Buy IP

********** Welcome to Buy ip **********

Wednesday, February 3, 2016

ঈমান পুর্ণাঙ্গ হবেই হবে

<marquee behavior="scroll" direction="left">iccha purun </marquee>

ওমর ইবনে আব্দুল আজীজ (রঃ) খোলাফায়ে- রাশেদীনগণের অনুরূপ খলীফা অ বিশিষ্ট তাবেয়ী ছিলেন। একদা তিনি তাঁহার আলজেরিয়াস্থ গভর্নরকে একটি হেদায়েত- নামা লিখিয়া পাঠাইয়াছিলেন। উহাতে তিনি উল্লেখ করিয়াছিলেন- “নিশ্চয় জানিও ঈমানের অন্তর্গত বিভিন্ন পর্যায়ের অনেকগুলি বিষয়বস্তু রহিয়াছে- (১) ফরজ ও ওয়াজিব সমূহ, (যেগুলি অবশ্যই করণীয়, যেমন- আল্লাহ্‌ ও রসুলের আনুগত্য স্বীকার করতঃ কালেমা পড়া, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, রমজানের রোজা রাখা, যাকাত দান করা, হজ্ব করা, দ্বীনের এল্‌ম শিখা, জেহাদ করা ইত্যাদি।) (২) মশরু বা জায়েজ বিষয় সুমহ ( যে গুলির উপর মানুষ তাহার স্বাধীন ইচ্ছা ও কর্মশক্তি প্রয়োগ করিয়া কাজ করার জন্য আল্লাহ্‌ তায়ালার অনুমতি প্রাপ্ত হইয়াছে।) (৩) নির্ধারিত সীমা সমূহ, ( অনেক স্থলে আল্লাহ্‌ তায়ালা মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছা ও কর্মশক্তি প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছেন, কিন্তু কোন স্থানেই তাহাকে লাগামহীন ছাড়িয়া দেন নাই। বরং প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আল্লাহ্‌ তায়াল সীমা নির্ধারিত করিয়া দিয়েছেন সেই সকল সীমা লঙ্ঘন করার অনুমতি মোটেই নাই। যেমন- আল্লাহ্‌ তায়ালা মানুষকে চক্ষু দান করিয়াছেন এবং তদ্বারা জাগতিক কাজকর্ম দেখা ও আল্লাহ্‌র সৃষ্টি জগতের নৈপুণ্য দেখিয়া জ্ঞান আহরণ করার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু সেই সঙ্গে সীমা নির্ধারিত করিয়া দিয়েছেন যে, শরীয়তের নিষিদ্ধ বস্তু দেখতে পারিবে না। যেমন- অন্যের ছতর বা গুপ্তস্থান দেখা; বেগানা স্ত্রীলোকের প্রতি দৃষ্টিপাত করা ইত্যাদি। এইরূপে মানুষের প্রত্যেকটি ইন্দ্রিয় ও শক্তিকে পরিচালিত করিবার অনুমতি আল্লাহ্‌ তায়ালা দিয়েছেন বটে, কিন্তু সর্বক্ষেত্রেই সীমা নির্ধারিত করিয়া রাখিয়াছেন। সুতরাং ঐ নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করা মহাপাপ) (৪) সুন্নাহ- অর্থাৎ রসুলুল্লাহ (সাঃ) এবং তাঁহার খোলাফায়ে রাশে দীনের আদর্শ সমূহ। (এই আদর্শ সমূহ হইতে আদবকায়দা ও নিয়ম পদ্ধতি গ্রহণ করিয়া তদনুযায়ী দৈনন্দিন জীবন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন, সাধনা, ভজনা, ও এবাদত বন্দেগীর জীবন, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন প্রভিতিকে গঠিত ও পরিচালিত করিতে হইবে। জীবনের কোন ক্ষেত্রেই ঐ পবিত্র আদর্শকে মুহূর্তের জন্যও পরিত্যাগ করা চলবে না।) যাহারা ঈমানের অঙ্গ স্বরূপ উপরোক্ত চারিটি বিষয়- বস্তুকে পূর্ণরূপে আয়ত্ব ও রক্ষা করিবে তাহাদের ঈমান পুর্ণাঙ্গ হইবে। পক্ষান্তরে যাহারা এইগুলিকে যত্ন ও সাধনার সহিত পূর্ণ না করিবে তাহাদের ঈমান অঙ্গহীন ও অসম্পূর্ণ থাকিয়া যাইবে। অতএব বুঝা গেল যে ঈমান কেবলমাত্র বিশ্বাসের নামই নহে; কর্মময় জীবনের অন্তহীন সাধনা ও প্রযত্ন উহার সহিত আঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত রহিয়াছে। ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ (রঃ) এ কথাও উক্ত চিঠিতে উল্লেখ করিয়াছেন যে- যদি আমি বাঁচিয়া থাকি, তবে আমি ঈমানের এই সমস্ত অঙ্গ- প্রতঙ্গ ও শাখা প্রশাখা সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা দান করিব, যাহাতে জনসাধারণের পক্ষে উহা বুঝিতে ও তদনুযায়ী আমল করিতে সহজ হয়। আর যদি আমি মরিয়া যাই, তবে জানিয়া রাখিও- তোমাদের সংসর্গে থাকিয়া হুকুমত করার আদৌ কোন অভিপ্রায় আমার নাই।”
আরো জানুন পবিত্র জীবন গড়ুন 


No comments:

Post a Comment