Buy IP

********** Welcome to Buy ip **********

Thursday, August 18, 2016

হকদার



এক ব্যক্তি স্ত্রীর বকায় অতিষ্ট হয়ে খলিফা উমর রাঃ এর কাছে আসেন নালিশ করার জন্য। কিন্তু এ কি! খলিফার ঘরের দরজায় আসতেই তিনি শুনতে পান খলিফার স্ত্রী রাগতস্বরে খলিফাকে বকছে। শুনে ঐ ব্যক্তি তো হতবাক। তিনি খলিফাকে কিছু না বলে ফিরে চললেন। ইতিমধ্যে খলিফা দরজা খুলে বাইরে এলেন। ঐ ব্যাক্তিকে চলে যেতে দেখে ডাক দিলেন। জানতে চাইলেন,কেনো এসেছিলে আর কেনোই বা কিছু না বলেই চলে যাচ্ছ। ঐ ব্যক্তি বললেন,আমি এসেছিলাম স্ত্রীর ব্যাপারে নালিশ করতে কিন্তু এসে শুনলাম আপনার স্ত্রী আপনাকে আরো বেশী কথা শোনাচ্ছে। তাই ফিরে যাচ্ছিলাম। আচ্ছা আমরা পুরুষরা আপনাকে বাঘের মত ভয় করি সেখানে একজন মহিলা আপনাকে কী করে কথা শোনায়?

হযরত উমর রাঃ বলেন,ভাই ঐ মহিলার অনেক হক আছে যা আমি আদায় করতে পারিনি।তাছাড়া এই মহিলা আমার রান্না করে,ঘরবাড়ি,কাপড় চোপর পরিস্কার করে,সন্তানদের প্রতিপালন করে এমনি আরও অনেক অনেক কাজ যা সে করতে বাধ্য নয়। এসব কাজ করে সে আমায় ইহসান করে,অতএব সে একজন পাওনাদার আর পাওনাদারের দু'কথা বেশী বলার অধিকার আছে। ঐ ব্যক্তি তখন বললো আমার স্ত্রীও তো এসব কাজ করে এবং আমিও তো তার অনেক হকই আদায় করতে পারিনি। খলিফা হাসি মুখে বললেন,তাহলে ভাই একটু সহ্য কর।

(কিতাবুল কাবায়ের, পৃঃ ২২১। ঈমাম সামসুদ্দিন আয যাহাবী)

কতটা সম্মান দিয়েছে ইসলাম আমাদের নারীদের। নারীদের যেমন সহমর্মী হতে হবে তেমনি পুরুষরাও যদি তাদের প্রাপ্য সম্মান দেয় ও সহযোগী মনোভাব পোষণ করে তাহলে বিয়ের পরে সম্পর্কে এত জটিলতা থাকে না,পরিবার ও সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, যে শান্তির খোঁজে প্রতিনিয়ত আমাদের ছুটে চলা,এত আয়োজন। আল্লাহু মুস্তায়ান।

আবূ হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আয়িশা(রা) কে জিজ্ঞেস করলাম, রসুলুল্লাহ( ﷺ ) যখন বাসায় থাকতেন তখন কী করতেন? তিনি বললেনঃ “তিনি গৃহস্থলীর কাজকর্মে সাহায্য করতেন এবং যখন নামাযের সময় হত তখন নামাযের জন্য বেরিয়ে যেতেন।”
[সহীহ বুখারীঃ ৬৭৬]

সুবহানাল্লাহ! এটাই হচ্ছে আমাদের রসুলুল্লাহ( ﷺ ) এর আদর্শ।


No comments:

Post a Comment