Buy IP

********** Welcome to Buy ip **********

Tuesday, August 9, 2016

ইসলামী পোষাক



ইসলামে ইসলামি পোষাক আছে, এবং জুব্বা টুপি এবং পাগরি ইসলামি পোষাক , আর সার্ট পেন্ট কোর্ট টাই যে ইসলামি পোষাক না, তার দলিল । এবং যেখানে হাদিসে বলা হয়েছে এটা করো, এর দারা বুঝা যায় এর বীপরিতে ঐটা ছারো,
দলিলগুলি সংগ্রহে রাখুন
যারা বলে নামাজে টুপি পাগরি না পরলে কি হয় ? ইসলামে কোনো পোষাক নাই , তাহলে এগুলি কি ??
নবিজির [সা.] প্রিয় পোশাক ছিলো কোনটি!
হযরত আবু কাবশা রহ.বলেন সাহাবাদের টুপি গোল এবং মাথায় লাগোয়া ছিল উঁচু ছিল না।-তিরমিজী ১/২১৬
হযরত আয়েশা (রাঃ)বলেছেন, হযরত রসুলুল্লাহ (সঃ)সাদা রং এর টুপি পরিধান করতেন, যা তাঁর মাথা মুবারকে লেগে থাকত।-কানযুল উম্মাল ৭/১২১
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, হযরত রসুলুল্লাহ (সঃ)পাগড়ির নীচে টুপি পরিধান করতেন এবং পাগড়ি ছাড়াও টুপি পরিধান করতেন। -কানযুল উম্মাল ৭/১২১।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযি:)থেকে বর্ণনা,হযরত রসুলুল্লাহ (সঃ)ইরশাদ করেছেন, হযরত মুসা আ: যেদিন আল্লাহর সাথে কথা বলেছিলেন, সেদিন তার গায়ে ছিল পশমি চাদর, পশমি জুব্বা, পশমি টুপি ও পশমি পাজামা। আর জুতা ছিল গাধার চামড়ার তৈরি। - তিরমিজী ৪/১৯৬।
উত্তম পোশাক হিসেবে নামাযে পাগড়ী ও টুপি পরা
حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ ، قَالَ : أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ؛ أَنَّ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَأَى رَجُلاً يُصَلِّي وَعَلَيْهِ قَلَنْسُوَةٌ ، بِطَانَتُهَا مِنْ جُلُودِ الثَّعَالِبِ ، قَالَ : فَأَلْقَاهَا عَنْ رَأْسِهِ ، وَقَالَ : مَا يُدْرِيَك لَعَلَّهُ لَيْسَ بِذَكِيٍّ ؟. (إبْنُ أبِىْ شَيْبَة : بَابٌ فِي الصَّلَاةِ فِي جُلُودِ الثَّعَالِبِ)
হাদীস নম্বর-৭২ : হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত: হযরতউমার রা. এক ব্যক্তিকে এমন একটি টুপি পরে নামায পড়তেদেখেলেন যে টুপির ভেতরের অংশ ছিলো শিয়ালের চামড়ারতৈরী। হযরত আনাস বলেন: হযরত উমার রা. সেটা তারমাথা থেকে ফেলে দিলেন এবং বললেন: তোমার জানা আছেকি হয়তো এটা জবাইকৃত না। (অর্থাৎ, হতে পারে যে,জবাইয়ের মাধ্যমে চামড়া পবিত্র করা হয়নি)। (ইবনে আবীশাইবা: ৬৫৩৬)
হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই প্রসিদ্ধমুহাদ্দিস এবং বুখারী-মুসলিমের রাবী।
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সাহাবায়েকিরামের সময়ে টুপি
মাথায় দিয়ে নামায পড়ার প্রচলন ছিলো। সুতরাং এটানামাযের আদব বা মুস্তাহাব। হযরত উমার রা. তা ফেলেদিয়েছিলেন কেবল নাপাক হওয়ার আশঙ্কায়; অন্যথায় তিনিতা ফেলতেন না।
حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْوَابِصِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ هِلَالِ بْنِ يَسَافٍ، قَالَ: قَدِمْتُ الرَّقَّةَ، فَقَالَ لِي بَعْضُ أَصْحَابِي: هَلْ لَكَ فِي رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: قُلْتُ: غَنِيمَةٌ، فَدَفَعْنَا إِلَى وَابِصَةَ، قُلْتُ لِصَاحِبِي: نَبْدَأُ فَنَنْظُرُ إِلَى دَلِّهِ، فَإِذَا عَلَيْهِ قَلَنْسُوَةٌ لَاطِئَةٌ ذَاتُ أُذُنَيْنِ، وَبُرْنُسُ خَزٍّ أَغْبَرُ، وَإِذَا هُوَ مُعْتَمِدٌ عَلَى عَصًا فِي صَلَاتِهِ، فَقُلْنَا بَعْدَ أَنْ سَلَّمْنَا، فَقَالَ: حَدَّثَتْنِي أُمُّ قَيْسٍ بِنْتُ مِحْصَنٍ،أَنَّ رَسُولَ اللَّه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَسَنَّ وَحَمَلَ اللَّحْمَ، اتَّخَذَ عَمُودًا فِي مُصَلَّاهُ يَعْتَمِدُ عَلَيْهِ (رَوَاه ابُوْ دَاود فِىْ بَابِ الرَّجُلِ يَعْتَمِدُ فِي الصَّلَاةِ عَلَى عَصًا)
হাদীস নম্বর-৭৩ : হযরত হিলাল বিন ইয়াসাফ রহ. বলেন:আমি (শামের একটি শহর) রক্কায় গেলাম। আমার এক বন্ধুআমাকে বললেন: রসূলুল্লাহ স.-এর এক সাহাবার সঙ্গে তুমিসাক্ষাত করবে? আমি বললাম: এটা তো বড় সুযোগ। তখনআমরা দু’জনে হযরত ওয়াবিসা রা.-এর নিকটে গেলাম।আমার বন্ধুকে বললাম: প্রথমে আমরা তাঁর চারিত্রিক সৌন্দর্যদেখব। তখন দেখলাম তিনি লাঠির ওপর ভর দেওয়া অবস্থায়নামাযে রত আছেন। তাঁর গায়ে ছিলো মেটে রঙের টুপিওয়ালারেশমী জামা এবং মাথায় লেগে থাকা দুই কান বিশিষ্ট টুপি।আমরা তাঁকে সালাম দিয়ে (লাঠির ওপর ভর করে নামাযপড়ার বিষয়ে) জিজ্ঞেস করলাম। জবাবে তিনি বললেন:আমাকে উম্মে কায়েস বিনতে মিহসান রা. হাদীস শুনিয়েছেনযে, রসূলুল্লাহ স. যখন বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন এবং শরীর ভারীহয়ে গিয়েছিলো তখন নামাযের স্থানে একটি খুঁটি গেড়েনিয়েছিলেন যাতে ভর করে তিনি নামায পড়তেন। (আবুদাউদ: ৯৪৮)
হাদীসটির স্তর : সহীহ, হুকমী মারফু’। হাকেম আবু আব্দুল্লাহনিশাপুরী তাঁর মুসতাদরাক কিতাবে হাদীসটি বর্ণনা করেএটাকে বুখারী-মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন।(মুসতাদরাকে হাকেম: ৯৭৫) ইমাম জাহাবী রহ.ও হাকেমেরউক্ত মন্তব্য সমর্থন করে এটাকে বুখারী-মুসলিমের শর্তেসহীহ বলেছেন। শায়খ আলবানী এটাকে মুসলিমের শর্তেসহীহ বলেছেন। (সহীহ আবু দাউদ: ৮৭৪)
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, রসূলুল্লাহ স.-এর সাহাবা টুপি মাথায় দিয়ে নামায পড়েছেন। সুতরাং টুপিমাথায় দিয়ে নামায পড়া মুস্তাহাব।
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْمُزَنِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: تَخَلَّفَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَخَلَّفْتُ مَعَهُ فَلَمَّا قَضَى حَاجَتَهُ قَالَ: «أَمَعَكَ مَاءٌ؟» فَأَتَيْتُهُ بِمِطْهَرَةٍ، «فَغَسَلَ كَفَّيْهِ وَوَجْهَهُ، ثُمَّ ذَهَبَ يَحْسِرُ عَنْ ذِرَاعَيْهِ فَضَاقَ كُمُّ الْجُبَّةِ، فَأَخْرَجَ يَدَهُ مِنْ تَحْتِ الْجُبَّةِ، وَأَلْقَى الْجُبَّةَ عَلَى مَنْكِبَيْهِ، وَغَسَلَ ذِرَاعَيْهِ، وَمَسَحَ بِنَاصِيَتِهِ وَعَلَى الْعِمَامَةِ وَعَلَى خُفَّيْهِ، ثُمَّ رَكِبَ وَرَكِبْتُ فَانْتَهَيْنَا إِلَى الْقَوْمِ، وَقَدْ قَامُوا فِي الصَّلَاةِ، يُصَلِّي بِهِمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَقَدْ رَكَعَ بِهِمْ رَكْعَةً، فَلَمَّا أَحَسَّ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَهَبَ يَتَأَخَّرُ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ، فَصَلَّى بِهِمْ، فَلَمَّا سَلَّمَ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقُمْتُ، فَرَكَعْنَا الرَّكْعَةَ الَّتِي سَبَقَتْنَا» ( رَوَاه مُسْلِمٌ فِىْ بَابِالْمَسْحِ عَلَى النَّاصِيَةِ وَالْعِمَامَةِ)
হাদীস নম্বর-৭৪ : হযরত মুগীরা বিন শু’বা রা. থেকে বর্ণিত,এক সফরে রসূলুল্লাহ স. সাথীদের থেকে পেছনে রয়েগেলেন। আমিও তাঁর সঙ্গে পেছনে রয়ে গেলাম। অতঃপরতিনি ইস্তিঞ্জার প্রয়োজন মিটিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন:তোমার সঙ্গে পানি আছে কি? আমি পানির পাত্র এনে দিলাম।তিনি উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত এবং মুখ ধুলেন। অতঃপরউভয় বাহু খুলতে গেলেন। কিন্তু জামার হাতা সংকীর্ণ হয়েযাওয়ায় জামার ভিতর দিক দিয়ে হাত বের করলেন এবংজামা কাঁধের উপর রেখে দিলেন। এরপর উভয় বাহু ধুলেন।মাথার অগ্রভাগ, পাগড়ী এবং উভয় মোজার ওপর মাসেহকরলেন। অতঃপর তিনি সওয়ার হলেন; আমিও সওয়ারহলাম এবং কওমের নিকটে পৌঁছলামÑ তখন তারা নামাযশুরু করে দিয়েছে। হযরত আব্দুর রহমান বিন আওফ রা.তাদের নামায পড়াচ্ছিলেন এবং এক রাকাত পড়িয়েফেলেছেন। রসূলুল্লাহ স.-এর আগমন টের
আসুন আমরা দেখি
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার পোষাক মুবারক
কেমন ছিলো-
ﻋﻦ ﺍﻡ ﺳﻠﻤﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺘﻪ
ﻗﺎﻟﺖ ﻛﺎﻥ ﺍﺣﺐ ﺍﻟﺜﻴﺎﺏ ﺍﻟﻲ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭ ﺳﻠﻢ ﺍﻟﻘﻤﻴﺺ
অর্থ: হযরত উম্মে
সালমা আলাইহাস
সালাম
বলেন, পোষাক সমূহের
মধ্যে হুজুর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার
নিকট
সর্বাধিক প্রিয়
ছিলো “ক্বামীছ”।
দলীল-
√ শামায়িলুন নবী
ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম,- অষ্টম
অধ্যায়ে হুজুর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার
পোষাকের বিবরন
অধ্যায়,- হাদীস শরীফ
নং ৫৫,৫৬,৫৭
লেখক- হযরত ইমাম তিরমিযী (রহ:)
পোশাক পরিধান করা কোনো ক্ষেত্রে ফরজ, কখনো হারাম আবার কোনো কোনো সময়ে মুস্তাহাব। ফরজ পোশাক হলো এতটুকু, যা দিয়ে সতর আবৃত করা যায়। আর হারাম হলো, পুরুষের জন্যে পায়ের গোড়ালির নীচে পোশাক পরিধান করা। দুই ঈদে উত্তম পোশাক পরিধান করাও মুস্তাহাব।
উম্মে সালামা [রা] বলেন, রাসুল [সা.] পোশাক হিসেবে সর্বাধিক পছন্দ করতেন ‘কামীস’। [ইবনে মাজাহ, হাদিস-৪০২৭]
কামীসের বিবরণ সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসের ভিত্তিতে জানা যায়, এই পোশাকটি ছিলো হাঁটুর নিম্নভাগ পর্যন্ত লম্বা। হাতা ছিলো হাতের আঙ্গুলের প্রান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ। এ পোশাকের দৈর্ঘ সবসময়ই পায়ের গোড়ালির উপরে থাকতো। রাসুল [সা.] অধিকাংশ সময়ে এই ধরনের পোশাক পরতে ভালোবাসতেন। [শামায়েলে তিরমিজি-২৮]
আল্লাহ তাআলা বলেছেন তাকওয়ার পোশাকই উত্তম। রাসূল সাঃ এর পোশাক সম্পর্কে দেখতে শামায়েলে তিরমিযী দেখতে পারেন। সিহাহ সিত্তাহর মধ্যেও কিতাবুল লেবাস অধ্যায়ে অনেক বর্ণনা আছে।
হাসান বিন মেহরান থেকে বর্ণিত-
عن رجل من الصحابة : قال : أكلت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم، ورأيت عليه قلنسوة بيضاء
একজন সাহাবী বলেছেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে তাঁর দস্তরখানে খেয়েছি এবং তাঁর মাথায় সাদা টুপি দেখেছি’ (আল ইসাবাহ ৪/৩৩৯)
এ হাদীসটি ইমাম ইবনুস সাকান তার কিতাবুস সাহাবায় সনদসহ বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর এ বর্ণনায় সাহাবীর নাম আসেনি। তা এসেছে তাঁর অন্য বর্ণনায় এবং ইমাম বুখারী ও ইমাম আবু হাতেমের বর্ণনায়। তাঁর নাম ফারকাদ। (দ্র. আততারীখুল কাবীর ৭/১৩১; কিতাবুল জারহি ওয়াত তা’দীল ৭/৮১) উল্লেখ্য, ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. ইমাম ইবনুস সাকানের উপরোক্ত বর্ণনার দ্বারা আবু নুআইম আল আসবাহানী রহ.এর এ দাবি খন্ডন করেছেন যে, ফারকাদ সাহাবী আল্লাহর নবীর দস্তরখানে খাবার খাননি। বরং হাসান ইবনে মেহরান খাবার খেয়েছেন সাহাবী ফারকাদের সাথে। (মারিফাতুস সাহাবা ৪/১০৪)
হাফেজ ইবনে হাজার রহিমাহুল্লাহ বলেন, এ ক্ষেত্রে আবু নুআইমই ভুলের শিকার হয়েছেন। প্রমাণ হিসেবে তিনি ইমাম ইবনুস সাকানের উপরোক্ত বর্ণনাটি উল্লেখ করেন। এতে প্রমাণিত হয় এ বর্ণনা সহীহ। অন্যথায় প্রমাণ-গ্রহণ শুদ্ধ হতো না। এবং আবু নুআইম এর মত ইমাম এর কথাকে খন্ডন করা যেত না।
তাছাড়া সাহাবী ফারকাদ রা.এর আল্লাহর নবীর দস্তরখানে খাবার খাওয়ার কথা ইমাম বুখারী, ইমাম আবু হাতেম ও ইবনু আবদিল বারও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন।
হাদীস-২
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন
أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يلبس من القلانس في السفر ذوات الآذان، وفي الحضر المشمرة يعني الشامية.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর অবস্থায় কান বিশিষ্ট টুপি পরতেন আর আবাসে শামী টুপি পরতেন। (আখলাকুন নুবুওয়্যাহ, আল জামে লি আখলাকির রাবী ওয়া আদাবিস সামে পৃ. ২০২)
এ হাদীসের সকল রাবী ‘‘ছিকা’’। উরওয়া ও হিশাম তো প্রসিদ্ধ ইমাম। আর মুফাদদাল ইবনে ফাদালা নামে দুইজন রাবী আছেন। একজন মিসরী, তিনি অনেক বড় ইমাম ছিলেন। মিসরের কাযী ছিলেন। সর্বসম্মতিক্রমে তিনি ‘‘ছিকা’’। আসমাউর রিজালের কিতাবাদি থেকে প্রতীয়মান হয় সনদে উল্লেখিত ব্যক্তি ইনিই। কারণ তিনিই হিশাম ইবনে উরওয়া ও ইবনে জুরাইজ থেকে রেওয়ায়েত করেন যা আল্লামা ইবনে আদী ও আল্লামা মুহাম্মাদ বিন হাসান বিন কুতায়বা তার কিতাবে উল্লেখ করেছেন। (আল-কামিল ৭/৪০৯ ইকমালু তাহযীবিল কামাল ১১/৩৩৮)
অপর জন বসরী। তাঁর স্মৃতিশক্তির বিষয়ে কিছু আপত্তি থাকলেও ইবনে হিববান তাকে ছিকা রাবীদের মধ্যে গণ্য করেছেন।
আবু হাতেম বলেছেন يكتب حديثه
আর ইমাম ইবনে আদী তার একটি বর্ণনাকে ‘মুনকার’ হিসেবে চিহ্নিত করে বাকিগুলো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন-
‘তার অন্য বর্ণনাগুলো সঠিক।’ সুতরাং সনদে উল্লেখিত রাবী যদি বসরীও হন তবুও তার এ বর্ণনা সঠিক।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বসা ছিলাম। ইতিমধ্যে একজন আনসারী সাহাবী তাঁর কাছে এলেন। এবং তাঁকে সালাম দিলেন। তিনি ফিরে যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আনসারী! আমার ভাই সাদ ইবনে উবাদাহ কেমন আছে? আনসারী বললেন, ভাল আছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কে কে তাকে দেখতে যাবে? অতপর তিনি দাঁড়ালেন আমরাও দাঁড়ালাম। আমরা সংখ্যায় দশের অধিক হব। আমাদের পায়ে মোজাও ছিল না। চপ্পলও না। গায়ে জামাও ছিল না, টুপিও না। ঐ কংকরময় ভূমিতে আমরা চলছিলাম। অবশেষে আমরা সাদ এর নিকট পৌঁছলাম তখন তার পাশ থেকে মানুষজন সরে গেল। অতপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সঙ্গীরা প্রবেশ করলেন।
এখানে সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. এর বাক্য ‘‘আমাদের পায়ে মোজাও ছিল না, চপ্পলও না। গায়ে জামাও ছিল না টুপিও না’’ থেকে বোঝা যায়, ঐ যুগে টুপিও ছিল লিবাসের অংশ এবং কোথাও যাওয়ার জন্য সেগুলো রীতিমত আবশ্যকীয় এর ন্যয় ছিল। তাই এখানে এগুলো না থাকায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর তা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
বিষয়টি ঠিক এরকম যেমন ইমাম বুখারী রহ. সহীহ বুখারীতে বুরনুস প্রমাণ করেছেন। সহীহ বুখারীতে কিতাবুল লিবাসে باب البرانس নামে শিরোনাম দাঁড় করেছেন আর দলীল হিসেবে উল্লেখ করেছেন হজের একটি হাদীস।
لا يلبس المحرم القميص ولا العمائم ولا البرانس
‘‘ইহরাম গ্রহণকারী জামাও পরবে না, পাগড়ীও না, বুরনুস (এক প্রকার টুপি)ও না।’’
আল্লামা আবু বকর ইবনুল আরাবী এ হাদীস থেকে পাগড়ী প্রমাণ করেছেন। তিনি বলেন, এ হাদীস প্রমাণ করে যে, তৎকালে পাগড়ী পরিধানের রীতি ছিল। এ কারণে ইহরাম অবস্থায় তা পরিধান করা নিষেধ করেছেন।
একইভাবে আলোচিত হাদীস দ্বারাও টুপি ও তার প্রচলন প্রমাণে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়।
উমর ইবনে খাত্তাব রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন-
الشهداء ثلاثة : رجل مؤمن ... ورفع رسول الله صلى الله عليه وسلم رأسه حتى وقعت قلنسوته أو قلنسوة عمر.
শহীদ হল তিন শ্রেণীর লোক : এমন মুমিন ... এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা তুললেন। তখন তাঁর টুপি পড়ে গেল। অথবা বলেছেন উমরের টুপি পড়ে গেল। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১৪৬ জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৬৪৪ ইত্যাদি)
হাদীসটির ক্ষেত্রে ইমাম তিরমিযী বলেছেন, ‘হাসানুন গারীবুন।’
হাদীসটির সনদ এই,
عن عبد الله بن لهيعة عن عطاء بن دينار أبي يزيد الخولاني عن فضالة بن عبيد عن عمر بن الخطاب رضي الله عنهم
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে লাহিয়া এর ক্ষেত্রে যদিও মুহাদ্দিসীনদের বিভিন্ন রকম বক্তব্য আছে, কিন্তু এ হাদীসটি তাঁর থেকে বর্ণনা করেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক। আর এক্ষেত্রে ইমামগণ এক মত যে ইবনে লাহিয়া থেকে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক কর্তৃক বর্ণনাকৃত হাদীসগুলো সঠিক।
উপরন্তু আব্দুল্লাহ ইবনে লাহিয়ার একজন ‘মুতাবি’ও আছেন সায়ীদ ইবনে আবী আইয়ূব। যা ইমাম বুখারী ও ইমাম আবু হাতিম এর কথায় পাওয়া যায়।
قال الترمذي : سمعت محمدا يقول : قد روى سعيد بن أبي أيوب هذا الحديث عن عطاء بن دينار عن أشياخ من خولان، ولم يذكر فيه عن أبي زيد.
وقال أبو حاتم : وروى سعيد بن أبي أيوب عن عطاء بن دينار عن أشياخ من خولان عن فضالة عن عمر.
আর এ সনদের আরেকজন রাবি, আবু ইয়াযিদ আল খাওলানী। মুতাআখখিরীনদের মাঝে কেউ কেউ তাকে মাজহুল বলেছেন।
এক্ষেত্রে প্রথম কথা এই যে, হাদীসটি শুধু তিনিই বর্ণনা করেননি; বরং খাওলান শহরের আরো অনেক মুহাদ্দিস তা বর্ণনা করেন, যা ইমাম বুখারী ও ইমাম আবু হাতেম এর উপরোক্ত কথায় পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় কথা এই যে, ইমাম বুখারী, ইমাম আবু হাতেম, ইমাম তিরমিযীসহ মুতাকাদ্দিমীন ইমামগণের কেউ তাকে মাজহুল বলেন নি; বরং সকলে তাঁর জীবনীতে তাঁর নাম উল্লেখ করে এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। কেউ তাঁর সম্পর্কে ভালোও বলেননি মন্দও বলেননি। এটাকে হাদীস শাস্ত্রের পরিভাষায় বলা হয় سكوت المتكلمين في الرجال অর্থাৎ ইমামগণের নীরব থাকা। এই কারণে রাবী মাজহুল হওয়া আবশ্যক নয় বরং এটাকে এক প্রকার তা’দীল হিসেবে ধরা হয়। বিশেষত রাবী যদি তাবেয়ী স্তরের হন। আর এখানেও তা ঘটেছে। সম্ভবত এ নিশ্চুপ থাকাকেই পরবর্তীদের কেউ মাজহুল বলে দিয়েছেন, যা ঠিক নয়।
পাগড়ি পরিধানের হুকুম কি ?
অনেককে দেখা যায়, বিশেষ বিশেষ সময় বিশেষ বিশেষ স্থানে পাগড়ি পরিধান করে থাকেন। কেউ ফরয নামাযের সময়, কেউ আবার জুমার নামাযের সময় আর কেউ ঈদ বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিধান করেন। দলিল-প্রমাণসহ জানতে চাই।
__________________________________________
পাগড়ি পোশাকের একটি সুন্নত। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত যেসকল পোশাক ব্যবহার করতেন পাগড়িও সেগুলোর অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবা, তাবেয়ীন ও তাবে তাবেয়ীনের নিকট পাগড়ি একটি পছন্দনীয় পোশাক ছিল এটি আরবের একটি ঐতিহ্যও বটে।
স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন সময় পাগড়ি ব্যবহার করেছেন তা বহু হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে। এখানে দু’ একটি হাদীস উল্লেখ করা হল।
জাবির রা. বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মক্কায়) প্রবেশ করলেন। তখন তাঁর মাথায় কালো পাগড়ি ছিল।
-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩৫৮
মুগীরা ইবনে শুবা রা. বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওযু করলেন এবং মাথার অগ্রভাগ ও পাগড়ির উপর মাসাহ করলেন।
-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৮১
সহীহ মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আমর ইবনে হুরাইস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার লোকদের উদ্দেশে বক্তব্য দিলেন। সে সময় তিনি কালো পাগড়ি পরিহিত ছিলেন।
-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩৫৯
তাঁর পাগড়ি পরিধান সংক্রান্ত এ ধরনের আরো অনেক বর্ণনা হাদীসের বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত হয়েছে।
সাহাবা, তাবেয়ীগণও নামাযে এবং নামাযের বাইরে বিভিন্ন সময় ব্যাপকভাবে পাগড়ি ব্যবহার করতেন।
দ্রষ্টব্য : সহীহ বুখারী ১/৫৬
সুলাইমান ইবনে আবি আবদিল্লাহ রাহ. বলেন, আমি মুহাজির সাহাবীগণকে কালো, সাদা, হলুদ, সবুজ বিভিন্ন রঙের পাগড়ি পরতে দেখেছি।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২৫৪৮৯
আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. সম্পর্কে বর্ণিত আছে, তিনি মক্কা মুকাররমার উদ্দেশে বের হলে সঙ্গে পাগড়ি নিতেন এবং তা পরিধান করতেন।
-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৫৫২
আবু উবাইদ রাহ. বলেছেন, আমি আতা ইবনে ইয়াযিদকে পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামায পড়তে দেখেছি।
-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১১৭৮০
উপরোক্ত হাদীস ও আছার থেকে এ কথা সুস্পষ্ট যে, সাহাবা, তাবেয়ীন নামাযে ও নামাযের বাইরে বিভিন্ন সময় ব্যাপকভাবে পাগড়ি পরতেন। তাঁদের কাছে পোশাক হিসেবে পাগড়ির একটি বিশেষ অবস্থান ও গুরুত্ব ছিল।
তাই পোশাকের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম ও সালাফের অভ্যাসের অনুসরণ করা ভালো এবং তাদের মহববতে এই অনুসরণের কারণে ইনশাআল্লাহ সওয়াবও হবে।
আহলে খবিশ লামাযহাবী এবং মৌদুদিবাদীদের বলছি, তোমরাতো নবীর জুব্বা টুপি পাগরি পরতে ভালো লাগেনা, পরতে ভালো লাগে পেন্ট-সার্ট, কোট-টাই , তাইনা ? আবার বলে ইসলামে কোনো পোষাক নির্দিষ্ট করা হয় নাই , তাহলে কোর্ট টাই সার্ট পরলে কি হয় ? আবার কেউ কেউ বলে কোর্ট পেন্ট টাই সার্ট এগুলি নাকি সুন্নাতি পোষাক ? নায়ুযুবিল্লাহ । তোমাদের কাছে নবীজির (সা:) হাদীসটা রেখে গেলাম, এবার তুমি বুঝবে আর তোমার আল্লাহ বুঝবে, আমার কর্তব্য জানিয়ে দেয়া, তাই জানিয়ে হক আদাই করার চেষ্টা করলাম মাত্র
নবী মুহাম্মাদ (ﷺ ) বলেন,
“যে ব্যক্তি বিজাতির তরীকা অনুযায়ী আমল করে, সে
আমাদের কেউ নয়।
(ত্বাবারানী, সিলসিলাহ সহীহাহ ২১৯৪নং)


No comments:

Post a Comment