্যে একটি ভয়ঙ্কর সাপ!
বিষাক্ত এই সাপ দেখে উপস্থিত
লোকজন ভয় পেয়ে যায়। তারা ভীত
সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। অতঃপর ঐ
মহিলার জন্য দ্বিতীয়
আরেকটি কবর খুঁদা হয়। লাশ
কবরে দেওয়ার পূর্ব মুহূর্ত
পর্যন্ত দ্বিতীয় এই
কবরটি খালিই ছিল। সাপ
কিংবা অন্য
কোনো প্রাণী সেখানে ছিল না।
কিন্তু যখনই তারা লাশ
কবরে রাখতে গেল তখনই দেখা গেল
উহার মধ্যেও সেই সাপ যা প্রথম
কবরে ছিল। এরপর তৃতীয় কবর
খুঁদা হলো। তাতেও লাশ রাখার
সময় প্রথম কবরের সেই
সাপটি দৃশ্যমান হলো।
অবস্থাদৃষ্টে সবাই
বলাবলি করতে লাগল, এই লাশের
জন্য যত কবরই খুঁদা হউক না কেন,
সব কবরেই এই সাপ চলে আসবে।
সুতরাং এই কবরেই লাশ দাফন
করা হউক। কবরে রাখার জন্য আবার
যখন খাটিয়া থেকে লাশ
নীচে নামিয়ে আনা হলো, তখন
সাপটি কবরের এক পাশে গিয়ে লাশ
রাখার জায়গা করে দিল। কিন্তু
যখন লাশ রাখা হলো তখন
সঙ্গে সঙ্গে সাপটি লাশের মুখ
থেকে কাফন সরিয়ে তার
জিহ্বা পেঁচিয়ে ধরল। এই দৃশ্য
দেখে উপস্থিত সকলেই
আবারো পেরেশান হলো। আশ্চর্য
হয়ে সবাই বলাবলি করতে লাগল,
ঘটনা কি? কেন এমন হচ্ছে? লাশ
দাফন করতে আসা লোকদের
মধ্যে মহিলার স্বামীও ছিলেন।
তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার
স্ত্রীর উপর এই আযাব আসার
কোনো কারণ কি আপনি বলতে পারবেন?
তিনি বললেন, হ্যাঁ, বলতে পারব।
আমার স্ত্রী আমার সাথে অসদাচরণ
করত। আমাকে নানারকম
মন্দচারী করত। বিভিন্ন
উপায়ে কষ্ট দিত। কিন্তু
আমি ধৈর্যধারণ করতাম। কখনও এর
বদলা কিংবা প্রতিশোধ নিতাম না।
তার কটুকথা ও দুঃখজনক আচরণের
পরিবর্তে আমি তাকে কিছুই বলতাম
না। স্বামীর কথা শুনে লোকজন
বলতে লাগল, হ্যাঁ ভাই!
আমরা বুঝতে পেরেছি, আপনাকে কষ্ট
দেওয়ার জন্যেই আপনার স্ত্রীর
এই দুরবস্থা। আপনি এখন
দয়া করে তাকে ক্ষমা করে দিন। তার
জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নচেৎ
তার রেহাই নেই! অতঃপর মহিলার
স্বামী মহান আল্লাহর দরবারে হাত
তুললেন। তার সাথে হাত তুলল
উপস্থিত সবাই। স্বামী বললেন,
হে আল্লাহ! আমি আমার
স্ত্রীকে মাফ করে দিলাম।
সুতরাং অনুগ্রহ করে আপনিও
তাকে মাফ করে দিন। সেই
সাথে কবরের যাবতীয় আযাব
থেকে তাকে হেফাযত করুন।
দোয়া শেষ হওয়ার
সাথে সাথে দেখা গেল, ভয়ঙ্কর
সাপটি মুহূর্তের মধ্যে কোথায়
যেন উধাও হয়ে গেল! ফলে সকলের
পেরেশানী দূর
হলো এবং তারা স্বস্তির
নিঃশ্বাস ফেলল। প্রিয় মা ও
বোনেরা!
আপনারা যারা স্বামীকে কষ্ট দেন,
কটুবাক্য বর্ষণে জর্জরিত করেন,
মুখে যা আসে তাই বলেন;
স্বামীকে মানেন না, তার কথামত
চলেন না, তার আনুগত্য করেন না,
তাকে শ্রদ্ধা করেন না, সম্মান
করেন না, আলোচ্য এই সত্য
ঘটনাটি পাঠ করে এ ব্যাপারে একটু
ভাববেন কি? নিজের ভবিষ্যৎ
পরিণতি সম্পর্কে একটু
চিন্তা করবেন কি? হ্যাঁ,
যদি ভাবেন, যদি চিন্তা করেন,
যদি স্বামীর সাথে সকল প্রকার
অসদাচরণ পরিত্যাগ করতে পারেন,
যদি অতীতের সকল ভুলের জন্য আজই
স্বামীর
পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে ক্ষমা মঞ্জুর
করাতে পারেন তাহলে আমি মনে করি,
আপনি নিজের উপর বড় রহম করলেন,
বড় এহসান করলেন এবং আমার
বিশ্বাস, এই পথ ধরেই
আপনি সফলতার
দ্বারপ্রান্তে উপনীত
হতে পারবেন।
কায়মনোবাক্যে দোয়া করি,
আল্লাহ পাক যেন আপনাকে সকল
প্রকার অহমিকা পরিত্যাগ
করে স্বামীর
কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে সন্তুষ্ট
করার তাওফীক দান করেন। আমীন। আর
হ্যাঁ,
আরেকটি জরুরি কথা মনে রাখবেন,
স্বামীর কাছে ক্ষমা চাইলে স্ত্রীর
সম্মান হ্রাস পায় না,
বরং বাড়ে। আজ পর্যন্ত
কোনো নারী একথা বলতে পারিনি যে,
স্বামীর কাছে ক্ষমা চেয়ে তার
সম্মান ও
মর্যাদা কমেছে কিংবা সে ঠকেছে।
তাই আবারও দোয়া করি, আল্লাহ পাক
আপনাকে সঠিক বুঝ নসীব করুন।
আমীন।
[সূত্র :মালফুযাতে ফকীহুল উম্মত,
খণ্ড :১, পৃষ্ঠা : ৭০]


চিল্লা



এক আরব মাওলানা তারিক জামিল কে জিজ্ঞেস
করল, "আপনারা চিল্লা কোথায় পেয়েছেন?"

মাওলানা বললেন, "ঠিক আছে আপনি ৪৫ দিনের
জন্য বের হন, তবু তর্ক থেকে বিরত থাকুন।"

"এটা বিবাদ করার মত কোনো বিষয় নয়। তরবিয়তের জন্য সময় দরকার। চিল্লা সময়ের একটি ব্যবস্থাপনা মাত্র। আসল হল তরবিয়ত। চিল্লার কোনো বৈশিষ্ট্য নেই। আমরা তরবিয়তের জন্য চিল্লা, তথা ৪০ দিন ঠিক করে নিয়েছি।"

আরব জিজ্ঞেস করল, "চিল্লা কোথায় পেলেন?"

👉মাওলানা বললেন, আদম আঃ এর দেহ বানানোর পর ৪০ বছর পড়েছিল।

তারপর আল্লাহ্ তাকে রূহ দান করেন। নিষিদ্ধ ফল খাবার কারনে জান্নাত থেকে বের হয়ে চল্লিশ বছর কাঁদার পর তার তওবা কবুল হয়।

👉ইব্রাহীম (আ:) কে আগুনের কুন্ডে বসিয়ে রাখেন ৪০ দিন।

👉 মুসা (আঃ) কে তুর পাহাড়ে বসিয়ে রাখেন ৪০দিন।

👉 ইউনুস (আঃ) কে মাছের পেটে রাখেন ৪০
দিন। সুতরাং ইব্রাহীম (আ:) মুসা (আঃ) ও ইউনুস (আঃ) এক চিল্লা করে সময় লাগালেন।আমরা এই তিন জনের চিল্লাকে একত্রিত করে বলে দিলাম, যাও ভাই তিন চিল্লা।

👉 তাছাড়া হাদীসে আছে, রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি তাকবীরে উলার সাথে ৪০ দিন নামাজ পড়বে, সে জাহান্নাম ও নেফাক থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। (তিরমিযীঃ ২৪১)

👉 আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, তার জন্য আমার সুপারিশ জরুরী হয়ে যায়।

👉রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৪০ বলেছেন, ৫০ বলেননি। তাহলে এর বৈশিষ্ট্য নিশ্চয় কিছু আছে।

👉 উমর রাঃ এর যামানায় এক ব্যাক্তি জিহাদ থেকে ফিরে এলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, "কতদিন পরে ফিরেছো?"
বললঃ "এক মাস পর।"

উমর (রাঃ) বললেন ৪০ দিন পুরা করলেনা কেন?

👉 আমাদের এই চিল্লা ভিত্তিহীন নয়। এক হাদীসে আছে, আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি ৪০ টি সকাল একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ তায়ালাকে দিয়ে দিবে, আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরকে জ্ঞান দ্বারা ভরে দিবেন। এত ভরে দিবেন যে, তা ঝর্না হয়ে তার মুখ দ্বারা বের হতে থাকবে।" এও তো চিল্লা।

#বিঃদ্রঃ "একদা মুফতী ফজলুল হক আমিনী (রহ) বলছিলেন, কোন ছাত্র যদি একাধারে চল্লিশ দিন তাহাজ্জুদ পড়ে, আমি তাকে বাইয়াত করব।"

আল্লাহতাআলা সহীহ বুঝ দান করুন ও এই কাজের জন্য কবুল করুন। আমিন।।


আক্বীদা


আক্বীদাঃ নবী আলাইহিস সালাম-রা কবরে জীবিত 
--
আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকিদা হচ্ছে নবী আ. ইন্তিকাল করেন, কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর কবরে তাদের বিশেষ হায়াত দেয়া হয়।
.
তবে ইদানীংকালে বাংলাদেশের কিছু আহলে হাদীস ভাই এবং পাকিস্তানের মামাতি ফিরকার আক্বিদা হচ্ছে রাসুল সাধারণ লোকদের মত মৃত! তবে প্রথম জামানার তথা বৃটিশ পিরিয়ডের আহলে হাদীস আলেমরাও এব্যাপারে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের মত আক্বিদা রাখতেন।
অপরদিকে বেরেলভী 'আহলে শিন্নি' ভাইদের আক্বিদা হচ্ছে রাসুল মরেইনি 
অথচ আল্লাহ কোরআনে বলেছেন-
( ﺇﻧﻚ ﻣﻴﺖ ﻭﺇﻧﻬﻢ ﻣﻴﺘﻮﻥ )
..আপনার মৃত্যু হবে এবং তারাও মারা যাবে। (সুরা যুমার, আয়াত ৩০)
অতএব বুঝা গেলো রাসুল সা. ইন্তিকাল করেছেন, তবে এরপর উল্লেখিত হাদীসগুলো দ্বারা আমরা বুঝবো নবীগণ কবরে জীবিত।
-
(এক) হযরত আনাস রা. বর্ণনা করেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
ﺍﻷَﻧْﺒِﻴَﺎﺀُ ﺃَﺣْﻴَﺎﺀٌ ﻓِﻲ ﻗُﺒُﻮﺭِﻫِﻢْ ﻳُﺼَﻠُّﻮﻥ .
‘ নবীগণ কবরে জীবিত, নামায আদায় করেন’।
-মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ৩৪২৫; হায়াতুল আম্বিয়া লিল বাইহাকী, হাদীস ১-৪
-
হাদীসের মান:
ইমাম বাইহাকী রাহ. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রাহ. এবং ইদানিংকালের কাজি শাওকানী নাসীরুদ্দীন আলবানী সহ অনেকেই হাদীসটি সহীহ বলেছেন।
উল্লেখ্য যে, এ হাদীসকে কোনো মুহাদ্দিস দুর্বল বলেছেন বলে আমাদের জানা নেই। হাদীসটির একজন বর্ণনাকারী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী রাহ.-এর যে বক্তব্য রয়েছে তার ভিত্তি ছিল ভুল ধারণার উপর। হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. ‘লিসানুল মিযান’ গ্রন্থে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সুতরাং হাদীসটি সর্বসম্মতিক্রমে সহীহ।
-
হাদীস থেকে স্পষ্ট হল যে, “নবীগণ তাঁদের কবরে জীবিত। তাঁরা কবরে নামায আদায় করেন”। যদিও কোন নামায ও কত রাকাত পড়েন তা জানা যায় না, তবুও নামায আদায় করা দুনিয়ার জীবনের সাথে সাদৃশ্যের একটি উদাহরণ। পরবর্তী হাদীসে বিষয়টি আরো পরিষ্কার করা হয়েছে।

(দুই) হযরত আনাস রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
ﻣَﺮَﺭْﺕُ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﻮﺳَﻰ ﻟَﻴْﻠَﺔَ ﺃُﺳْﺮِﻱَ ﺑِﻲ، ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟْﻜَﺜِﻴﺐِ ﺍﻟْﺄَﺣْﻤَﺮِ، ﻭَﻫُﻮَ ﻗَﺎﺋِﻢٌ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﻓِﻲ ﻗَﺒْﺮِﻩِ.
‘ আমি মিরাজের রাতে (বাইতুল মাকদিসের পাশে) লাল বালুর ঢিবির কাছে মূসা আ.-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছি। তখন তিনি তাঁর কবরে দাড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন’।
-সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৩৪৭
হাদীস থেকে জানা গেল, ‘আল্লাহর কাছে’ নয় বরং মূসা আলাইহিস সালাম তাঁর কবরে নামায আদায় করছেন। রূহের জগতে নয় বরং তিনি স্বশরীরে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছেন। নবীজী কবরের অবস্থানটিও উল্লেখ করে দিয়েছেন- লাল বালুর ঢিবির কাছে। তাই এখানে সালাত বা নামাযের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেয়ার আর কোনো সুযোগ থাকে না’।

(তিন) হযরত আউস ইবনে আউস রা. বর্ণনা করেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
ﺇِﻥَّ ﻣِﻦ ْﺃَﻓْﻀَﻞِ ﺃَﻳَّﺎﻣِﻜُﻢْ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﺠُﻤُﻌَﺔِ، ﻓِﻴﻪِ ﺧُﻠِﻖَ ﺁﺩَﻡُ، ﻭَﻓِﻴﻪِ ﻗُﺒِﺾَ، ﻭَﻓِﻴﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺨَﺔُ، ﻭَﻓِﻴﻪِ ﺍﻟﺼَّﻌْﻘَﺔُ، ﻓَﺄَﻛْﺜِﺮُﻭﺍ ﻋَﻠَﻲَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻓِﻴﻪِ ﻓَﺈِﻥَّ ﺻَﻠَﺎﺗَﻜُﻢْ ﻣَﻌْﺮُﻭﺿَﺔٌ ﻋَﻠَﻲَّ " ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻟُﻮﺍ : ﻳَﺎﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﻛَﻴْﻒ َﺗُﻌْﺮَﺽُ ﺻَﻠَﺎﺗُﻨَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﻭَﻗَﺪْ ﺃَﺭِﻣْﺖَ؟ ﻳَﻘُﻮﻟُﻮﻥَ : ﺑَﻠِﻴﺖَ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : " ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺣَﺮَّﻡَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺃَﺟْﺴَﺎﺩَ ﺍﻟْﺄَﻧْﺒِﻴَﺎﺀِ ".
‘ তোমাদের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি হল জুমার দিন। এ দিনেই আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনেই শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া হবে, আর এ দিনেই সকল প্রাণী মৃত্যুবরণ করবে। সুতরাং এ দিনে তোমরা আমার উপর বেশি করে ছালাত ও সালাম পাঠাও। তোমাদের ছালাত আমার কাছে পেশ করা হবে। সাহাবাগণ বললেন, আমাদের ছালাত আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে, তখন যে আপনি (মাটির সাথে মিশে) ক্ষয়প্রাপ্ত (নিঃশেষিত) হয়ে যাবেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীগণের দেহ খাওয়াকে হারাম করে দিয়েছেন’।
(অর্থাৎ কবরে নবীগণের দেহ দুনিয়ায় জীবিত মানুষের মতই অক্ষত থাকে। এর সাথে রূহের গভীর সম্পর্কও থাকে। ফলে কবরে থেকেও সালাত ও সালাম পাওয়াতে কোনো অসুবিধা হবে না।)
-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১০৪৭; সহীহ ইবনে খুযাইমা, ৩/১১৮ হাদীস ১৭৩৩; মুসতাদরাকে হাকেম, ১/২৭৮, হাদীস ১০২৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৬১৬২
-
হাদীসের মানঃ
ইমাম হাকেম নিশাপুরী রহ. ইমাম যাহাবী রাহ. ইমাম নববী রাহ. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. হাফেজ ইবনুল কায়্যিম রাহ. হাফেজ ইবনে কাসীর রাহ.
বর্তমান সময়ের শায়খ শুআইব আরনাউত ড. মুছতাফা আজমী শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানী রাহ. শাওকানী রাহ. শায়েখ বিন বায সহ অনেকে হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহ. হাদীসটি দলিল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সুতরাং বলা যায় এ হাদীসটিও মুহাদ্দিসীনে কেরামের সর্বসম্মতিক্রমে সহীহ।
-
হাদীসের অর্থ ও মর্ম
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহ. হাদীসটি উল্লেখ করে বলেন,
ﻓﺄﺧﺒﺮ ﺃﻧﻪ ﻳﺴﻤﻊ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻣﻨﺎ ﻟﻘﺮﻳﺐ ﻭﺃﻧﻪ ﻳﺒﻠﻐﻪ ﺫﻟﻚ ﻣﻨﺎ ﻟﺒﻌﻴﺪ .
এ হাদীসে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানিয়েছেন, তিনি নিকটবর্তী ব্যক্তির কাছ থেকে সালাত ও সালাম শুনেন, আর দূরবর্তী ব্যক্তিদের কাছ থেকে সালাত ও সালাম তাঁর কাছে পৌঁছে। -মাজমুউল ফাতাওয়া ২৬/১৪৭
সৌদী আরবের শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মদ ইবনে কাসেম আন-নাজদী রাহ. (মৃত্যু. ১৩৯২) ইবনে তাইমিয়া রাহ-এর এ বক্তব্যটিই সমর্থনপূর্বক উল্লেখ করেছেন। -আর-রাউজুল মুরবি এর টীকা ৪/১৯৩
ইবনে তাইমিয়া রাহ. বলেন, উপরোক্ত ব্যাখ্যাটি যথার্থ। কেননা, সাহাবায়ে কেরাম মনে করলেন, যার কাছে সালাত ও সালাম পেশ করা হবে তাঁকে তো স্বশরীরে জীবিত থাকতে হবে। আর মৃত্যুর পর তো সকলের ন্যায় নবীও মাটির সাথে মিশে যাবেন। তাহলে কীভাবে তাঁর কাছে সালাম পেশ করা হবে? উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘নবীদের দেহ মাটির জন্য হারাম’। অর্থাৎ আমি স্বশরীরেই জীবিত থাকব। কারণ যদি নবীজীর উদ্দেশ্য হত রূহের জগতে রূহের কাছে সালাম পেশ করা হবে, তাহলে তিনি বলতেন, সালাম তো রূহের কাছে পাঠানো হবে, দেহ মাটির সাথে মিশে যাওয়ার সাথে এর সম্পর্ক কী? তাছাড়া কবর থেকে সালাত ও সালাম শুনতে পাওয়ার বিষয়টি আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত অন্য একটি শক্তিশালী হাদীস দ্বারাও প্রমাণিত যার বিবরণ সামনে আসছে।
-
এ হাদীসটি ভিন্ন সনদে হযরত আবুদ-দারদা রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাতে রয়েছে- ( ﻓﻨﺒﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺣﻲ ﻳﺮﺯﻕ ) : “সুতরাং আল্লাহর নবী জীবিত এবং রিযিক প্রাপ্ত”। -সুনানে ইবনে মাযাহ, হাদীস ১৬৩৭
এ বর্ণনার সকল রাবী নির্ভরযোগ্য।(১৩) হাফেজ বূছিরী (মিছবাহুয যুজাজায়) ইমাম নববী (আল-আযকারে), হাফেজ মুন্যিরী (আত-তারগীব ওয়াত-তারহীবে), ইবনে হাজার (তাহযীবুত তাহযীবে যায়েদ ইবনে আইমান-এর আলোচনায়), মুল্লা আলী কারী রাহ. (মিরকাতে) এবং শাওকানী রাহ. (নাইলুল আউতারে) ও শামসুল হক আযীমাবাদী (আওনুল মা‘বুদে) এর সনদকে জায়্যিদ তথা উত্তম বলেছেন। বিশেষত হাদীসের মূল অংশটি পূর্বোক্ত আউস ইবনে আউস বর্ণিত সহীহ হাদীস দ্বারা সমর্থিত। আর শেষ অংশটি সূরা বাকারার ১৫৪ নম্বর আয়াত ও সূরা আলে ইমরানের ১৬৯ নম্বর আয়াত দ্বারা সমর্থিত। তাই হাদীসের প্রথম অংশের ন্যায় শেষ অংশটিও সহীহ।
এ হাদীস থেকে স্পষ্ট হল- নবীদের দেহ কবরে দুনিয়ার জীবনের মতই সুসংরক্ষিত রয়েছে। স্বশরীরে জীবিত অবস্থায়ই তাঁর কাছে সালাত ও সালাম পেশ করা হয়। তিনি নিকটবর্তী ব্যক্তির কাছ থেকে সালাত ও সালাম শুনতে পান। এবং শহীদদের মত তাঁরাও আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রিযিকপ্রাপ্ত হন।
-
(চার) হযরত আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
ﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﻋَﻠَﻲَّ ﻋِﻨْﺪَ ﻗَﺒْﺮِﻱ ﺳَﻤِﻌْﺘُﻪُ، ﻭَﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﻋَﻠَﻲّ َﻧَﺎﺋِﻴًﺎ ﻣِﻨْﻪُ ﺃُﺑْﻠِﻐْﺘُﻪ .
“ যে আমার কবরের পাশে আমার উপর সালাত পেশ করে আমি তা শুনি। এবং যে দূরে থেকে আমার উপর দরূদ পড়ে তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়”।(১৪ )
(কিতাবুস সওয়াব, আবু হাইয়ান ইবনু আবিশ শায়খ ইছফাহানী, ফাতহুল বারী ৬/৬০৫, আল-কাওলুল বাদী পৃ. ১৬০)
-
যারা এ হাদীসকে শক্তিশালী বলেছেন-
হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. হাফেজ সাখাবী রাহ. আল্লামা সুয়ূতি রাহ. ইবনু র্আরাক্ব আল-কিনানী, শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহ. সম্ভবত এ শক্তিশালী সূত্রটি পাননি। তাই অন্য একটি দুর্বল সূত্র উল্লেখ করে বলেন : হাদীসের এ সূত্রে দুর্বলতা সত্তেও বর্ণনাটির বিষয়বস্তু প্রমাণিত। অন্যান্য হাদীস দ্বারা এর সমর্থন পাওয়া যায়।
তাছাড়া এ হাদীসে উল্লিখিত সালাত ও সালাম শুনতে পাওয়ার বিষয়টি হযরত আউস ইবনে আউস রা. থেকে বর্ণিত তৃতীয় নম্বরে আলোচিত হাদীসটি দ্বারা সমর্থিত। আর দূরে থেকে সালাত ও সালাম পৌঁছার বিষয়টি অনেক সহীহ হাদীস দ্বারা সমর্থিত।
সুতরাং এ হাদীস থেকে বুঝা গেল- কবরের পাশ থেকে সালাত ও সালাম পেশ করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা সরাসরি শুনতে পান। সরাসরি সালাম শোনার বিষয়টি যারা স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- শায়েখ ইবনে তাইমিয়া রাহ. ও তাঁর শিষ্যদ্বয় শায়খ ইবনুল কায়্যিম রাহ. ও ইবনে আব্দুল হাদী রাহ.। উলামায়ে নাজ্দের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আব্দিল ওয়াহ্হাব, আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মদ ইবনে কাসেম, মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল লতীফ আলে শায়খ। গাইরে মুকাল্লিদ আলেমদের মধ্যে নবাব সিদ্দীক হাসান, আতাউল্লাহ হানীফ ও ইসমাঈল গায্নাবী প্রমুখ। (মাকামে হায়াত, ড. খালেদ মাহমূদ পৃ.৫৪৫-৫৫৭)
স্বাভাবিকভাবেই কারো মনে প্রশ্ন হতে পারে, মাটির নিচ থেকে সালাম কী করে শোনেন? এর উত্তরে দুটি কথা বলা যেতে পারে। (এক) এটি র্বাযাখের কথা কর্তব্য। হাদীসে সালাত ও সালাম শুনতে পাওয়ার কথা এসেছে তাই তা বিশ্বাস করা। কিন্তু কীভাবে শুনেন তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। (দুই) তবে এতটুকু যে, নবীজী দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থায়ও অনেক সময় মাটির নিচে কবরে সংঘটিত আযাব শুনতে পেয়েছেন। যা বিভিন্ন সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তদ্রƒপ কবর থেকে উপরের আওয়াজ শুনতে পান। কিন্তু কীভাবে শুনেন বিষয়টি আমাদের উপলব্ধির বাইরের। (মাকামে হায়াত পৃ.৫৩২-৫৩৩)
-
(পাঁচ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
ﺇِﻥَّ ﻟِﻠَّﻪِ ﻣَﻼﺋِﻜَﺔً ﺳَﻴَّﺎﺣِﻴﻦ ﻓِﻲ ﺍﻷَﺭْﺽ ِﻳُﺒَﻠِّﻐُﻮﻧِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﺍﻟﺴَّﻼﻡَ .
“ আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত একদল ফেরেশতা রয়েছেন যারা দুনিয়াতে ঘুরে বেড়ান এবং আমার উম্মতের সালাম আমার কাছে পৌঁছে দেন”। -সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৯১৪
যারা এ হাদীসকে সহীহ বলেছেন:
ইমাম হাকেম ইমাম যাহাবী রাহ. হাফেজ ইবনুল কায়্যিম রাহ. একে সহীহ বলেছেন। শায়খ শুআইব আরনাউত বলেন, হাদীসটি সহীহ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। (সহীহ ইবনে হিব্বানের টীকা ৩/১৯৫)
-
(ছয়) হযরত আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
ﻟَﺎﺗَﺠْﻌَﻠُﻮﺍ ﺑُﻴُﻮﺗَﻜُﻢْ ﻗُﺒُﻮﺭًﺍ، ﻭَﻟَﺎﺗَﺠْﻌَﻠُﻮﺍ ﻗَﺒْﺮِﻱ ﻋِﻴﺪًﺍ، ﻭَﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻲَّ، ﻓَﺈِﻥَّ ﺻَﻠَﺎﺗَﻜُﻢْ ﺗَﺒْﻠُﻐُﻨِﻲ ﺣَﻴْﺚُ ﻛُﻨْﺘُﻢ .
“ তোমরা তোমাদের ঘরকে কবর বানিও না। আর আমার কবরে উৎসব করো না (বার্ষিক, মাসিক সাপ্তাহিক কোনো আসরের আয়োজন করো না)। আমার উপর সালাত পাঠাও। কেননা তোমরা যেখানেই থাক তোমাদের সালাত আমার কাছে পৌঁছবে।
-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২০৪২; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৩৮৬৫
হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. বলেন, এর সনদ সহীহ। (ফাতহুল বারী ৬/৬০৬, আরো দেখুন, মজমুউল ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়া ২৬/১৪৭)

উপরিউক্ত ৫ ও ৬ নং হাদীস দুটি থেকে বুঝা গেল, দূর থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে সালাত ও সালাম পাঠালে তা নবীজীর কবরে পৌঁছে দেওয়া হয়।
-
(সাত) হযরত আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
ﻣَﺎ ﻣِﻦ ﺃَﺣَﺪٍ ﻳُﺴَﻠِّﻢُ ﻋَﻠَﻲَّ، ﺇِﻟَّﺎ ﺭَﺩَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻲّ ﺭُﻭﺣِﻲ ﺣَﺘَّﻰ ﺃَﺭُﺩَّ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻡ .

" মৃত্যুর পর) যে কেউ আমাকে সালাম করবে, সেই আমাকে এ অবস্থায় (জীবিত) পাবে যে, আল্লাহ তাআলা আমার মধ্যে (এর পূর্বেই) রূহ ফিরিয়ে দিয়েছেন। (অর্থাৎ মৃত্যুর পরই আমার রূহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দিয়ে জীবিত করে দেবেন) যাতে আমি তার সালামের জবাব দেই’। (সুনানে আবু দাউদ হা.২০৪১)
-
যারা হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
ইমাম নববী ও ইমাম সাখাবী রাহ. বলেন, হাদীসটি সহীহ। শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানী রাহ.ও বর্ণনাটি তাঁর ‘আস-সহীহায়’ উল্লেখ করেছেন। (সিলসিলাতুস সহীহা, হাদীস ২২২৬)
-
হাদীসের অর্থ
হাদীসের অর্থ হল মৃত্যুর পরই আমার মধ্যে রূহ ফিরিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা আমাকে জীবিত করবেন। আর এ জীবন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে। ফলে যে কেউ আমাকে সালাম করলেই জীবিত পাবে। আমি তার সালামের জবাব দেব।
এ হাদীস থেকে বুঝা যায়- প্রথমত নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরে স্বশরীরে জীবিত। যে জীবনে দেহের মধ্যে রূহ বিদ্যমান থাকে। এ জীবন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। দ্বিতীয়ত ‘যে কেউ তাঁকে সালাম দেয় তিনি উত্তর দেন’- কথা থেকে বুঝা যায় তিনি সালাম সরাসরি শুনেন এবং উত্তর দেন। তাছাড়া এ বিষয়টিও সকলেরই জানা যে, দিন রাত সর্বাবস্থায়ই কবরের নিকট থেকে ও দূর থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত ও সালাম অব্যাহত থাকে। সারাক্ষণ কেউ না কেউ কোন না কোনভাবে সালাত ও সালাম পেশ করতে থাকে। আর নবীজী এর উত্তর দিতে থাকেন। সুতরাং সব সময় যেহেতু সালাত ও সালাম চলতেই থাকে তাই এ হাদীসের বহ্যিক অর্থ ধরলেও বলতে হবে নবীজী কবরে জীবিত।
তাই সকল মুসলমানের এই আকিদা থাকা অবশ্যক যে সকল নবী রাসূল তাদের কবরে স-শরিরে জীবিত
যদিও পথভ্রষ্ট তথাকথিত আহলে হাদীস ও তাদের গুরু ডাঃ জাকির নায়েকের আক্বিদা নবি সাঃ মরে মাটির সাথে মিশে গেছে,নাউজুবিল্লাহ,
আল্লাহ তথাকথিত আহলে হাদিস ও জাকের নায়কের ফেতনা থেকে সকল মুসলমান কে হেফাজত করুক।


Saturday, July 23, 2016

পুরুষ



পুরুষ মানুষ আসলে কি ?
পুরুষ মানুষ আল্লাহ্‌র একটি সুন্দর সৃষ্টি যাদের খুব কম বয়স থেকেই সব কিছুতে ছাড় দেয়া শিখতে হয় । 😖
ছোট বেলা থেকেই শুরু হয়ে যায় তাদের ছাড় দেয়ার শিক্ষা । কখনও নিজের ছোট বোনকে চকলেট দিয়ে । কখনও নিজের ছোট ভাইকে পছন্দের ব্যাটটা দিয়ে দিয়ে ।😞
হয়ত তার স্বপ্ন থাকে চারুকলায় ভর্তি হবে কিন্তু বাবা মা কে খুশি করতে নিজের স্বপ্নটাও বিসর্জন দিয়ে বুয়েটে অথবা মেডিকেল এ ভর্তি হয় ।😞
নিজের পুরা পকেট খরচ ভালোবাসার মানুষটিকে গিফট কিনে দেয়ার জন্যই ব্যয় করতে হয় তাদের । সাথে টিউশনির টাকাটাও থাকে কখনও । কত দুপুর কাটে শুধু সিঙ্গারা আর চা খেয়ে । কত রাস্তা পার হয় খালি পায়ে হেটে । 😞
নিজের পুরো যৌবন দিন রাত কাজ করে কাটিয়ে দেয় তারা পরিবার বৌ বাচ্চার জন্য ।😞
বৌ বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা ভেবে ব্যাংক লোন নেয়া তারা আর সারাজীবন পরিশ্রম করে সেই ব্যাংক লোন শোধ করে ।😞
এতো পরিশ্রম করে কিন্তু তারপরও মা , বৌ , বস সবার কাছে ঝাড়ি খেতে হয় সবসময় । 😞
পুরুষ মানুষের জীবন শেষ হয় সবার খুশির জন্য নিজের খুশি কম্প্রোমাইজ করতে করতে । 
যদি সে বাহিরে বাহিরে থাকে তাহলে সে উড়ালচন্ডি ।
যদি সে ঘরে থাকে তাহলে অলস ।
যদি সে বাচ্চাদের শাসন করে তাহলে সে অমানুষ ।
যদি বাচ্চাদের শাসন না করে তাহলে সে দায়িত্বজ্ঞানহীন । 
যদি সে বৌকে চাকরি করতে না দেয় তাহলে সে নারীর স্বাধীনতার / সমঅধিকারের বিরোধী ।
যদি সে বৌকে চাকরি করতে দেয় তাহলে সে বৌ এর টাকায় বসে খায় ।
যদি মায়ের কথা শোনে তাহলে মায়ের ছেলে।
যদি বৌ এর কথা শোনে তাহলে বৌ এর গোলাম ।
এভাবেই পার হয় প্রত্যেক পুরুষ মানুষের জীবন । তোমরা কখনই জানবে না একটা পুরুষ মানুষকে কত কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হয় । কত চাওয়াপাওয়া বিসর্জন দিতে হয় প্রিয় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ।
হয়ত এই লেখাটা পড়ে পুরুষ মানুষদের মুখে হাসি আসবে । হয়ত নারীরা একটু হলেও বুঝতে পারবে তাদের মূল্য । 😞


Thursday, July 21, 2016

মহত্ব

৬। যে কোন কাজের মাধ্যমেই মানুষ মহত্বের পরিচয় দিতে পারে। -রোমেনা আফাজ বই দস্যু বনহুর, ২ খ / ৭২২ পৃষ্ঠা 


Wednesday, July 20, 2016

পীর মুরীদ


পীর শব্দটি ফার্সি। আরবীতে বলা হয় মুরশীদ।
মুরশীদ শব্দের অর্থ হল পথপ্রদর্শক। যিনি
আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে
চান সেভাবে পালন করার প্রশিক্ষণ দেন তার নাম
মুরশীদ বা পথপ্রদর্শক। যাকে ফার্সীতে
বলে পীর।
“মুরীদ” শব্দটিও আরবী। যার অর্থ হল
ইচ্ছাপোষণকারী। যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ
নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে
পালন করার ইচ্ছা পোষণ করে কোন বুযুর্গ
ব্যক্তির হাত ধরে শপথ করে, সে ব্যক্তির নাম হল
“মুরীদ”।
এ ব্যাখ্যা থেকে একথা স্পষ্ট হল যে, পীর
হবেন শরীয়তের আদেশ নিষেধ পালন করার
প্রশিক্ষণদাতা। আর যিনি সে প্রশিক্ষণ নিতে চায়
সে শিক্ষার্থীর নাম হল “মুরীদ”।
সুতরাং যে ব্যক্তি নিজেই শরীয়তের বিধান মানে
না, নামায পড়ে না, পর্দা করে না, সতর ঢেকে
রাখে না বা শরীয়তের আবশ্যকীয় কোন বিধান
পালন করে না, সে ব্যক্তি কিছুতেই পীর তথা
মুর্শীদ হতে পারে না। কারণ তার নিজের মাঝেই
যখন শরীয়ত নেই, সে কিভাবে অন্যকে
শরীয়তের উপর আমল করা প্রশিক্ষণ দিবে?
নিজেইতো প্রশিক্ষিত নয়।
আর পীর মুরীদির এ পদ্ধতি রাসূল সাঃ থেকে
চলে আসছে। রাসূল সাঃ সাহাবাদের আল্লাহমুখী
হওয়ার প্রশিক্ষণ দিতেন। সাহাবারা রাসূল সাঃ এর কাছ
থেকে প্রশিক্ষণ নিতেন। বলা যায় রাসূল সাঃ হলেন
সবচে’ প্রথম ও বড় পীর, ও সাহাবায়ে কিরাম
হলেন প্রথম মুরীদ।
কুরআন হাদীসে পীর মুরিদীর প্রমাণ
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন-
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁَﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻛُﻮﻧُﻮﺍ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼَّﺎﺩِﻗِﻴﻦَ ( 119 )
অনুবাদ-হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর, আর
সৎকর্মপরায়নশীলদের সাথে থাক। {সূরা
তাওবা-১১৯)
এ আয়াতে কারীমায় সুষ্পষ্টভাবে বুযুর্গদের
সাহচর্যে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ﺍﻫْﺪِﻧَﺎ ﺍﻟﺼِّﺮَﺍﻁَ ﺍﻟْﻤُﺴْﺘَﻘِﻴﻢَ (6 ) ﺻِﺮَﺍﻁَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻤْﺖَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ
অনুবাদ-আমাদের সরল সঠিক পথ [সীরাতে
মুস্তাকিম] দেখাও। তোমার নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দাদের
পথ। {সূরা ফাতিহা-৬,৭}
সূরায়ে ফাতিয়ায় মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর
নিয়ামাতপ্রাপ্তবান্দারা যে পথে চলেছেন
সেটাকে সাব্যস্ত করেছেন সীরাতে
মুস্তাকিম।
আর তার নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা হলেন-
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻴِّﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺼِّﺪِّﻳﻘِﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀِ ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ
অনুবাদ-যাদের উপর আল্লাহ তাআলা নিয়ামত
দিয়েছেন, তারা হল নবীগণ, সিদ্দীকগণ,
শহীদগণ, ও নেককার বান্দাগণ। {সূরা নিসা-৬৯}
এ দু’ আয়াত একথাই প্রমাণ করছে যে, নিয়ামতপ্রাপ্ত
বান্দা হলেন নবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ,
আর নেককারগণ, আর তাদের পথই সরল সঠিক তথা
সীরাতে মুস্তাকিম। অর্থাৎ তাদের অনুসরণ
করলেই সীরাতে মুস্তাকিমের উপর চলা হয়ে
যাবে।
যেহেতু আমরা নবী দেখিনি, দেখিনি
সিদ্দীকগণও, দেখিনি শহীদদের। তাই আমাদের
সাধারণ মানুষদের কুরআন সুন্নাহ থেকে বের
করে সীরাতে মুস্তাকিমের উপর চলার চেয়ে
একজন পূর্ণ শরীয়তপন্থী হক্কানী বুযুর্গের
অনুসরণ করার দ্বারা সীরাতে মুস্তাকিমের উপর
চলাটা হবে সবচে’ সহজ। আর একজন শরীয়ত
সম্পর্কে প্রাজ্ঞ আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির সাহচর্য
গ্রহণ করার নামই হল পীর মুরিদী।
রাসূলে কারীম সাঃ একাধিক স্থানে নেককার
ব্যক্তিদের সাহচর্য গ্রহণ করার প্রতি গুরুত্বারোপ
করেছেন। যেমন-
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ
( ﻣﺜﻞ ﺍﻟﺠﻠﻴﺲ ﺍﻟﺼﺎﻟﺢ ﻭﺍﻟﺴﻮﺀ ﻛﺤﺎﻣﻞ ﺍﻟﻤﺴﻚ ﻭﻧﺎﻓﺦ ﺍﻟﻜﻴﺮ ﻓﺤﺎﻣﻞ ﺍﻟﻤﺴﻚ
ﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﻳﺤﺬﻳﻚ ﻭﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﺗﺒﺘﺎﻉ ﻣﻨﻪ ﻭﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﺗﺠﺪ ﻣﻨﻪ ﺭﻳﺤﺎ ﻃﻴﺒﺔ ﻭﻧﺎﻓﺦ ﺍﻟﻜﻴﺮ
ﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﻳﺤﺮﻕ ﺛﻴﺎﺑﻚ ﻭﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﺗﺠﺪ ﺭﻳﺤﺎ ﺧﺒﻴﺜﺔ )
অনুবাদ-হযরত আবু মুসা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ
ইরশাদ করেছেন-সৎসঙ্গ আর অসৎ সঙ্গের
উদাহরণ হচ্ছে মেশক বহনকারী আর আগুনের
পাত্রে ফুঁকদানকারীর মত। মেশক বহনকারী হয়
তোমাকে কিছু দান করবে কিংবা তুমি নিজে কিছু
খরীদ করবে। আর যে ব্যক্তি আগুনের
পাত্রে ফুঁক দেয় সে হয়তো তোমার কাপড়
জ্বালিয়ে দিবে, অথবা ধোঁয়ার গন্ধ ছাড়া তুমি আর
কিছুই পাবে না। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫২১৪,
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬৮৬০, মুসনাদুল বাজ্জার,
হাদীস নং-৩১৯০, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস
নং-৪৮৩১, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬১,
মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৪২৯৫, মুসনাদে
আহমাদ, হাদীস নং-১৯৬৬০, মুসনাদুল হুমায়দী,
হাদীস নং-৭৭০, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২৬২২,
মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং-১৩৭৭, মুসনাদে তায়ালিসী,
হাদীস নং-৫১৫}
এছাড়াও অনেক হাদীস নেককার ও বুযুর্গ
ব্যক্তিদের সাহচর্য গ্রহণের প্রতি তাগিদ বহন
করে। আর সবচে’ বড় কথা হল-বর্তমান সময়ে
অধিকাংশ মানুষই দ্বীন বিমুখ। যারাও দ্বীনমুখী,
তাদের অধিকাংশই কুরআন হাদীসের আরবী
ইবারতই সঠিকভাবে পড়তে জানে না, এর অর্থ
জানবেতো দূরে থাক। আর যারাও বাংলা বা অনুবাদ
পড়ে বুঝে, তাদের অধিকাংশই আয়াত বা হাদীসের
পূর্বাপর হুকুম, বা এ বিধানের প্রেক্ষাপট, বিধানটি
কোন সময়ের জন্য, কাদের জন্য ইত্যাদী
বিষয়ে সম্যক অবহিত হতে পারে না। তাই বর্তমান
সময়ে একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে কুরআন
সুন্নাহ থেকে নিজে বের করে আল্লাহ তাআলার
উদ্দিষ্ট সীরাতে মুস্তাকিমে চলা বান্দার জন্য
কষ্টসাধ্য। তাই আল্লাহ তাআলা সহজ পথ বাতলে
দিলেন একজন বুযুর্গের পথ অনুসরণ করবে,
তো সীরাতে মুস্তাকিমেরই অনুসরণ হয়ে
যাবে।
কিন্তু কথা হচ্ছে যার অনুসরণ করা হবে সে
অবশ্যই সীরাতে মুস্তাকিমের পথিক হতে
হবে। অর্থাৎ লোকটি {মুরশীদ বা পীর} এর
মাঝে থাকতে হবে শরীয়তের পূর্ণ অনুসরণ।
বাহ্যিক গোনাহ থেকে হতে হবে মুক্ত।
কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে হতে হবে প্রাজ্ঞ।
রাসূল সাঃ এর সুন্নাতের উপর হতে হবে অবিচল।
এমন গুনের অধিকারী কোন ব্যক্তি যদি পাওয়া যায়,
তাহলে তার কাছে গিয়ে তার কথা মত দ্বীনে
শরীয়ত মানার নামই হল পীর মুরিদী। এরই
নির্দেশ আল্লাহ তাআলা কুরআনে দিয়েছেন-
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁَﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻛُﻮﻧُﻮﺍ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼَّﺎﺩِﻗِﻴﻦَ ( 119 )
অনুবাদ-হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর, আর
সৎকর্মপরায়নশীলদের সাথে থাক। {সূরা
তাওবা-১১৯)বিঃদ্রঃ আখেরাতে নাজাত পাওয়ার জন্য
মুরীদ হওয়া জরুরী নয়।
তবে একজন হক্কানী পীরের কাছে মুরীদ
হলে শরীয়তের বিধান পালন ও নিষিদ্ধ বিষয়
ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ঠা আসে
মুরুব্বীর কাছে জবাবদিহিতা থাকার দরুন। সেই সাথে
আল্লাহর ভয়, ইবাদতে আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
পক্ষান্তরে বেদআতি, ভন্ড, মাজারপূজারী,
বেপর্দা পীরের কাছে মুরিদ হলে ঈমানহারা
হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে
আটরশী, দেওয়ানবাগী, কুতুববাগী,
মাইজভান্ডারী, রাজারবাগী, ফুলতলী,
মানিকগঞ্জী, কেল্লাবাবা ইত্যাদী পীর
সাহেবের দরবারে গেলে ঈমানহারা হওয়ার সমূহ
সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সাবধান পীর নির্ধারণের
ক্ষেত্রে।
প্রসঙ্গ মাযার
“মাযার” শব্দটি আরবী। বাংলা অর্থ হল যিয়ারতের
স্থান। যে স্থানকে যিয়ারত করা হয়, তার নামই মাযার।
মুসলমানের কবর যিয়ারত করা জায়েজ। রাসূল সাঃ ইরশাদ
করেছেন-
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﺑﺮﻳﺪﺓ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - «
ﻧﻬﻴﺘﻜﻢ ﻋﻦ ﺯﻳﺎﺭﺓ ﺍﻟﻘﺒﻮﺭ ﻓﺰﻭﺭﻭﻫﺎ ﻓﺈﻥ ﻓﻰ ﺯﻳﺎﺭﺗﻬﺎ ﺗﺬﻛﺮﺓ
অনুবাদ-হযরত ইবনে বুরাইদা রাঃ তার পিতা থেকে
বর্ণনা করেন। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমি
তোমাদের কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলা,
এখন যিয়ারত কর। [কোন সমস্যা নেই।]। কেননা
কবর যিয়ারত মৃত্যুকে স্মরণ করে দেয়। {সুনানে
আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৭০০, সহীহ মুসলিম, হাদীস
নং-২৩০৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৫৭১,
সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৬৯}
কবর যিয়ারত করা ছাড়া কবর তথা মাযার ঘিরে আরো
যত কাজ করা হয়, তা সবই বিদআত। এসব করা জায়েজ
নেই। যেমন-
১-মাযার ঘিরে উরস করা।
২-মাযারে বাতি প্রজ্বলন করা
৩-মাযারে মান্নত মানা।
৪-মাযারে গিয়ে দুআ করা। মৃত ব্যক্তির কাছে
নিজের প্রয়োজন পূর্ণ করে দেওয়ার আবেদন
করা।
৫-মাযারে শিন্নি পাকানো ইত্যাদী সকল কাজই
বিদআত ও শরীয়ত গর্হিত কাজ। এসব করা খুবই
গোনাহের কাজ। এসবের কোন ভিত্তি ইসলামে
নেই। সম্পূর্ণ হারাম এ সকল কাজ।
মাযার ঘিরে উরস করা হারাম
স্বীয় কবরকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান করাকে
নিষিদ্ধ করে আল্লাহর নবী ইরশাদ করেন-
ﻋﻦ ﺃﺑﻰ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ -ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ- « ﻻ ﺗﺠﻌﻠﻮﺍ
ﺑﻴﻮﺗﻜﻢ ﻗﺒﻮﺭﺍ ﻭﻻ ﺗﺠﻌﻠﻮﺍ ﻗﺒﺮﻯ ﻋﻴﺪﺍ ﻭﺻﻠﻮﺍ ﻋﻠﻰ ﻓﺈﻥ ﺻﻼﺗﻜﻢ ﺗﺒﻠﻐﻨﻰ ﺣﻴﺚ
ﻛﻨﺘﻢ (ﺳﻨﻦ ﺍﺑﻰ ﺩﺍﻭﺩ- ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻤﻨﺎﺳﻚ، ﺑﺎﺏ ﺯﻳﺎﺭﺓ ﺍﻟﻘﺒﻮﺭ، ﺭﻗﻢ
ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 2044- )
“তোমরা স্বীয় ঘরকে কবর বানিয়োনা। (অর্থাৎ
কবরের ন্যায় ইবাদত-নামায, তেলাওয়াত ও যিকির ইত্যাদি
বিহীন করনা।) এবং আমার কবরে উৎসব করোনা।
(অর্থাৎ বার্ষিক, মাসিক বা সাপ্তাহিক কোন আসরের
আয়োজন করনা। তবে হ্যাঁ আমার উপর দুরূদ পাঠ
কর। নিশ্চয় তোমরা যেখানেই থাক না কেন
তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌঁছে থাকে।
(আল্লাহ তায়ালার ফেরেশতারা পৌঁছিয়ে
দেন।)” (সুনানে আবু দাউদ: হাদিস নং-২০৪৪/৪০)
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে- রাসূলে সাঃ নিজ রওযা
মুবারকে উৎসব (উরস) পালন করতে বারণ
করেছেন। তাহলে অন্য কে আর এমন আছে
যার কবরে তা বৈধ হবে?
হাদিসের বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার আল্লামা মুনাভী রহঃ এই
হাদিসের ব্যাক্ষা করতে গিয়ে বলেন-
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻤﻨﺎﻭﻱ ﻭﻳﺆﺧﺬ ﻣﻨﻪ ﺃﻥ ﺍﺟﺘﻤﺎﻉ ﺍﻟﻌﺎﻣﺔ ﻓﻲ ﺑﻌﺾ ﺃﺿﺮﺣﺔ ﺍﻷﻭﻟﻴﺎﺀ ﻓﻲ
ﻳﻮﻡ ﺃﻭ ﺷﻬﺮ ﻣﺨﺼﻮﺹ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﻳﻘﻮﻟﻮﻥ ﻫﺬﺍ ﻳﻮﻡ ﻣﻮﻟﺪ ﺍﻟﺸﻴﺦ ﻭﻳﺄﻛﻠﻮﻥ
ﻭﻳﺸﺮﺑﻮﻥ ﻭﺭﺑﻤﺎ ﻳﺮﻗﺼﻮﻥ ﻓﻴﻪ ﻣﻨﻬﻲ ﻋﻨﻪ ﺷﺮﻋﺎ ﻭﻋﻠﻰ ﻭﻟﻲ ﺍﻟﺸﺮﻉ ﺭﺩﻋﻬﻢ
ﻋﻠﻰ ﺫﻟﻚ ﻭﺇﻧﻜﺎﺭﻩ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻭﺇﺑﻄﺎﻟﻪ ( ﻋﻮﻥ ﺍﻟﻤﻌﺒﻮﺩ- ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻤﻨﺎﺳﻚ ﺑﺎﺏ ﺯﻳﺎﺭﺓ
ﺍﻟﻘﺒﻮﺭ- 6/23 )
“এ হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, সাধারণ মানুষ যারা
বছরের কোন নির্দিষ্ট মাসে বা দিনে (উরসের
নামে) ওলীদের মাযারে একত্রিত হয় এবং বলে-
আজ পীর সাহেবের জন্ম বার্ষিকী (মৃত্যু
বার্ষিকী), সেখানে তারা পানাহারেরও আয়োজন
করে, আবার নাচ গানেরও ব্যবস্থা করে থাকে, এ
সবগুলিই শরীয়ত পরিপন্থী ও গর্হিত কাজ। এ সব
কাজ প্রশাসনের প্রতিরোধ করা জরুরী। (আউনুল
মা’বুদ-৬/২৩)
মাযার ঘিরে বাতি প্রজ্বলন হারাম
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﻗﺎﻝ : ﻟﻌﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺯﺍﺋﺮﺍﺕ
ﺍﻟﻘﺒﻮﺭ ﻭﺍﻟﻤﺘﺨﺬﻳﻦ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﺍﻟﻤﺴﺎﺟﺪ ﻭﺍﻟﺴﺮﺝ (ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ - ﺃﺑﻮﺍﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ
ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ، ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﻓﻲ ﻛﺮﺍﻫﻴﺔ ﺃﻥ
ﻳﺘﺨﺬ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻘﺒﺮ ﻣﺴﺠﺪﺍ - 2/136 )
“হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত যে,
আল্লাহর নবী সাঃ অভিশম্পাত করেছেন
(বেপর্দা) কবর যিয়ারতকারীনী মহিলাদের উপর,
এবং সেসব লোকদের উপর যারা কবরকে মসজিদ
বানায়(কবরকে সেজদা করে) এবং সেখানে বাতি
প্রজ্জ্বলিত করে। (জামি তিরমীযী-২/১৩৬)
উক্ত হাদিসে সুষ্পষ্ট কবরে বাতি
প্রজ্জ্বলনকারীরউপর আল্লাহ তায়ালার অভিশম্পাত
করেছেন আল্লাহর নবী সাঃ।
মাযারে মান্নত করা হারাম
আল্লাহ ছাড়া কারো নামে মান্নত বা কুরবানী করা
যায়না। কারণ মান্নত ও কুরবানী হচ্ছে ইবাদত। আর
ইবাদত আল্লাহ ছাড়া কারা জন্য করা জায়েজ নয়। মহান
রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-
ﻗُﻞْ ﺇِﻥَّ ﺻَﻼَﺗِﻲ ﻭَﻧُﺴُﻜِﻲ ﻭَﻣَﺤْﻴَﺎﻱَ ﻭَﻣَﻤَﺎﺗِﻲ ﻟِﻠّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ( 162 ) ﻻَ
ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ﻭَﺑِﺬَﻟِﻚَ ﺃُﻣِﺮْﺕُ ﻭَﺃَﻧَﺎْ ﺃَﻭَّﻝُ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ ( 163 ) ( ﺳﻮﺭﺓ
ﺍﻷﻧﻌﺎﻡ 163-162-)
“আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কুরবানী এবং আমার
জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহর
জন্যই। তাঁর কোন অংশিদার নেই। আমি তা-ই
করতে আদিষ্ট হয়েছি এবং প্রথম আনুগত্যশীল।
(সূরা আনআম-১৬২-১৬৩)
সূরা কাউসারে মহান রাব্বুর আলামীন বলেন- ﻓَﺼَﻞِّ
ﻟِﺮَﺑِّﻚَ ﻭَﺍﻧْﺤَﺮْ ( 2 )( অতএব আপনার পালনকর্তার
উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কুরবানী করুন। (সূরা
কাউসার-২)
আল্লাহ তাআলা আমাদের দ্বীন পালনের নামে
বদ্বীনী কাজ করা থেকে হিফাযত করুন।
আমীন। ছুম্মা আমীন।
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ