Buy IP

********** Welcome to Buy ip **********

Monday, November 30, 2015

শুধুমাত্র সন্দেহের জন্য একটি সংসার কীভাবে ধ্বংস হয়ে যায় তার ১টি কাহিনী (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

করিম সাহেব । ৩৪ বছর বয়সী । বিয়ে করেছেন এক বছর হয় নি । শখ করে বউকে ট্যাব কিনে দিয়েছেন । সেখানে ফেসবুক আই ডি খুলেছে স্ত্রী ।
করিম সাহেব সারা দিন অফিসে থাকেন । বিকেল বেলা ঘরে ফিরে আসেন । স্ত্রী করিম সাহেব এর অফিস টাইমে ফেসবুকে সময় কাটায় ।
ফেসবুকে বেশির ভাগ সময় চ্যাট করেই তার সময় কাটে । সেখানে একটা ছেলেকে ভালোও লাগে । চেহারা ছবি সুন্দর । প্রচলিত ভাষায় যাকে হট বলা হয় । সেদিক দিয়ে করিম সাহেব নিরামিষ প্রকৃতির ।
করিম সাহেব এর স্ত্রী ছেলেটার জন্য করিম সাহেব কে ডিভোর্স দিতেও দ্বিধাবোধ করে না । ছেলেটার সাথে দেখা করার ছয় মাস করিম সাহেব কে ডিভোর্স দেয় সামিয়া ।
সামিয়া ঘর ভেঙ্গে নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে রেদওয়ান এর সাথে । রেদওয়ান ঐ ছেলেটার নাম । অতঃপর তারা ঠিক করে বিয়ের তারিখ ।
বিয়ের দিন সামিয়া বাসা থেকে বের হয়ে রেদওয়ান এর বাসায় আসে । এসে দেখে সোফায় বসে এক লোক পত্রিকা পড়ছে ।
পত্রিকা নামাতেই সামিয়া দেখে সোফায় বসে আছে করিম সাহেব । করিম সাহেব মৃদু হেসে বলেন,
  • তুমি আসলে ফাঁদে পা দিয়েছ । আমার তৈরি ফাঁদ । রেদুওয়ান আমার অফিসের বিশ্বস্ত এক ছেলে । আমিই অকে তোমার সাথে চ্যাট করতে বলেছিলাম । তুমি অর কথায় আমাকে ডিভোর্স দিয়েছ । আসলে প্রবলেম কোথায় জান? প্রবলেম হচ্ছে সন্তুষ্টি । আমরা আমাদের যা আছে তা নিয়ে খুশি থাকতে পারি না । তুমিও পার নি আমাকে নিয়ে হ্যাপি থাকতে । যাই হোক । তুমি চাইলে আমার কাছে ফিরে আসতে পার । এবং আমি জানি তুমি দ্বিতীয় ভুল করবে না ।
করিম সাহেব হাসি হাসি মুখ নিয়ে তাকিয়ে আছে সামিয়ার দিকে । সামিয়া মাথা নিচু করে আছে । তার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে



রসুন খেলে কি যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়?

পুরুষের যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুনকে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক হিসাবে কাজ করে আর এটি অতি সহজলভ্য সবজি যা আমারা প্রায় প্রতিনিয়ত খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে থকি৷ আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷ কোন রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷ এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রে ও রসুন বেশ কার্যকর৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি মিলিলিটার শুক্রাণুতে ২০ মিলিয়নের কম স্পার্ম থাকলে যেকোনো পুরুষ অনুর্বর হতে পারেন। বাজে খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল, অনিয়ন্ত্রিত জীবন, ব্যায়ামে অনীহা প্রভৃতি কারণে দিন দিন অনুর্বরতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক মসলা রসুন। কেননা সুস্থ Semen (বীর্য) তৈরিতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। ব্যবহার প্রণালী :- প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন দীর্ঘ স্থায়ী হয় । যারা পড়ন্ত যৌবনে চলে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি বা দুধ খাওয়া উচিত। এতে ভালো ফল পাবেন। যৌবন 
রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রস ২ বা ১ চামচ নিয়ে তার সঙ্গে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ি হয়। সতর্কতা :- যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদ জনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত রসুন শরীরে এলার্জি ঘটাতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম। রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন। শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভালো। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে। বিষয়গুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকবেন।


ভালোবাসা সম্পর্কে ৮ টি মজার তথ্য, যেগুলো আপনি আগে শোনেননি!

গুটিকয়েক মানুষজন বাদে প্রায় সকলের কাছেই ভালোবাসা বেশ পবিত্র একটি বিষয়। অনেক সাধ ও আকাঙ্ক্ষার একটি ব্যাপার হচ্ছে ভালোবাসা। মানুষ জীবনে প্রেমে পড়তে পারে অনেকবারই, কিন্তু ভালোবাসেন শুধুমাত্র একজনকে। ভালোবাসা জিনিসটি এমন, যে এটি কখনোই একজনের বেশি কারো সাথে হয় না। যতোই বলা হোক না কেন, আসলে দ্বিতীয়বারে আর আগের মতো এতো বেশি ভালোবাসা আসে না। আর যদি আসে তাহলে প্রথমটা প্রেম ছিল, ভালোবাসা নয়।
ভালোবাসা সম্পর্কে ৮ টি মজার তথ্য, যেগুলো আপনি আগে শোনেননি!

এই সকল তথ্যগুলো অনেক গবেষণা এবং জরিপের ফলাফল। এরকমই আরও বেশ কিছু তথ্য রয়েছে যা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক ভালোবাসা সম্পর্কে ৮ টি মজার অজানা তথ্য।
তথ্য-১.
জানেন কি, ‘love’ শব্দটির উৎপত্তি কোথায়? “love” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘lubhyati’ (লুভায়াটি) থেকে। এর অর্থ হচ্ছে ইচ্ছা। এই শব্দটির ব্যবহার সব চাইতে বেশি মিউজিক জগতে।
তথ্য-২.
একজন মানুষ কতবার প্রেমে পরে জানেন কি? বিয়ের আগে ও পরের হিসাবও কিন্তু বেশ ভিন্ন। বিভিন্ন গবেষণা এবং পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে যে, প্রত্যেক ছেলে মানুষ বিয়ের আগে অন্তত ৭ বার প্রেমে পড়েন এবং মেয়েরা পড়েন ৪ বার।
তথ্য-৩.
বিয়ের আঙটি কোন আঙুলে পড়ানো হয় জানেন তো। খেয়াল করে দেখবেন বিয়ের আঙটি সব সময় অনামিকা আঙুলে পড়ানো হয়। এর কারণটা কি জানেন? এর কারণ হচ্ছে অনামিকা আঙুলের সাথে আমাদের হৃৎপিণ্ডের এর সংযোগ রয়েছে বলে ধরা হয়। যদিও মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভালোবাসার ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ডের কোনো ব্যবহারই ণেই!
তথ্য-৪.
যখন একটি দম্পতি এবং প্রেমিকজুগল সামনে থাকেন তখন অনেক মেয়েই ছেলেটি বেশি সুন্দর হলে মনে মনে ভাবেন- “ছেলেটি এই মেয়েটাকে কেন পছন্দ করল!” জানেন কি, ছেলেদের আগ্রহ কোন মেয়েদের প্রতি বেশি থাকে? জরিপে দেখা যায় ছেলেরা সেই সব মেয়েদের প্রতি বেশি আগ্রহী যারা সুন্দর করে হাসতে জানেন।
তথ্য-৫.
সকালে অফিস যাওয়ার আগে অনেক দম্পতিরা একে অপরকে চুম্বন করে ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু এটি শুধুমাত্র ভালোবাসা প্রকাশের সাথেই সম্পর্ক যুক্ত নয়। হেলথ এক্সপার্টদের মতে যে স্বামী-স্ত্রী তার সঙ্গীকে প্রতিদিন সকালে চুম্বন করেন সে অন্যদের চেয়ে পাচঁ বছর বেশি বাচেঁন।
তথ্য-৬.
যারা নতুন নতুন প্রেমে পড়ে তাদের দেহে সেরেটোনিন নামক এক প্রকার হরমোন উৎপন্ন হওয়া কমে যায়। সেরেটোনিন আমাদের মন খুশি রাখার জন্য দায়ী একটি হরমোন। যার ফলে মন কিছুটা উদাস থাকে বা বিষণ্ণতায় ভোগে!
তথ্য-৭.
বেশিরভাগ সাধারণ প্রেমের সম্পর্কের ভাঙন হয়ে থাকে সম্পর্ক গড়ার মাত্র ৫-৬ মাসের মধ্যে।
তথ্য-৮.
প্রকৃত প্রেমিক চিনতে অনেক মেয়েরাই ভুল করে থাকেন। তাদের জন্য একটি জরিপ করা হয় ২০১২ সালে। সেই জরীপে দেখা যায় যারা প্রকৃত প্রেমিক তারা চুম্বন করার সময় ডান গাল থেকে চুম্বন শুরু করেন।


Friday, November 27, 2015

চুল স্ট্রেইট করার জাদুকরী জেল ঘরে বানিয়ে ব্যবহার করুন

চুল স্ট্রেইট করার জাদুকরী জেল ঘরে বানিয়ে ব্যবহার করুন (ভিডিও)

সোজা বা স্ট্রেইট চুল সব নারীর পছন্দ। ঝাঁকড়া কোকড়ানো চুলের যুগ এখন আর নেই। এখন কোকড়া চুল তো বটেই, সোজা চুলকেও আরো সোজা করার প্রবণতা এখন দেখা যায়। পার্লারে রিবন্ডিং বা ঘরে স্ট্রেইটনার দিয়ে অনেকে চুল সোজা করে থাকেন। কিন্তু এই স্ট্রেইটনার ব্যবহারে আছে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। চুলের গোড়াকে দুর্বল করে দেয়, আগা ফাটে, চুলকে রুক্ষ করে তোলে ঘন ঘন স্ট্রেইটনার ব্যবহারে। অনেক সময় এই সকল সমস্যা ঠিক হয় না, চুল দীর্ঘ সময়ের জন্য নষ্ট হয়ে যায়। এই সকল সম্যসা থেকে মুক্তি পেতে চুলকে প্রাকৃতিকভাবে স্ট্রেইট বা সোজা করে ফেলুন। চলুন শিখে নিই চুল সোজা করার জেল তৈরির পদ্ধতি যা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি। এই জেলটি চুলে নিয়মিত ব্যবহার করলে সৌন্দর্য না হারিয়েই চুল থাকবে একদম সোজা।

যা যা লাগবে

১ কাপ নারকেলের দুধ
১টি লেবুর রস
২ টেবিলচামচ অলিভ অয়েল
৩ টেবিলচামচ কর্ণ স্টার্চ

যেভাবে জেল তৈরি করবেন

– প্রথমে লেবুর রসের সাথে কর্ণ স্টার্চ পাউডার ভাল করে মেশান। কর্ণ স্টার্চ পাউডার বার বার দিয়ে লেবুর রসের সাথে মেশাতে থাকুন।
– এবার একটি পাত্রে নারকেলের দুধের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন।
– তারপর লেবুর রস এবং কর্ণ স্টার্চ পাউডারের মিশ্রণটি ঢেলে দিন। মাঝারি আঁচে চুলায় মিশ্রণটি জ্বাল দিন।
– জ্বাল দেওয়ার সময় মিশ্রণটি বার বার নাড়তে থাকুন।
– ঘন জেলের মত হয়ে এলে চুলা থেকে মিশ্রণটি নামিয়ে ফেলুন।
– এবার একটি প্লাষ্টিকের বা কাঁচের বয়ামে জেলটি ঢেলে ফেলুন।
– ঠাণ্ডা হবার পর চুলে এটি ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি আপনার চুলকে করবে একদম সোজা বা স্ট্রেইট করে দেবে যেমনটি আপনি চান। এই মিশ্রণ চুলে মেখে নিন ভালো করে। তারপর একটি গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। আর দেখুন ম্যাজিক!


পানিফল - জলাবদ্ধ এলাকার ফসল


 বর্ষা মৌসুমে নিচু এলাকাগুলো যখন পানিতে টইটুম্বুর হয়ে ওঠে, তখন কিছুই করার থাকে না কৃষকদের। তিন চার মাসে না যায় সেখানে মাছ চাষ করা না যায় ভাসমান কৃষি কাজ করা। কোনো কোনো এলাকায় কৃষকরা নিজেদের উদ্যোগে বদ্ধ জলাশয়ে পানিফল চাষ করতে পারলেও বেশিরভাগ এলাকার কৃষিজীবীর কাছেই জলাবদ্ধতা মোকাবিলা করে টিকে থাকাই কঠিন কাজ। ঠিক এই বন্ধ্যাত্ব ঘুচাতে পেরেছেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের জলাবদ্ধ এলাকার প্রান্তিক কৃষিজীবীরা। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে তারা জলাবদ্ধ শত শত একর জমিতে আবাদ করছেন পানিফল।

স্বাধীনতার আগে সিদ্দিক নামের এক অবাঙালি জামালপুরের জলাভূমিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছিলেন পানিফল। তারপর দিনে দিনে সম্প্রসারিত হয়েছে এর চাষ। তখন জনসংখ্যা কম ছিল, ছিল না আজকের মত এত বেশি নদী ভাঙন, এমনকি জলাবদ্ধ ভূমিও ছিল না এত বেশি বিস্তৃত। তখন পানিফলের চাষ হয়েছে শখের বশে। কে জানতো, এই পানিফলই জামালপুর এলাকার হতদরিদ্র মানুষের জীবন-জীবিকার বড় একটি অবলম্বন হবে একদিন।

জামালপুর। এক দুর্ভাগা জনপদ। বলা যায় সুবিধাবঞ্চিত এক দুর্গম এলাকা। দিনের পর দিন এখানে নদীভাঙা মানুষের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। এক সময় যাদের জোত-জমি-যশ সবই ছিল, আজ তাদের অনেকেই নিঃস্ব। বাঁধের ওপর গুচ্ছগ্রাম নামের আশ্রয়প্রকল্পে কোনোরকমে মাথা গুঁজে,পানি ফল কুড়িয়ে, অথবা কোনোমতে চাষ করে এক মৌসুমে দিন গুজরান করছেন।

বাংলাদেশে ফলটিকে পানিফল বা শিংড়া বললেও বৈজ্ঞানিক নাম ফলটি পরিবারের বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। লতার মত গাছটি ৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পানির নিচে মাটিতে এর শেকড় থাকলেও পানির উপরে ভেসে থাকে পাতাগুলো। ফলগুলোতে শিং -এর মত কাঁটা থাকে বলে এর নামকরণ হয়েছে শিংড়া। আবার কারো মতে সিঙ্গাড়ার মত দেখতে বলে এর নাম হয়েছে শিংড়া। কচি অবস্থায় পানিফল বা শিংড়া দেখতে প্রথমে লাল; একটু পরিপুষ্ট হলে সবুজ এবং সব শেষে কালো রঙ ধারণ করে। ফলটির খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের মিষ্টি শাঁসটি খেতে বেশ সুস্বাদু।

পানিফল ১২ বছর পর্যন্ত অংকুরোদগম সক্ষম থাকে। অবশ্য ২ বছরের মধ্যে অংকুরোদগম হয়ে যায়। তবে বীজ তৈরি ও সংগ্রহের জন্য রয়েছে বিশেষ পদ্ধতি। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ৩০০০ বছর আগে চীনে পানিফলের চাষ হত। সেই হিসেবে পানিফলকে একটি প্রাচীন ফল বলা যেতে পারে।

প্রতি বছর ভাদ্র মাস থেকে পানি ফল রোপণ শুরু হয়ে চলে আশ্বিন মাস পর্যন্ত। আর অগ্রহায়ণ থেকে পৌষ মাসের শেষ পর্যন্ত চলে পানি থেকে ফল তোলার কাজ। তবে পানি থেকে ফল সংগ্রহের সময় পানির ভেতর ভেসে থাকার জন্য স্থানীয়ভাবে ব্যবহার হয় একটি বিশেষ টেকসই প্রযুক্তি।

যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা প্রতিবছর ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়। জলাবদ্ধতার কারণে কোনো ফসলই সেখানে চাষ করা সম্ভব হয় না। বিকল্প ফসল হিসেবে পানিফলের চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছে এলাকার অসংখ্য পরিবার। চাষিরা বলেছেন, ইতোমধ্যে পানি ফলের চাষকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বহুমুখী কৃষিবাণিজ্যের বলয়। এর চারাও বিক্রি হচ্ছে একেকটি ২ থেকে ৩ টাকা করে। পানিফল লাভজনক, কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এই ফলের চাষের পেছনেও ব্যয় বাড়ছে দিনের পর দিন। আর ব্যয়ের বড় অংশ চলে যাচ্ছে কীটনাশকের পেছনে। আর এর মধ্য দিয়েই পানিতে বিস্তার ঘটছে বিষের। চিন্তিত এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহল। আবার এর উপকারী দিকও রয়েছে। কৃষক সোনা মিয়া বলেছেন, পানিফলের জমিতে বোরোর আবাদ ভাল হয়। কারণ, পানি ফল উঠে যাওয়ার পর লতাপাতা, গাছ ও ফল পচে মাটিতে মিশে উত্কৃষ্টমানের জৈবসার হয়। আর এর ফলে জমিতে সার কম লাগে এবং ভাল ফলন পাওয়া যায়।

সবচেয়ে বড় কথা জলাবদ্ধ পতিত জায়গায় আর পতিত থাকছে না। পানিফলের চাষ হচ্ছে। আর সেই পানিফল এনে দিচ্ছে কৃষক পরিবারের হাসি। তবে কোনো কোনো কৃষক বলেছেন বর্তমানে তাদের উৎপাদন খরচ বাড়ছে অধিক কীটনাশক প্রয়োগের কারণে। অথচ প্রতি কেজি পানিফল বিক্রি হচ্ছে ১০/১২ টাকায়। দামটা যদি একটু বেশি হত তাহলে পানিফল চাষে আরো বেশি উত্সাহী হত কৃষকরা।

পানিফল বা শিংড়া নদীভাঙা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য শুধু আয়েরই পথ নয়, বরং প্রতিদিনের এক দু’বেলার খাদ্য চাহিদা পূরণেরও ভূমিকা রাখছে। দরিদ্র পরিবারগুলো ভাতের বদলে খাচ্ছে পানিফল। মানুষের এই নিত্যদিনের খাদ্যাভ্যাসকে গুরুত্ব দিয়েই দিনে দিনে সম্প্রসারিত হচ্ছে পানিফলের বাজার। এখন সারাদেশের বাজারেই সবজির দোকানগুলোতে স্থান করে নিয়েছে পানিফল। কাঁচা অথবা সেদ্ধ পানিফল বিক্রি করে তিনচার মাস সংসার চালান অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী। অনেকে এখান থেকে পাইকারি হিসেবে পানিফল কিনে পাঠান রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বাজারে।

পানিফল স্থানীয়ভাবে যা শিংড়া বা সিঙ্গাড়া ফল নামে পরিচিত। শুধু জামালপুরই নয়,সাতক্ষীরা,দিনাজপুর, গাইবান্ধা,যশোরসহ অনেক জেলাতেই জলাবদ্ধ জায়গায় চাষ হচ্ছে পানিফল। আর এর ফলে প্রান্তির চাষি পরিবারে মুখে ফুটে উঠছে হাসি।

চিন্তার ভাঁজও আছে কৃষকের কপালে। একজন কৃষক বলেছেন, আগে বিলের আয়তন অনেক বেশি ছিল। জলাভূমিতে পানিফলও খুব ভাল হত। কিন্তু বর্ষায় নদীর বালি ঢুকার কারণে পানিফলের চাষ সব জায়গায় ভাল হচ্ছে না। অনেক এলাকায় চাষ বন্ধও হয়ে যাচ্ছে।

শত প্রতিকূলতায় টিকে থাকার শক্তি ও সাহস দুইই আছে কৃষক তথা গ্রামীণ জনগোষ্ঠির। দেওয়ানগঞ্জের জলাবদ্ধ এলাকায় পানিফলের চাষ করে তার প্রমাণ রেখেছেন এলাকার শত শত কৃষক। দেশের অনেক এলাকা আছে যেখানে বছরের বেশিরভাগ সময় জলাবদ্ধ থাকে। যেমন দক্ষিণাঞ্চলের ভবদহ বিল ও কুমিল্লার মনোহরদি। এরকম আরো অনেক স্থানেই অনায়াসেই চাষ করা যেতে পারে পানিফলের। এতে একদিকে প্রান্তিক কৃষকরা যেমন আর্থসামাজিক উন্নয়নের সুযোগ পাবেন, অপরদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠির খাদ্য তালিকায় যুক্ত হবে নতুন আরেকটি ফল।



পালং শাকের উপকারিতা


 পালং শাক কমবেশি প্রায় সবারই প্রিয়। সাধারণত শীতকালে পাওয়া যায় এই শাক। এই শাক রান্না করা ঝোল অনেকে স্যুপের মতো করে খায়। এই শাক ভাজি হিসেবে খাওয়া যায়, রান্না করেও মাছের সঙ্গে খাওয়া যায় সহজেই। পালং শাক খেলে শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনি রোগ-ব্যাধি সারাতেও এই শাকের রয়েছে ব্যাপক ভূমিকা।
পালং শাক শরীরের অন্ত্র সচল রাখতে সাহায্য করে। অন্ত্রের ভেতরে জমে থাকা মল সহজে বের করে দেয়। ডায়াবেটিস রোগীরা এই শাক পরিমাণমতো খেলে উপকার পান। এই শাকের বীজও খুব উপকারী। এর বীজের ঘন তেল কৃমি ও মূত্রের রোগ সারায়। পালং শাকের কঁচি পাতা ফুসফুস, কণ্ঠনালীর সমস্যা, শরীর জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করতেও ভালো কাজ দেয়। পালং শাক শরীর ঠান্ডা রাখে। জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এই শাক বিশেষ উপকারী। এই শাককে বলা হয় রক্ত পরিষ্কারক খাদ্য। রক্ত বৃদ্ধিও করে। চোখের জ্যোতি বাড়ায় এবং মুখের লাবন্য বৃদ্ধি করে। পোড়া ঘায়ে, ক্ষতস্থানে, ব্রনে বা কোথাও কালশিরা পড়লে টাটকা পালং পাতার রসের প্রলেপ লাগালে ভালোই উপকার পাওয়া যায়।
পুষ্টি তালিকা : প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে প্রোটিন আছে ২.০ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট আছে ২.৮ গ্রাম, অাঁশ আছে ০.৭ গ্রাম, আয়রন ১১.২ মি. গ্রাম, ফসফরাস আছে ২০.৩ মি. গ্রাম, অ্যাসিড (নিকোটিনিক) ০.৫ মি. গ্রাম, রিবোফ্লোবিন থাকে .০৮ মি. গ্রাম, অক্সালিক অ্যাসিড থাকে ৬৫২ মি. গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মি. গ্রাম, পটাশিয়াম ২০৮ মি. গ্রা, ভিটামিন-এ আছে ৯৩০০ আই. ইউ, ভিটামিন সি ২৭ মি. গ্রা, থায়ামিন আছে .০৩ মি. গ্রা। অতীতে বাজারে টক পালংও কিনতে পাওয়া যেত। কিন্তু এখন তা প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই শাকও ছিল খুবই উপকারী। শিশুদের জন্য পালং শাক বিশেষ উপকারী। 
পালং শাক-এর উপকারিতা.........
পালং শাক সারা পৃথিবীতেই অত্যন্ত সুপরিচিত একটি শাক। পালং শাক মূলত মধ্য দণি-পশ্চিম এশিয়ার একটি সবজি। পালং শাক একটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ, যা সাধারণত এক ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। বর্ষার শেষে পালং শাকের চাষ করা হয় এবং শীতকালে শাক হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। পালং শাকের পাতা সবুজ এবং পাতার উপরের অংশ চওড়া। জৈব রাসায়নিক উপাদান পালং শাক অত্যন্ত পুষ্টিমানসমৃদ্ধ একটি শাক। প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে আছে ২৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, কার্বোহাইট্রেড ৩.৬ গ্রাম, আঁশ ৪.২ গ্রাম, চিনি ০.৪ গ্রাম, প্রোটিন ২.২ গ্রাম, ভিটামিন এ ৪৬৯ মাইক্রোগ্রাম-৯৪০০১৪ ইউনিট, বিটাকেরোটিন, ৫৬২৬ মাইক্রোগ্রাম লিউটিন, জাঞ্ছিন ১২.১৯ মি. গ্রাম, ফোলেট (বি৯) ১৯৬ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন সি ২৮ মি. গ্রাম, ভিটামিন কে ৪৬৩ মাইক্রোগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯৯ মি. গ্রাম, আয়রন ২.৭ মি. গ্রাম। কার্যকারিতা এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে : পালং শাকে প্রচুর ফাভোনয়েড নামক এন্টি অক্সিডেন্ট থাকায় তা শরীরের অক্সিডেশন প্রক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এন্টি ক্যান্সার : পালং শাকে ১৩ প্রকার ফাভোনয়েডস আছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। হৃদরোগ প্রতিরোধে : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ বিদ্যমান। এ ছাড়া এতে বিভিন্ন ধরনের এন্টি অক্সিডেন্ট বিদ্যমান, যা ফ্রি রেডিকেলের পরিমাণ কমায় এবং কোলেস্টেরল লেভেল কমায়। এতে প্রচুর ভিটামিন বি১ থাকায় হৃৎপিণ্ডের শক্তি বর্ধক হিসেবে কাজ করে। গ্যাসট্রোইন্টেস্টাইনাল অ্যাকটিভিটি : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন সি এবং বিটা কেরোটিন থাকায় তা কোলেনের কোষগুলোকে রক্ষা করে। প্রদাহনাশক হিসেবে : বাত ব্যথা, অস্টিওপোরোসিস, মাইগ্রেশন, মাথাব্যথা দূর করতে প্রদাহনাশক হিসেবে পালং শাক কাজ করে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে : পালং শাক স্মৃতিশক্তি বর্ধক হিসেবে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর। চক্ষুরোগ দূর করতে : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন এ লিউটিন থাকায় নিয়মিত পালং শাক খেলে রাতকানা রোগ ও চোখে ছানি পড়া প্রতিরোধ করে। রক্তস্বল্পতা দূর করতে : পালং শাকে প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন সি থাকায় রক্তস্বল্পতা দূর করতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। মাসিকজনিত ব্যথা : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস থাকায় এটি মাসিকজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় : প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস থাকায় এটি গর্ভবতী মহিলাদের রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের স্তন্য দুগ্ধ বাড়াতে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে : পালং শাকে বিভিন্ন প্রকার ক্ষারীয় উপাদান থাকায় এটা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় রোধে : পালং শাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন সি থাকায় দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রস্তাবের সমস্যা দূর করতে : পালং শাক মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং কিডনির প্রদাহ দূর করে। শ্বাসনালীর সমস্যায় : ব্রঙ্কোডায়ালেটর হিসেবে কাজ করে, ফলে ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
পালংকে বলা হয় শীতকালীন শাক-সবজির মধ্যে শাকের রাজা। বর্ষার শেষে পালং শাকের চাষ শুরু হয় এবং শীতকালে তা বাজারে পাওয়া যায়। সুলভে পাওয়া সুস্বাদু এই শাকের রয়েছে নানা ধরণের কঠিন রোগ সারানোর কার্যকরী গুণ। চলুন আজ জেনে নেই হাতের কাছে পাওয়া পালং শাকের অজানা কিছু গুণ সম্পর্কে…
প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে আছে ২৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, কার্বোহাইট্রেড ৩.৬ গ্রাম, আঁশ ৪.২ গ্রাম, চিনি ০.৪ গ্রাম, প্রোটিন ২.২ গ্রাম, ভিটামিন ‘এ’ ৪৬৯ মাইক্রোগ্রাম-৯৪০০১৪ ইউনিট, বিটাকেরোটিন, ৫৬২৬ মাইক্রোগ্রাম লিউটিন, ফোলেট (বি৯) ১৯৬ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন সি ২৮ মি. গ্রাম, ভিটামিন কে ৪৬৩ মাইক্রোগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯৯ মি. গ্রাম, আয়রন ২.৭ মি. গ্রাম।
১. পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ এবং বিটা কেরোটিন থাকায় তা কোলনের কোষগুলোকে রক্ষা করে।
২. বাতের ব্যথা, অস্টিওপোরোসিস, মাইগ্রেশন, মাথাব্যথা দূর করতে প্রদাহনাশক হিসেবে পালং শাক কাজ করে।
৩. পালং শাক স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর।
৪. পালং শাকে প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন ‘সি’ থাকায় রক্তস্বল্পতা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
৫. পালং শাক পেট পরিষ্কার রাখতে অপরিহার্য। তাছাড়া রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে, দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়।
৬. কিডনিতে পাথর থাকলে, তা গুড়ো করতে সাহায্য করে। দেহ ঠাণ্ডা ও স্নিগ্ধ রাখে পালং শাক।
৭. অনেকের মেদবৃদ্ধি ও দুর্বলতায় হাঁফ ধরে, তারা পালং পাতার রস খেলে উপকার পাবেন। পালং শাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৮. পালং শাকে ১৩ প্রকার ফাভোনয়েডস আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
৯. পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস থাকায় এটি মাসিকজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
১০. পালং শাক দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
১১. ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য পালং শাক খুব উপকারী।
সতর্কতা
পালং শাক খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিৎ যাদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আছে তাদের।
পালং শাক মাত্রাতিরিক্ত খাদ্যস্পৃহা এবং ক্ষুধাবোধ কমাতে সাহায্য করে। আর এর মধ্য দিয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে পালং শাক।

নতুন এক গবেষণায় পালং শাকের এ গুণের কথা উঠে এসেছে। পালং শাকে রয়েছে থাইলোকোয়েড নামের একটি উপাদান। মানব দেহে খাবার গ্রহণের পর যে পরিতৃপ্তির সৃষ্টি হয় তা দেখা দেয় বিশেষ হরমোনের কারণে।  থাইলোকোয়েড এমন হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়।

এ ছাড়া, চর্বি হজমের প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে। দুইয়ে মিলে খাদ্যস্পৃহা এবং ক্ষুধাবোধ উভয়ই কমে। এ সংক্রান্ত গবেষণা  নিবন্ধ জার্নাল অব দ্যা আমেরিকান কলেজ অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত হয়েছে।

আমেরিকার লুজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের পেনিনংটন বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার এ গবেষণা চালিয়েছে। এ কাজে জড়িত অন্যতম গবেষক ফ্রাংক এল  গ্রিনওয়ে বলেন, খাদ্যস্পৃহা এবং ক্ষুধাবোধ কমাতে সাহায্য করে থাইলোকোয়েড। তাই উচ্চরক্ত চাপ এবং অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে থাইলোকোয়েড।

এখানে অবশ্য একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ্য করা প্রয়োজন আর তা হলো, চিকিৎসক যদি কোনো কারণ আপনাকে পালং শাক খেতে নিষেধ করে থাকেন তা হলে এটি পড়ে তা খেতে যাবেন না। আসলে গবেষণা সংক্রান্ত এ সব খবর কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। তাই খাদ্য বা চিকিৎসা গবেষণা সংক্রান্ত কোনো খবর পড়েই তা পালন করতে মেতে উঠবেন না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করবেন। না হলে মারাত্মক বিপদ দেখা দিতে পারে।




Thursday, November 26, 2015

প্রেমের টানে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ান তরুণী

Screenshot_10  
প্রেমের টানে ঘর ছাড়ার ঘটনা সমাজে অহরহ দেখা গেলেও দেশ ছাড়ার ঘটনা এই আধুনিক যুগেও কিছুটা বিরল। তাও আবার কোনো কলেজশিক্ষার্থী তরুণী যদি একা একা দেশ ছাড়েন, সেটাকে আসলে বিরলই বলতে হবে। তেমন ঘটনারই জন্ম দিলেন মালয়েশিয়ার মেয়ে ফাতেমা বিনতে আব্দুর রহমান।

প্রেমের টানে নিজ দেশ ছেড়ে তিনি ছুটে এসেছেন বাংলাদেশে। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশি প্রেমিক আশিকুর রহমান আশিকের সঙ্গে মালয়েশিয়ান তরুণী ফাতেমা হাজির হন ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মাহবুবু হাসান রানার চেম্বারে। উদ্দেশ বিয়ে করা। ফাতেমাকে দেখে উপস্থিত অনেকে প্রথমে মনে করেছিলেন তিনি হয়তো আদিবাসী সম্প্রদায়ের মেয়ে। কিন্তু ভুল ভাঙ্গান আশিক। জানান, মেয়েটি মালয়েশিয়ান। তার প্রেমিকা। গত শনিবার মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। এখন তারা বিয়ে করতে চায়।

আশিক জানায়, তারা এক লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করতে ইচ্ছুক।  অর্থের এই পরিমাণে ফাতেমার কোনো আপত্তি আছে কিনা তা তার কাছে জানতে চান আইনজীবী রানা। কিন্তু তিনি কোনো কথা না বলে নির্বাক তাকিয়ে থাকেন। তবে ফাতেমা বিদেশি হওয়ায় দেনমোহর হিসেবে এক লাখ টাকা কম বিবেচনা করে আইনজীবী দুই লাখ টাকা ধার্য করে দেন।

আশিক আরো জানান, ৮ বছর আগে তিনি মালয়েশিয়া যান কাজের সন্ধানে। ২০১৩ সালে তার সঙ্গে ফাতেমার পরিচয় হয় এবং ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি দেশে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু তার মালয়েশিয়ায় ফিরে যেতে দেরি হওয়ায় বাংলাদেশে প্রেমিকের কাছে ছুটে আসেন ফাতেমা। 
শনিবার সকাল ৯টায় কুয়ালালামপুর থেকে তিনি একাই বিমানে করে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তাকে নিজ গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার মন্দিবাগে নিয়ে যায় আশিক।  
তিনি আরো জানান, ফাতেমা কুয়ালালামপুরের একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। মালয়েশিয়ায় তাদের মধ্যে বিয়েতে জটিলতা থাকায় তারা বাংলাদেশে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। কিছু দিন পরে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবেন। সেখানে তিনি হয়তো স্থায়ী নাগরিকত্বও পাবেন।


মাত্র ১ টাকায় ফোন কল করুন ২ ঘণ্টা ধরে!

মাত্র ১ টাকায় ফোন কল করুন ২ ঘণ্টা ধরে!

আপনি কি কথা বলতে খুবই ভালবাসেন?বিশেষ করে মোবাইল ফোনে কথা বলতে খুবই পছন্দ করেন? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে খুবই ভাল খবর। কারণ, এয়ারসেল আপনাকে মাত্র এক টাকার বিনিময়ে কথা বলতে দিচ্ছে পুরো ২ ঘণ্টা!
এই বিশেষ সুবিধাটির নাম তারা দিয়েছে গুড মর্নিং প্যাক। এই প্যাকের সুবিধা হল, আপনি রোজ সকালে ৬ টা থেকে ৮ টার মধ্যে কল করতে পারবেন মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে!
প্রথম কলটি তো অবশ্যই আপনি মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে করবেনই। ওই ৬ টা থেকে ৮ টার মধ্যে অন্য কলগুলিও হয়ে যাবে একেবারে ফ্রি।
দেশের ১৩টি সার্ভিস এরিয়ার মধ্যে এয়ারসেলের গ্রাহকরা এই সুবিধাটি পাবেন। 
আরো জানুন 


সুস্বাদু ফুলকপি যে দারুণ উপকারগুলো করে আপনার

সুস্বাদু ফুলকপি যে দারুণ উপকারগুলো করে আপনার
শীতের অন্যতম মজার সবজি হল ফুলকপি। দারুণ মজার এই ফুলকপি আমাদের অনেকেরই খুব পছন্দের সবজি এবং এর স্বাস্থ্য গুনাগুণও অনেক। সবজি ভাজি থেকে শুরু করে মাছ ভুনা, সবজি খিচুড়ি, পাকোড়া, নুডল, সালাদ ইত্যাদি নানাবিধ খাবারে ফুলকপির ব্যবহার করে থাকি আমরা। শীতের এই মজাদার সবজি এখন অবশ্য শীত শুরু হওয়ার আগেই বাজারে পাওয়া যায়। তাই এই সময়টিতে ফুলকপির চাহিদাও থাকে অনেক। চলুন তাহলে আজ জেনে নিই এই মজাদার সবজির কিছু স্বাস্থ্য গুণাবলি সম্পর্কে। ১। ফুলকপি সম্পূর্ণ ফ্যাটমুক্ত ও সোডিয়াম মুক্ত একটি সবজি। ক্রুসীফেরাস জাতীয় সবজি যেমন ব্রকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি এগুলো আমাদের দেহে ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে। ২। ফুলকপির পুষ্টিকর উপাদান যেমনঃ ভিটামিন B1 (থায়ামাইন), B2 , B3 থেকে (নিয়াসিন), B5 (pantothenic অ্যাসিড), বি 6 (পাইরিডক্সিন) এবং B9 (সবুজ শাকসজীতে প্রাপ্ত অ্যাসিড) এই সমস্ত ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ আমাদের দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ফুলকপিতে আরও আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি যা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ৩। ফুলকপির পটাশিয়াম উপাদান আমাদের দেহের মজবুত পেশি ও হাড় উন্নয়নে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। ৪। ফুলকপির আইসোথায়োসায়ানেট উপদান আমাদের দেহে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি দমন করে। ৫। ফুলকপির শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের ভিটামিন-সি ও ক্যারটিনয়েড উপদান আমাদের দেহকে র‍্যাডিকাল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। ৬। ফুলকপির নানা উপাদান আমাদের দেহে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দ্বারা সৃষ্ট রোগ কার্ডিওভাসকুলার এবং ক্যান্সার দমন করে থাকে। তাছাড়া ফুলকপি আমাদের দেহের ফুসফুস, স্তন, কোলন এবং আরও নানাবিধ ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে। ৭। ফুলকপিতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-কে ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা আমাদের দেহের জ্বালা-পোড়া, ব্যথা দূর করে। প্রতিদিন ফুলকপির ব্যবহারে আমাদের দেহের অতিরিক্ত ওজন সমস্যা, ডায়াবেটিস, পেটের সমস্যা, আলসারটিভ কোলাইটিস ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যা দূর করে। ৮। ফুলকপি আমাদের দেহের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ সমস্যা হ্রাস করে এবং দেহের সঠিক রক্তসঞ্চালনের রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। ৯। ফুলকপিতে আছে প্রচুর পরিমানে গ্লুকোসিনোলেট যা আমাদের দেহে ডিটক্সিফিকেশন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে। ১০। ফুলকপির এলিসিন উপাদান আমাদের হার্টের সুরক্ষায় কাজ করে, স্ট্রোক হওয়ার সম্ভবনা রোধ করে, ফুলকপির ভিটামিন-সি আমাদের দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আরো জানুন 


Wednesday, November 25, 2015

চিরকাল যৌবন ধরে রাখতে কি কি করা যেতে পারে?

অল্পতেই বুড়িয়ে যাওয়া কেউই পছন্দ করেন না। একটু বয়স বাড়তে না বাড়তেই যখন ত্বকে পড়ে বয়সের ছাপ এবং দেহের বিভিন্ন অংশে দেখা দেয় বয়সজনিত সমস্যা তখন অনেকেই আফসোস করেন, ‘যৌবনটা আরও কিছুদিন যদি ধরে রাখা যেতো’। কিন্তু আফসোস করে কোনো কিছুই ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। তাই সতর্ক হওয়া উচিত তরুণ বয়স থেকেই। সতর্কতার সাথে নিয়মিত কিছু উপায় মেনে চললে অনেকটা সময় ধরে রাখতে পারবেন যৌবন। বয়স হলেও দেহে ও ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে বেশ দেরিতে। জানতে চান সেই গোপন উপায় গুলো? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।

১) মাছের তেল Image result for মাছের তৈল

মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা দেহে বয়সের ছাপ রুখে দিতে সক্ষম। এই ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করেন, কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেম ঠিক রাখে, চুলের সুস্থতা বজায় রাখে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ রোধ করে। সুতরাং আপনি দেখতে যেমন তরুণ দেখাবেন তেমনই আপনার দেহও তারুণ্য অনুভব করবে। আপনি ভালো কোনো মাছের তেল পরিমিত খেতে পারেন নতুবা সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন মাছ রাখুন খাদ্যতালিকায়।

২) চিনিকে না বলুন Image result for চিনি

ডারমাটোলজিস্ট আভা সাম্ভান বলেন, ‘প্রসেসড চিনি, যা আমরা হরহামেশা খাই তা আমাদের ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। কারণ, প্রসেসড চিনি আমাদের ত্বকের কোলাজেন টিস্যু দুর্বল করে এবং ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে দেয়’। সুতরাং চিনিকে একেবারেই না বলুন।

৩) পরিশ্রম করুন

চলাফেরা, হাঁটাহাঁটি, শারীরিক ব্যায়াম যেভাবেই হোক না কেন পরিশ্রম করুন নিজের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য। শারীরিক পরিশ্রম পুরো দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, পুরো দেহে সঠিক উপায়ে অক্সিজেনের সরবরাহ করে। এতে আমাদের দেহের প্রায় প্রতিটি কোষ সজীব হয় এবং আমাদের দেহ অনেক সুঠাম হয়। দেহে বার্ধক্য জনিত সমস্যা অনেক কম দেখা দেয়।

৪) তিলের তেল Image result for তিলের তেল

মে ফ্লাওয়ার ইন অ্যান্ড স্পা এর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং মালিক লিসা হেডলি বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে তিলের তেল পুরো দেহের ত্বকে ম্যাসেজ করলে শুধু ত্বকই হাইড্রেট হয় না এর পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি পায়। এরপর ভালো করে গোসল করে নিলে ত্বকের মরা কোষ দূর হয় এবং ত্বক থাকে তরুণ অনেকটা সময় ধরে।

৫) গ্রিন টী Image result for গ্রিন টী

চা/কফি কমবেশি সকলেই পান করে থাকেন। কিন্তু যদি তারুণ্য ধরে রাখতে চান দেহে এবং ত্বকে তাহলে এর পরিবর্তে পান করা শুরু করুন গ্রিন টী। গ্রিন টীর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে।

৬) মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন

মানসিক চাপের কারণে ত্বকে বিশেষ করে মুখের ত্বকে রিংকেল পড়তে দেখা যায়। এছাড়াও চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ ধরা হয় মানসিক চাপকে। মানসিক চাপ শুধুমাত্র ত্বকেই বয়সের ছাপ ফেলে না এটি আপনার দেহকেও বুড়িয়ে ফেলে। মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করার বেশ বড় একটি কারণ। এছাড়া অনেকেই মানসিক চাপে পড়লে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই মানসিক চাপ থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকুন।
সূত্রঃ হেলথ ডাইজেস্ট


মৃত্যুর আগে বিখ্যাত ব্যক্তিদের বলা বিচিত্র উক্তি (পড়ুন বিস্তারিত)

মৃত্যুর সময় মানুষ অনেক কিছুই করে থাকেন। কেউ নিজেদের শেষ ইচ্ছেটুকু বলেন, কেউবা পানি খেতে চান। আবার কেউবা করেন রসিকতা। এমন হাজারো জিনিস দিয়ে প্রত্যেকটি মরনাপন্ন মানুষ নিজের নিজের মতন করে চলে যান একেবারে না ফেরার দেশে। তবে এ তো গেল সাধারন মানুষের কথা। কিন্তু বিখ্যাতরা? মৃত্যুর আগ মুহূর্তে ঠিক কি করেছিলেন তারা? আসুন জেনে নিই মৃত্যুর সময় বিখ্যাতদের বলে যাওয়া কিছু মজার আর অদ্ভূত কিছু কথা।
১. কার্ল মার্ক্স
(বিখ্যাত এই মানুষটি সমাজবিজ্ঞানে অবদান রাখার জন্যে এখনো অব্দি অমর হয়ে আছেন মানুষের চিন্তা-ভাবনা আর বইয়ের পাতায়। পুঁজিবাদের বিপরীতার্থক সমাজতন্ত্রকে ছোট্ট শিশু থেকে সুঠাম এক গঠন দিতেও কার্ল মার্ক্সের অবদান অনস্বীকার্য।)
শেষ কথা জিনিসটা কেবল বোকাদের জন্যে যারা যথেষ্ট বলতে পারেনি।
২. কোকো শ্যানেল
(ফ্রেঞ্চ ফ্যাশন ডিজাইনার এবং নারীবাদী আন্দোলনের অন্যতম সমর্থক কোকো শ্যানেল সবসময় মানুষের কাছে পরিচিত হয়েছেন নিজের ব্র্যান্ড শ্যানেলের মাধ্যমে। ব্যাগ, গহনা থেকে শুরু করে সুগন্ধীতে অব্দি নিজের কাজকে ছড়িয়ে দিয়েছেন এই নারী।)
দেখ, এভাবেই মারা যায়!
৩ রাজা ১৪শ লুই
( লুই দ্যা গ্রেট বা সূর্য রাজা নামে পরিচিত ফ্রান্সের এই শাসক ছিলেন হাউজ অব বোবর্নের একজন বংশধর। ১৬৪৩ সালে মৃত্যুর আগ অব্দি নিজের পদেই অধিষ্ঠিত থাকেন এই রাজা। )
তুমি কাঁদছ কেন? তুমি কি আমাকে অমর ভেবেছিলে?
৪. চার্লস ডারউইন
( বিবর্তনবাদ নিয়ে নিজের তত্ত্ব দেওয়া আর প্রমাণ করার জন্যে ছোট থেকে বড় সবার কাছেই সমানভাবে পরিচিত ডারউইন। মৃত্যুর আগে এমনটাই বলেছিলেন নির্ভীক এই বৈজ্ঞানিক। )
আমি মরতে এতটুকু ভয় পাইনা।
৫. স্যার উইনস্টন চার্চিল
(ব্রিটেনের ইতিহাসে বিখ্যাত এই প্রধানমন্ত্রীর বেশ ভালো প্রভাব রয়েছে দেশটির ইতিহাসে। নানারকম চুক্তি ও আলোচনার উদ্রেককারী ঘটনার জন্ম দেওয়া ছাড়াও বিশ্বযুদ্ধে বেশ শক্ত ভূমিকা রাখেন এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী।)
আমি এটাতে পুরোপুরি বিরক্ত।
৬. হাইনরিখ হাইন
( রোমান্টিক পিরিয়ডের অন্যতম কবি হাইনরিখ হাইনের আরো একটি পরিচিতি ছিল সমালোচক হিসেবে। জার্মানির এই কবি নিজের প্রতিভার কারণে দেশের বাইরেই বেশি পরিচিত ছিলন। )
ঈশ্বর আমাকে মাফ করে দেবেন। এটাই তার কাজ।
৭. স্টিভ জবস
( অ্যাপলের আর পিক্সচারের নির্মাতা স্টিভ জবসকে কে না চেনে? কিছুদিন আগে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া এই মানুষটি জীবনে যথেষ্ট কষ্টের মুখোমুখি হলেও কখনো হেরে যেতে শেখেননি। ২০১১ সালে ক্যান্সারের আক্রমণে মারা যান তিনি। )
ওহ ওয়াও! ওহ ওয়াও! ওহ ওয়াও!
৮. মাইকেল ডি নস্ট্রাডামাস
( ফ্রান্সের এই বিখ্যাত মানুষের প্রধান পেশা ছিল ঔষধ তৈরি করে বিক্রি করা। তবে ভবিষ্যত্ বলতে পারার অসাধারন ক্ষমতাও ছিল তার। এ নিয়ে বই লিখে বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। )
সূর্য উঠলে তুমি আমাকে জীবিত পাবে না।
৯. পাবলো পিকাসো
( বিখ্যাত এই চিত্রকরকে চিকিত্সকেরা পান করতে মানা করে দিয়েছিলেন। এক ব্যাক্তিগত অনুষ্ঠানে সর্বশেষ তাই এই কথাটিই নিজের স্ত্রী আর বন্ধুদেরকে বলেছিলেন এই মানুষটি। )
আমাকে উদ্দেশ্য করে পান কর, আমার সুস্বাস্থ্যের জন্যে পান কর, তোমরা জানো আমি আর পান করতে পারব না।
১০. ভলতেয়ার
( বিখ্যাত এই লেখক মৃত্যুর সময় পাদ্রী তাকে শয়তানের বিরুদ্ধে কিছু কথা বলতে বললে স্বভাবসুলভ ভঙ্গীতেই নিজের মনের কথা প্রকাশ করেন এভাবে। )
এখন নতুন শত্রু বানানোর সময় নয়।
১১. ইগুয়েন ও নিল
( পুলিত্জার জয়ী এই বিখ্যাত লেখকের জন্ম হয়েছিল একটি হোটেল রুমে। পরবর্তীতে কোন এক কারণে মৃত্যুর সময়েও স্থান হয় তার হোটেলের রুমেই। তখন তার বয়স হয়েছিল ৬৫ )
আমি জানতাম! আমি জানতাম! হোটেলের ঘরে জন্মানো, এবং হোটেলের ঘরেই মৃত্যু!