Buy IP
Saturday, April 30, 2016
মরণ ছোবল

গ্রামের এক যুবতী রমনী একটু দূরের
এক কূয়া থেকে পানি তুলছিল।
পাশ দিয়ে এক দরবেশ হেঁটে
যাচ্ছিল ।
যুবতীকে দেখে তার মনে হল , এই
নারী জাতির মাঝে এমন কি শক্তি ,
কৌশল ও
ছলনা রয়েছে ,
যা দ্বারা তারা বাদশাকে
ফকির , বীরকে ভীরু , আলেমকে
জাহেল,
পাথরকে “মোম”. বৃদ্ধকে
“যুবক”বানিয়ে
ইচ্ছেমত খেলাতে পারে। তখন
দরবেশ এসে
তার মনের কথাগুলো ঐ যুবতীকে
বললো।
দরবেশের কথা শুনে যুবতী তার
শাড়ীর
অর্ধেক খুলে ফেললো । চুলগুলো
এলোমেলো
করে ,আমাকে বাঁচাও,বাঁচাও
বলে চিৎকার
জুড়ে দিল। দরবেশ তখন
মেয়েটিকে
বললো,মা আমি তোমার কাছে
একটা জিনিস
জানতে চাইলাম , আর তুমি
কিনা আমার
সাথে ছলনা করে, আমাকে এখন
মানুষের
হাতে মার খাওয়াবে। তিনি
কেঁদেফেললেন
এবং বললেন এটাই কি
তোমাদের আসল রূপ।
ঐদিকে লোকেরা লাঠি নিয়ে
ছুটে আসছে ।
যখন মেয়েটি লোকদের ছুটে
আসতে দেখল,
তখন সে কূয়া থেকে এক বালতি
পানি তুলে
সাথে সাথে নিজের
শরীরটাকে ভিজিয়ে
নিলো এবং দরবেশের কাপড়
কিছু ভিজিয়ে
দিল ও জোরে জোরে হাপাতে
লাগলো।
লোকেরা এসে জিঞ্জাসা
করলো,মা
তোমার কি হয়েছে?
মেয়েটি বললো আমি কূয়াতে
পরে গিয়ে
চিৎকার করছিলাম তখন এই দরবেশ
আমাকে
কষ্ট করে কূয়া থেকে
উঠিয়েছেন।
তা না হলে আমি তো আজ
মারাই যেতাম।
তখন লেকেরা দরবেশকে বাড়ি
নিয়ে অনেক
আপ্যায়ন ও সম্মান করলো।
যখন তিনি চলে আসবেন তখন
মেয়েটি এসে
বললো,হুজুর আপনার প্রশ্নের উত্তর
কী
পেয়েছেন? নারী জাতিরা
এইভাবেই
পুরুষদেরকে শিকার করে থাকে ।
তাই সবসময়
নারীদের কাছ থেকে ভদ্রতা
দুরত্বে
থাকবে। । ‘নাগিনীর ছোবল’
খেয়েও অনেক মানুষবেঁচে যায় ।
কিন্তু ছলনাময়ী নারীর
ছোবলে বেঁচে থাকা বড় কঠিন..l
Thursday, April 28, 2016
ঘোড়া

ঘোড়া সম্পর্কে না জানা মজার তথ্য
প্রাণীটির নাম ঘোড়া। সাপের কামড়ে কোনদিন ঘোড়া মরে না। তিনদিন অসুস্থ থাকে। তারপর সুস্থ হয়ে যায়। আর এই ঘোড়া থেকে আসে দুনিয়ার সব সাপের বিষের প্রতিষেধক anti venom.
পৃথিবীতে খুব অল্প সংখ্যক প্রাণী নিজের শরীরে সাপের বিষ প্রতিরোধের অসুধ তৈরি করতে পারে। যেমনঃ গাধা, ভেড়া, ছাগল, খরগোশ, বেজি, মুরগী, উট, ঘোড়া, হাঙ্গর !!!
কোনএকটি সাপ, ধরেন, কিং কোবরা’র anti venom তৈরি করতে হলে যা করা লাগে তা হল, ওই সাপের বিষ ঘোড়ার শরীরে ঢুকিয়ে দিতে হয়। প্রচুর পরিমাণ ঢুকালেও সমস্যা নেই। ঘোড়ার কিছু হবে না। কিছু হবে না বলতে, ঘোড়া মরবে না। তবে ঘোড়া তিনদিন অসুস্থ থাকবে। এরপর সুস্থ হয়ে যাবে। এই তিনদিনে ঘোড়ার রক্তে ওই সাপের বিষের anti venom তৈরি হয়ে গেছে ।
ঘোড়ার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে তার লাল অংশ আলাদা করা হয়। সাদা অংশ অর্থাৎ ম্যাট্রিক্স থেকে অ্যান্টি ভেনাম আলাদা করা হয়। ঘোড়া বেশ স্বাস্থ্যবান এবং অনেক রক্ত থাকে বলে, বেশ ভালো পরিমানে রক্ত নিলেও (গড়ে প্রতি ঘোড়া থেকে প্রায় ৬ লিটার রক্ত নেয়া হয়) ঘোড়ার তেমন ক্ষতি হয় না। এখন এই এন্টি ভেনমের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে শিশিতে ভরে বাজারে সরবরাহ করা হয়।
চিকেন পক্সের এন্টিবডি এবং সাপের বিষের এন্টি ভেনমের মূলনীতি প্রায় একই। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রে এন্টিবডি তৈরি করে আমাদের শরীর; আর সাপের বিষের ক্ষেত্রে সেটি তৈরি হয় ঘোড়ার শরীরে। এই এন্টি ভেনম সাপে কাটা রুগির শরীরে ইনজেকশন করলে এন্টি ভেনম শরীরে থাকা ভেনমকে অকার্যকর করে রুগির জীবন বাচায়। বছরের হাজার হাজার মানুষের জীবন এই এন্টি ভেনমের কারনে বেঁচে যায় ।মানুষ’কে সাপে কামড়া’লে ডাইরেক্ট ইনজেকশন দিয়ে পুশ করা হয়।
খোদ ইন্ডিয়াতে গাদা গাদা অ্যান্টি ভেনাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি আছে। পালের পর পাল ঘোড়া তাদের মূল সম্বল। ঘোড়া না থাকলে সাপের কামড় খেয়ে মানুষের আর বাঁচা লাগত না। এক ছোবলে ডাইরেক্ট উপরে। আরো জানুন
জাহান্নাম

-- জাহান্নাম -(الجهذم)--
ছোট একটা পোষ্ট পড়ার চেষ্টা করবেন ....?....জাহান্নাম কি...
. যারা আজ ইসলামকে পরিপূর্ন ভাবে মেনে নিতে অস্বীকার করছে এবং যারা মুসলিম হয়েও ইসলাম বহিভূর্ত কাজ করছে তারাই জাহান্নামিদের অন্তর্ভুক্ত।যারা সৎ কর্ম করবে তারাই সফলকাম হবে এবং তাদের জন্য জান্নাত অনুরুপভাবে যারা অসৎ কাজ করবে তারা জাহান্নামি হবে তবে সেটা বিচারের দায়িত্ব মহান রব্বুল আলামিনের।
.
.... কোরআনে জাহান্নামি সমপর্কে...
.. সুরা নাবা এর ২১-২৩ নং আয়াতে এরশাদ হয়েছে...- নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে,সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে। তারা তথায় শতাব্দীর পর শতাব্দী অবস্থান করবে।
....
আর জাহান্নাম কেমন হবে সে সমপর্কে কোরআনে সূরা আল মুদ্দাসসির:২৭-৩০ নং আয়াতে এরশাদ হয়েছে..
..আপনি কি বুঝলেন জাহান্নাম কি.?. এটা অক্ষত রাখবে না এবং ছাড়বেও না।মানুষকে দগ্ধ করবে। এর উপর নিয়োজিত আছে উনিশ (ফেরেশতা)।
....
সুতরাং সেই জাহান্নামকে ভয় করুন,, নিজে জানুন এবং মুসলিম ভাই হিসাবে আরেক জনকে জানিয়ে ঈমানি দায়িত্ব পালন করুন।
Tuesday, April 26, 2016
ছায়া তলে

ইয়া আল্লাহ যেই দিন আপনার আরশের ছায়া ছাড়া
আর কোনো ছায়া থাকবেনা সেই দিন
আপনার এ গুনাগার বান্দাকে
আপনার আরশের ছায়ার নিচে ঠাই দিয়েন। আমীন।
শিকলে বেঁধে

শিকলে বেঁধে রোদে পোড়ানো...
শরীয়তপুর: না, এটা কোনো অবাধ্য বেয়াড়া গোছের প্রাণি নয়। মানব শিশুকেই বেঁধে রাখা হয়েছে এভাবে গরু-ছাগলের মতো করে। শিশুটির নাম নয়ন। বয়স মাত্র ৮ বছর।
গলায় তার শিকল বাঁধা। শিকলের শেষ মাথা শক্ত খুঁটিতে তালা দিয়ে আটকানো। কাঠফাটা রোদে পোড়ানো হচ্ছে শিশুটিকে। অসহায় বালকটির দিকে তাকিয়ে হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠেছে পাড়ার নারী-পুরুষ। শিশুটি লজ্জায় কুঁকড়ে গেছে। মুখ নিচু করে কী যে ভাবছে।
শিশু নয়নকে রোদে পুড়িয়ে শাস্তি দেয়ার এ দৃশ্যটি ধারণ করা হয়েছে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চর কোয়ারপুর গ্রাম থেকে। নয়ন কোয়ারপুর গ্রামের মজিবর মাঝির ছেলে ও নড়িয়া উপজেলার রাজনগর তালতলা আলিয়া মাদরাসার ছাত্র।
অভিযোগ রয়েছে, মাদরাসা পালিয়ে শিশু নয়ন রোববার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গ্রামের পার্শ্ববর্তী ডোমসার বাজারের একটি দোকান থেকে তিনটি আরসি কোলা চুরি করে খেয়ে ফেলে। দোকানদার এ ব্যাপারে নালিশ করলে বাবা মজিবর মাঝি ছেলেকে শাস্তি দিতে বৈশাখের কাঠফাটা রোদের মধ্যে শিকলে বেঁধে রাখেন।
চর কোয়ারপুর গ্রামের কয়েকজন জানান, মাদারাসা থেকে পালিয়ে ডোমসার বাজারের এক দোকান থেকে আরসি কোলা চুরি করে খায় নয়ন। ওই দোকানদার মজিবর মাঝির কাছে বিচার দেয়। তাই বাবা তার ছেলের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেন।
গ্রামবাসী আরো অভিযোগ করে, মাদরাসা পলিয়ে শিশুটি প্রায়ই এলাকায় এটা-সেটা চুরি করে বেড়ায়। কারো গাছের আমসহ সব ফল চুরি করে। তার সঙ্গে থেকে এলাকার অনেক শিশু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
শিশুর বাবা মজিবর মাঝি জানান, চার হাজার টাকা খরচ করে ছেলেকে নড়িয়ার রাজনগর তালতলা আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু সে মাদরাসা থেকে পালিয়ে এলাকায় এটা সেটা চুরি করে বেড়ায়। কোনো গাছের ফল কেউ রাখতে পারে না। এলাকা থেকে এ ব্যাপারে বিচার এলে খুব খারাপ লাগে।
মজিবর মাঝি বলেন, সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ডোমসার বাজারে গেলে এক দোকানদার বিচার দেয় তার দোকান থেকে ছেলে নয়ন তিনটি আরসি কোলা চুরি করে খেয়েছে। তাই রাগ সামলাতে না পেরে ছেলেকে তালাবদ্ধ করে রেখেছি। আরো
Saturday, April 23, 2016
ভাঙ্গা মন চাঙ্গা করুন

একদিন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বিবি
আয়েশা (রাঃ) কে ডেকে জিজ্ঞেস
করলেন, হে আয়েশা, আজকে আমি
অনেক খুশি, তুমি আমার কাছে যা
চাইবে তাই দেব, বল তুমি কি চাও?
.
আয়েশা (রাঃ) কে ডেকে জিজ্ঞেস
করলেন, হে আয়েশা, আজকে আমি
অনেক খুশি, তুমি আমার কাছে যা
চাইবে তাই দেব, বল তুমি কি চাও?
.
হযরত আয়েশা (রাঃ) চিন্তায় পড়ে গেলেন, হঠাৎ করে তিনি এমন কি চাইবেন, আর যা মন চায় তা তো চাইতে পারেন না! যদি কোন ভুল কিছু চেয়ে বসেন, নবীজী যদি কষ্ট পেয়ে যান? এমন অনেক প্রশ্নই মনে জাগতে লাগলো! আয়েশা (রাঃ) নবীজী কে বললেন, আমি কি আব্বুর কাছ থেকে কিছু পরামর্শ নিতে পারি?
.
নবীজী বললেন, ঠিক আছে তুমি
পরামর্শ নিয়েই আমার কাছে চাও।
আয়েশা (রাঃ) উনির আব্বু হযরত
আবু বকর (রাঃ) এর কাছে পরামর্শ
চাইলেন।
.
.
নবীজী বললেন, ঠিক আছে তুমি
পরামর্শ নিয়েই আমার কাছে চাও।
আয়েশা (রাঃ) উনির আব্বু হযরত
আবু বকর (রাঃ) এর কাছে পরামর্শ
চাইলেন।
.
আবু বকর (রাঃ) বললেন, যখন কিছু চাইবেই, তাহলে তুমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর কাছে, মিরাজের রাতে আল্লাহ পাক রাব্বুল আ'লামীন এর সাথে হইছে এমন কোন গোপন কথা জানতে চাও।
আর কথা দাও নবীজী যা বলবেন তা
সর্বপ্রথম আমাকে জানাবে।
.
আর কথা দাও নবীজী যা বলবেন তা
সর্বপ্রথম আমাকে জানাবে।
.
আয়েশা (রাঃ) নবীজী (সাঃ) এর কাছে
গিয়ে মিরাজের রাতের কোন এক গোপন কথা জানতে চাইলেন, যা এখনও কাউকে বলেন নি। মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হেসে দিলেন, বললেন বলে দিলে আর গোপন থাকে কি করে! একমাত্র আবুবকর ই পারেন এমন বিচক্ষণ প্রশ্ন করতে।
.
গিয়ে মিরাজের রাতের কোন এক গোপন কথা জানতে চাইলেন, যা এখনও কাউকে বলেন নি। মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হেসে দিলেন, বললেন বলে দিলে আর গোপন থাকে কি করে! একমাত্র আবুবকর ই পারেন এমন বিচক্ষণ প্রশ্ন করতে।
.
মুহাম্মাদ (সাঃ) বলতে লাগলেন, হে
আয়েশা আল্লাহ আমাকে মিরাজের
রাতে বলেছেন, "হে মুহাম্মাদ (সাঃ) তোমার উম্মাতের মধ্যে যদি কেউ, কারো ভাংঙা যাওয়া মন জোড়া লাগিয়ে দেয় তাহলে আমি তাহাকে বিনা হিসাবে জান্নাতে পৌঁছে দেব।
(সুবাহানাল্লাহ)
.
প্রতুশ্রুতি মত, আয়েশা (রাঃ) ইনার
আব্বু হযরত আবুবকর (রাঃ) এর কাছে
এসে নবীজীর বলে দেওয়া এই কথাগুলো বললেন।
.
আয়েশা আল্লাহ আমাকে মিরাজের
রাতে বলেছেন, "হে মুহাম্মাদ (সাঃ) তোমার উম্মাতের মধ্যে যদি কেউ, কারো ভাংঙা যাওয়া মন জোড়া লাগিয়ে দেয় তাহলে আমি তাহাকে বিনা হিসাবে জান্নাতে পৌঁছে দেব।
(সুবাহানাল্লাহ)
.
প্রতুশ্রুতি মত, আয়েশা (রাঃ) ইনার
আব্বু হযরত আবুবকর (রাঃ) এর কাছে
এসে নবীজীর বলে দেওয়া এই কথাগুলো বললেন।
.
শুনে আবুবকর (রাঃ) কাঁদতে শুরু করলেন। আয়েশা (রাঃ) আশ্চর্য
হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আব্বু আপনি
তো কত ভাংঙা যাওয়া মন জোড়া
লাগিয়েছেন, আপনার তো সোজা
জান্নাতে যাওয়ার কথা কাঁদছেন কেন?
.
আবুবকর (রাঃ) বললেন, আয়েশা এই
কথাটার উল্টা চিন্তা করে দেখো, কারো
ভাঙ্গা মন জোড়া লাগালে যেমন আল্লাহ সোজা জান্নাতে দিবেন, কারো মন ভাঙলে ও আল্লাহ যদি সোজা
জাহান্নামে দিয়ে দেন, আমি না জানি
নিজের অজান্তে কতজনের মন ভেঙেছি। আল্লাহ যদি আমাকে
জাহান্নামে দিয়ে দেন, সেই চিন্তায়
আমি কাদতেছি।
(সুবাহানাল্লাহ)
.
এই হলো আমাদের ইসলাম, দুনিয়ায় থেকে জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়ার পরেও এইভাবে চিন্তা করেন। এইভাবে ইসলাম আমাদেরকে শিক্ষা দেয়, কাউকে কষ্ট না দিতে, মানুষের কষ্টে পাশে দাড়াতে।
.
মুহাম্মাদ (সাঃ) আরো বলেছেন, যদি
তুমি গোস্ত রান্না করতে চাও, তাহলে
এক গ্লাস পানি বেশি দিয়ে দাও, যাতে
তোমার গরীব প্রতিবেশীকে একটু
দিতে পারো। আর যদি না দিতে
চাও, তাহলে এমন সময় রান্না করবে,
যখন প্রতিবেশীর বাচ্চা ঘুমিয়ে থাকে,
গোস্তের ঘ্রান পেয়ে বাবা-মাকে গোস্ত
খাওয়ার কথা না বলে, গরীব বাবা-মা,
গোস্ত কিনে খাওয়াতে পারবে না, মনে
অনেক কষ্ট পাবে।
.
এইভাবে ইসলাম আমাদের শিক্ষা দিয়েছে, মুহাম্মাদ (সাঃ) আমাদের কে শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
.
মানুষের মন না ভাঙতে, মানুষকে কষ্ট
না দিতে।
.
আল্লাহ পাক রাব্বুল আ'লামীন আমাদেরকে মানুষের কষ্টে পাশে দাড়ানোর, মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে, মানুষের ভেঙে যাওয়া মনকে
বুঝার তাওফিক দান করুন, ( আমিন )
হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আব্বু আপনি
তো কত ভাংঙা যাওয়া মন জোড়া
লাগিয়েছেন, আপনার তো সোজা
জান্নাতে যাওয়ার কথা কাঁদছেন কেন?
.
আবুবকর (রাঃ) বললেন, আয়েশা এই
কথাটার উল্টা চিন্তা করে দেখো, কারো
ভাঙ্গা মন জোড়া লাগালে যেমন আল্লাহ সোজা জান্নাতে দিবেন, কারো মন ভাঙলে ও আল্লাহ যদি সোজা
জাহান্নামে দিয়ে দেন, আমি না জানি
নিজের অজান্তে কতজনের মন ভেঙেছি। আল্লাহ যদি আমাকে
জাহান্নামে দিয়ে দেন, সেই চিন্তায়
আমি কাদতেছি।
(সুবাহানাল্লাহ)
.
এই হলো আমাদের ইসলাম, দুনিয়ায় থেকে জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়ার পরেও এইভাবে চিন্তা করেন। এইভাবে ইসলাম আমাদেরকে শিক্ষা দেয়, কাউকে কষ্ট না দিতে, মানুষের কষ্টে পাশে দাড়াতে।
.
মুহাম্মাদ (সাঃ) আরো বলেছেন, যদি
তুমি গোস্ত রান্না করতে চাও, তাহলে
এক গ্লাস পানি বেশি দিয়ে দাও, যাতে
তোমার গরীব প্রতিবেশীকে একটু
দিতে পারো। আর যদি না দিতে
চাও, তাহলে এমন সময় রান্না করবে,
যখন প্রতিবেশীর বাচ্চা ঘুমিয়ে থাকে,
গোস্তের ঘ্রান পেয়ে বাবা-মাকে গোস্ত
খাওয়ার কথা না বলে, গরীব বাবা-মা,
গোস্ত কিনে খাওয়াতে পারবে না, মনে
অনেক কষ্ট পাবে।
.
এইভাবে ইসলাম আমাদের শিক্ষা দিয়েছে, মুহাম্মাদ (সাঃ) আমাদের কে শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
.
মানুষের মন না ভাঙতে, মানুষকে কষ্ট
না দিতে।
.
আল্লাহ পাক রাব্বুল আ'লামীন আমাদেরকে মানুষের কষ্টে পাশে দাড়ানোর, মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে, মানুষের ভেঙে যাওয়া মনকে
বুঝার তাওফিক দান করুন, ( আমিন )
নতুন জীবন

স্ত্রীর সালাম শুনে স্বামী অবাক চোখে তাকালো!
স্বামীঃসালামের উত্তর নিতেই.......
স্ত্রীঃতোমার জন্য একটা Gift আছে,
বলে স্বামীর হাতে সুন্দর রঙিন কাগজে মোড়ানো একটা প্যাকেট দিল।
স্বামীঃস্ত্রীকে ধন্যবাদ দিল।
স্ত্রীঃপ্যাকেটটা খুলে দেখো.....
স্বামীঃপ্যাকেটখুলছে আর ভাবছে,কি আছে এর ভিতর!!!
প্যাকেটটা অনেক যত্ন করে মোড়ানো
,মনে হয় স্ত্রী তার নিজের হাতেই করছে। প্যাকেট থেকে...
(একটা জায়নামায আর তাসবীহ্ বেরুলো)
স্বামী অবাক চোখে স্ত্রীর দিকে তাকালো,
চোখে প্রশ্ন..........
স্ত্রীঃস্বামীর ডান হাতটা ধরে,স্বামীর চোখে তাকিয়ে বললো,আমাকে সময় দাও আর না
দাও ৫ওয়াক্ত নামাযে এই জায়নামাযটা
কে সময় দিও।
আমি জান্নাতে যেতে চাই,আমাকে জান্নাতে
নিয়ে যাবে???.
আমি তোমার কাছে টাকা,ধন,সম্পদ,
গাড়ী,অলংকার কিছুই চাই না।
বাঁচার জন্য যতটুুকু দরকার ততটুুকুই দিয়ো।
তুমি আমাকে যা খাওয়াবে,
যা পড়াবে, যেভাবেই রাখো না কেন আলহামদুলিল্লাহ্ আমি খুশি।
শুধু একটা চাওয়া,আমাকে জান্নাতে
নিয়ে যাবে।।।
স্বামীঃস্ত্রীর কথা শুনে চোখেপানি এসে
গেলো...........।
স্বামী স্ত্রীকে আলত করে বুকে টেনে
নিয়ে বললো,
হ্যাঁ আমি তোমাকে জান্নাতে
নিয়েযাবো,ইনশাআল্লাহ্...
এর বেশী কিছু আর বলতে পারলো না...
চোখের পানি চোখেও রাখতে পারলোনা।।।
আজ থেকে তার নতুন জীবন শুরু।
তার নতুন জীবন আর জীবন সঙ্গীনির জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করল।
।
............. মহান আল্লাহ যেন সকল বন্ধুদের
মনের আশা পুরন করেন (( আমিন))
Friday, April 22, 2016
মা ও মেয়ে

একটি বাস্তবতাঃ-
মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর যখন
সে আবার বাবার
বাড়ি আসে তখন মা খুব আগ্রহ
ভরে জানতে চায়
যে ঐ বাড়িতে তার কেমন লেগেছে ?
মেয়ে জবাবে বলে-
“ আমার ওখানে ভালো
লাগেনা। মানুষগুলো কেমন
যেন। পরিবেশটাও আমার
ভালো লাগছেনা”। মেয়ের
ভেতর এক ধরনের হতাশা
দেখতে পায় তার মা।
দেখতে দেখতে বেশ কিছুদিন
কেটে যায়। মেয়ের
চলে যাবার সময় চলে আসে।
চলে যাবার ঠিক আগের
দিন মা তার মেয়েকে নিয়ে রান্না
ঘরে প্রবেশ করেন। মা হাড়িতে
পানি দেন এবং তা গরম
করতে থাকেন।
একসময় যখন তা ফুটতে
থাকে তখন মা হাড়িতে গাজর,
ডিম আর কফির বিন দেন।
এভাবে বিশ মিনিট পর মা
আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
একটি বাটিতে গাজর, ডিম
এবং কফির বিন নামিয়ে রাখেন।
এবার তিনি মেয়েকে উদ্দেশ্য
করে বলেন- “তুমি এখান
থেকে কি বুঝতে পারলে
আমাকে বল” ?
.
মেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলে-
“আমি দেখলাম তুমি গাজর,
ডিম আর কফির বিন সিদ্ধ
করলে মাত্র”।
.
মেয়ের কথা শুনে মা বললেন-
“হ্যাঁ, তুমি ঠিকই দেখেছ।
তবে তুমি কি আরও কিছু
লক্ষ্য করনি?”
মেয়ে বলে- “ না- মা,”
.
মা বলে-
“গাজর মোটামুটি শক্ত ধরনের,
ডিম খুব হালকা আর কফির
বিন খুবই শক্ত। কিন্তু যখন
এগুলিকে গরম পানিতে রাখা
হল তখন তিনটি জিনিসের তিন
রকম অবস্থা হল। গাজর খুব
নরম হয়ে গেল, আর ডিম শক্ত
হয়ে গেল আর কফির বিন
সুন্দর ঘ্রান আর
মিষ্টি স্বাদে পানিতে মিশে গেল”।
.
মা এবার দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে
যেন অনেক অতীতে চলে যেতে
চাইলেন। তারপর আবার
বাস্তবে ফিরে এসে মেয়ের দিকে
ফিরে বললেন- “আমি তোমাকে
এখন যে কথাগুলি বলব,
আমার মাও ঠিক এইভাবেই
আমাকে এ কথাগুলি বলেছিল।
আমি জানিনা কথাগুলি
তোমার কতটুকু উপকারে
আসবে, তবে আমার জীবনকে
অনেক প্রভাবিত করেছিল”।
.
মা কিছুক্ষন বিরতি দিয়ে বলতে
লাগলেন-
“তুমি যদি তোমার স্বামীর
বাড়িতে নিজেকে কঠিনভাবে
উপস্থাপন কর, তবে প্রতিকূল
পরিবেশের সাথে তোমার সংঘর্ষ
হবে- তোমাকে দুর্বল করে ঠিক
গাজরের মতই নরম
করে ফেলবে- তোমার
ব্যক্তিত্বকে ভেঙে ফেলবে।
.
যদি তুমি নিজেকে নরম-ভঙ্গুর
করে উপস্থাপন কর
তবে প্রতিকূল পরিবেশ
তোমাকে কব্জা করে ফেলবে,
আঘাতের পর আঘাত
এসে তোমার হৃদয়কে একসময়
কঠিন করে ফেলবে ঠিক ডিমের মত।
.
কিন্তু তুমি যদি তোমার
ভালবাসা দিয়ে নিজেকে
প্রতিকূল পরিবেশের সাথে
মিশিয়ে দিয়ে তার
অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে নিতে পার
তবে পরিবেশ সুন্দর হয়ে উঠবে
ঠিক যেমন কফির বিন গরম
পানির সাথে নিজেকে মিশিয়ে
দিয়ে পানিকে সুস্বাদু
আর চারপাশকে মিষ্টি ঘ্রানে
ভরিয়ে দিয়েছে”।
.
পরের দিন যখন মেয়েটি তার
স্বামীর বাড়িতে যাচ্ছিল তখন
তার ভিতর এক আশ্চর্য শান্ত
ভাব আর এক দৃঢ় প্রত্যয়
প্রকাশ পাচ্ছিল।''
(অনুবাদকৃত গল্প-বিমূর্ত)
.
আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি
সবসময় অনুকুল থাকবেনা,
তাই বলে নিজেকে পরিস্থিতির
কাবু না করে র্ধৈয্য ,ভালবাসা,
সহমর্মিতা নিয়ে পরিস্থিতিকে
কাবু করতে হবে । সুখ সবসময়
নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয়।
(পোস্টটি কেমন লাগল জানাতে ভুলবেন না)
Tuesday, April 19, 2016
ফেসবুক আগামী দশ বছর
ফেসবুকের আগামী দশ বছরের পরিকল্পনা


১২ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো শহরে ফেসবুকের এফ৮ কনফারেন্সে মার্ক জাকারবার্গ আগামী ১০ বছরের পরিকল্পনা সবার সামনে তুলে ধরেন। প্রযুক্তিখাতে এভাবে নিজস্ব পরিকল্পনা সবার সামনে একেবারে খোলামেলাভাবে তুলের ধরার রেওয়াজ নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যা থাকে, তা হলো তাদের পণ্যের গুণগান। গুগল, ইন্টেল, মাইক্রোসফট, সিসকো, ওরাকল, যার কথাই বলি না কেন, হাইটেক কোম্পানিগুলো মূলত এই ধরনের কনফারেন্সে নিজেদের গুণগানই গেয়ে থাকে। খুব বেশি হলে আগামী বছর বাজারে কী আসতে পারে, সেই বিষয়ে একটু ধারণা দেওয়া হয়ে থাকে। আর এ্যাপলের মতো কোম্পানি তো সব কিছুই গোপন রাখে। তারা কখনই তাদের রোডম্যাপ অন্যকে জানায় না। সেই দিক থেকে মার্ক জাকারবার্গ খুবই ব্যতিক্রমধর্মী একটি কাজ করেছেন। তবে তিনি পুরো বিশ্বকে একটি ঝাঁকুনি দিতে চেয়েছেন। আর তাই হয়তো এভাবে খোলামেলা সবকিছু শেয়ার করেছেন।
একটি বিশাল ঝাঁকুনি দেওয়ার মতো ক্ষমতা আছে বলেই, ৩১ বছরের এই যুবক এখন সবার আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের অনেকের মতো আমিও তার বক্তৃতা মুগ্ধ হয়ে শুনলাম। প্রতিটি মিনিটে নতুন যে বিষয়গুলো তিনি তুলে ধরেছেন, আমি নিশ্চিত এটা যেকোনোও প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষকে আকৃষ্ট করবে। আমরা যেগুলো বিজ্ঞানকল্প কাহিনীতে পড়তাম, কিংবা লিখতাম- সেগুলোই এখন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। পুরো বিশ্বের মিডিয়া এটা নিয়ে কথা বলছে। ৩০ মিনিটের সেই বক্তৃতায় বুঝা গেছে যে, মার্ক জাকারবার্গ তার জীবনের সবচেয়ে বড় খেলাটি খেলতে যাচ্ছেন। চলুন দেখা যাক, কেন মানুষ তার বক্তৃতা এবং পরিকল্পনাকে এতটা প্রাধান্য দিচ্ছে। যেকোনোও প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষের জন্য বিষয়গুলো জানা থাকলে আগামী দিনগুলোর বেশ মজার হয়ে উঠতে পারে।
১. চ্যাট করার রোবট
আমরা এত দিন কোনোও মানুষের সাথে চ্যাট করতে অভ্যস্ত ছিলাম। কিন্তু এখন ফেসবুক তাদের ম্যাসেঞ্জারে নিয়ে এসেছে রোবট। অর্থাৎ একটি রোবট আপনার সঙ্গে কথা বলবে। এই প্রযুক্তিটি ইতোমধ্যেই সিএনএন এবং ১-৮০০-ফ্লাওয়ার (টেলিফোনের মাধ্যমে ফুল অর্ডার করার দোকান) পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনা করছে। ফুল বিক্রির দোকানটি আমেরিকায় খুবই জনপ্রিয়। প্রথমে তারা টেলিফোনের মাধ্যমে অর্ডার নিত। তারপর ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও অর্ডার করা যেত। কিন্তু এখন সরাসরি ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমেই ফুল অর্ডার করা যাবে। আপনি কাকে ফুল পাঠাতে চান, তার নাম এবং বিষয়াদি লিখে দিলেই রোবটটি আপনার অর্ডারটি নিয়ে ফেলবে। ব্যাপারটি অনেকটা এমন যে, ম্যাসেঞ্জারকে বললেন ওই জুতাটা নিয়ে এসো। ব্যাস, কেনা হয়ে গেল। আমাদের বাড়ির ফরমায়েস খাটা মানুষটার মতো।
পাশাপাশি সিএনএন আরেকটি মজার বিষয় করছে। আপনি কোনোও একটি রিপোর্টের উপর নানান প্রশ্ন করতে পারেন। সেগুলোর উত্তর দিয়ে দেবে ওই রোবট। আপনার কাছে মনে হবে, আপনি একজন রিপোর্টারকে কোনোও প্রশ্ন করছেন। কিন্তু একটি রোবট আপনাকে ইচ্ছেমতো তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে। আমাদের প্রচলিত সাংবাদিকতা যে আরও পাল্টে যাবে, তাতে কোনোও সন্দেহ নেই।
এখানে আরেকটি তথ্য সবার কাজে লাগতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৬০ বিলিয়ন ম্যাসেজ আদান প্রদান করে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু পুরো পৃথিবীতে সকল মোবাইল অপারেটর মিলে সারাদিনে মাত্র ২০ বিলিয়ন ম্যাসেজ আদান প্রদান করে থাকে। এটা থেকে কেউ কেউ মোবাইল কোম্পানিগুলোর ভবিষ্যৎ অনুমান করতে পারেন।
২. বিজ্ঞাপনী ম্যাসেজ
এত দিন ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার কাউকে কোনোও পণ্যের বিজ্ঞাপন পাঠাতে পারত না। বিজ্ঞাপন থাকত পেজের ডান দিকে, নয়তো স্পন্সরড নিউজ ফিডে। কিন্তু এখন কোনোও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান চাইলে তাদের পণ্যের জন্য সরাসরি ম্যাসেজ পাঠাতে পারবে; এবং পণ্যটিকে প্রোমোট করতে পারবে। বিষয়টা হয়তো অনেকটা এমন হবে যে, আমরা নিত্যদিন এসএমএস-এ যেরকম বিভিন্ন অফার পেয়ে থাকি, এটা হবে নতুন দিনের উৎপাত। তবে এসএমএস হলো একমুখী প্রচারণা। মেসেঞ্জারে কোনোও ম্যাসেজ পাঠিয়ে গ্রাহক ধরাটা অনেকটা সহজ হবে, কারণ এটা হবে দুইমুখী প্রচারণা। আপনি ম্যাসেজটি পড়েছেন, সেটাও সে দেখতে পাবে। এবং চাইলে আপনার সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবে। তবে সুখের বিষয় এই যে, যারা এই ধরনের পণ্যের ম্যাসেজ পেতে চান সেই ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর বিজ্ঞাপনী সংস্থার কাছে থাকতে হবে।
৩. স্যাটেলাইট এবং ইন্টারনেট উড়োজাহাজ
এই মুহূর্তে পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি মানুষের কাছে ইন্টারনেট নেই। প্রায় ২০০ কোটি মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছানোর মাধ্যম নেই। আর ১০০ কোটি মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের সাধ্য নেই। আর আরও ১০০ কোটি মানুষের জানে না কেন তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করবে। এই প্রায় ৪০০ কোটি মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনার কাজটি করতে যাচ্ছে ফেসবুক।
আর সেই লক্ষ্যে তিনি তৈরি করছেন স্যাটেলাইট এবং উড়োজাহাজ। তিনি তার বক্তৃতার সময় বিশাল পাখাযুক্ত একটি উড়োজাহাজ তৈরির কারখানার ছবি দেখান। তিনি হাসতে হাসতে বলছিলেন, আমি যদি ১২ বছর আগে বলতাম আমি একটি উড়োজাহাজ বানাব, তাহলে সবাই আমার কথা শুনে নিশ্চই হাসত। কিন্তু এখন আমি সত্যি সত্যিই উড়োজাহাজ তৈরি করতে যাচ্ছি।
এটা মূলত তার ইন্টারনেট.অর্গ-এর কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে করা। আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার জন্য এই মহাপরিকল্পনা। বিশ্বের ৩৭টি দেশে বিনামূল্যের এই ইন্টারনেট কার্যক্রম চলছে। সঙ্গে সহযোগী হিসেবে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দেশের মোবাইল অপারেটরদেরকে। বাংলাদেশেও বর্তমানে ইন্টারনেট.অর্গের অপারেশন বিদ্যমান। তবে ভারতে সম্প্রতি এই কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে সেই দেশের সরকার।
৪. ভার্চুয়াল রিয়ালিটি
ফেসবুক অনেক দিন ধরেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নিয়ে কাজ করছিল। তারই উন্মুক্ত ডেমো করলেন মার্ক জাকারবার্গ। তিনি মনে করেন, মানুষ অনেক বেশি সময় ব্যয় করবে ভার্চুয়াল জগতে। সেখানে তারা খেলবে, দেখা করবে, ভাব বিনিময় করবে। এবং এই অভিজ্ঞতাগুলো আর ছবি দেখার মতো হবে না। সেগুলো হবে জীবন্ত মানুষের অভিজ্ঞতার মতো; আমাদের সাধারণ জীবনের মতো।
একটু চোখ বন্ধ করে ভাবা যেতে পারে, আপনি একজন মানুষের সঙ্গে টেবিল টেনিস খেলছেন যিনি বসে আছেন পৃথিবীর আরেক প্রান্তে নিউ ইয়র্ক কিংবা স্যান ফ্রান্সিসকোতে। আপনি একটি সিনেমা দেখছেন ইন্টারনেটে। সেই সিনেমাটি এমন হবে যেন আপনি সত্যি সত্যি সিনেমার ভেতর ঢুকে গেছেন। আপনি হয়ে গেছেন সেই মুভির একটি অংশ। সাগরতলায় কিংবা পাহাড়ের চূড়ায় নয় তো স্বপ্নিল রুপালি সুমদ্রের বালুময় তীরে। সেই অভিজ্ঞতা আপনি নিতে পারবেন ঘরে বসেই।
আপনি একটি আর্টিকেল পড়ছেন। সেটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি যদি ওটার অভিজ্ঞতা নিতে চান, তাহলে কেমন হবে? ধরুন একটি ভ্রমণ কাহিনী, যা আপনাকে দেবে লেখকের মতোই সমান অভিজ্ঞতা।
উল্লেখ্য যে, অনুষ্ঠানে যারা অংশ নিয়েছেন তারা সবাই একটি করে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ডিভাইস এবং স্যামসাং স্মার্টফোন উপহার হিসেবে পেয়েছেন। ৬০০ ডলারের টিকিট কেটে ৮০০ ডলারের উপহার পাওয়া মন্দ নয়!
৫. ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা
ফেসবুক নতুন একটি ক্যামেরা তৈরি করেছে, যা ৩৬০ ডিগ্রি কভার করে ছবি তুলতে পারে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ফেসবুক সারাউন্ড ৩৬০। এর ভেতর রয়েছে ১৪টি ক্যামেরা যা দিয়ে চারদিকের ছবি একসাথে তোলা হয় এবং জোড়া দিয়ে একটি চমৎকার ছবি তৈরি করা হয়। মার্ক জাকারবার্গ তার মেয়ের উদাহরণ দিয়ে দেখান যে, যখন নতুন শিশুর জন্ম হলে ছবি তুলে সেটা পরিবারকে দেখানো হতো। তারপর এলো ভিডিও-এর যুগ। বাচ্চার ভিডিও ক্যাপচার করে সেটা পরিবার এবং বন্ধুদের দেখানো হতো। আর এখন এসেছে সারাউন্ড ৩৬০। তিনি তার মেয়ের প্রথম হাঁটার ছবি ভিডিও করেন ওই ক্যামেরা দিয়ে। সেখানে দেখা যায়, পুরো ৩৬০ ডিগ্রি পরিবেশকে ধারণ করেছে ওই ক্যামেরা। চমৎকার এক অনুভূতি।
৬. ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং
আজকাল ড্রোন খুব জনপ্রিয় হচ্ছে। ই-কমার্স কোম্পানিগুলো ড্রোনের মাধ্যমে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পণ্য পরিবহন করছে, এমন ছবি আমরা দেখতে পেয়েছি। বাংলাদেশের মতো ট্রাফিক জ্যামের দেশে ড্রোন খুব কাজের একটি জিনিস হতে পারে, যদি না সেই ড্রোন মাঝপথে কেউ ছাদ থেকে টেনে নামিয়ে ফেলে। এবার ভাবুন, যদি সেই ড্রোনের সঙ্গে থাকে ভিডিও ক্যামেরা, তাহলে কেমন হয়?
মার্ক জাকারবার্গ তার বক্তৃতার সময় এমন একটি ড্রোনকে স্টেজে নিয়ে আসেন। সেই ড্রোনের সঙ্গে ছিল লাইভ ক্যামেরা। এর মাধ্যমে তার সেই অনুষ্ঠান সরাসরি লাইভ স্ট্রিমিং করে দেখান। তার পেছনের বড় পর্দায় ভেসে ওঠে সেই ছবি। এগুলো নিয়ে অনেক দিন ধরেই কথা হচ্ছিল। কিন্তু এখন সেটা বাস্তবেও রূপ নিয়েছে।
তিনি আরও জানান যে, এরপর একজন ডেভেলপার ফেসবুক এ্যাপের মাধ্যমে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করতে পারবে। একটি স্মার্টফোন থেকেই সেটা করা সম্ভব হবে। ধরুন কোনোও বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন, নয়তো কয়েকবন্ধু মিলে কোথাও আড্ডা দিচ্ছেন, নয়তো কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন। আপনার লাইভ ভিডিও সম্প্রচার হবে ফেসবুক লাইভে।
৭. মারা যাবে টিভি
টেলিভিশন নিয়ে চিন্তা করেছিলেন স্টিভ জবস। তিনি চাইছিলেন এটাকে পাল্টে দিতে। সেই কাজ তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। এখন মার্ক জাকারবার্গ নতুন করে টিভিকে সংজ্ঞায়িত করতে যাচ্ছেন। ফেসবুক তার মোবাইল এ্যাপকে নতুন করে সাজাতে যাচ্ছে, যেখানে শতকরা ২৫ ভাগ কম ডাটা নিয়েই চলতে পারবে। এবং তিনি আশা করছেন ১ ডলারের একটি এ্যাপ এই গ্রহের টিভিকে প্রতিস্থাপিত করে দেবে একদিন।
পারিপার্শিক চিন্তাভাবনা
মার্ক জাকারবার্গ আগামী ১০ বছরের যে পরিকল্পনা এবং ভিশন দেখিয়েছেন, তার মূল ভিত্তি হলো ৩টি- সবাইকে ইন্টারনেটের আওতায় আনা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আগামী দিনের বিশাল একটি জায়গা করে নেবে তাতে কোনোও সন্দেহ নেই। বর্তমান সময়ের সফটওয়্যারগুলো ইতোমধ্যেই বলে দিতে পারে, একটি ছবিতে কে কে আছেন। আপনাকে আর জিজ্ঞেস করতে হয় না। সে মুখ চিনতে পারে। এমন কি অন্ধদেরকে পড়ে শুনাতে পারে। আপনি একটি ছবি তুলেছেন। সেই এ্যাপটি পড়ে শোনাবে, এই ছবিতে রয়েছে সুন্দর একটি দৃশ্য, যেখানে সাগর আর গাছপালা রয়েছে। ছবিটি বিকেলবেলা তোলা হয়েছে। দূরে সমুদ্র তীরে কিছু মানুষ খেলছে। একজন অন্ধ মানুষের জন্য এই তথ্যগুলো কতটা জীবন্ত, যার চোখ নেই তিনি ছাড়া হয়তো আর কেউ তা বলতে পারবেন না।
জাকারবার্গ নিজেও বলেছেন যে, আগামী দিনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের জীবনকে বাঁচাতে পারে। একটি সিস্টেম বলে দিতে পারবে, ঠিক কেন এবং কোথায় ক্যান্সারটি হয়েছে। কিংবা ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা কতটুকু। একটি রোবট খুব নিখুঁতভাবে সার্জারি করতে পারবে; কিংবা একজন মুমূর্ষরোগীকে বিশ্বের যেকোনোও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো যাবে এই পৃথিবীর যেকোনোও প্রান্ত থেকে। এগুলো আমরা গল্পের বইতে পড়েছি। কিন্তু এটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য শক্তি প্রয়োগ করছেন জাকারবার্গ।
আর ভার্চুয়াল রিয়েলিটি যে এই জগৎকে পাল্টে দেবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা ইতোধ্যেই থ্রি-ডি গেম এবং সিনেমার স্বাদ পেয়ে গিয়েছি। ওগুলো মূলত বিশেষ ধরনের চমশা পড়ে অভিজ্ঞতা নিতে হয়। কিন্তু ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জন্য পড়তে হয় বিশেষ ধরনের ডিভাইস, যা চোখে লাগিয়ে আপনি উপভোগ করতে পারেন একদম ভিন্ন একটি অভিজ্ঞতা। যদিও জাকারবার্গ বলছেন, ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মাধ্যমে মানুষ একজন আরেকজনের সাথে ভিন্ন মাত্রায় যোগাযোগ করবে, আমি মনে করি এটা লেখাপড়া এবং জ্ঞানবিজ্ঞানে বিশাল ভূমিকা রাখবে। দূরশিক্ষণে এটা দারুণ একটি ভূমিকা পালন করতে পারে। আমরা বাংলাদেশে বসেই স্টানফোর্ড কিংবা হার্ভার্ডের একটি ক্লাস উপভোগ করতে পারব। শিক্ষককে নিজের ক্লাসরুমের মতো দেখতে পাব। অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গ পাব। সেটাই হবে মূলত আসল ভার্চুয়াল ক্লাসরুম।
যেহেতু এই পরিকল্পনা মাত্র ১০ বছরের, তাই এর চ্যালেঞ্জও আছে প্রচুর। প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো বিশাল অংকের এই মানুষগুলোকে একটি ছাতার নিচে নিয়ে আসা, যেখানে ৪০০ কোটি মানুষ এখনও ইন্টারনেটের বাইরে। তবে এটা ঠিক, এগুলো একটা সময়ে চলে আসবে। আগামী ১০ বছরের ভেতর হয়তো অনেকটাই হয়ে যাবে। একটি বড় ধরনের আর্থসামাজিক পরিবর্তন প্রয়োজন হবে। পুরো সমাজকে তো আর ভেঙেচুরে এক করে ফেলা যাবে না। অর্থনীতি তার চাকার মতো ঘুরে যাবে। এই নতুন অর্থনীতির বাইরে থাকা মানুষগুলোকে এর ভেতর আনতে পারলে, বিশাল এক নতুন পৃথিবীকে দেখব আমরা।
আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভাষা। পৃথিবীতে এখন সাত হাজারের মতো ভাষা আছে। তার ভেতর মাত্র ৫৫টি ভাষা ইন্টারনেটে বিরাজ করে। কিন্তু বিশাল সেই জনসংখ্যার মানুষ তাদের নিজেদের ভাষায় প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাইবে। তাদেরকে যদি ইংরেজি কিংবা বাংলা নয়তো চায়না ভাষা শিখে এই দলে যোগ দিতে হয়, তাহলে অনেক সময় লেগে যাবে।
এই পুরো বিষয়গুলো ঘটবে ২০২৬ সালের মধ্যেই। সেই সময়ের পৃথিবী হবে ভিন্ন। আজ থেকে ১০ বছর পেছনের দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখতে পাব, আজকের অনেক কিছুই তখন ছিল না। এমন প্রচুর কম্পিউটিং ক্ষমতা মানুষের হাতে ছিল না। আবার এমন ব্যান্ডউইডথও আমাদের মোবাইলের ভেতর ছিল না। আমরা এই কয়েক বছর আগেই ভাবতে পারতাম না যে, ক্যামেরা ছাড়া ছবি তোলা যাবে। কিন্তু এখন দেখছি, মোবাইল কিংবা ট্যাবে যত ছবি তোলা হয়, ক্যামেরা দিয়ে ততো হয় না। আর এদের ছবির মানও এত ভালো হয়ে গেছে যে, মোবাইলটাই একটা দারুণ ক্যামেরায় পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি তারবিহীন ইন্টারনেট এতো সহজলভ্য এবং দ্রুতগতির হয়ে গেছে যে, একটি মোবাইল থেকেই সরাসরি ভিডিও স্ট্রিমিং করা যাচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশেই ফোর-জি চালু হয়েছে। থ্রি-জি বড় একটি ভূখণ্ডে রয়েছে। অল্প কিছু এলাকায় টু-জি এখনও রয়ে গেছে। এগুলো হয়তো আর কয়েক বছরের মধ্যেই এমনিতেই থ্রি-জি নয়তো ফোর-জিতে চলে যেতে হবে। তখন মানুষ যোগাযোগ করবে ভিডিও-এর মাধ্যমে সরাসরি। মানুষ লাইভ করবে সরাসরি। তখন মানুষ টিভি পর্দাটি ব্যবহার করবে বড় স্ক্রিনে নিজেকে দেখার জন্য, প্রিয় মানুষকে দেখার জন্য। প্রথাগত টিভি তখন মুখ থুবড়ে পরবে তাতে কোনোও সন্দেহ নেই। একইভাবে প্রথাগত কনটেন্ট এবং সংবাদেরও মৃত্যু হবে। মানুষ অনেক বেশি নিজেদের মধ্যেই যোগাযোগ করে তথ্য পেয়ে যাবে; বিনোদন পেয়ে যাবে।
বর্তমানে ১৬০ কোটি মানুষ ফেসবুকের আওতায় এসেছে। বাকি সবাই যে ফেসবুকের আওতায় আসবে, সেটা বলা যাবে না। প্রযুক্তি যখন এমন জায়গায় যাবে, তখন অন্য কেউ এসে আরও সুবিধাজনকভাবে ওটাকে ব্যবহার করে ফেলতে পারে। এমনটাই দেখা গেছে বিগত দশকগুলোয়। ২০২৬ সালের এই গ্রহটি কেমন হবে, তা আমরা একটি একটি বছর পার করেই দেখতে পাব। অপেক্ষায় আছি সেই যাত্রার। আরো
কর্ম ফল

এক বৃদ্ধা মা ও তার ছেলে...
.
গল্পটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না....
.
এক বৃদ্ধা মা তার ছেলে, ছেলের বউ ও ছয় বছরের এক নাতীর সাথে বাস করতেন। বৃদ্ধা মা খুব দুর্বল ছিলেন। তিনি ঠিকভাবে হাঁটতে পারতেন না, চোখে কম দেখতেন, বৃদ্ধ হওয়ার কারনে তার হাত কাঁপতো, কিছু ধরতে পারতেন না । যখন বৃদ্ধা মা ছেলে ও ছেলের বউয়ের সাথে রাতে একসাথে খেতে বসতেন তখন প্রায় প্রতিদিন ই কোন না কোন ঘটনা ঘটাতেন। কোনদিন হয়তো হাত কাঁপার ফলে দুধের গ্লাস ফেলে দিয়ে টেবিল নষ্ট করতেন, আবার কোনদিন ফ্লোরে তরকারী ফেলে দিতেন।
.
গল্পটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না....
.
এক বৃদ্ধা মা তার ছেলে, ছেলের বউ ও ছয় বছরের এক নাতীর সাথে বাস করতেন। বৃদ্ধা মা খুব দুর্বল ছিলেন। তিনি ঠিকভাবে হাঁটতে পারতেন না, চোখে কম দেখতেন, বৃদ্ধ হওয়ার কারনে তার হাত কাঁপতো, কিছু ধরতে পারতেন না । যখন বৃদ্ধা মা ছেলে ও ছেলের বউয়ের সাথে রাতে একসাথে খেতে বসতেন তখন প্রায় প্রতিদিন ই কোন না কোন ঘটনা ঘটাতেন। কোনদিন হয়তো হাত কাঁপার ফলে দুধের গ্লাস ফেলে দিয়ে টেবিল নষ্ট করতেন, আবার কোনদিন ফ্লোরে তরকারী ফেলে দিতেন।
প্রতিদিন খাওয়ার সময় এরকম ঝামেলা হওয়ায় ছেলে তার মায়ের জন্য আলাদা একটি টেবিল বানিয়ে দিল। টেবিলটি ঘরের কোণায় সেট করে দিল। বৃদ্ধা মা সেখানে একা বসে খেতেন আর একা একা চোখের পানি ফেলতেন।
ছোট্ট নাতীটি এসব নীরবে দেখছিল।
একদিন বৃদ্ধা মা কাঁচের প্লেট ভেঙে ফেললেন। বৃদ্ধার ছেলেটি এজন্য তাকে কাঠের প্লেট কিনে দিল।
একদিন সন্ধ্যায় বৃদ্ধার ছেলেটি দেখলো তার শিশু বাচ্চা কাঠের টুকরা দিয়ে কি যেন বানাতে চাচ্ছে। বাবা তার ছেলের কাছে গিয়ে বললো, বাবা তুমি কি করছো?
তখন শিশুটি বললো, আমি টেবিল ও একটি কাঠের প্লেট বানাচ্ছি। যখন আম্মু বুড়ো হবে তখন কিসে খাবে ! তাই আগে থেকে বানিয়ে রাখছি।
ছেলের এরকম কথায় বাবা তার ভুল বুঝতে পারলো। সে তার স্ত্রীকে বললো, এখন থেকে প্রতিদিন আমরা দুজন মাকে খাইয়ে তারপর খাব ।
কিন্তু হায়, যখন সন্ধ্যার পর তারা দুজন মাকে খাওয়ানোর জন্য গেল তখন দেখলো, তার গর্ভধারিনী মা মারা গেছে ।
শিক্ষা:
মা-বাবাকে ভালোবেসো; কষ্ট দিও না
তবে সন্তান বাসবে ভালো ভুলে যেও না।
রূপ-যৌবন চিরকাল টিকে থাকবে না
“যেমন কর্ম তেমন ফল” ব্যত্যয় হবে না।
Saturday, April 16, 2016
এক মিনিট সময়

এক মিনিট সময় নিয়ে পরুন, ভালো লাগবে,
===============================
জনৈক দরিদ্র ব্যক্তি মক্কায় বসবাস করত।
তার ঘরে সতী-সাধ্বী স্ত্রী ছিল।
একদিন স্ত্রী তাকে বলল, হে সম্মানিত
স্বামী! আজ আমাদের ঘরে কোন
খাবার নেই। আমরা এখন কি করব? একথা
শুনে লোকটি বাজারের দিকে কাজ
খুঁজতে বেরিয়ে গেল। অনেক
খোঁজাখুঁজির পরও সে কোন কাজ পেল
না। একসময় ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে সে
মসজিদে গমন করল। সেখানে সে
দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করে স্বীয় কষ্ট
দূর হওয়ার জন্য আল্লাহর নিকটে দো‘আ
করল। দো‘আ শেষে মসজিদ চত্তরে এসে
একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখল এবং
সেটা খুলে এক হাযার দিরহাম পেয়ে
গেল। ফলে তা নিয়ে লোকটি
আনন্দচিত্তে গৃহে প্রবেশ করল। কিন্তু
স্ত্রী উক্ত দিরহাম গ্রহণে অস্বীকৃতি
জানিয়ে বলল, অবশ্যই আপনাকে এ সম্পদ
তার মালিককে ফেরৎ দিয়ে আসতে
হবে। ফলে সে পুনরায় মসজিদে ফিরে
গিয়ে দেখতে পেল যে, এক ব্যক্তি
বলছে ‘কে একটি থলি পেয়েছে
যেখানে এক হাযার দিরহাম ছিল?’
,
একথা শুনে সে এগিয়ে গিয়ে বলল,
আমি পেয়েছি। এই নিন আপনার
থলিটি। আমি এটা এখানে কুড়িয়ে
পেয়েছিলাম। একথা শুনে লোকটি
তার দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থেকে
বলল, ঠিক আছে ব্যগটি আপনিই নিন। আর
সাথে আরো নয় হাযার দিরহাম নিন।
একথা শুনে দরিদ্র লোকটি বিস্মিত
হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইল। তখন
লোকটি বলল, সিরিয়ার জনৈক ব্যক্তি
আমাকে দশ হাযার দিরহাম দিয়ে
বলেছিল যে, এর মধ্য থেকে এক হাযার
দিরহাম আপনি মসজিদে ফেলে
রাখবেন এবং কেউ তা তুলে নেওয়ার
পর আহবান করতে থাকবেন। তখন যে
আপনার আহবানে সাড়া দিবে, আপনি
তাকে সম্পূর্ণ টাকা প্রদান করবেন।
কেননা সেই হ’ল প্রকৃত সৎ ব্যক্তি।
, @ উপদেশঃ-
যে আল্লাহকে ভয় করে,এবং আল্লাহর উপর
ভরসা রাখেন তার কোনদিন কোন বিপদ
হতে পারেনা,
আল্লাহ বলেন,
‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে তিনি
তার জন্য পথ খুলে দেন এবং এমন উৎস
থেকে রিযিক দান করেন, যা সে
কল্পনাও করেনি’ (তালাক ৬৫/৩)
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিক পথে
ও সত্য পথে পরিচালিত করার তাওফিক
দান করুন, ( আমিন )
Friday, April 15, 2016
ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ
প্লিজ,বেয়াদবি মাফ করবেন।
মেয়েদের বিপক্ষে বলতে হচ্ছে। সত্যটাই যাচাই করতে হবে, মেয়েদের শরীরের সব থেকে আকর্ষণীয়
অঙ্গ হলো তাদের " স্তন " কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমানে ৯৬% মেয়েরা তাদের বুকের ওড়না গলায় পেচিয়ে বুক টানটান করে পথঘাটে চলাফেরা করে।। অথচ ওড়নাটা কিন্তু বুক ঢেকে রাখার জন্য।।
.
আর কিছু মেয়েরা নাভি বের করে পাতলা জর্জেট বা সিল্কের শাড়ির সঙ্গে পিঠে ৩ ইঞ্চি ঘেরা দেওয়া বাউজ
পরে বুক টানটান করে কোমর দোলাতে দোলাতে বাইরে চলাফেরা করেন।।
.এই অবস্থা দেখলে 6০ বছরের বুড়োর যৌবনে ধাক্কা দেবে। মন চাইবে.........! !
.
আপুরা কিসের জন্য শরীরটা খোলামেলা রাখেন?
পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ?? .
শ্রদ্ধেয়া মা-বোনেরা একবার ও ভেবে দেখেছেন আপনাদের শরীরটা খোলামেলা দেখার অধিকার একমাত্র
আপনার স্বামীর,পর পুরুষের নয়।।
.
আপনাদের কি একটু লজ্জা করে না এরকম চলতে??
আপনাদের কারনে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ, গোটা দেশ।।
মা-বোনদের আমি অনুরোধ করছি,
.
প্লীজ আপনারা মানসম্মত পোষাক পরে চলাফেরা করুন। তাহলে প্রকৃত সম্মান পাবেন।।
Wednesday, April 13, 2016
Tuesday, April 12, 2016
হাওয়া বাইক
পেট্রোল কিংবা ডিজেলে নয়, হাওয়াতেই চলবে মোটরসাইকেল!
জ্বালানির ট্যাঙ্কের জায়গায় শুধু হাওয়া ভরলেই চলবে। আপাতত এই মোটরসাইকেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাওয়া বাইক’। এটি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের যুবক গৌরব দেবনাথ (২৪)।
গৌরব দেবনাথ ‘হাওয়া বাইক’ আবিষ্কার করে রীতিমতো অবাক করে দিয়েছেন। স্বাভাবিক গতি নিয়েই হাওয়ার জোরে চলে এই মোটরসাইকেল। একবার ৫০ প্রেসার হাওয়া দিলে ২০০ কিলোমিটারের বেশি পথ চলতে পারে এ মোটরসাইকেল।
গৌরব জানান, মোটরসাইকেলে তেলের ট্যাঙ্কের জায়গায় তেল না ভরে শুধু ভরা হবে হাওয়া। আর সেই হাওয়া কম্প্রেসারের মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে বাইক চালানো যায় অনায়াসেই। অন্যান্য আর পাঁচটা মোটরসাইকেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একই গতিতে ছুটবে তাঁর এই হাওয়া বাইক। এমনকি রাতেও এই বাইক চালাতে কোনো অসুবিধা হবে না বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, বাইকে থাকা ব্যাটারির মাধ্যমে পিছনের লাইট জ্বললেও সামনের হেডলাইট জ্বলবে হাওয়ার জোরেই। আর ব্যাটারিও চার্জ হবে হাওয়াতেই।
এখন গৌরব নিজেই তাঁর পুরনো বাইকটিতে হাওয়া ভরে দিব্যি যাতায়াত করছেন বাড়ি থেকে গ্যারেজে। এ ছাড়া ইচ্ছে হলেই হাওয়া বাইকে চেপে চলে যাচ্ছেন দূর-দুরান্তের রাস্তাতেও।
ব্রণ দূর
ঘরোয়া উপায়ে মাত্র একবারেই দূর হবে দাগ, ব্রণ ও বলিরেখা!

ত্বকে কোন সমসসা নেই এরকম ভাগ্যবান মানুষ দুনিয়াতে খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টকর। তবে ত্বকের সমস্যা সমাধান করার জন্য অনেকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, এসকল পণ্য দেয়া ছেড়ে দিলে আবার আগের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। তাই ত্বকের সমস্যা সমাধানে সবার আগে ঘরোয়া উপাদান বেঁছে নিন। এতে ক্ষতিকর পদার্থ থাকার ভয় থাকে না।
দাগ, ব্রণ ও বলিরেখা থেকে আপনাকে মুক্তি দিবে মাত্র দুইটি উপাদান। এই চিকিৎসাকে মাইক্রোডার্মাব্রাসন বলা হয়। অলিভের তেল ও বেকিং সোডা ব্যবহারে আপনি প্রথম বারেই এর কার্যকারিতা বুঝতে পারবেন।
অলিভ বা জলপাইয়ের তেল আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারি। এটি খুব সহজে আপনার ত্বক কোমল ও নরম করে তুলবে। সাথে সাথে বেকিং সোডা ব্যবহারের ফলে তা আপনার ত্বকের মরা চামড়া তুলে ফেলতে সহায়ক হবে। এই দুইয়ের মিশ্রণ খুব সহজে আপনার ত্বক পরিস্কার করবে। প্রথম ব্যবহারের পর আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখে আপনি নিজেই এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন।
এটি ব্যবহারের জন্য শুধু ভালভাবে অলিভ তেলের সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে ত্বকে আলতো করে ৫ মিনিট ঘষে নিবেন। তারপর আর ৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর মুখ ধুয়ে ফেলবেন।
Monday, April 11, 2016
এই হল মা

মহিলা আগুনে ঝাপ দিয়েছিল তার সন্তানকে বাচানোর জন্য।আগুনে ঝাপ দেয়ার সময় সে নিজের কথা একবারও ভবে নি। কারন তার কাছে তার সন্তান সবকিছু, এই হল সবার উপরে মা
Saturday, April 9, 2016
হীরার চেয়েও দামি

তুমি কি কোন লোহার দোকানে গিয়েছো? --হ্যাঁ গিয়েছি। --তা কিভাবে রাখা হয়? --খোলা ভাবে। --তুমি কি রুপার দোকানে গিয়েছো? --হ্যাঁ গিয়েছি। --তা কিভাবে রাখা হয়? --ঢেকে রাখা হয়। --তুমি কি স্বর্ণের দোকানে গিয়েছো? --হ্যাঁ গিয়েছি। --তা কিভাবে রাখা হয়? --তা রুপার চেয়েও বেশী ঢেকে রাখা হয়। --তুমি কি হীরার দোকানে গিয়েছো? --হ্যাঁ গিয়েছি। তা কেমনে রাখা হয়? --তা স্বর্ণের চেয়েও বেশী গুরুত্ব সহকারে ঢেকে রাখা হয়। কেননা তার দাম অত্যন্ত বেশী তাই,যেন তাতে ময়লা না লাগে। . ইসলামে মহিলাদের মান ও সম্মান হীরার চেয়েও অনেক অনেক গুন বেশী। তাই তুমি পর্দায় থাকবে।যারা তোমাকে ছোট ড্রেস পরতে বলছে, তারা তোমাকে লোহার মত ব্যবহার করতে চাই। তোমার শরীরে দাগ দেবে, ময়লা লাগাবে, মরিচা ফেলবে। তারপর ছুড়ে ফেলে দেবে ডাস্টবিনে। ওরা তোমাকে হীরা ভাবে না, ভাবে লোহা। যা সাময়িক ব্যবহারের পর ফেলে দেবে। . তাই একটু বিবেক বুদ্ধি দিয়ে ভেবে দেখুন যে, আপনার মান সম্মান ও ভবিষ্যৎ এর কথা । মনে রাখবেন এটাই কিন্তু শেষ দুনিয়া নয়, আখিরাত বলেও কিন্তু কিছু আছে, বন্ধু ভেবে বললাম রাগ করোনা...আমাদের বোনদের যদি পর্দা করে চলে তাহলে কোনো ছেলেই পারবে না আমাদের অসম্মান করতে কারন সবাই কোনো না কোনো মা এর সন্তান.... আসুন নিজে পর্দা করি অন্নকেও পর্দা করতে উৎসাহিত করি,,,
আমি এক আল্লাহ্ গোলাম,,,
Friday, April 8, 2016
গ্রিনকার্ড
সৌদি বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর, গ্রিনকার্ড চালু করবে সৌদি আরব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এর আগে পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর কথা শোনা গেলেও এই প্রথম শোনা গেল সৌদি আরবের কথা। সৌদি আরব বসবাসরত প্রবাসীদের জন্য আসছে নতুন সুখবর। দেশটিতে কর্মরত বিদেশীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দিতে চলেছে সৌদি সরকার। ২০২০ সালের মধ্যে দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ বা গ্রিনকার্ড পাতে পারেন সৌদি প্রবাসীরা।
জানা যায়, অনেকটা আমেরিকান গ্রিনকার্ডের মতই হবে সৌদি আরবের গ্রিনকার্ড। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের
ধারণা, ওই গ্রিনকার্ড পেলে সৌদি আরবে ১০০ বিলিয়ন ডলার রোজগার করা সম্ভব। আর এ সম্ভাবনার লক্ষ্যেই এমন পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সৌদি উপ প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি ব্লুমবার্গের সঙ্গে সাক্ষাতকারে এই কথা বলেন।
নতুন প্রজন্মের এই তরুণ রাষ্ট্রনেতার নয়া দৃষ্টিভঙ্গিতে সৌদি আরবের নীতি এবং চরিত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের আবাস পাওয়া যাচ্ছে। তার এই ঘোষণা সৌদি প্রবাসীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষনীয় মনে হচ্ছে। এই নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য সৌদি আরবে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পরে বলে জানা যায়। বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে আরো জনশক্তি বাড়াতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
৬ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
৬ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
উৎকৃষ্ট শিক্ষা
ইসলামী শিক্ষা.পৃথিবীর উৎকৃষ্ট শিক্ষা.
মানবতা সর্ববৃহৎ মহত্বের নমুনা..
আল্লাহ্ আমাদের সকলকে তৌফীক দাও.. আমিন।
আজব প্রানী

পৃথীবির আজব প্রানীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী বিনোদন দেয় হিন্দু নামক প্রানীরা।
.
এরা গরু নামক পশুকে মা ডেকে সীকৃতি দেয় যে, আমরা মানুষ হয়ে জন্মেছি তবে আমরা গরু নামক পশুরই বাচ্চা !!
.
এরা গরুর গোস্ত খায়না কারন সেটা মায়ের অংশ
কিন্তু দুঃখের বিষয় মায়ের চামড়া দিয়ে বানানো জুতা বেশ আনন্দেই পরে থাকে!!
.
এই বলদ প্রজাতির প্রানীরা গাভী গরুটাকে মা বলে ডাকে কিন্তু বলদ গরুটাকে আব্বা বলে ডাকেনা!!
.
আমি দেখিনি পৃথীবির কোন নিচু জাতের প্রানীকে পশুর প্রশ্রাব পান করতে!!
.
এই প্রানীগুলো নিজেদের লজ্জাস্থান পোষাকে আচ্ছাদিত রাখে কিন্তু তাদের মা নামক গাভীটাকে নেংটা করেই রাখে!!
.
এরা ডাবের পানীর মতই গাভী গরুটার প্রশ্রাব খায় কিন্তু গাভী গরুটার পায়খানা খায়না ক্যান!!
.
এবার আপনারাই বলুন এরাকি মানুষ?
নাকি আজব কোন প্রানী?
আরো
Thursday, April 7, 2016
Wednesday, April 6, 2016
Tuesday, April 5, 2016
Monday, April 4, 2016
হৃদয়স্পর্শী ঘটনা:

একটি জরুরী অপারেশনের জন্য তাড়াহুড়ো করে এক ডাক্তারকে হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হল। সে দ্রুত গতিতে হাসপাতালে পৌঁছে গেলো। হাসপাতালে ঢুঁকেই সে দেখল রোগীর (একটি ছোট্ট ছেলে) বাবা ওখানে পায়চারি করছে ডাক্তারের অপেক্ষায়, ডাক্তারকে দেখামাত্র লোকটি চেঁচিয়ে উঠলঃ “আপনার আসতে এত দেরি লাগে ? দায়িত্ববোধ বলতে কিছু আছে আপনার? আপনি জানেন আমার ছেলে এখানে কতটা শোচনীয় অবস্থায় আছে ?”
ডাক্তার তেমন কিছু না বলে শুধু বলল- “আমি দুঃখিত, আমি হাসপাতালে ছিলাম না, বাসা থেকে তাড়াহুড়ো করে এলাম, তাই খানিকটা দেরি হল, এখন আপনি যদি একটু শান্ত হন, তবে আমি আমার কাজটা শুরু করতে পারি।” লোকটি এবার যেন আরও রেগে গেলো, ঝাঁঝাঁলো স্বরে বলল- “ঠাণ্ডা হব ? আজ যদি এখানে আপনার সন্তান এভাবে জীবন-মৃত্যুর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতো, তাহলে আপনি কি করতেন ? শান্ত হয়ে বসে থাকতে পারতেন?”
ডাক্তার আবার বললেনঃ “ডাক্তার কাউকে দীর্ঘ জীবন দিতে পারে না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, আপনি আল্লাহর উপর ভরসা করুন।”
লোকটি পুনরায় রাগত স্বরে বলল- “যখন কারো টেনশন না থাকে তখন উপদেশ দেয়া সহজ।” এরপর ডাক্তার সাহেব অপারেশনের রুমে চলে গেলো। ২ ঘণ্টার মত লাগলো, শেষে হাসি মুখে ডাক্তার হাসি মুখে বের হয়ে এলেন,”আলহামদুলিল্লাহ, অপারেশন সফল হয়েছে।” এরপর লোকটির উত্তরের অপেক্ষা না করেই ডাক্তার আবার বলে উঠলেন- “আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে নার্সকে জিজ্ঞেস করুন, এই বলে তিনি চলে গেলেন।” এরপর লোকটি নার্সকে বললেন- “ডাক্তার এত ভাব নেন কেন? তিনি কি আর কিছুক্ষণ এখানে দাঁড়াতে পারতেন না? যাতে আমি ওনাকে আমার সন্তানের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করতাম।” নার্স কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন আর জানালেন- “ডাক্তার সাহেবের ছেলে আজ সকালে মারা গেছেন রোড এক্সিডেন্টে। তিনি আপনার ফোন পেয়ে ওনার ছেলের জানাজা পড়ে দ্রুত চলে এসেছেন। এখন আবার দৌড়ে চলে গেলেন- উনার সন্তানকে দাফন করতে।
শিক্ষা: একজন মানুষকে তার বাইরের আচার-আচরণ দেখে সর্বদা যাচাই করা ঠিক না। কারণ আমরা হয়তো জানতে পারছি না প্রকৃতপক্ষে তিনি কেমন পরিস্থিতিতে আছেন। মহান আল্লাহ্ তা’আলা সবাইকে সুন্দর জীবন দান এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন- আমীন।
তুচ্ছ দুনিয়া

খলীফা হারুনুর রশীদের রাজত্ব কাল।
একদিন তিনি খুব পিপাসার্ত অবস্থায়
তার এক খাদেমের কাছে পানি চাইলেন।
বিখ্যাত বুযুর্গ বুহলূল রাহ. খলীফার
কাছেই ছিলেন।
খলীফা পানি পান করতে যাবেন, এমন
সময় বুহলূল বললেন, "জনাব, একটু
থামুন। আমার একটি প্রশ্ন আছে।"
খলীফা কিছুটা অবাক হয়ে পাত্র নামিয়ে
নিলেন।
বুহলূল প্রশ্ন করলেন, "প্রচন্ড
পিপাসার সময় এই এক পাত্র পানির
জন্য আপনি কী পরিমাণ সম্পদ খরচ
করতে রাজি হবেন?"
.
একটু ভেবে খলীফা জবাব দিলেন,
"পিপাসা যদি তীব্র হয় এবং যদি
প্রাণনাশের আশঙ্কা দেখা দেয়, তাহলে
প্রয়োজনে আমার সমস্ত রাজত্ব দিয়ে
হলেও এ পানিটুকু পেতে চাইব।"
.
বুহলূল বললেন, "ঠিক আছে। পান
করুন।"
খলীফা পানি পান করার পর বুহলূল
আবার জিজ্ঞাসা করলেন, "হুজুর,
আরেকটি ছোট্ট প্রশ্ন আছে।"
খলীফা বললেন, "বলুন।"
বুহলূল বললেন, "আপনি যে পানিটুকু পান
করলেন তা যদি আপনার শরীরে আটকে
থাকে (অর্থাৎ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়)
তাহলে তা বের করার জন্য কী পরিমাণ
ব্যয় করবেন?"
.
খলীফা বললেন, "এমন যন্ত্রণা থেকে
মুক্তি পেতে প্রয়োজনে আমার সমস্ত
রাজত্ব দিয়ে দেব।"
.
এবার বুহলূল বললেন, "হুজুর! এই
রাজত্বের কী মূল্য, যা এক পাত্র
পানির পান করার জন্য এবং এক পাত্র
পানি শরীর থেকে বের করার জন্য চলে
যায়?!"
অর্থাৎ এটি আল্লাহ তাআলার এত বড়
নেয়ামত, যার মোকাবিলায় বিশাল
রাজত্বও অতি তুচ্ছ।
.
সত্যিই দুনিয়ার ধন সম্পদ
আল্লাহ্তা'য়ালার দেয়া নিয়ামাত এর
তুলনায় কতটা তুচ্ছ!!
আল্লাহ তায়ালা আমাদের মাফ করুন।
আমীন।
এই রকম লোকদের কাছে বেচা কেনা করা জরুরী

কেন না এই বয়সে, এ সব লোক ধনী হবার জন্য নয়, একটু খাবারের জন্য ইনকাম করে।
Saturday, April 2, 2016
Friday, April 1, 2016
কিছু স্বপ্নের কোনও মানে হয়না,কিছু আলো কখনই দেখা যায় না

কিছু
নিস্তব্ধতা কখনই বুঝা হয় না, কিন্তু কিছু
ভালোবাসা এভাবেই বিক্রি হয় ৬০০
পয়সায় ......। তবুও তো এটাই কিছু মানুষের
নির্ভরতার হাসি।
আচ্ছা একটা পিচ্চি যদি আপনার কাছে
আসে বলে স্যার / ম্যাডাম "একটা
ভালোবাসা নেন না " কি করবে
আপনি ????
আপনি কি চান দেশের সকল শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা হিসেবে কুর'আন এর শিক্ষা দেয়া হোক?

যারা চান তারা লাইক দিয়ে Yes লিখুন।
শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ দিন
এমন সন্তান বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম হয় যেন

মাশা আল্লাহ্ ......
হে আল্লাহ আমাদের সন্তানকে এমন নামাজী বানিয়ে দেও।
______ আমীন
Subscribe to:
Posts (Atom)