Buy IP

********** Welcome to Buy ip **********

Thursday, June 30, 2016

ঋণ



ছেলে মাকে বলছে, "মা" তুমি আমার
জন্য জীবনে অনেক কষ্ট করেছো ! বলো
তোমার কী খেতে মনে চায় ?? আমি
আজ তোমার ঋণ শোধ করবো ! মা বলছে
বাবা তাহলে বাজার থেকে
১টিকলা নিয়ে আসো ! তার পর ছেলে
রাতে কলা নিয়ে এলো ! মা বলছে
বাবা কলাটি তোমার বুকে উপরে রাখ
যখন আমি চাবো তখনি দিও !.ছেলে
ঘুমিয়ে গেলে পিঠের নিচে পরে
কলাটি চ্যাপটা হয়ে যায় ! সকাল
বেলা মা এসে কলা চাচ্ছে ! ছেলে
বলছে মা রাতে পিঠের নিচে পরে
চ্যাপটা হয়ে গেছে !মা প্রয়োজনে
আমি ১ কলা এনেদিবো !মা বলছে
বাবারে তোমাকে আমি পৌষ মাসের
শীতে ডান কাদে শুয়ায়ছি প্রসাব করে
দিয়েছিস ! বাম কাদে শুয়ায়ছি প্রসাব
করে দিয়েছিস ! তার পর বুকে
শুয়ায়ছি,প্রসাব করে বুক বিঝায়ে
দিয়েছিলি ! কই ১দিনের জন্য তো
পিঠের নিচে তরে ফালাইনি ! তুই কী
করে বলিস মায়ের ঋণ শোধ করে
দিবি??
পৃথিবীতে কেবল মাত্র বাবা মা তার
সন্তানকে স্বার্থহীন ভাবে
ভালবাসে !দুরের লোকের ভালবাসার
উদ্দেশ্য কিছু স্বার্থচিন্তা ! উদ্দেশ হীন
হলেই বুঝা যায় যেন ভাল বাসাটা
ছিলো বসন্ত কালের কোকিল !!!
“মায়ের একটি কষ্টের নিঃশ্বাস,
সাতটি দোযকের চেয়েও ভয়ংকর।
আর একটি সুখের হাসি, আটটি
বেহেস্তের সমান।”
_____বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)


Wednesday, June 29, 2016

কোরান সুন্নাহ



রাসূল সা. ডা.জাকির নায়িকের লামাযহাবিদের ব্যাপারে হাদীসে কি কি বলেছেন চলুন দেখি । দয়া করে নিরপেক্ষ মন নিয়ে সত্যকে জানার নিয়তে দেখবেন । ডা.জাকিরের দল লামাযহাবিদের প্রতি সমর্থন নিয়ে দেখলে কখনোই সত্যে পৌছাতে পারবেন না । নিরপেক্ষ মন নিয়ে দেখবেন । এবার আপনারা লক্ষ্য করুন ডা.জাকির নায়িকের লামাযহাবিরা বলে "Follow the Quran and authentic hadith" অর্থ্যাৎ কোরআন ও সহীহ হাদীসের উপর আমল কর । দেখুন তাদের কথাগুলো কতটা মোনাফেকি ধরনের । কথার একটি অংশ সঠিক । অন্য অংশটি গলদ । কোরআনকে অনুসরন করতে হবে সেটাত ঠিক কিন্তু হাদীসত অনুসরন করতে বলেন নি । তাহলে কোরআন অনুসরনের ভাল কথা বলে সেটার সাথে হাদীস অনুসরনের কথা যোগ করে এইভাবেই তারা মানুষদেরকে ধোকা দিচ্ছে । ভাল কথার সাথে ভুল মিশিয়ে ।আর লোকেরা না জানার কারনে ভাবে জাকির নায়িকত ঠিকই বলেছে (নাউযুবিল্লাহ) । নবীজী সা. এক হাদীসে বলেন: ‘শেষ যমানায় অনেক প্রতারক ও মিথ্যুক লোকের আবির্ভাব হবে, তারা তোমাদের কাছে এমন হাদীস পেশ করবে যা তোমরাও শুননি, তোমাদের পূর্বপুরুষরাও শুনেনি। সাবধান! তারা যেন তোমাদেরকে গোমরাহ করতে না পারে।’ সহীহ মুসলিম হা.নং ৭
নবী সা কখনোই হাদীস অনুসরন করতে বলেননি । বরং সুন্নত অনুসরন করতে বলেছেন । আর সব হাদীস সুন্নত নয় ফলে হাদীসের উপর নয় সুন্নতের উপরে আমল করতে হবে । যেমন অনেক হাদীস আছে যার হুকুম নবীজী সা. এর সাথে খাস যেমন: নবীজী সা. এর ১১টি বিবাহের কথা এবং মহর দেওয়া ছাড়া বিবাহ করার কথা হাদীসে এসেছে তো এগুলি হাদীস বটে, কিন্তু উম্মতের জন্য অনুসরণীয় নয়। (সুবুলুল হুদা ওয়াররশাদ ফী সীরাতে খাইরিল ইবাদ১১/১৪৩-২১৭) আর এমন অনেক হাদীস আছে যা নবীজী সা. কখনো কোনো বিশেষ প্রয়োজনে করেছেন যেমন: একবার কোমরে ব্যথা থাকায় বা বসলে কাপড়ে নাপাক লাগার আশংকায় তিনি দাঁড়িয়ে পেশাব করলেন, তো এই হাদীসের জন্য কি আপনি দাঁড়িয়ে পেশাব করাকে সুন্নাত বলবেন? এমনিভাবে নবীজী সা. ইহরাম অবস্থায় এবং রোযা অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন। (সহীহ বুখারী হা.নং১৯৩৮) তাই বলে কি আপনি ইহরাম ও রোযা অবস্থায় শিঙ্গা লাগানোকে সুন্নাত বলবেন? তাছাড়া শুধু জায়েয এ কথা বুঝানোর জন্য নবীজী সা. অনেক কাজ করেছেন যেমন: নবীজী সা. একবার তাঁর এক নাতনীকে (উমামাহ বিনতে যয়নাব) কোলে নিয়ে নামায পড়িয়েছেন। (সহীহ বুখারী হা.নং ৫১৬) এই ঘটনা তো হাদীসে এসেছে, তাই বলে কি আপনি বাচ্চা কোলে নিয়ে নামায পড়াকে সুন্নাত বলবেন? কক্ষনো না; বরং এই হাদীস দ্বারা নবীজী সা. একথা বুঝাতে চেয়েছেন যে, প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বাচ্চাকে কোলে নিয়েও নামায পড়া যেতে পারে। এমনিভাবে রোযা অবস্থায় নবীজী সা. তাঁর এক বিবিকে চুম্বন করেছেন। (সহীহ বুখারী হা.নং ১৯২৮) তাই বলে কি আপনি রোযা রেখে স্ত্রী চুম্বন করাকে সুন্নাত বলবেন?
উক্ত আলোচনা দ্বারা বুঝা গেল যে, আহলে হাদীস নামটাই ঠিক না। কারণ নবীজী সা. উম্মতকে কোথাও হাদীস মানতে বলেননি; বরং সুন্নাহ মানতে বলেছেন। যারা নিজেদেরকে আহলে হাদীস বলে তাদের উচিত ১১টি বিবাহ করা, মহর ছাড়া বিবাহ করা, ইহরাম ও রোযা অবস্থায় শিঙ্গা লাগানো, রোযা অবস্থায় স্ত্রী চুম্বন এবং দাঁড়িয়ে পেশাব করা ইত্যাদিকে সুন্নাত মনে করা। তারাবীহ নামায শুধু তিনদিন মসজিদে এসে পড়া, কারণ নবীজী সা. শুধু তিন দিনই মসজিদে এসে তারাবীহ পড়েছেন। (সহীহ বুখারী হা.নং২০১২) এমনিভাবে নামাযে কথা বলা ও সালাম দেওয়ার কথাও যেহেতু হাদীসে এসেছে তাই তাদের উচিত, নামাযে কথা বলা ও সালাম দেওয়া। কিন্তু তারা তো এসব করে না। তাহলে কীভাবে তারা আহলে হাদীস হলো? বুঝা গেল, তাদের নামটাই সঠিক না এবং তারা নিজেদেরকে আহলে হাদীস বললেও বাস্তবে তার সব হাদীস মানে না। তাছাড়া নবীজী সা. উম্মতকে সুন্নাহ আঁকড়ে ধরতে বলেছেন। হাদীস আঁকড়ে ধরতে বলেননি। তাই আমরা নিজেদেরকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ বলি অর্থাৎ আমরা নবীজী সা. এর সুন্নাত মানি এবং সাহাবায়ে কেরামের জামাআতকে অনুসরণ করি। নবীজী সা. উম্মতকে সুন্নাহ আঁকড়ে ধরতে বলেছেন ও মানতে বলেছেন এসম্পর্কীয় কয়েকটি হাদীস নিম্নে তুলে ধরা হলো:
১. المتمسك بسنتى عند فساد امتى فله اجر شهيد. المعجم الاوسط برقم:৫৪১৪
২. تركت فيكم امرين ...كتاب الله وسنة رسوله. المؤطا لمالك برقم:৮৯৯
৩. من احيا سنة من سنتى قد اميتت بعدى فان له من الاجرمثل اجورمن عمل بها.... ترمذى برقم:২৬৭৭
৪. من احيا سنتى فقد احبنى.... ترمذى برقم:২৬৭৮
৫. من اكل طيبا وعمل فى سنة وامن الناس بوائقه دخل الجنة. ترمذى برقم:২৫২০
৬. تمسك بسنة خير من احداث بدعة... مسند احمد৪/১০৫
৭. ما من نبي بعثه الله فى امته قبلى الا كان له فى امته حواريون واصحاب يأخذون بسنته...الصحيح لمسلم برقم:৮০
৮.عليكم بسنتى وسنة الخلفاء الراشدين المهديين تمسكوابها...ابوداؤد برقم:৪৬০৭
৯. ستة لعنتهم و لعنهم الله ... و التارك لسنتى. ترمذى برقم:২১৫৪
১০. فعليكم بماعرفتم من سنتى و سنة الخلفاء الراشدين... ابن ماجة برقم:৪৩
এই মুহূর্তে দশটি হাদীস উল্লেখ করা হলো যার সবকয়টির মধ্যে নবীজী সা. উম্মতকে সুন্নাহ আঁকড়ে ধরতে বলেছেন, সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করতে বলেছেন এবং সুন্নাহ তরককারীর উপর লানত করেছেন। একটি হাদীসের মধ্যেও তিনি হাদীসকে আঁকড়ে ধরতে বলেননি। আহলে হাদীস ফেরকাকে সীমাহীন সময় দেওয়া হলো, তারা এমন একটি হাদীস পেশ করুক যেখানে নবীজী সা. উম্মতকে হাদীস আঁকড়ে ধরতে বলেছেন কিংবা হাদীস অনুযায়ী উম্মতকে চলতে বলেছেন। হ্যাঁ নবীজী সা. হাদীসকে রেওয়ায়েত করতে বলেছেন, অন্যের কাছে পৌঁছাতে বলেছেন, কিন্তু আঁকড়ে ধরতে বা আমল করতে বলেননি। আমল করার জন্য হাদীস অবশ্যই সুন্নাহ পর্যায়ে পৌঁছতে হবে।
নবীজী সা. যেহেতু হাদীস ও সুন্নাহর মধ্যে পার্থক্য করে গেছেন অর্থাৎ সুন্নাহ এর উপর আমল করতে বলেছেন আর হাদীসকে শুধু রেওয়ায়েত করতে বলেছেন, তাই এই পার্থক্য ঠিক রাখার জন্য হাদীসের সংকলকগণ তাদের কিতাবের লেখকগণ নিজ নিজ কিতাবে ‘বাবুল ই‘তিসাম বিল কিতাবে ওয়াস্সুন্নাহ’ নামক শিরোনাম দিয়ে কুরাআন এবং সুন্নাহ আঁকড়ে ধরার ব্যাপারে নবীজী সা. এর বাণী উল্লেখকরেছেন। শিরোনাম লেখার ক্ষেত্রেও তারা হাদীস শব্দ ব্যবহার করেননি। এমনিভাবে আইম্মায়ে উসূল শরীয়তের দলীল চতুষ্টয় বর্ণনার সময় প্রথমে কিতাবুল্ল¬াহ এরপর সুন্নাতু রাসূলিল্লাহ বলেছেন। এখানেও তারা হাদীস শব্দ ব্যবহার করেননি। অর্থাৎ হাদীসু রাসূলিল্লাহ বলেননি। কারণ তারা বুঝতেন যে, হাদীস সাধারণভাবে উম্মতের আমল করার জন্য নয়; বরং সুন্নাহ অনুযায়ী উম্মতকে চলতে হবে, আমল করতে হবে। অথচ ডা জাকির নায়িক এবং তার দল লামযহাবিরা বলছে সহীহ হাদীস মানেন । নবী সা এর এই হাদীস তাদেরকে লক্ষ্য করেই বলেছেন " নবীজী সা. এক হাদীসে বলেন: ‘শেষ যমানায় অনেক প্রতারক ও মিথ্যুক লোকের আবির্ভাব হবে, তারা তোমাদের কাছে এমন হাদীস পেশ করবে যা তোমরাও শুননি, তোমাদের পূর্বপুরুষরাও শুনেনি। সাবধান! তারা যেন তোমাদেরকে গোমরাহ করতে না পারে।’" সহীহ মুসলিম হা.নং ৭
ডা জাকির নায়িক যে পড়াশোনা করেছে স্কুল কলেজে এবং যুবক বয়সেই তার আগমন জাহেলিয়াত ইসলাম প্রচারে । লক্ষ্য করে দেখবেন ডা জাকির নায়িকের ভক্ত শ্রোতাগন প্রায় সবই যুবক যুবতী যারা স্কুল কলেজে পড়ে ইসলামের ব্যাপারে এলেম কম তাদের সংখ্যাই বেশি । ফলে এদেরকে দলিল দিলেও বোঝেনা । ডা জাকির নায়িকের দাওয়াতি কাজ দেখলে মনে হয় ইসলামের সবচেয়ে বড় দাঈ তিনি ভাল ভাল কথা বলে মানুষের মন জয় করে চলছেন । হাদীসে দেখুন এইসব লোকদের ব্যাপারে কি বলা হয়েছে ঃ
আলী রা. বলেন আমি নবী সা কে বলতে শুনেছি যে শেষ যমানায় এমন একদল মানুষের আবির্ভাব হবে যারা হবে কমবয়স্ক এবং যাদের বুদ্ধি হবে স্বল্প । ভাল ভাল কথা বলবে কিন্তু তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে যেমন তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায় । তাদের ঈমান গলার নিচে পৌছবে না । সুতরাং তোমরা তাদেরকে যেখানে পাও হত্যা কর । এদের হত্যাকারির জন্য ক্বিয়ামাতে পুরস্কার রয়েছে । বোখারী ৫০৫৭, মুসলিম, ১২/৪৮ হা ১০৬৬
সুয়াইদ ইবনু গাফালা রহ হতে বর্নিত তিনি বলেন আলী রা বলেছেন আমি যখন তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূলের সা.কোন হাদীস বর্ননা করি তখন আমার এমন অবস্হা হয় যে তার উপর মিথ্যারোপ করার চেয়ে আকাশ হতে পড়ে ধ্বংস হয়ে যা যাওয়া আমার নিকট বেশি পছন্দনীয় এবং আমরা নিজেরা যখন আলোচনা করি তখন কথা হল এই যে যুদ্ধ ছল চাতুরী মাত্র । আমি নবী সা কে বলতে শুনেছি যে শেষ যুগে একদল যুবকের আবির্ভাব ঘটবে যারা হবে স্বল্প বুদ্ধি সম্পন্ন । তারা মুখে খুব ভাল কথা বলবে । তারা ইসলাম হতে বেরিয়ে যাবে যেভাবে তীর ধনুক হতে বেরিয়ে যায় । তাদের ঈমান গলদেশ পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করবে না । যেখানেই এদের সঙ্গে তোমাদের দেখা মিলবে এদেরকে তোমরা হত্যা করে ফেলবে । যারা তাদের হত্যা করবে তাদের এই হত্যার পরুষ্কার আছে ক্বিয়ামতের দিন । (আহমদ ৬১৬)
বোখারি শরীফে ডা জাকির নায়িকের এই সকল লামাযহাবিদের ব্যাপারে বলা হয়েছে যা
লামাযহাবিদের প্রকাশিত বোখারী তাওহীদ প্রকাশনি থেকেই তাদের পরিচয় প্রকাশ করছি ,ইবনু উমর রা তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্টির নিকৃষ্ট সৃষ্টি হিসেবে বিবেচনা করতেন এবং তিনি বলেছেন তারা এমন কিছু আয়াতকে মুমিনদের ওপর প্রয়োগ করেছে যা কাফিরদের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে ।বোখারী ৬ষ্ঠ খন্ড ২৫২ পৃ.
এবার দেখুন কোরআনের যেই আয়াতটি কাফিরদের নিয়ে কথা বলেছে সেটাকে মুসলিমদের বলে কিভাবে চালিয়ে দিচ্ছে ।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ كَثِيرًا مِنَ الْأَحْبَارِ وَالرُّهْبَانِ لَيَأْكُلُونَ أَمْوَالَ النَّاسِ بِالْبَاطِلِ وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ ۗ وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ
(৩৪) হে মুমিনগণ! নিশ্চয় অনেক পন্ডিত-পুরোহিত মানুষের ধন-সম্পদ অন্যায় উপায়ে ভক্ষণ করে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে থাকে।[1] আর যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তুমি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ শুনিয়ে দাও। [2] এখানে যে শব্দ ব্যবহার করেছে তার অর্থ সুদ্দী রহ. বলেন যে ইয়াহুদী আলেমদেরকে আহবার এবং খ্রীষ্ঠান আবেদদেরকে রুহমান বলা হয় । (ইবনে কাসীর পারা ১০)অথচ লামাযহাবিরা মুসলিম আলেমদেরকে ইয়াহুদী ও খৃষ্ঠান আলেমদের সাথে এক করে বিফ্রিং দিয়েছে । তবে হ্যা আল্লাহ তাআলা কখনো বেহুদা কোন কথা বলেন না । ফলে এটাতে নিশ্চই এই শিক্ষা আছে যে যারা ধোকাবাজ সূফি তাদের ব্যপারে সকর্ত থাকা । যেমন বহু পীর আছে মাজার ব্যবসা করে । কিন্তু পীর বা সূফি মানেই হারাম এটা কোরআন হাদীসেত নেই বরং সূফিদের মর্তবা অনেক বেশি । সূফি শব্দটি সূফফা থেকে আগত । আর নবী সা. এর দরবারে আসহাবে সূফফারা সারাদিন পড়ে থেকে এলেম শিখত । তাহলে আমাদেরকে সূফি পীর থেকে দূরে থাকতে বলেননি । বরং ভন্ড পীর সূফিদের থেকে দূরে থাকতে বলেছেন । অথচ কিছু নামধারি শায়খ যেমন আমানুল্লাহ মাদানি, মতিউর রহমান মাদানি ,কাজী ইবরাহীম , আব্বুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, এই সমস্ত যত ভন্ড আছে তারা মুসলিমদেরকে বেঈমান করে দিচ্ছে এলোমেলো তাফসীর করে । এইসব শায়েখ নামে ধোকাবাজদের থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক । এক হাদীসে আছে সবার প্রথমে জাহান্নামে ফেলে দেয়া হবে এক আলেমকে যে রিয়া করত । এখন আপনি কি বলবেন যে আলেম মানেই জাহান্নামী ? অবশ্যই না । তেমনি ধোকাবাজ সূফিদের বিষয়ে সাবধান করেছে বলে সব সূফিই ধোকাবাজ এটা মনে করা কুফূরি হবে ।
উপরের আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে ডা.জাকির নায়িক এবং তার দল লামাযহাবিরা সেই খারেজী যাদের নিয়ে ভবিষৎত করা হয়েছে । তারা যেই দাওয়াত দিচ্ছে সেটা দেখতে ইসলামের হলেও এটা মূলত আদৌ ইসলামের দাওয়াত নয় বরং ইহুদিদের দাওয়াত যদিও বাহ্যিকভাবে ইহুদি মনে হয়না । তাদেরকে হত্যা করা জায়েয তবে যেহেতু দেশের আইন হল নিজের হাতে হত্যা করা অন্যায় তাই হত্যা করা যাবে না । কারন দেশের আইন মান্য করা ফরয ।


বোরখা









রঙ্গিন বোরকা পরে পর্দা হয় না। বর্তমানে যে সকল ফ্যাসন্যাবল বোরকা বের হয়েছে তা মোটেই পর্দার বিধান অনুযায়ি নয়। এক সময় বোরকা পরা মেয়ে দেখলেই মনে এই খেয়াল আসত যে, মেয়েটি নিশ্চয়ই কিছুটা হলেও দ্বীনের বুঝ রাখে বা দ্বীনদার ফ্যামিলির মেয়ে। সপ্তাহ খনেক আগে একটি বোরকা পরা মেয়ে দেখলাম হাতে গিটার নিয়ে যাচ্ছে। ব্যাপারটা একটু কেমন যেন লাগল। পর্দা করে একটি মেয়ে গান-বাজনা করে, এটা কি করে সম্ভব! গত পৌরসু পরীক্ষার হলে এক বোরকা পরা ছাত্রিকে খাতা দিতে গিয়ে খেয়াল করলাম মেয়েটির আঙ্গুলে নেইল-পালিশ দেয়া, অর্থাৎ মেয়েটি এই রমজান মাসেও নামাজ পরে না। পর্দা করে অথচ নামাজ পরে না। ব্যাপারগুলো ভালো লাগল না। মনে হল বোরকা এখন আর সব মেয়েরা পর্দা করার জন্য ব্যবহার করে না, বরং ফ্যাসনের জন্য ব্যবহার করে। কিন্তু এরকম কেন? আমরা আমাদের মেয়েদের দ্বীন শিখাচ্ছি না বলেই তো এরকম হচ্ছে। মেয়েকে গিটার তো বাবা-মাই কিনে দিচ্ছেন যা রমজান মাসেও ব্যবহার করতে বাবা-মার পক্ষ থেকে কোন নিষেধ নেই। হাদিসে পাকে আছে, যে রমজান মাস পেল অথচ নিজের গোনাহ মাপ করাতে পারল না সে তো ধ্বংস হয়ে গেল।
রমজান আমাদের মাঝে এসেছে, আবার চলেও যাচ্ছে। যে যেই অবস্থাতে আছি কে জানে কতদিন বাচব, কে জানে কবে দুনিয়া থেকে চলে যাব। আসি আমরা সকলে তৌবা করি। এখন মাগফেরাতের মৌসুম। রমজান আমলের মৌসুম। এর মাঝে বড় একটি আমল হল রোজাদারকে ইফতার করানো। সবাই যারযার সামর্থ্য অনুযায়ি রোজাদারদের ইফতার করানো চাই। ইফতার পার্টি করা থেকে বিরত থাকি। ইফতার করানোকে ইবাদত মনে করা চাই, যার দ্বারা আখিরাতে আমি আল্লাহ্‌র কাছ থেকে প্রতিদান পাব। তামাসা করার জন্য ইফতার পার্টি না করি।
ফিতরা আদায়ে কার্পন্য না করা চাই। সরকারি যে হিসাব দেয়া হয় তাতে ফিতরার হক আদায় হয় না। আমরা কেও গম খাই না। আমরা ১০০ ভাগ বাঙ্গালীই চাল খাই। আর যে যেই চাল খায় সে সেই চালের হিসাবে ফিতরা দিবে কোন এক গরিব পরিবারকে। যে ৩৫টাকা দামের চাল খায় সে ৩৫ টাকা দামের চালের হিসাব করবে, যে ৫০ টাকা দামের চাল খায় সে ৫০ টাকা দামের চালের হিসাব করবে। ৫ টাকা করে ফকিরকে দিয়ে ফিতরা দেয়া উচিত নয়। আর যাদের কিছুটা সামর্থ্য আছে তারা ফিতরা দিবে খেজুর বা কিসমিসের দাম হিসাব করে।
আর যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে পুরাপুরি হিসাব করে দিতে হবে। এটা গরিব মুসলমানের হক। যাদের যাকাত আসে তারা নিকটস্থ কোন মসজিদ বা মাদ্রাসার মুফতি সাহেবদের সাথে পরামর্শ করে যাকাতের হিসাব করে নিবে। তারপর যাকাতের মাল কোন একজন গরিব মুসলমানকে দেয়া উচিৎ। কয়েকজনের জাকাতের টাকা একত্রিত করে যদি কোন গরিব মুসলমানের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া যায় তাহলে এই ব্যাক্তিকে পরের বছর আর জাকাতের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। আর যারা মানুষকে দেখানোর জন্য লাইন ধরিয়ে জাকাতের শারি লুঙ্গি বিতরণ করে এবং ছবি তুলে এদের উপর আল্লাহ্‌ ও তার রসুল (সাঃ)-এর লানত।
দুনিয়াতে আমদের একটাই জীবন। যা কিছু করার দুনিয়াতেই করে যেতে হবে। মৃত্যুর পর হায় হায় করে কোন লাভ হবে না। দুনিয়ার জীবন ধোকা ছাড়া কিছুই নয়। আজ আমরা যা কিছু নিয়ে ব্যস্ত মৃত্যুর পর এই সব কিছু আমার মুসিবতের কারণ যেন না হয়। আজ যারা আমার আপন মৃত্যুর পর তারাই যেন আমার দুশমন না বনে যায়। 


গর্ভের দাগ



মহিলাদের মাতৃত্বকালীন দাগের কারণ ও প্রতিকার

সন্তান জন্মদানের পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক মায়ের দাগ চলে যায়। আবার অনেক সময় সন্তান জন্মের পরও দাগ থেকে যায়। মায়েরা তাই চিন্তিত হয়ে পড়েন। অথচএকটু সচেতন হলে দাগ পড়া ভাবটা কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা যায়।
দাগের কারণ :- পেটের চামড়া চাপের কারণে ফেটে যায়। রিলাক্সিন, ইস্ট্রোজেন ও করটিসল হরমোন বেড়ে গিয়ে মিউকোপলিসেকারাইড জমা করে। যা যোজক কলা থেকে পানি শোষণ করে। ফলে যখন টান পড়ে, তখন সহজেই ওই স্থানে দাগের সৃষ্টি হয়ে যায়। কম বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন দাগ খুব সহজেই পড়ে।

দাগের লক্ষণ :-

লাল রঙের ক্ষত দাগ
জ্বালাপোড়া ও চুলকানি
পিগমেন্টেশন কম হওয়া
দাগের অংশটি গর্তের মতো হয়ে যাওয়া
লম্বালম্বিভাবে নাভির ওপরের অংশ থেকে নিচ পর্যন্ত দুই পাশেই দাগ হতে পারে।

প্রতিকার :- সবচেয়ে ভালো কাজ করে মূলত অলিভ অয়েল। গর্ভকালীন অবস্থায় দুবেলা অলিভ অয়েল লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া ট্রেটনইন ক্রিম, লোশন, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্যাস্টর অয়েলও ভালো কাজ করে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাজারে পাওয়া যায় এমন ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন।


ইমানদার


লোকটি অন্ধ..........
চোখেঁ দেখতে পায় না তাই আযান হলে মসজিদে নামাজ পড়তে আসে কিন্তু তাকে মসজিদে নিয়ে আসার কেউ নেই । তাই তিনি তার ঘর থেকে মসজিদে পযন্ত দড়ি বেধেছে । সেই ধরি ধরে ধরে তিনি প্রতি ওয়াক্ত নামাজে আসেন ।
আমরা যারা সুস্থ আছি । আল্লাহুর কাছে শুকরিয়া আদায় করি এবং পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করি ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তৌফিক দান কর...... আমিন।

Sunday, June 26, 2016

imam ajam


সেহরি খেতে বসে হঠাৎ চোখে পড়ে আরবী সংবাদ পত্রের দিকে লক্ষ্য করে দেখি ইমামে আজম ইমাম আবু হানিফার নাম।

দেখেই চমকে গেলাম কি ব্যাপার আহলে হাদীসরা দাবী করে আরবরা নাকি মাযহাবকে অস্বীকার করে ইমামদেরকে ও অস্বীকার করে তাহলে এখানে কি লেখা এগুলো? তাও আবার ইমাম আবু হানিফার নাম বিশাল বড় করে হেডিংয়ে লেখা। 
পেপার হাতে নিয়ে দেখি এটাতো সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি সংবাদপত্র ৯ জুন ২০১৬ইং "আল ইতিহাদ" যার জনপ্রিয়তা আরব বিশ্ব জুড়ে বিশেষ করে সৌদিআরবে।সৌদিআরব সহ প্রায় আরব বিশ্বের সবকটি দেশেই এই সংবাদপত্রটি পাওয়া যায়।
কি লেখা! শুরুতেই ইমাম আবু হানিফার জীবনবৃত্তান্ত পরবর্তীতে ফিকহি মাসায়েল নিয়ে হযরত ইমাম আবু হানিফার পন্ডিত্ব্যের প্রসংশা ও আরব মনিষীদের দৃষ্টিতে ইমাম আবু হানিফা কেমন ইলমি ব্যাক্তিত্ব ছিলেন সুবহানাল্লাহ। শিরোনামেই ইমাম আবু হানিফার জন্ম হিজরী ৮০ সাল উল্লেখ করেছেন। আহলে হাদীসদের যে মিথ্যা দাবী ইমাম আবু হানিফার জন্ম চারশত হিজরীর পরে তা কিন্তু উপরোক্ত সংবাদপত্রই প্রকাশ করে দিয়েছে। আহলে হাদীস যে মিথ্যাবাদী তা আরবের এই বহুল পঠিত ও জনপ্রিয় সংবাদপত্র "আল ইতিহাদ" তা প্রমাণ করে দিয়েছে।
আরবরা যদি মাযহাবকে মানেই না তাহলে এখানে ইমামে আজম বলে সম্বোধন করা হয়েছে কেন?এতেই প্রমাণিত আহলে হাদীসরা মিথ্যাবাদী।
বিস্তারিত বিজ্ঞ আলেমরা অনুবাদ করে নেবেন।


Saturday, June 25, 2016

m,mc,m,mm,m,m,m,






অসীম প্রেম



স্বামী প্রথম রাতেই স্ত্রীকে বলছে, দেখ
আমি এই বিয়েতে রাজি ছিলাম না, আমার
পরিবার জোর পূর্বক বিবাহ দিয়েছে, সো
তোমার মতো তুমি, আর আমার মতো আমি।
স্ত্রী একদম চুপ, কিন্তু হতাশ হলেন না।
মধ্যে রাতে স্ত্রী তাহাজ্জুদ সালাতের
জন্য উঠলেন, স্বামীর এলোমেলো চুলে
শীতল পরশ হাতখানা বুলিয়ে দিয়ে, আলতো
করে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে
বলল, চলুন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি, আর
আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার একমাত্র
সেতু হলো সালাত, স্বামী চোখ খুলে
স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে অবাক, কি
মিষ্টি হাসি, অপূর্ব চাহনি, স্বামী বলল
তুমি যাও, আমি ঘুমাবো, সকালে কাজ
আছে,,,,
স্ত্রী বলল আমি আপনাকে জান্নাতের পথে
ডাকছি, সুখ, শান্তি, সচ্ছলতা, সম্মৃদ্ধির
পথে ডাকছি, স্বামী বলল ওকে ঠিক আছে,
তাহলে আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাও,
স্ত্রী বলল তাহলে ওযু করে এসে আল্লাহর
কাছে জান্নাত চাও পেয়ে যাবে, স্বামী
বলল আমি অনেক সুখ চাই, স্ত্রী বলল
পৃথিবীর সবাই সুখের ক্রেতা, আর আল্লাহ
রাব্বুল আলামিন হলেন একাই সুখের
বিক্রেতা, স্বামী বলল কিভাবে, স্ত্রী
বলল, আল্লাহ মুমিন ব্যাক্তির জান ও মাল
ক্রয় করে নিয়েছেন জান্নাতের বিনিময়ে।
স্বামী বলছে আমি তো খারাপ, আর তুমি
এই জামানার একজন পুত ও পবিত্র নারী,
আমার মতো একজন অপবিত্র ছেলের সাথে
তুমি জীবন কাটাতে পারবেনা,,,,,
স্ত্রী বলল, আপনার সমস্ত শরীর যদি হযরত
আইয়ুব (আঃ) মতো পোকাই ভরে যায়, তবে
আমি বিবি রহিমার মতো আপনার পাশে
থেকে সেবা যত্ন করবো। আপনার সাথে
বিয়ের পর, আপনার সম্পদ, আমার ইজ্জত,
সবই আপনার আমানত, আর এই আমানতের
খিয়ানত আমি কখনোই করবোনা, আমাদের
ঘরটা রাসূলের ঘরের মতো হোক,,,, দিনের
পর দিন রান্না না হোক, কিন্তু আপনার
মুখে মুক্তা ঝরা হাসি থাকুক,,,,,,,,
স্বামী ভাবছে, এমন জীবন সঙ্গীনি
ভাগ্যক্রমে পেয়েছি, আর তাকে অবহেলা
নয়, বরং আমার শরীরের একটা অংশ করে
নিই, স্বামী তার স্ত্রীকে বলছে, আমাকে
জান্নাতে নিয়ে যাবে বললে, কিন্তু
এটাতো বললে না যে, জান্নাতে আমার
বুকে মাথা রেখে, এমন মিষ্টি পরশ বুলাবে
কিনা।
স্ত্রী চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে, মাথা
নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক বাক্য প্রকাশ করলো।
আপনার স্বামী যেমনই হোক না কেন, সে
তো আর ফেরাউন নয়, তাহলে তাকে
জান্নাতের দিকে ডাকুন, আর আমি এটা
বিশ্বাস করি, সমস্ত ছেলেই ভালবাসার
কাছে হেরে যায়, আর মেয়েরা ভালবাসার
ক্ষেত্রটি ছেলেদের চাইতে ভাল বুঝে, যার
কারনে আল্লাহ মেয়েদেকে মা
বানিয়েছেন।


Friday, June 24, 2016

গোসল


যেসব কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ
১. স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে।
২. নারী-পুরুষ মিলনে (সহবাসে বীর্যপাত হোক আর নাই হোক)।
৩. মেয়েদের হায়েয-নিফাস শেষ হলে।
৪. ইসলাম গ্রহন করলে(নব-মুসলিম হলে)।
ফরজ গোসলের ফরজ সমূহ হলো-
গোসলের ফরজ মোট তিনটি। এই তিনটির কোনো একটি বাদ পরলে ফরজ গোসল obligatory bath আদায় হবে না। তাই ফরজ গোসলের সময় এই তিনটি কাজ খুব সর্তকতার সাথে আদায় করা উচিত।
১. গড়গড়া কুলি করা।
২. নাকে পানি দেওয়া।
৩. এরপর সারা দেহে পানি ঢালা ও ভালোভাবে গোসল করা।
ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মঃ
১. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়্যাত করতে হবে। বাড়তি মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়্যাত করা বিদ’আত।
২. প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুতে হবে।
৩. এরপর ডানহাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধুতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুতে হবে।
৪. এবার বামহাতকে ভালো করে ধুইয়ে পেলতে হবে।
৫. এবার ওজুর নিয়মের মত করে ওজু করতে হবে তবে দুই পা ধুয়া যাবে না।
৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ধুতে হবে।
৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধুতে হবে।
অবশ্যই মনে রাখতে হবেঃ
১. পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।
২. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।
(আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে কুর’আন ও সহিহ সুন্নাহ মেনে চলার তাওফিক দিক এবং পূর্বের না জেনে করা ভুল ক্ষমা করুক। আমিন।)


KFC


অনুপ্রেরণামূলক!
* মাত্র ৫ বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান
* ১৬ বছর বয়সে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়েন
* ১৭ বছরের মাথায় মোট ৪ বার চাকরী হারিয়েছিলেন
* ১৮ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন
* ১৯ বছর বয়সে তিনি বাবা হন
* ২০ বছর বয়সে তার স্ত্রী তাঁকে ফেলে রেখে চলে যায় আর কন্যা সন্তানটিকেও নিয়ে যায় সাথে
* সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং সেখানে ব্যর্থ হন
* ইনস্যুরেন্স কোম্পানীতে যোগদান করেন এবং সেখানেও সফলতার দেখা পান নি
* নিজের মেয়েকে নিজেই অপহরণ করতে গিয়েছিলেন এবং সেখানেও ব্যর্থ হন
* চাকরী নিয়েছিলেন রেললাইনের কন্ডাকটর হিসেবে, সুবিধে করতে পারেন নি
* অবশেষে এক ক্যাফেতে রাধুনীর চাকুরী নেন
* ৬৫ বছর বয়সে তিনি অবসরে গিয়েছিলেন।
* অবসরে যাবার প্রথম দিন সরকারের কাছ থেকে ১০৫ ডলারের চেক পেয়েছিলেন।
* তাঁর কাছে মনে হয়েছিল জীবন তাঁর মূল্যহীন
* আত্মহত্যা করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
* এরপর একটী গাছের নিচে বসে জীবনে কি কি অর্জন করেছেন তাঁর একটা লিস্ট বানাতে শুরু করলেন।
* হঠাত তাঁর কাছে মনে হল জীবনে এখনো অনেক কিছু করবার বাকি আছে আর তিনি বাকি সবার চাইতে একটি জিনিসের ব্যাপারে বেশি জানেন- রন্ধনশিল্প
* তিনি ৮৭ ডলার ধার করলেন সেই চেকের বিপরীতে আর কিছু মুরগী কিনে এনে নিজের রেসিপি দিয়ে সেগুলো ফ্রাই করলেন।
* এরপর Kentucky তে প্রতিবেশীদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সেই ফ্রাইড চিকেন বিক্রি করা শুরু করলেন!
* জন্ম নিল KENTUCY FRIED CHICKEN তথা KFC র...
* ৬৫ বছর বয়সে তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন আর ৮৮ বছর বয়সে এসে Colonel Sanders বিলিওনার বনে গিয়েছিলেন।
* স্মরণীয় হয়ে আছেন KFC এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে!
-----হতাশ হবার কিছু নেই, আপনার হাতে এখনো অনেক সময় আছে বিলিওনার হবার...শুধু চেষ্টাটি প্রয়োজন!-----


মৃত্যু অবধারিত



মৃত্যু ব্যাপারটা অবধারিত। তবে মানুষ একবারই মাত্র মরবে। মৃত্যুর পরে মানুষ যে জীবনে যাবে সেখানে তাকে অনেকবার মারা হলেও সে মরবে না।
এই ভয়াবহ অবস্থাটার নাম 'জীবন্মৃত' অবস্থা। মানুষ মরবে না, তবে যেভাবে থাকবে তাকে বেঁচে থাকা বলে না।
আখিরাতে মালাইকাদের হাতে কী ধরণের অস্ত্র-শস্ত্র থাকবে তার কিছু বর্ণনা কুরআন-সুন্নাহতে এসেছে। মুখের উপর কাফিরদের ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হবে। শিকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা থাকবে, বিশাল বিশাল মুগুর দিয়ে বাড়ি মারা হবে।
আমরা আসলে কুরআন-সুন্নাহকে বিশ্বাস করি না। আমাদের কাছে আখিরাত আছে--সেখানে আমাদের কৃতকর্মের শাস্তি হবে--এসব গালগল্প মনে হয়।
কিন্তু আখিরাত সত্য। আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আখিরাত সত্য না হলে 'ন্যায়' বিচার বলে কোনো জিনিস কখনও প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না।
মানুষ মনে করে অস্ত্র হাতে রাখার অধিকার থাকলে মানুষ মারার অধিকার পাওয়া যায়।
আপনি যাকে মারলেন সে মরে বেঁচে গেল। কিন্তু আপনাকে যখন মারতে মারতে জীবন্মৃত অবস্থায় রাখা হবে অনন্তকালের জন্য তখন কেমন লাগবে, ভেবে দেখেছেন কখনও? মার খাচ্ছেন কিন্তু মরছেন না? সহ্য করতে পারছেন না, কিন্তু মরছেন না? প্রতিদিন মারের পরিমাণ বাড়ছে। আগুনের তাপ বাড়ছে।
সহ্য করতে পারছেন না, আবার মরছেন-ও না।
সুখে আছেন ভাবছেন? প্রমোশন পাওয়ার শান্তিতে হাসছেন? গ্রেপ্তার করলেই হাজার বিশেক টাকা পাওয়া যায় ভাগে। এই টাকাতে কত অভিশাপ মিশে আছে জানেন?
যে ছেলেটাকে মারলেন তার মায়ের দীর্ঘশ্বাস, আহাজারি, অভিশাপ যে আপনার পরিবারে পড়বে না কীভাবে ভাবলেন?
আপনি আজ ভারি বুট দিয়ে কাউকে লাথি মারছেন। কেন ভাবছেন না, একদিন আপনার ছেলে আপনাকে লাথি মেরে বের করে দেবে। আপনার পায়ের জোর আর কত বছর টিকবে বলে মনে করেন? ২০? ৩০? ৫০?
আপনি কেন বিশ্বাস করেন না, আল্লাহ সব দেখেন, শোনেন, জানেন এবং বোঝেন?
নিশ্চয় মজলুম এবং আল্লাহর মাঝখানে কোনো পর্দা থাকে না।


Thursday, June 23, 2016

LOVE





ঈমান দীপ্ত কাহিনী



নব্বই_বছর_বয়স্ক_১_ব্যক্তির_ঈমা
ন_দীপ্ত_কাহিনী
# এক হাজি সাহেব নামটা মনে নেই,
তিনি বলেছেন-
আমি ১৯৮৫ সালে প্রথম বারের মত
জামাতে সময় লাগিয়েছি। তার আগে
তাবলীগ জামাতের লোকদের দেখলে
আমি পালিয়ে যেতাম। কারন এক দাড়ি
ওয়ালা লোক আমাকে বলেছিল, ঐ যে
গাঁটটি ওয়ালা লোক গুলোকে দেখছ ওরা
মানুষকে গোমরাহ করে এবং
মুসলমানদেরকে রাসুলের বিরুদ্ধে
উত্তেজিত করে। ওরা ব্রিটেন,
আমেরিকা ও রাশিয়ার হয়ে কাজ
করছে ! ওদের থেকে সাবধান থেকো। এ
কারনে আমি নামায পড়তে মসজিদে
গিয়ে যদি আমি তাবলীগ জামাতের
লোকদের দেখতাম, তা হলে তাড়াতাড়ি
নামায আদায় করে মসজিদ থেকে
বেরিয়ে যেতাম। অথচ আমার দীন ধর্মের
এই অবস্থা ছিল যে, ইসলামের কিছুই
জানতাম না। কি ভাবে অযু করতে হয়, কি
ভাবে ফরয গোছল করতে হয়, নামায পড়ার
সঠিক নিয়ম কি ? আমার তার সঠিক কিছুই
জানা ছিল না।
এখন আমার বয়স ৯০ বছর।
এই দীর্ঘ বয়সে শুধু ২০ বছর হল আমি
ইসলাম সম্পর্কে অবগত আছি। অবশিষ্ট ৭০
বছর আমি জানতাম না- অযু কি ভাবে
করতে হয়, নামায পরতাম! কিন্তু নিয়ম
নীতি সুরা কেরাত কিছুই জানতাম না।
রাজস্থানের বারমি অঞ্চলে থাকতাম।
১৯৬৩ সালে হজ করেছি, হজের সময় ভাল
একজন মুয়াল্লিম পেয়েছিলাম বলে কোন
রকমে হজটা আদায় করতে পেরেছি।
অন্যথায় হজের নিয়ম নীতি আমি কিছুই
জানতাম না। এই ৭০ টি বছর আমি একজন
গণ্ড মূর্খ হিসেবে জীবন কাটিয়েছি।
নিজ বাড়ি থেকে ২০ মাইল পরে গিয়ে
ঈদের নামায পড়তাম। সঙ্গে আরও লোক
থাকতো। নামাযের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা
উটে চড়ে যেতাম। পথে প্রস্রাব
পায়খানার প্রয়োজন হত, কিন্তু আমার
জানা ছিল না প্রস্রাব-পায়খানার
দ্বারা অযু ভেঙ্গে যায়।
এভাবেই ভারতে আমার জীবন
অতিবাহিত হচ্ছিল। ১৯৬৫ সালে
পাকিস্থান এসে এখানেও ২০ বছর পর্যন্ত
দীনি তালিম, নামায,অযু- গোসল
ইত্যাদির বিধি বিধান সম্পর্কে আমি
অজ্ঞই থাকলাম।
আল্লাহ এই তাবলীগ ওয়ালাদের মঙ্গল
করুন।
আলহামদুলিল্লাহ! এই তাবলীগ
ওয়ালাদের মেহনতের বদৌলতে আমি অযু-
গোসল, ও নামায ইত্যাদি বিধি বিধান
সম্পর্কে অবহিত। তাদের উছিলায় আমি
মৃত জীবনে প্রান ফিরে পেয়েছি। আমি
তাদের জন্য মন প্রান ভরে দোয়া করছি
এবং মৃত্যু পর্যন্ত দোয়া করতে থাকব।
বর্তমানে আমার সব সন্তানই তাবলীগ
জামাতের সাথে যুক্ত। দুই ছেলে সাল
লাগাচ্ছে। এক ছেলে কুরআনের হাফেয।
পরিবারের প্রতিজন সদস্য নামাযি। ঘরে
নিয়মিত তালিম চলে। এই বৃদ্ধ বয়সেও
আমি শেষ রাতে মসজিদে গিয়ে
তাহাজ্জুত নামায আদায় করি। আমার
জীবনের এই যে পরিবর্তন, এর সব টুকু
কৃতিত্ব তাবলীগ জামাতের! অন্যথায়
আমার অবস্থা খুব শোচনীয় ছিল। এখন
আমি যে কোন নেক কাজে স্বাদ পাই।
আমার এখন একমাত্র কামনা, যেন
ঈমানের সাথে আমার মৃত্যু হয়... আমিন ।।
# মুবল্লািগে_ইসলাম_মাওলানা_তারিক
_জামিল সাহেবের বয়ান থেকে ----
( # বারাকাল্লাহু_ফী_হায়াতিহী )
"""""""""" # আমীন


Wednesday, June 22, 2016

আজব



ছেলে মেয়ে কেউ খেতে দেয় না।মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করে সারা দিনে যা পায়, বাড়ি আসলেই ছেলে মেরেপিটে সব কেড়ে নিয়ে যায়,নেশা করে, মাদকসেবন করে।আজব দুনিয়া,নংরা সমাজ,বেইমান সন্তান।

মানুষ



একজন মানুষের সবার আগে জানা প্রয়োজন কোনটা ভালো কোনটা মন্দ হোক সে শিক্ষিত হোক সে মূর্খ
এই জিনিস গুলো যদি মানুষের মধ্যে না থাকে তাহলে মানুষ আর পশুর মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না """"




Tuesday, June 21, 2016

Use of “The”

1.    The man, The boy, The girl
2.    The Muslims, The Hindus, The cow, The dog,
3.    The Padma, The Red sea, The Indian Ocean
4.    The Himalayas, The Alps, The Andamans
5.    The Drutojan, The Bahadur, The Tajmahal
6.    The Quran, The Bible, The Islam, The Hindus
7.    The sun, The moon, The earth.
8.    The best boy, The worst man, The tallest tree, The highest mountain, The greatest poet etc.
9.    The east, The west, The summer, The winter, The 01th of January, The 4th of April.
10.  The poor, The rich, The wise, The brave.
11.  The mumps, The gout, The measles,
12.  The punjab, The Deccan

13.  The king, The queen, The president, The secretary.

http://icchapurun.blogspot.com/2016/06/use-of-the.html


প্রতিজ্ঞা


একজন মুসলিমের জন্য সব চাইতে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে ঈমান।
ঈমানহীন ব্যক্তির আল্লাহ্‌র কাছে কোন মূল্য নেই।

Monday, June 20, 2016

সত্য



আলেমদের আশ্চর্য
কিছু বাস্তব গুন তুলে
দরবো ★
১/ আলেমরা কখনোই
নেশা করে না।
২/ কোন আলেম
যৌতুক নিয়ে বিয়ে
করে না।
৩/ আলেমদের কখনও
ঘুমের ঔষধ খেয়ে
ঘুমাতে হয় না।
৪/ আলেমদের
দাম্পত্য জীবন
সবচেয়ে সুখের।
৫/ প্রথম প্রথম অতি
আধুনিক কোন কোন
মেয়ে, আলেম দেখে
নাক সিঁটকালেও
আলেমদের সাথে বিয়ে
হলে বিয়ের পরে তারা
নিজেদের
সৌভাগ্যবতী ভাবে!
৬/ বাংলাদেশের লাল
দালানগুলোতে কোন
সামাজিক
অপরাধের কারণে
আলেমদের ঢুকতে
হয়না।
৭/ কোন আলেম
কখনো আত্মহত্যা
করেনি।
৮/ কোন আলেম
অনাহারে দিন কাঁটায়
না।
৯/ কোন আলেম নারী
নির্যাতনের মামলায়
জড়িত নয়।
১০/ আধুনিকরা যতই
তাদেরকে ঘৃণা করুক না
কেন,
জন্ম, মৃত্যু, বিয়ের
সময় তাদেরই
শরণাপন্ন হতেই হয়..!!
এই আলেমরা পৃথিবীর
সবচেয়ে সম্মানিত
মানুষ।।
আপনি একমত?---------


Sunday, June 19, 2016

সাবধান

এর পর থেকে বরকা ছাড়া রাস্তায় বেরলে একটা আছাড় মাইরা নাড়ি বাইর কইরা ফেলামু!


ভাঙিল খেলা





উম্মুল মাদারেছ


আল্‌-জামিয়াতুল আহ্‌লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম




আল্‌-জামিয়াতুল আহ্‌লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম, বাহাটহাজারী মাদ্রাসাবাংলাদেশের একটি কওমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; যা বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় অবস্থিত। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৯৬ সালে (হিজরী ১৩১০ সনে)। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বপ্রাচীন দেওবন্দ মাদ্রাসা[৪][৫] এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দারুল উলুম দেওবন্দ দ্বারা দারুল উলুম শিক্ষার প্রবর্তন করে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম শিক্ষার অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান।
২০০৯ সালের এশিয়ান গবেষনার জাতীয় ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ীঃ[৬]"With its impeccable Deobandi credentials, Hathazari madrasa ranks among the top ten madrasas in the subcontinent in terms of its academic standards and reputation."

ইতিহাস

ভারতীয় উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, আল্‌-জামিয়াতুল আহ্‌লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৯৬ সালে। পরবর্তীতে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯০১ সালে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয়।[৭] এই প্রতিষ্ঠানটি এ অঞ্চলে ইসলামিক শিক্ষা ও ইসলামী আন্দোলনে সূত্রপাত ঘটায়। পরবর্তীতে ব্রিটিশরা এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে।[৮] এ অঞ্চলের তৎকালীন সংকৃতি ও সামাজিক অবস্থা ইসলামী চিন্তাচেতনা ও মুসলিম আকিদা’র পরিপন্থি ছিল। মুসলমানের ধর্মীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ, সামাজিক জীবনে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শিরক বিদ-আত এবং মুসলিম সমাজকে বিদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে, ঐতিহ্যবাহী ইসলাম শিক্ষা কেন্দ্র “দারুল উলুম দেওবন্দ” ১৮৬৬ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়।[৯]
এই একই লক্ষ্যে, বন্দর নগরীর কিছু বিখ্যাত উলামা বিদেশী সংস্কৃতি এবং শিরক-বিদ-আত এর কবল থেকে মুসলিম সমাজকে রক্ষার উদ্দেশ্যে বিশ্ব বিখ্যাত ইসলাম শিক্ষার প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ এর সংবিধান অনুসারে “আল্‌-জামিয়াতুল আহ্‌লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম” স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই সিদ্ধান্তটি কার্যকরের জন্যে, হাকিমুল উম্মাত মৌলানা আশ্রাফ আলী থান্বী ‘র আদেশানুসারে তার প্রিয় অনুসারী ও ছাত্র শাইখুল ইসলাম মৌলান হাবিবুল্লাহ –র সাথে মৌলানা আব্দুল ওয়াহেদ, মৌলানা সুফী আজিজুর রহমান এবং মৌলানা আব্দুল হামিদ এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন।[১০]
শাইখুল ইসলাম মৌলানা হাবিবুল্লাহ কর্তৃক ১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আল্‌-জামিয়াতুল আহ্‌লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম ১১৮ বছর সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এসেছে। মুসলিম উম্মাহের স্বার্থে এই প্রতিষ্ঠানটি এখনো সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আল্‌-জামিয়াতুল আহ্‌লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম –কে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে বহু মাদ্রাসা, মক্তব, মসজিদ, ইসলামিক সেন্টার ও প্রার্থনা গৃহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।[৫]
হাটহাজারী মাদ্রাসা “বিতর্কহীন ভাবে এই দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত মাদ্রাসা” পরিণত হয়েছে।"[৭]

সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা

দারুল উলুম তার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ছয়টি প্রধান অংশে ভাগ করেছেঃ
  • প্রাইমারী লেভেলঃ উর্দুফার্সিআরবী, নাহু-সার্ফ, সীরাত-উন-নবী, ফিকহ্‌, পাশাপাশি গণিতইতিহাসবাংলাইংরেজী ও ভূগোল
  • মাধ্যমিক লেভেলঃ উচ্চতর আরবী ব্যাকরণ, আরবী সাহিত্য, ফিকহ্‌
  • উচ্চ মাধ্যমিক লেভেলঃ উচ্চতর ফিকহ্‌ এবং উসুল-ই-ফিকহ্‌, উচ্চতর যুক্তিবিদ্যা, উচ্চতর আরবী সাহিত্য, উচ্চতর অর্থনীতি, উচ্চতর দর্শন, উচ্চতর ইসলামের ইতিহাস।
  • স্নাতক লেভেলঃ হাদিস, তাফসির, আরবী ও ফার্সি কবিতা,
  • স্নাতকোত্তর লেভেলঃ ছয়টি প্রধান হাদিস বইঃ বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবু দাউদ শরীফ, তিরমিদি শরীফ, নাসাই শরীফ এবং ইবন মাজাহ্‌ শরীফ প্রাধানত পড়ানো হয়।
  • ডক্টরেটঃ পাশাপাশি ইসলামীক আইন, আরবী ভাষা শিক্ষা, উচ্চতর হাদি’আত শিক্ষা, বাংলা সংস্কৃতি এবং ইসলাম শিক্ষা এখানে পড়ানো হয়।

আন্ত-বিদ্যালয়

“বড় মাদ্রাসা” বাংলাদেশের প্রধান তিনটি বৃহত্তম মাদ্রাসার মধ্যে অন্যতম। অন্য দুইটি মাদ্রাসা হল পটিয়ার আল-জামিয়াহ্‌ আল-ইসলামীয়া এবং লালখান বাজারের জামিয়াতুল উলুম আল-ইসলাম। এর সব কয়টি মাদ্রাসা বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামেঅবস্থিত। এই তিনটি মাদ্রাসা একযোগে বাংলাদেশের ৭,০০০ এর অধিক ছোট ইসলামিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণ করে।[১১] এই তিনটি বৃহৎ মাদ্রাসা প্রায় একই পরিচালনা পর্ষদের অধীনে।[৮]

প্রকাশনা

আল্‌-জামিয়াতুল আহ্‌লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম নিম্নের ম্যাগাজিন গুলো প্রকাশ করে থাকে
  • মাসিক মুঈনুল ইসলাম (Monthly Muinul Islam)
  • বার্ষিক আল মুঈন (Yearly Al Muin)

প্রাক্তন বিশিষ্ট শিক্ষার্থী

আরো দেখুন

তথ্য উৎস

  1.  "আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম-হাটহাজারী।"। Darululum-hathazari.com। সংগৃহীত ২০১৩-০৮-১৬
  2.  "1500 sued for Hathazari thana attack"। Bangladesh News। ১৪ এপ্রিল ২০০৮। সংগৃহীত ১ জুন ২০১২
  3.  "পরিচিতি" [About]। darululum-hathazari.com (Bengali ভাষায়)। ২০০৯-১১-২২। সংগৃহীত ১ জুন ২০১২
  4.  Kabir, Humayun 'Replicating the Deobandi model of Islamic schooling: the case of a Quomi madrasa in a district town of Bangladesh', Contemporary South Asia, 17:4, 415 - 428.
  5. ↑ ৫.০ ৫.১ Singh (editor-in-chief), Nagendra Kr. (২০০৩)।Encyclopaedia of Bangladesh (1st সংস্করণ)। New Delhi, India: Anmol Publications। পৃ: ২৫৯।আইএসবিএন 8126113901
  6. http://www.nbr.org/publications/specialreport/pdf/Preview/PR09_IslamEd.pdf
  7. ↑ ৭.০ ৭.১ Ahmad, Mumtaz and Matthew J. Nelson. "Islamic Education in Bangladesh and Pakistan: Trends in Tertiary Institutions." (Preview) NBR Project Report. April 2009. (alternate non-preview version)
  8. ↑ ৮.০ ৮.১ Riaz, Ali (২০০৮)। Faithful education : madrassahs in South Asia। New Brunswick, N.J.: Rutgers University Press। পৃ: ১৪৯। আইএসবিএন 0813543452
  9.  "Madrasa Deoband - by Moulana Yunus Osman"। Beautifulislam.net। সংগৃহীত ২০১৩-০৮-১৬
  10.  "আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম-হাটহাজারী।"। Darululum-hathazari.com। সংগৃহীত ২০১৩-০৮-১৬
  11. http://www.asiantribune.com/news/2005/10/31/reality-reminder

নোটস

বহিঃসংযোগ

  • Official Website of Hifazat-E-Islam Bangladesh[১]
  • Hifazat-E- Islam Bangladesh[২]
  • Darul Ulooms, Jamiyas and Qaumi Madrasahs Worldwide[৩]
  • The First Online Madrasa (Islamic Academy) In Bangladesh[৪]