
মৃত্যু ব্যাপারটা অবধারিত। তবে মানুষ একবারই মাত্র মরবে। মৃত্যুর পরে মানুষ যে জীবনে যাবে সেখানে তাকে অনেকবার মারা হলেও সে মরবে না।
এই ভয়াবহ অবস্থাটার নাম 'জীবন্মৃত' অবস্থা। মানুষ মরবে না, তবে যেভাবে থাকবে তাকে বেঁচে থাকা বলে না।
আখিরাতে মালাইকাদের হাতে কী ধরণের অস্ত্র-শস্ত্র থাকবে তার কিছু বর্ণনা কুরআন-সুন্নাহতে এসেছে। মুখের উপর কাফিরদের ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হবে। শিকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা থাকবে, বিশাল বিশাল মুগুর দিয়ে বাড়ি মারা হবে।
আমরা আসলে কুরআন-সুন্নাহকে বিশ্বাস করি না। আমাদের কাছে আখিরাত আছে--সেখানে আমাদের কৃতকর্মের শাস্তি হবে--এসব গালগল্প মনে হয়।
কিন্তু আখিরাত সত্য। আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আখিরাত সত্য না হলে 'ন্যায়' বিচার বলে কোনো জিনিস কখনও প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না।
মানুষ মনে করে অস্ত্র হাতে রাখার অধিকার থাকলে মানুষ মারার অধিকার পাওয়া যায়।
আপনি যাকে মারলেন সে মরে বেঁচে গেল। কিন্তু আপনাকে যখন মারতে মারতে জীবন্মৃত অবস্থায় রাখা হবে অনন্তকালের জন্য তখন কেমন লাগবে, ভেবে দেখেছেন কখনও? মার খাচ্ছেন কিন্তু মরছেন না? সহ্য করতে পারছেন না, কিন্তু মরছেন না? প্রতিদিন মারের পরিমাণ বাড়ছে। আগুনের তাপ বাড়ছে।
সহ্য করতে পারছেন না, আবার মরছেন-ও না।
সুখে আছেন ভাবছেন? প্রমোশন পাওয়ার শান্তিতে হাসছেন? গ্রেপ্তার করলেই হাজার বিশেক টাকা পাওয়া যায় ভাগে। এই টাকাতে কত অভিশাপ মিশে আছে জানেন?
যে ছেলেটাকে মারলেন তার মায়ের দীর্ঘশ্বাস, আহাজারি, অভিশাপ যে আপনার পরিবারে পড়বে না কীভাবে ভাবলেন?
আপনি আজ ভারি বুট দিয়ে কাউকে লাথি মারছেন। কেন ভাবছেন না, একদিন আপনার ছেলে আপনাকে লাথি মেরে বের করে দেবে। আপনার পায়ের জোর আর কত বছর টিকবে বলে মনে করেন? ২০? ৩০? ৫০?
আপনি কেন বিশ্বাস করেন না, আল্লাহ সব দেখেন, শোনেন, জানেন এবং বোঝেন?
নিশ্চয় মজলুম এবং আল্লাহর মাঝখানে কোনো পর্দা থাকে না।
No comments:
Post a Comment