Buy IP

********** Welcome to Buy ip **********

Thursday, June 9, 2016

তারাবীহ ২০ রাকাত



 বিশ রাকাত তারাবীর হাদীস এবং কথিত শায়খ সমাচার।(১)
.
লা মাযহাবী শায়খদের প্রতি অন্তরে এক ধরণের ঘৃণা জন্ম নিয়েছে। বিশেষত দিন দুপুরে তাদের নির্লজ্জ মিথ্যাচার দেখলে যে কোন আহলে ইলমের অন্তরাত্বা কেঁপে উঠবে। তারাবীহ সম্পর্কে গত কিছুদিন শায়খদের অনেকগুলো লেকচার এবং তাদের লিখিত বই পড়ার সুযোগ হয়েছে। শায়খ আবদুর রাযযাক বিন ইউসুফের দুটি লেকচারে শুনলাম, উমর রাঃ এর যুগে বিশ রাকাত তারাবীহ সংক্রান্ত সকল হাদীসকে তিনি এক বাক্যে জাল বলে দিয়েছেন! যদিও তিনি কি কারণে জাল, তা স্পষ্ট করেননি! এরপর শায়খ মুযাফফার বিন মুহসিনের লিখিত “তারাবীহর রাক‘আত সংখ্যা, একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ” নামের একটি বই পড়ার সৌভাগ্য হয়! সেখানে তিনি উমর রাঃ এর যেুগে বিশ রাকাত তারাবীহ পড়া সংক্রান্ত হাদীসগুলোকে জাল বলেছেন এবং কারণও দেখিয়েছেন! কিন্তু কারণ দেখাতে গিয়ে তার মুখোশ খসে পড়ে এবং তার চেহারার ক্লেদাক্ততা আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। আজকের পর্বে শুধুমাত্র সাইব ইবনু ইয়াযিদ রাঃ এর সূত্রে বর্ণিত হাদীস নিয়ে পর্যালোচনা করব। প্রথমে হাদীসটি দেখুন:
عن السائب بن يزيد قال:كانوا يقومون على عهد عمر بن الخطاب في شهر رمضان بعشرين ركعة:
“সায়িব ইবনু ইয়াযিদ রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ওমর রাঃ এর যামানায় রামাযান মাসে লোকেরা ২০ রাক‘আত ছালাত আদায় করত।(আস সুনানুল কুবরা, বায়হাকী, হাদীস নং, ৪৬৯৮)
হাদীসটিকে অনেক মুহাদ্দিস সহীহ বলেছেন। নিম্নে কয়েকজনের বক্তব্য উল্লেখ করা হল।
ইমাম নববী রহঃ (৬৭৬হিঃ) বলেন:
وَعَن السَّائِب بن يزِيد الصَّحَابِيّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْه ، قَالَ : " كَانُوا يقومُونَ عَلَى عهد عمر بن الْخطاب رَضِيَ اللَّهُ عَنْه فِي شهر رَمَضَان بِعشْرين رَكْعَة ، وَكَانُوا يقراؤون بالمئين ، وَكَانُوا يتوكؤون عَلَى عصيهم فِي عهد عُثْمَان من شدَّة الْقيام " رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ بِإِسْنَاد صَحِيح 
অর্থাৎ, হাদীসটি ইমাম বায়হাকী রহঃ সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।(খুলাসাতুল আহকাম, ১/৫৭৬. মুআসিসাতুর রিসালাহ)
ইমাম ইরাকী রহঃ (৮০৬হিঃ) বলেন,
وفي سنن البيهقي بإسناد صحيح عن السائب بن يزيد رضي الله عنه قال كانوا يقومون على عهد عمر بن الخطاب رضي الله عنه في شهر رمضان بعشرين ركعة
অর্থাৎ, সায়িব ইবনু ইয়াযিদের হাদীসটি ইমাম বায়হাকী রহঃ সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।(ত্বারাহুত তাছরীব,৩/৮৮. দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ)
হাফেজ বদরুদ্দীন আইনী(৮৫৭হিঃ) রহঃ বলেন:
رواه البيهقي بإسناد صحيح عن السائب بن يزيد الصحابي قال كانوا يقومون على عهد عمر رضي الله تعالى عنه بعشرين ركعة
অর্থাৎ, সায়িব ইবনু ইয়াযিদের হাদীসটি ইমাম বায়হাকী রহঃ সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।(উমদাতুল কারী, ৮/৪৮৫. মাকাবাতুশ শামেলা)
হাফেজ ইবনুল মুলাক্কিন রহঃ বলেন:
وَرَوَى الْبَيْهَقِيّ بِإِسْنَاد صَحِيح عَن عمر «أَن النَّاس كَانُوا يقومُونَ عَلَى (عَهده) بِعشْرين رَكْعَة»
অর্থাৎ, হাদীসটি বায়হাকী সহীহ সনদে উমর রাঃ থেকে বর্ননা করেছেন। ( আল বাদরুল মুনীর, ৪/৩৫০. দারুল হিজরাহ)
.
শায়খ মুযাফফার বিন মুহসিন হাদীসটিকে জাল বলেছেন এবং কারণ হিসাবে তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন। নিম্নে তার কারণ সম্পর্কে আলোকপাত করা হল। তিনি বলেন: “প্রথমত এর সনদে আবু আবদুল্লাহ ইবনে ফানজুবী আদ-দায়নুরী নামক রাবী আছে। সে মুহাদ্দিসদের নিকট অপরিচিত। রিজাল শাস্ত্রে এর কোন অস্তিত্ব নেই”।(তারাবীর রাকআত সংখ্যা, ২৯)
আমরা দেখি যে, এ হাদীসের আরো সনদ রয়েছে। যে সনদে উক্ত রাবী নেই। উদাহরণ স্বরুপ ইমাম ইবনুল যা’দ রহঃ এর “মুসনাদে” হদীসটি আছে। সে সনদে আবদুল্লাহ ইবনে ফানযুবী নেই। সনদসহ হাদীসটি দেখুন,
حدثنا علي أنا بن أبي ذئب عن يزيد بن خصيفة عن السائب بن يزيد قال كانوا يقومون على عهد عمر في شهر رمضان بعشرين ركعة وإن كانوا ليقرءون بالمئين من القرآن 
অর্থাৎ, ইবনুল যা’দ বর্ণনা করেন আলী থেকে, তিনি বর্ণনা করেন ইবনু আবি যি’ব থেকে, তিনি বর্ণনা করেন ইয়াযিদ বিন খুসাইফা থেকে, তিনি বর্ণনা করেন সায়িব ইবনে ইয়াযিদ রাঃ থেকে। (মুসনাদু ইবনুল যা’দ, ২৮২৫. মুআসসিসা নাদের, বায়রুত)
এমনভিাবে ইমাম বায়হাকী রহঃ “মা’রেফাতুস সুনানি ওয়াল আছারে” হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। সে সনদেও আবদুল্লাহ ইবনে ফানযুবী নামক রাবী নেই। বায়হাকীর সনদ হল:
أخبرنا أبو طاهر الفقيه قال : أخبرنا أبو عثمان البصري قال : حدثنا أبو أحمد محمد بن عبد الوهاب قال : أخبرنا خالد بن مخلد قال : حدثنا محمد بن جعفر قال : حدثني يزيد بن خصيفة ، عن السائب بن يزيد قال : « كنا نقوم في زمان عمر بن الخطاب بعشرين ركعة والوتر » وأخبرنا أبو زكريا قال : أخبرنا أبو الحسن الطرائفي قال : حدثنا عثمان بن سعيد قال : حدثنا يحيى بن بكير قال : حدثنا مالك قال : وحدثنا القعنبي فيما قرأ على مالك ، عن يزيد بن رومان ، أنه قال : « كان الناس يقومون في زمان عمر بن الخطاب في رمضان بثلاث وعشرين ركعة »
অর্থাৎ,খালেদ বিন মাখলাদ বর্ণনা করেন মুহাম্মাদ বিন জাফর থেকে, তিনি ইয়যিদ বিন খুসাইফা থেকে, তিনি সায়িব ইবনে ইয়াযিদ রাঃ থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। (মা’রেফাতুস সুনানি ওয়াল আছার, ১১৪৩. শামেলা)
মুযাফফার বিন মুহসিন চতুরতার সাথে এ সনদগুলো এড়িয়ে গেছেন। যদি ইবনে ফানযুবীর কারণে হাদীসট জাল হয়, তাহলে এ সনদগুলোতে ইবনে ফানযুবী নেই! সুতরাং হাদীসটি সহীহ।
দ্বিতীয়ত: তিনি বলেছেন: সে মুহাদ্দিসদের নিকট অপরিচিত। রিজাল শাস্ত্রে এর কোন অস্তিত্ব নেই”। এ কথা চরম মূর্খতার প্রমাণ। কারণ আবদুল্লাহ হলেন হাফিজুল হাদীস। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস। দেখুন রিজাল শাস্ত্রের প্রসিদ্ধ ইমাম যাহাবী (৭৪৮হিঃ) কি বলেন?
والمحدث أبو عبد الله الحسين بن محمد الحسين بن عبد الله فنجوية الثقفي الدينوري الحافظ بنيسابور
অর্থাৎ, আবু আবদুল্লাহ ইবনে ফানযুয়াহ, আদ দিইনাওয়ারী। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস, তিনি ছিলেন হাফিজুল হাদীস। নিশাপুরের অধিবাসী।(তারিখুল ইসলাম, ৩/২৪৪)
এবার বলুন, ইমাম যাহাবী যাকে হাফিজুল হাদীস বলেছেন, মুযাফার বিন মুহসিন বলচেন, রিজাল শাস্ত্রে এর কোন অস্থিত্ব নেই! মূর্খতারওতো একটা সীমা থাকা চাই। 
আল্লামা ইবনুল আছীর জাযারী রহঃ বলেন:
عرف بها أبو عبد الله الحسين محمد بن الحسين بن فنجوية الفنجوبي الدينوري الحافظ. روى عن أبي الفتح محمد بن الحسين الأزدي الموصلي أبي بكر بن مالك القطعي وغيرهما . روى عنه أبو إسحاق الثعلبي فأكثر في تفسيره. ويذكره كثيرا فيقول أخبرنا الفنجوبي.
ফানযুবী নিসবতে প্রসিদ্ধ হলেন আবু আবদুল্লাহ হুসাইন মুহাম্মাদ বিন ফানযুয়াহ আদ দিইনাওয়াী। তিনি হলেন হাফিজুল হাদীস। তিনি আবুল ফাতহ আল আযদী এবং আবু বকর আল কুতাইয়ী এবং অন্যান্নদের থেকে বর্ণনা করেন।তার থেকে আবু ইসহাক ছা’লাবী বর্ণনা করেছেন। তাফসীরে তিনি তার থেকে অধিক রেওযায়াত করেছেন।(তারাবীর নামায, মুহাদ্দিসে কাবীর আল্লামা হাবীবুর রহমান আযমী, পৃষ্টা নং, ৫৮)
আপনি এবার বলুন, এ ধরণের প্রসিদ্ধ হাফেজুল হাদীস সম্পর্কে মুযাফফার বিন মুহসিন কেমন মূর্খতাপূর্ণ বক্তব্য দিলেন? হয়ত তিনি মূর্খ, অথবা জ্ঞানপাপী কাযযাব!
এছাড়া তিনি লিখেছেন আদ –দায়নুরী। যা পরিস্কার ভুল! বিশুদ্ধ হল আদ দিইনাওয়ারী! হরকাত না থাকার কারণে তিনি এমন হাস্যকর ভুল করে ফেললেন! দিইনাওয়ার হল প্রসিদ্ধ একটি শহর। তার দিকে নিসবত করে দিইনাওয়ারী। কিন্তু তিনি লিখেছেন আদ- দায়নুরী! আরবী ভাষা সম্পর্কে কেমন অপরিপক্ক তিনি, তা উলঙ্গভাবে প্রকাশ পেয়েছে এখানে! এরপর তিনি মুবারকপুরীর একটি ইবারত নকল করেছেন এবং অনুবাদে দুইটি হাস্যকর ভুল করেছেন! 
.
জালিয়তি।২য় দোষ সম্পর্কে শায়খ লিখেন: “উক্ত বর্ণনায় ইয়াযীদ ইবনে খুসাইফা নামে একজন মুনকার রাবী আছে। সে ছহীহ হাদীছের বিরোধী হাদীস বর্ণনাকারী। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল এজন্য তাকে মুনকার বলেছেন এবং আল্লামা যাহাবী ওইবনু হাজার আসক্বালানী তা সমর্থন করেছেন”।(তারাবীহর রাকআত সংখ্যা:পৃষ্টা নং,৩০. আছ ছিরাত প্রকাশনী)
মাত্র কয়েক লাইনে শায়খ অনেকগুলো মিথ্যাচার এবং জালিয়াতি করেছেন। প্রথম কথা হল ইয়াযীদ ইবনে খুসাইফা বুখারী, মুসলিমের বর্ণনাকারী। ইমাম বুখারী এবং মুসলিম রহঃ ‘সহীহ বুখারী’ এবং ‘সহীহ মুসলীমে’ তার সূত্রে বর্ণিত হাদীস রেওয়ায়াত করেছেন। উদাহরণ স্বরুপ শায়খ যুহাইর নাসের তাহকীককৃত বুখারীর ৪৭০. ১০৭২. ২৩২৩. ২৩২৫ নংহাদীস দেখা যেতে পারে। ইমাম বুখারী রহঃ ইয়াযীদ ইবনে খুসাইফার সুত্রে বর্ণিত হাদীস রেওয়ায়াত করেছেন। এমনিভাবে শায়খ ফুয়াদ আবদুল বাকী দাঃবাঃ তাহকীককৃত মুসলিম শরীফের ৫৭৭. ১৫৭৬. ২১৫৩. ২৫৭২ নং হাদীস দেখ যেতে পারে। ইমাম মুসলিম রহঃও ইয়যীদ ইবনে খুসাইফার সূত্রে বর্ণিত হাদীস রেওয়ায়াত করেছেন। মুযাফফার বিন মুহসিনের কথা অনুযায়ী যদি ইয়াযীদ ইবনে খুসাইফা সহীহ হাদীসের বিরোদী হাদীস বর্ণনাকারী হয়ে থাকেন, তাহলে ইমাম বুখারী এবং মুসলিম রহঃ কনে তার সূত্রে উল্লেখিত হাদীস বর্ণনা করলেন? তাহলে কি বুখারী, মুসলিমে তার সূত্রে বর্ণিত হাদীসগুলো জাল??
এবার দেখুন, ইয়াযীদ ইবনে খুসাইফা সম্পর্কে জরাহ, তাদীলের ইমামগণ কি বলেন? প্রথমে আমি হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী লিখিত “তাহযীবুত তাহযীব’ এর পুরো ইবারত উল্লেখ করছি। তিনি বলেন:
يزيد بن عبد الله بن خصيفة بن عبد الله بن يزيد الكندي المدني روى عن أبيه والسائب بن يزيد ويزيد بن عبد الله بن قسيط ومحمد بن عبد الرحمن بن ثوبان وعمرو بن عبد الله بن كعب وبسر بن سعيد وعبد الله بن عبد القاري وغيرهم وعنه الجعيد بن عبد الرحمن ومالك وأبو علقمة الفروي وسليمان بن بلال وإسماعيل بن جعفر والسفيانان والداروردي وآخرون قال الأثرم عن أحمد وابو حاتم والنسائي ثقة وقال الآجري عن أبي داود قال أحمد منكر الحديث وقال بن أبي مريم عن بن معين ثقة حجة وقال بن سعد كان عابدا ناسكا كثير الحديث ثبتا وذكره بن حبان في الثقات
অর্থাৎ, আছরাম ইমাম আহমদ থেকে বর্ণনা করেন, ইমাম আহমদ তাকে ‘ছিকাহ’ বলেছেন। এমনিভাবে ইমাম আবু হাতিম এবং নাসায়ীও তাকে ‘ছিকাহ’ বলেছেন। আবুদাউদ ইমাম আহমদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি তাকে মুনকারুল হাদীস বলেছেন। ইমাম ইবনে মায়ীন তাকে ‘ছিকাহ, হুজ্জত’ তথঅ চুড়ান্ত পর্যায়ের গ্রহণযোগ্য রাবী বলেছেন। ইবনে সা’দ বলেন, তিনি বেশি ইবাদাত গুজার এবং হজ পালনকারী। হাদীসের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত এবং গ্রহণযোগ্য। ইবনে হিব্বান রহঃ ছিকাহ বর্ণনাকারীদের জীবনিগ্রন্থ “কিতাবুছ ছিকাতে” তার জীবনি উল্লেখ করেছেন”।(তাহযীবুত তাহযীব, ৯/৩৫৫.৩৫৬. দারুল ফিকর, বায়রুত)
আমরা দেখলাম ইয়াযীদ ইবনে খুসাইফাকে ইবনে মায়ীন, আবু হাতিম, নাসায়ী, ইবনে সা’দ এবং ইবনে হিব্বান ছিকাহ বলেছেন। ইমাম আহমদ থেকে বর্ণনা মুখতালিফ। এক বর্ণনায় তিনি তাকে ছিকাহ বলেছেন। অপর বর্ণননায় তিনি তাকে মুনকারুল হাদীস বলেছেন। মুযাফফার বিন মুহসিন সবগুলো বাদ দিয়ে শুধু একটি বর্ণনা দ্বারা হাদীসকে জাল বানিয়ে ফেললেন! ইলমের এ কেমন আমানতদারী! এছাড়া ইমাম আহমদের বক্তব্য নকল করতে তিনি চরম অপরিপক্কতার প্রমাণ দিয়েছেন। কারণ ইমাম আহমদ তাকে মুনকার বলেনি। ‘মুনকারুল হাদীস’ বলেছেন।কারণ মুনকার হাদীসের বিশেষণ হয়ে থাকে। বর্ণনকারীর নয়। 
এরপর তিনি বলেন: এবং আল্লামা যাহাবী ওইবনু হাজার আসক্বালানী তা সমর্থন করেছেন”।আসুন প্রথমে আমরা ইমাম যাহাবীর পূর্ণ বক্তব্য দেখি।তিনি বলেন:
يزيد بن عبدالله بن خصيفة . وقد ينسب إلى جده فيقال : يزيد بن خصيفة . عن السائب بن يزيد ، وعروة ، ويزيد بن عبدالله بن قسيط . وعنه مالك ، وطائفة . وثقه أحمد من رواية الاثرم عنه ، وأبو حاتم ، وابن معين ، والنسائي . وروى أبو داود أن أحمد قال : منكر الحديث 
অর্থাৎ, ইয়াযীদ ইবনে খুসাইফা,আছরামের বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম আহমদ তাকে ছিকাহ বলেছেন। এমনিভাবে আবু হাতিম, ইবনে মায়ীন, নাসায়ী রহঃ তাকে ছিকাহ বলেছেন। আবু দাউদের বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম আহমদ তাকে মুনকারুল হাদীস বলেছেন।(মিযানুল ই’তেদাল, তরজমা নং, ৯৭১৫)
আপনি বলুন, ইমাম যাহাবী কোথায় সমর্থন করলেন? যদি নকল করার দ্বারা সমর্থন হয়ে যায়, তাহলে তিনি ইবনে মায়ীন, আবু হাতীম এবং নাসায়ী এবং আছরামের বর্ণনাকেও সমর্থন করেছেন। মুযাফফার বিন মুহসিন কেন পুরো বক্তব্য বাদ দিয়ে শেষেরটা গ্রহণ করলেন? েএমন খেয়ানত করতে আল্লাহর ভয়ে কি তার অন্তরাত্বা কেঁপে উঠেনি?
হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানীর পুরো বক্তব্য পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনিও শুধু নকল করেছেন। এখন তার আরো কিছু কিতাবের বক্তব্য দেখি। আসমাউর রিজালের প্রসিদ্ধ কিতাব “তাকরীবুত তাহযীবে” হাফেজ ইবনে হাজার বলেন:
يزيد بن عبد الله بن خصيفة بمعجمة ثم الركعة بن عبد الله بن يزيد الكندي المدني وقد ينسب لجده ثقة من الخامسة
অর্থাৎ, ইয়াযীদ ইবনে আবদুল্লাহ, তিনি হলেন ছিকাহ তথা বিশ্বস্ত এবং গ্রহণযোগ্য বর্ণনাকারী। (তাকরীবুত তাহযীব, তরজমা নং, ৭৭৩৮. শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা দাঃবাঃ তাহকীককৃত)
‘লিসানুল মিযানে’ হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী বলেন:
يزيد بن عبد الله بن خصيفة بن عبد الله بن يزيد الكندي المدني عن السائب بن يزيد وعروة بن الزبير وعنه بن جريج وسليمان بن بلال وإسماعيل بن جعفر وطائفة وثقه أبو حاتم والنسائي وابن معين وأحمد 
অর্থাৎ, ইয়াযীদ ইবনে কুসাইফা, ইমাম আবু হাতিম, নাসায়ী, ইবনে মায়ীন এবং ইমাম আহমদ তাকে ছিকাহ বলেছেন। (লিসানুল মিজান, ৭/৫২৮৮)
হাফেজ ইবনে হাজার এখানে আবু দাউদের বর্ণনা উল্লেখ করেননি। এছাড়া ‘তাকরীবে’ তিনি একবাক্যে তাকে ছিকাহ বলেছেন। কিন্তু কথিত শায় মুযাফফার বিন মুহসিন বলেন, হাফেজ ইবনে হাজার ইমাম আহমদের বক্তব্য মুনকারুল হাদীস নাকি সমর্থন করেছেন?? মিথ্যার কি চুড়ান্ত পরাকাষ্টা প্রদর্শন! 
এখন প্রশ্ন হল, ইয়াযীদ ইবনে খুসাইফা ছিকাহ রাবী। তাহলে আবু দাউদের বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম আহমদ তাকে কেন ‘মুনকারুল হাদীস’ বললেন? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ। তিনি তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘ফাতহুল বারী’ এর ভূমিকায় বলেন:
يزيد بن عبد الله بن خصيفة الكندي وقد ينسب إلى جده قال بن معين ثقة حجة ووثقه أحمد في رواية الأثرم وكذا أبو حاتم والنسائي وبن سعد وروى أبو عبيد الآجري عن أبي داود عن أحمد أنه قال منكر الحديث قلت هذه اللفظة يطلقها أحمد على من يغرب على أقرانه بالحديث عرف ذلك بالاستقراء من حاله وقد احتج بابن خصيفة مالك والأئمة كلهم
অর্থাৎ, ইয়াযীদ ইবনে খুসাইফাকে ইবনে মায়ীন ছিকাহ এবং হুজ্জাত বলেছেন। আছরামের বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম আহমদ তাকে ছিকাহ বলেছেন। এমনিভাবে আবু হাতিম, নাসায়ী এবং ইবনে সা’দ তাকে ছিকাহ বলেছেন। আবু দাউদের বর্ণন অনুযায়ী ইমাম আহমদ তাকে মুনকারুল হাদীস বলেছেন। 
হাফেজ ইবনে হাজার বলেন, ইমাম আহমদ ‘মুনকারুল হাদীস’ সে সব রাবীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন, যারা তাদের সাথীদের তুলনায় আশ্চর্যজনক হাদীস বর্ণনা করে। এটা তার অবস্থা পর্যালোচনা দ্বারা বুঝা গেছে। ইবনে খুসাইফা দ্বারা ইমাম মালেক এবং অন্যন্ন সকল ইমাম দলীল দিয়েছেন। অর্থাৎ, তার সূত্রে বর্ণিত হাদীস রেওয়ায়াত করেছেন।( হাদয়ূস সারী, পৃষ্টা নং, ৪৫৩. দারুল মা’রেফা, বায়রুত)
এবার আপনি বলুন, এ ধরণের একজন গ্রহণযোগ্য রাবীকে মুযাফফার বিন মুহসিন জাল হাদীস বর্ণনাকারী বানিয়ে ফেললেন? তাও আবার ইমামদের নামে জগন্য মিথ্যাচার এবং জালিয়াতি করে? মনে হয় দুনিয়াতে তিনি একাই গভেষক হয়েছেন? তার এ চুরিগুলো আর কেউ ধরতে পারবেনা? শায়খ নামীয় এমন জগন্য প্রানীদের থেকে আল্লাহ মুসলিম মিল্লাতকে হেফাজত করুন।
চলবে.........ইনশাআল্লাহ।

No comments:

Post a Comment