Buy IP

********** Welcome to Buy ip **********

Thursday, June 23, 2016

ঈমান দীপ্ত কাহিনী



নব্বই_বছর_বয়স্ক_১_ব্যক্তির_ঈমা
ন_দীপ্ত_কাহিনী
# এক হাজি সাহেব নামটা মনে নেই,
তিনি বলেছেন-
আমি ১৯৮৫ সালে প্রথম বারের মত
জামাতে সময় লাগিয়েছি। তার আগে
তাবলীগ জামাতের লোকদের দেখলে
আমি পালিয়ে যেতাম। কারন এক দাড়ি
ওয়ালা লোক আমাকে বলেছিল, ঐ যে
গাঁটটি ওয়ালা লোক গুলোকে দেখছ ওরা
মানুষকে গোমরাহ করে এবং
মুসলমানদেরকে রাসুলের বিরুদ্ধে
উত্তেজিত করে। ওরা ব্রিটেন,
আমেরিকা ও রাশিয়ার হয়ে কাজ
করছে ! ওদের থেকে সাবধান থেকো। এ
কারনে আমি নামায পড়তে মসজিদে
গিয়ে যদি আমি তাবলীগ জামাতের
লোকদের দেখতাম, তা হলে তাড়াতাড়ি
নামায আদায় করে মসজিদ থেকে
বেরিয়ে যেতাম। অথচ আমার দীন ধর্মের
এই অবস্থা ছিল যে, ইসলামের কিছুই
জানতাম না। কি ভাবে অযু করতে হয়, কি
ভাবে ফরয গোছল করতে হয়, নামায পড়ার
সঠিক নিয়ম কি ? আমার তার সঠিক কিছুই
জানা ছিল না।
এখন আমার বয়স ৯০ বছর।
এই দীর্ঘ বয়সে শুধু ২০ বছর হল আমি
ইসলাম সম্পর্কে অবগত আছি। অবশিষ্ট ৭০
বছর আমি জানতাম না- অযু কি ভাবে
করতে হয়, নামায পরতাম! কিন্তু নিয়ম
নীতি সুরা কেরাত কিছুই জানতাম না।
রাজস্থানের বারমি অঞ্চলে থাকতাম।
১৯৬৩ সালে হজ করেছি, হজের সময় ভাল
একজন মুয়াল্লিম পেয়েছিলাম বলে কোন
রকমে হজটা আদায় করতে পেরেছি।
অন্যথায় হজের নিয়ম নীতি আমি কিছুই
জানতাম না। এই ৭০ টি বছর আমি একজন
গণ্ড মূর্খ হিসেবে জীবন কাটিয়েছি।
নিজ বাড়ি থেকে ২০ মাইল পরে গিয়ে
ঈদের নামায পড়তাম। সঙ্গে আরও লোক
থাকতো। নামাযের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা
উটে চড়ে যেতাম। পথে প্রস্রাব
পায়খানার প্রয়োজন হত, কিন্তু আমার
জানা ছিল না প্রস্রাব-পায়খানার
দ্বারা অযু ভেঙ্গে যায়।
এভাবেই ভারতে আমার জীবন
অতিবাহিত হচ্ছিল। ১৯৬৫ সালে
পাকিস্থান এসে এখানেও ২০ বছর পর্যন্ত
দীনি তালিম, নামায,অযু- গোসল
ইত্যাদির বিধি বিধান সম্পর্কে আমি
অজ্ঞই থাকলাম।
আল্লাহ এই তাবলীগ ওয়ালাদের মঙ্গল
করুন।
আলহামদুলিল্লাহ! এই তাবলীগ
ওয়ালাদের মেহনতের বদৌলতে আমি অযু-
গোসল, ও নামায ইত্যাদি বিধি বিধান
সম্পর্কে অবহিত। তাদের উছিলায় আমি
মৃত জীবনে প্রান ফিরে পেয়েছি। আমি
তাদের জন্য মন প্রান ভরে দোয়া করছি
এবং মৃত্যু পর্যন্ত দোয়া করতে থাকব।
বর্তমানে আমার সব সন্তানই তাবলীগ
জামাতের সাথে যুক্ত। দুই ছেলে সাল
লাগাচ্ছে। এক ছেলে কুরআনের হাফেয।
পরিবারের প্রতিজন সদস্য নামাযি। ঘরে
নিয়মিত তালিম চলে। এই বৃদ্ধ বয়সেও
আমি শেষ রাতে মসজিদে গিয়ে
তাহাজ্জুত নামায আদায় করি। আমার
জীবনের এই যে পরিবর্তন, এর সব টুকু
কৃতিত্ব তাবলীগ জামাতের! অন্যথায়
আমার অবস্থা খুব শোচনীয় ছিল। এখন
আমি যে কোন নেক কাজে স্বাদ পাই।
আমার এখন একমাত্র কামনা, যেন
ঈমানের সাথে আমার মৃত্যু হয়... আমিন ।।
# মুবল্লািগে_ইসলাম_মাওলানা_তারিক
_জামিল সাহেবের বয়ান থেকে ----
( # বারাকাল্লাহু_ফী_হায়াতিহী )
"""""""""" # আমীন


No comments:

Post a Comment